নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পীর বড়খাঁ গাজী\'র কিছু কথা

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৭


পীর বড়খাঁ গাজী অথবা গাজীবাবা এছাড়াও গাজী সাহেব, মোবারক শাহ গাজী, বরখান গাজী ইত্যাদি নামে তিনি পরিচিত । তিনি হলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা অঞ্চলের তথা দক্ষিণ বাংলার মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের অন্যতম প্রধান পীর। তাকে সুন্দরবনের ভাটি অঞ্চলের ব্যাঘ্রকুলের অধিষ্ঠাতা হিসাবে মান্য করা হয়। এখানকার ক্যানিং থানার অন্তর্গত ঘুটিয়ারি শরীফে মতান্তরে, বাংলাদেশের সিলেট জেলার শিবগাঁও গ্রামে বা গাজীপুরে গাজী সাহেবের কবরস্থান বর্তমান। এটি হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল মানুষের তীর্থস্থান। উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা তথা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে বড়খাঁ গাজীর একাধিক দরগাহ-নজরগাহ আছে। বিভিন্ন লোককাহিনীতে তাকে একজন অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন ইসলামধর্ম প্রচারক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।লোককথা অনুযায়ী, বর্তমান দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বেলে-আদমপুর গ্রামে তার জন্ম হয়। তিনি প্রথম যৌবনে পিতার অতুল ঐশ্বর্য ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য ফকিরি গ্রহণ করেন এবং ভাটি অঞ্চল সুন্দরবনে আসেন।বন্ধু কালুর সহায়তায় বড়খাঁ গাজীর বিবাহ হয় বৃহত্তর যশোর জেলার ব্রাহ্মণনগরের হিন্দু রাজা মুকুট রায়ের কন্যা চম্পাবতীর সাথে। তার দুই পুত্র দুঃখী গাজী এবং মেহের গাজী। অধুনা বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজারে আজও গাজী কালু এবং চম্পাবতীর মাজার আছে।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সোনারপুরে জঙ্গল কেটে বসতিও নির্মাণ করেছিলেন বড়খাঁ গাজী। নদী-জঙ্গল অধ্যুষিত এই অঞ্চলে বাঘ, কুমীর, সাপ ইত্যাদিকে যখন ইচ্ছা বশ করতে ও যুদ্ধের সৈনিক করতে পারতেন। রাজা-প্রজা, ধনী-দরিদ্র সকলের উপর তার সমান প্রভুত্ব বর্তমান। কুমীর-দেবতা কালুরায় তার বিশেষ বন্ধু।অনেকের মতে, বড়খাঁ গাজী কারও ব্যক্তিগত নাম নয়, মধ্যযুগীয় বাংলায় ইসলাম প্রচারকদের শীর্ষস্থানীয়রাই বড়খাঁ গাজী নামে পরিচিত। একটি মতে, পাণ্ডুয়ার প্রসিদ্ধ পীর জাফর খাঁ গাজীর পুত্রই বড়খাঁ গাজী। সুকুমার সেনের মতে, চতুর্দশ শতকের পীর সুফি খানই ষোড়শ শতকে বড়খাঁ গাজী নামে পরিগণিত হন। তৃতীয় মতে, পঞ্চদশ শতকের পীর ইসমাইল গাজীই হলেন আলোচ্য বড়খাঁ গাজী।

ঘুটিয়ারি শরীফে গাজী সাহেবের কবরস্থান বর্তমান। এটি হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল মানুষের তীর্থস্থান। পুরুষ, নারী এমনকি হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা এখানে মানতের জন্য আসেন,তবে মহিলা এবং হিজড়ারা মাজারে প্রবেশ করে না, পাশের জানালায় ধূপ-বাতি দেন।সকলে গাজীকে জিন্দা পীর হিসাবে মানেন। ৭ই আষাঢ় পীরের মৃত্যুর দিন স্মরণ করে প্রতি বছর একসপ্তাহ ধরে বিশেষ উৎসব এবং মেলা হয়। তাছাড়া ১৭ই শ্রাবণ থেকে উদযাপিত বিশেষ উৎসবে অনেক লোকসমাগম হয়। সেসময় নানা ইসলামিক গজল, কাওয়ালি, সুফি তারানা গাজীপীরের উদ্দেশ্যে গাওয়া হয়ে থাকে।গাজীবাবার অলৌকিক ক্ষমতা সম্বন্ধে সেখানে নানা প্রবাদ প্রচলিত আছে। একটি জনশ্রুতি অনুসারে, একবার এই অঞ্চলে খরা হওয়ায় লোকেরা গাজীবাবাকে বৃষ্টি আনিয়ে দিতে বলেন। গাজীবাবা সেই অনুরোধে সমাধিস্থ হন। তারপর একজন পাঠান মুসলমান গাজীবাবার সঙ্গে দেখা করতে এসে তাকে মৃত ভেবে ছুঁয়ে ফেলেন। তৎক্ষণাৎ দৈববাণী হয় যে, তিনি মৃত ছিলেন না, সমাধিস্থ ছিলেন। কিন্তু স্পর্শদোষ ঘটায় তার আত্মা পর্দানশীন হয় এবং যে কেউ ভাসাপুকুরে শিরনি দিয়ে মানত করলে তা পূরণ হবে। সেই দিনটি ছিল বাংলা বর্ষপঞ্জীর ৭ই আষাঢ়, অম্বুবাচী। সেই থেকে ওই তারিখে এখানে তিনদিনের গাজীবাবার জাত বা মেলা, এবং ৪১ দিনের দিন বা ১৭ই শ্রাবণ উরস অনুষ্ঠান পালিত হয়।উৎসবের দিনগুলিতে জিয়ারতের সময় বারুইপুরের রায়চৌধুরী জমিদারবাড়ি থেকে আনা শিরনি, বাতি-আতর সর্বপ্রথমে গাজী পীরকে উৎসর্গ করা হয়। কথিত আছে, রায়চৌধুরী পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মদনমোহন রায়কে নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর খাজনার দায় থেকে উদ্ধার করেছিলেন পীর বড়খাঁ গাজী। মেদিনীমল্ল পরগণার জমিদারি পেয়ে রায়চৌধুরীরা গাজীকে এখানে পীরোত্তর সম্পত্তি দান করেন। এখানে হিন্দুদের মতো মুসলমানদেরও গোমাংস-ভক্ষণ একেবারে নিষিদ্ধ।এখানকার ভাসাপুকুর বা মক্কাপুকুরে নরনারীরা শিরনি হিসাবে ফুল-বাতাসা ভাসায়। যার হাতে শিরনি পুনরায় ভেসে আসে, তার মানত অচিরেই পূর্ণ হবে বলে ধারনা করা হয়। তাছাড়া সন্তানের মানতকারীরা সন্তান হলে কচি শিশুকে সাজিয়ে ফুল-আতর দিয়ে মাটির হাড়িতে পুকুরের জলে ভাসিয়ে দেয় এবং বিশ্বাসমতো বাচ্চা হাড়িসহ আপনজনের কাছে শেষমেশ ফিরে আসে প্রতিবার।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৪৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: পীরবাজীর ধারনা এই উপমহাদেশে ও ইরানে দেখা যায়, আরব দেশগুলোতে না। এটির ধারনাই ইসলামের মূল আকিদার সংগে সংঘাতপূর্ন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ আশফাক ভাই মুল্যবান কমেন্টের জন্য ।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: পীর ফকির এরা সব যুগেই ছিল। আছে। থাকবে। তবে এদের কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৫

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: কিছু আছে ভন্ড আবার কিছু আছে কামেলডার,এর মধ্যে কে আষল আর কে নকল সেটা চেনাটাই দায় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.