নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাত্র ৩ ঘন্টা দিনের আলো থাকে যে গ্রামে !

২৪ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:৩৮


আগে জানতাম বা শুনেছিলাম সুইডেনের সবচেয়ে উত্তরের শহর কিরুনায় গ্রীষ্মকালে প্রায় দেড় মাসের মত নাকি সূর্যাস্তই হয় না মানে
সূর্য ডুবে না। উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের অনেকটা অংশজুড়েই গ্রীষ্মকালের একটা নির্দিষ্ট সময় আক্ষরিক অর্থেই সূর্য ডুবতে দেখা যায় না। আবার ঠিক একই ভাবে শীতকালেও কোনো একটা নির্দিষ্ট সময় মত সূর্য উঠতে দেখা যায় না।আর সেজন্যই
হয়ত গ্রীষ্মকালের এই সময়টাকে মেরু দিন এবং শীতকালের এই সময়টাকে মেরু রাত্রি বলা হয়। স্ক্যান্ডেনেভিয়া অঞ্চলের দেশ সুইডেনের কিরুনা শহরটি আর্কটিক সার্কেল বা উত্তর মেরু বলয়ের আরও ১৪৫ কিলোমিটার ভেতরে। সেখানে গ্রীষ্মকালেও পর্বত চূড়াগুলো সাদা বরফে ঢাকা থাকে। পুরো গ্রীষ্মকালেই রাতের আকাশ থাকে অনেকটাই আলোকিত আর পুরো শীতকালে দিনের আলোর দেখা মেলা ভার।মাত্র ১০০ বছরের কিছু আগে বসতি স্থাপনের মধ্য দিয়ে কিরুনা শহরের পত্তন হয়েছিল মূলত লোহার খনিকে ঘিরে। খনির শহর কিরুনায় সব মিলিয়ে হাজার বিশেক বাসিন্দার মধ্যে একটা বড় অংশই অভিবাসী শ্রমিক। এঁদের মধ্যে আছেন বিভিন্ন দেশ থেকে সুইডেনে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী মুসলিমরাও। গত কয়েক দশকে এখানে আসা মুসলিমরা ভৌগোলিক কারণে নামাজের সময়সূচি এবং রোজা রাখা নিয়ে বিপাকে পড়েন। এ বিষয়ে মুসলিম ধর্ম-তাত্ত্বিকদের নির্ধারণ করা কোনো সুনির্দিষ্ট বিধান না থাকায় কিরুনার মাত্র কয়েক শ মুসলিমও ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম মেনে চলেন।

আজ আবার শুনলাম আর্বকটা বিষয়,আর সেটা হল,একদিন সমান সমান ২৪ ঘন্টা। অর্থাত্‍ দিন আর রাত মিলিয়ে এই হিসেব। এরমধ্যে ১০ কিংবা ১২ ঘন্টা নিশ্চিত দিন? এটাই তো হওয়া স্বাভাবিক। এর ব্যাতিক্রম হওয়া মানেই বিস্ময়কর।যদি আপনি শোনেন কোন এক দেশে মাত্র ৩ ঘন্টা থাকে দিনের আলো আর বাকী ২১ ঘন্টাই রাত তবে অবাক না হয়ে পারবেন কি? ভাবতে পারেন এটা অসম্ভব! না, অসম্ভব নয়। এটাই সত্যি। পৃথিবীতে এমন একটি গ্রাম আছে, যেখানে ৩ ঘন্টায় দিন শেষ।রাশিয়ার অইমিয়াকন নামের গ্রামে শীতকালে মাইনাস ৬৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বজায় থাকে। এ গ্রামে ঠাণ্ডার এত তীব্রতার পরও সেখানকার মানুষ কিন্তু সারাদিন কম্বলের নিচে পড়ে থাকে না।সেখানে বিদ্যালয়, পোস্ট অফিস, ব্যাংক, এয়ারপোর্ট সব কিছুই রয়েছে। তবে সেগুলো শুধু গ্রীষ্মকালে চালু থাকে। হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেও সেখানে মানুষ জীবিত থাকেন আবার কাজের মধ্যে ব্যস্তও থাকেন।সেখানে তাদের বেঁচে থাকার জন্য অ্যালকোহল পান করতে হয়। শীতের সময় বাজারে শুধু মাছ এবং মাংস পাওয়া যায়। সেখানে পথঘাট, পাহাড়-পর্বত, গুহা সবকিছু বরফে ঢেকে থাকে। গাছ-পালাও বরফে-পাথরে পরিণত হয়।ওই গ্রামটির যেদিকে তাকাবেন সেদিকে শুধুই বরফ। আর এই গ্রামেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে আলোর দেখা পাওয়া যায় মাত্র তিন ঘণ্টা। বাকি ২১ ঘন্টা জুড়েই বরফময় অন্ধকারে আচ্ছাদিত থাকে পুরো গ্রাম। আমি
এসব কথা শোনা বা জানার পর নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ।বেশ খানিকটা অবাকও হয়েছি যাই হোক সৃষ্টি কর্তার খেলা বোঝা
বড় দায় ।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট !







মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৯ রাত ৩:০২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ওই গ্রামটির যেদিকে তাকাবেন সেদিকে শুধুই বরফ। আর এই গ্রামেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে আলোর দেখা পাওয়া যায় মাত্র তিন ঘণ্টা। বাকি ২১ ঘন্টা জুড়েই বরফময় অন্ধকারে আচ্ছাদিত থাকে পুরো গ্রাম।
...............................................................................................................
এসব দে শে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয় কি ???

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সবই হয় ।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৪:২২

এমজেডএফ বলেছেন: ২১ জুন বছরের সবচেয়ে দীর্ঘ দিন। ২১শে জুনের প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে শুরু করে দুই সপ্তাহ পর পর্যন্ত সুইডেনের এই এলাকায় (কিরুনা) সূর্য ডোবে না! সূর্য আকাশের দিগন্তরেখার কাছে গিয়ে মনে হবে যেন স্থির হয়ে আছে। এরপর আবার উপরের দিকে উঠতে থাকে। অনেক বছর আগে আমি জুলাইয়ের ১ম সপ্তাহে সেখানে গিয়েছিলাম। সে এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য!


উপরের চিত্রটি (নেট থেকে নেয়া) সকালের সূর্যোদয় বা সন্ধ্যার সূর্যাস্তের দৃশ্য নয়। এটি সুইডেনের উত্তরের জিলা-শহর কিরুনার মধ্যরাত্রির (রাত ১১:৩০ থেকে ১২:৩০) দৃশ্য!

সূর্যের দিকে দেখলে মনে হবে এখন বিকাল ৪টা, ঘড়ির দিকে দেখলে তখন রাত ১০ টা! যখন আকাশে সূর্যের অবস্থান ও এর ক্ষীণ আলোতে মনে হবে কিছুক্ষণ পরে মাগরেবের নামাজের সময় হবে তখন কিন্তু ঘড়িতে রাত ১২টা! এসময় সূর্যের আলোর আর পরিবর্তন হবে না। অল্প কিছুক্ষণ পর দেখবেন সূর্যের আলো বাড়তে শুরু করেছে। ঘড়িতে যখন রাত দুইটা সূর্য তখন পূর্ণ আকার নিয়ে দিগন্তরেখার অনেক উপরে উঠে এসেছে। এখানে জীবন চলে ঘড়ির সময়ে, সূর্য দেখে নয়। অনভ্যস্থ পর্যটক শিশুরা রাত ১১টা বাজলেও না ঘুমিয়ে সুর্য্যের আলোতে পার্কে খেলাধুলা করে।
তবে কেউ সেখানে যাতে চাইলে কয়েকদিন হাতে নিয়ে যাওয়া ভালো। কারণ অনেকসময় আকাশ মেঘলা থাকলে সুর্যের এই বিচিত্র দৃশ্যগুলো পরিস্কারভাবে দেখা যায় না।

কিরুনার ডেলাইন সম্পর্কে Kiruna, Sweden লিঙ্ক।

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে তথ্য সমৃদ্ধ লিং দেয়ার জন্য ।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
দারুণ।

২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৬:২৮

বলেছেন: জানা হলো!!
সত্যি বিস্ময়কর!!

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার সব তথ্য দিয়ে পোস্ট সাজিয়েছেন, ধন্যবাদ।
২ নং মন্তব্যে আরো কিছু তথ্য ও লিঙ্ক দিয়েছেন ব্লগার এমজেডএফ, এজন্য তাকেও ধন্যবাদ।
ওদের তুলনায় আমাদের জীবনযাত্রা প্রণালীকে অনেক সহজ করে দিয়েছেন, এজন্য সৃষ্টিকর্তাকেও অন্তর থেকে ধন্যবাদ।

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পোষ্টে পাঁচ তারকা সম্মানী নেবেন, ভালো লেখা ব্লগ থেকে হারিয়ে গেছে, অনেকদিন পর চমৎকার একটি তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট পেলাম, ধন্যবাদ সাথে এমজেডএফকে ও ধন্যবাদ।



৭| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫০

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: অনেক তথ্য জানালাম লেখক।

৮| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: এই রকম পোষ্ট আমার ভালো লাগে।

৯| ২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: শেষ কথাটাই গুরুত্বপূর্ণ।

১০| ২৪ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৩

আহা রুবন বলেছেন: অবিশ্বাস্য! পড়তে বেশ মজা পাচ্ছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.