নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক সুবোধ বালক /অবুঝ শিশুর মতো /মোর চলন বলন/খাই-দাই ফুর্তি করি / সাধ্যমত লিখি-পড়ি /আর কিছু নেই কথন।

আমানউল্লাহ রাইহান

তোমাকেই জ্বালাতে হবে আশার রবি, সোনালি প্রভাতের রাঙ্গা ছবি, তোমাকেই আঁকতে হবে......

আমানউল্লাহ রাইহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রয়লারতত্ত্ব ও আজকের মুসলমান

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রাহ. বলেন, যে প্রাণির সাথে যার মেলামেশা, তার মধ্যে সেই প্রাণির খাসলত অটোমেটিক আসে। আর সে যখন ঐ প্রাণির মাংস আহার করে তখন তো আর কোনো কথাই নেই। ঐ প্রাণির স্বভাব তার রগে রেশায় ঢুকে পড়ে। এবং সে আচার, আচরণে সেই জানোয়ারের মতো হয়ে যায়। তার মধ্যে সেই স্বভাব পরিলক্ষিত হয়।

প্রখ্যাত সমাজ বিজ্ঞানী আল্লামা ইবনে খালদুন রাহ. তাঁর বিখ্যাত ঐতিহাসিক কিতাব 'আল-মুকাদ্দিমা' তে লিখেছেন,

আরবরা উটের গোশত খায়, যার দরুন তাদের স্বভাব অহংকারী ও রুক্ষ হয় এবং আত্মগরিমাসম্পন্ন হয়।

তুর্কিরা ঘোড়ার গোশত খায়, ফলে তারা সাহসী, ভীর ও বাবুয়ানা মেজাযের হয়।

ইংরেজরা শূকরের মাংস খায়, যার ফলে ওরা নির্লজ্জ, বেহায়া, ও অশ্লীল প্রকারের হয়।

আফ্রিকার হাবাশিরা বানরের মাংস খায়, এজন্য তাদের মধ্যে বানরের স্বভাব তৈরি হয় এবং নাচগানের অভ্যাস পাওয়া যায়।
উপরোক্ত প্রাণিগুলো যেই স্বভাব প্রকৃতির, তার প্রভাবও সেই রকমের। কথায় আছে, মানুষ তাই, যা সে খায়।

এসব বিষয় পর্যালোচনা করে এক আরবি সাংবাদিক লিখেছেন,
বর্তমানে আমরা ফার্মের মুরগি খেতে অভ্যস্ত। যার ফলে আমাদের মধ্যে ফার্মের মুরগির স্বভাব চলে এসেছে। আমরা সারা জীবন মুরগির মতো চিল্লাচিল্লি করি আর ওরা আমাদেরকে এক এক করে যবাই করে। আমরা ব্রয়লারের মতো অলস, কাহিল প্রকৃতির হয়ে গেছি। একই জায়গায় জিম ধরে বসে থাকার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। আমাদের মধ্যে কর্মচঞ্চলতা নেই। শত্রুর সামনে মাথা নিচু করে থাকা এবং পশ্চাদপদতার রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছি। যার ফলে ঈমানি শক্তি তো অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি, সাথে জন্ম ও প্রকৃতিগত যে শক্তি ছিলো তাও হারিয়ে ফেলেছি।
/
একটি উর্দু আর্টিকেল থেকে অনুবাদ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.