নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমাকেই জ্বালাতে হবে আশার রবি, সোনালি প্রভাতের রাঙ্গা ছবি, তোমাকেই আঁকতে হবে......
আজ সকালে অজানা এক শ্রদ্ধাভাজন তাঁর সুধারণার তাড়নায় অধমের কাছে জানতে চাইলেন, ইসলামিক থিওলজিতে Ethnicity cleaning এর কথা আছে কি না?
পরিভাষাগত দিক দিয়ে এই শব্দটার সাথে আমি পরিচিত ছিলাম না। এর কয়েকটি কারণ আছে।
প্রথমতঃ ইতিহাস আমার মাথায় ঢুকে না। যার দরুন অন্যগুলো তো দূরের কথা খোদ ইসলামের ইতিহাসটাও একাধারে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পড়ার সাহস পাইনি। সুতরাং বলতে দ্বিধা নেই, ইতিহাস নিয়ে আমার পড়াশোনা কম। যা কিছু পড়েছি বা উস্তাদদের কাছে শুনেছি তা নিতান্তই ভাঙ্গাচূড়া, অগোছালো এবং অপ্রতুল।
দ্বিতীয়তঃ কোনো শিক্ষা-কারিকুলামে যেহেতু দুনিয়ার তাবৎ ইতিহাস পড়ানো সম্ভব নয় এবং এভাবে পড়ানোরও ইতিহাস নেই, সেহিসেবে আমাদের সিলেবাসেও ইতিহাস বিষয়ে যে কয়েকটি কিতাব আছে সেগুলো দিয়ে আদম আ. থেকে নিয়ে সর্বশেষ মুঘল পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাস ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সামান্য একটু ধারণা পাওয়া যায়। বাকি এই বিষয়ে পুরোপুরি বা আরো বিস্তর জানতে চাইলে নিজ উদ্যোগে গবেষণা করতে হবে। যেটা অধম এখনো করতে পারে নি।
আমাদের কওমি মাদরাসাগুলোতে প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাভাষায় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে আরবি ও উর্দুভাষায় ইতিহাসের কিতাবগুলোর পঠন-পাঠন চলে। যার দরুন Ethnicity cleaning ইংলিশ পরিভাষার সাথে কখনো দেখা - সাক্ষাৎ হয় নি।
যাক এবার আসি মূল কথায়।Ethnicity cleaning শব্দের অর্থ দাঁড়ায় 'জাতিগত নিধন' বা এর কাছাকাছি অন্য কোনো অর্থ হবে।
সেই শ্রদ্ধাভাজন জানতে চাচ্ছিলেন, ফেরাউন কর্তৃক বনি ইসরাইলের উপর অত্যাচারটাকে বা বনি ইসরাইলের মিসর ত্যাগকে এই পরিভাষায় ব্যক্ত করা যাবে কি না?
প্রথমেই ইতিহাস বিষয়ে নিজের ইলমি কমতির কথা প্রকাশ করতে হয়েছে। কেননা আমি জানি, আমি কতো কম জানি। তারপরও ভাঙ্গাচূড়া জ্ঞান নিয়ে এই কথার উত্তর দিতে গিয়ে রোহিঙ্গা, হিটলারের আলোচনা চলে এসেছে।
শেষে আলোচনার ফলাফল যা বের হলো তার সাথে আরো কিছু যুক্ত করলে বিষয়টা এভাবে ব্যক্ত করা যায়,
ফেরাউন কর্তৃক বনি ইসরাইলের উপর যুলুমকে 'জাতিনিধন' নয় বরং 'জাতিবিদ্বেষ' বলা যায়।
বর্তমানে এই জাতিবিদ্বেষ পশ্চিমে সাদা - কালায়, ভারতে হিন্দু ও শিখ-মুসলিমে এবং সারা পৃথিবীতে মুসলিম-অমুসলিমে কম বেশি আছে।
বাকি রইলো 'জাতিনিধন'।
ইসলামের ইতিহাসে Ethnicity cleaning বা 'জাতিনিধন' জাতীয় ঘটনা কিংবা এই পরিভাষা আছে কিনা আমার জানা নেই।তবে ননইসলামিক হিস্ট্রিতে এই প্রকারের ঘটনা আছে। নিকট অতীতে হিটলারের কার্যক্রম যে এই পর্যায়ের এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।জনাব এ্যাডলফ 'জাতিবিদ্বেষ' থেকে একধাপ এগিয়ে 'জাতিনিধনে' নেমেছিলেন।
বর্তমানে সভ্যতার উৎকর্ষের যুগে, আধুনিক ও উত্তর আধুনিক এই পৃথিবীতে যেখানে 'জাতিনিধন' তো দূরের কথা 'জাতিবিদ্বেষের' কল্পনা করা যায় না, সেখানে মায়ানমারের বর্বর পিশাচেরা নব্য হিটলার রূপে আবর্তিত হয়েছে। এরা এতটাই নিকৃষ্ট পর্যায়ে নীচে নেমে এসেছে যে এদের কথা বলতেও অন্তর থেকে ঘৃণা আসে। যতটুকু মনে হয়, একমাত্র বৌদ্ধরা ছাড়া উপমহাদেশে এমন কোনো জাতি নেই, যারা স্রেফ ধর্মের কারণে মুসলিমবিদ্বেষী। এছাড়া আর যাদের আমরা দেখি, সেটা রাজনৈতিক এবং ধর্মের নামে সৃষ্টি করা হয়েছে।
অতীতে 'জাতিনিধন' শব্দটা মুসলমানদের ক্ষেত্রে ব্যবহার নাও থাকতে পারে কিন্তু রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে এই শব্দটা ছাড়া আর কী বলা হবে?
'ওম শান্তি' র প্রবক্তা এই বর্বর বৌদ্ধজাতি প্রকৃত অর্থেই 'জাতিনিধনে' নেমেছে। এখানে হয়তোবা রাজনীতির দুর্গন্ধ পাওয়া যাবে, কিন্তু মূল কারণ ধর্ম ও জাত। ওদের কথাবার্তা, আচরণ এবং অতীতের ইতিহাস একথার দিকেই ইঙ্গিত করে।
পূর্ব থেকে চলে আসা সিদ্ধিটা এখন সুযোগ বুঝে সাধন করে নিচ্ছে।তাই একথা নিশ্চিত করে বলা যায়, মযলুম রোহিঙ্গারা বর্বর বৌদ্ধ কর্তৃক 'জাতিনিধনের' শিকার।
বাদ ফজর।
13/9/2017 ঈ.
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৬
আমানউল্লাহ রাইহান বলেছেন: শোকরিয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২১
সামিয়া বলেছেন: ভালো লিখেছেন।। +++++