নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক সুবোধ বালক /অবুঝ শিশুর মতো /মোর চলন বলন/খাই-দাই ফুর্তি করি / সাধ্যমত লিখি-পড়ি /আর কিছু নেই কথন।

আমানউল্লাহ রাইহান

তোমাকেই জ্বালাতে হবে আশার রবি, সোনালি প্রভাতের রাঙ্গা ছবি, তোমাকেই আঁকতে হবে......

আমানউল্লাহ রাইহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনস্তাত্ত্বিক লড়াই

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

পৃথিবীতে দুই ধরণের যুদ্ধ আছে,
1. অস্ত্রের যুদ্ধ।সোজা বাংলায় 'মরণ লড়াই'।এটা রক্তপাতের যুদ্ধ।খুনাখুনির যুদ্ধ।এর ফলাফলা হলো,কেউ বিজয়ী হবে আর কেউ হবে বিজিত।বিজিত-পরাজিত জাতি সর্বদা বিজয়ীর অনুগামী হয়।তার গোলামি করতে বাধ্য হয়।তার সভ্যতা-সংস্কৃতি,কৃষ্টি-কালচারে তারা গড়ে ওঠে।মানুক বা না মানুক, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় তাদেরকে বিজয়ীর অনুগামী হতেই হবে।কিন্তু এই অন্যায় রাজত্ব বেশিদিন স্থায়িত্ব পায়না।কারণ,বিজিতরা সবসময় স্বাধীনতার স্বপ্ন হৃদয়ে লালন করে।নিজেদের সংস্কৃতির কথা সে কখনো ভুলে না।এজন্য সুযোগ পেলেই সে মাথাচারা দিয়ে ওঠে,ঘটে যায় আরেকটি যুদ্ধ।স্বাধীনতার যুদ্ধ।
2. মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ।সহজ বাংলায় 'মগজধোলাই'।এই যুদ্ধে একটি জাতি বিনা রক্তপাতে নিজেদের সবকিছু বিকিয়ে দিয়ে অন্যের গোলামে পরিণত হয়।ভিনদেশী ও বিধর্মী কৃষ্টিকালচার ও বিপরীত চিন্তাচেতনায় এরা লালিত পালিত হয়।গড়ে ওঠে পঙ্গু জাতিতে।স্বাধীনসত্ত্বার অর্থ ও মর্ম এরা বুঝেনা।সেই অনুভূতিও থাকেনা।আজীবন এরা 'জ্বী হুজুর,জ্বী হুজুর' করেই তৃপ্তি পায়।
এ যুদ্ধের ফলাফল স্থায়ী।এখানে বিজিতরা নিজেদের পরাজিত মনে করেনা।ব্যাস,এতটুকুই যথেষ্ট গোলামির ইতিহাস রচিত হতে।স্বাধীনতা এখানে নীরবে কাঁদে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.