নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক সুবোধ বালক /অবুঝ শিশুর মতো /মোর চলন বলন/খাই-দাই ফুর্তি করি / সাধ্যমত লিখি-পড়ি /আর কিছু নেই কথন।

আমানউল্লাহ রাইহান

তোমাকেই জ্বালাতে হবে আশার রবি, সোনালি প্রভাতের রাঙ্গা ছবি, তোমাকেই আঁকতে হবে......

আমানউল্লাহ রাইহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের পদ্য : এক কবির আত্মকাহিনী

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬



কখনো কখনো মাটিতেই বসে পড়ি,
কেননা আমি আমার সামর্থ্যের ভিতর থাকতে পছন্দ করি।
সমুদ্র থেকে শিখেছি আমি বাঁচার তরিকা,
নীরবে প্রবাহিত হওয়া ও স্বীয় লহরিতে জড়িয়ে থাকা।
এমন নয় যে আমার মধ্যে কোনো দোষ নেই,
তবে সত্যি বলছি, আমার মাঝে কোনো ধোঁকাবাজি নেই।
দুশমন আমার বন্ধুরীতি দেখে জ্বলে মরে,
কেননা এতোদিন হলো আমি, না দোস্তি বদলেছি
আর না আমার দোস্ত বদলেছে।

ঘড়ি কিনে তো হাতে বেঁধে নিয়েছি,
অথচ সময় আমার পিছে পড়ে গেছে।
ভেবেছিলাম একটি ছোট্ট ঘর বানাবো,
বাকিটা জীবন শান্ত-বিশ্রামে কাটিয়ে দিবো,
কিন্তু গৃহসজ্জার সরঞ্জামই আমাকে মুসাফির বানিয়ে দিয়েছে।

জীবন-প্রশান্তির কথা বলো না হে মন!
ফেলে আসা শৈশবের দিনগুলো এখন আর আসবে না।
আয়েশি জীবন তো বাবার পয়সায় অর্জিত হয়,
নিজের উপার্জনে তো শুধু প্রয়োজনই পূর্ণ হয়।
জীবন-পরিক্রমায় সময়ের সাথে কেনো হুলিয়াও বদলে যায়!
হাসি-খুশির জীবনও কেনো নিরানন্দের হয়ে যায়!
একটা সময় ছিলো, হাসি-হাসিমুখে প্রফুল্লে প্রভাত হতো,
আর আজ মলিনমুখেই সাঁঝ কেটে যায়।

জীবন কেটে গেছে বন্ধুদের সংসর্গ জিইয়ে রেখে,
অথচ প্রিয়জনদের পেতে নিজেকেই খুইয়ে দিয়েছি।
লোকে বলে, আমি নাকি সর্বদায় হাস্যরসে থাকি,
অথচ দিলের দরদ-ব্যথা লুকাতে লুকাতেই
আমি অবসন্ন হয়ে পড়েছি।
তারপরও সুখে আছি, সবাইকে খুশি রাখায় সচেষ্ট আছি।
লা-পরোয়া আমি তবু সবাইকে পরোয়া করে চলি।
জানি আমার কোনো মূল্য নেই,
তবু কতক মহামানবের সাথে সম্প্রীতি রাখি।

মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়, দুনিয়াটাকেই বদলে দেই,
কিন্তু দু-বেলা অন্ন জোগাতেই দিন ফুরিয়ে যায়।
উচ্চমূল্যের ঘড়ি পরেও দেখেছি,
সময় আমার হিসেবমতো চলেনি।
এমনিতে তো আমি হৃদয় স্বচ্ছ রাখার কথা বলি,
জানা ছিলো না মূল্যায়ন যে চেহারা দেখে হয়।
খোদা নাই থাকে তবে তার যিকির কিসের,
যদি খোদা আছেই তো ফের ফিকির কিসের!

দুটি জিনিস প্রিয়জনের বিচ্ছেদ ঘটায়,
আপনজন থেকে দূরে ঠেলে দেয়,
এক তার অবমূল্যায়ন দ্বিতীয়টা হলো অবিশ্বাস।
বন্ধু, অর্থ দিয়ে কখনো সুখ কেনা যায় না,
কী করবো দুঃখেরও কেউ খরিদদার হয় না!
জীবনবেদের রহস্যভেদ বুঝতে পারিনি আজো,
তবে শুনেছি মানুষ কাউকে সরলস জীবনযাপনও করতে দেয় না।
হে মন! তুমি কারো ভুলত্রুটি গুণতে যেয়ো না,
খোদা আছেন, তুমি হিসেব করতে যেয়ো না।

বি.দ্র. অজ্ঞাত এক উর্দু কবির আত্মকাহিনী। অনুবাদে বান্দা একেবারেই শৈশবে আছি। কেউ আরেকটু সাজিয়ে-গুছিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

বাদ ইশা।
11/1/2018 ঈ.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.