নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমাকেই জ্বালাতে হবে আশার রবি, সোনালি প্রভাতের রাঙ্গা ছবি, তোমাকেই আঁকতে হবে......
ভারতের আলোচিত, সমালোচিত ও অবিসংবাধিত নেতা, এবং ভারতের জাতির পিতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী গুজরাতি!
বৈচিত্র্য জীবনাচার এবং বিকৃত যৌনাচারের এক প্রবাদ পুরুষ! কখনো সাহসী কখনো ভীরু, এই সাধু তো এই ব্রহ্মচারী আবার লাম্পট্য চরিত্রের এমন বিপরীতমুখী দ্বন্দ্বনীতির কিংবদন্তি। তার ব্যক্তিত্বের প্রভাবে সাধারণ মানুষ যেমন ভক্তির অর্ঘ্য নিবেদন করতো, আবার ভিতরের পশুসুলভ আচরণ ও বদ খাসলতের কারণে বিব্রত থাকতেন সাথী সঙ্গী নেতারা। আর দ্বিচারিতার কারণে অন্যান্য মণীষীদের সাথে লেগে থাকতো বিরোধ দ্বন্দ্ব।
গান্ধী সম্পর্কে রচিত জীবনীগ্রন্থগুলোতে ওঠে এসেছে তার বর্ণাঢ্য জীবনের পর্দার আড়ালে থাকা নানান কাহিনী। তিনি নিজেও তার আত্মজীবনীতে কিছুটা উল্লেখ করেছেন। অনেক কিছু এড়িয়ে গেছেন। সেই এড়িয়ে যাওয়া পর্দার আড়ালের খবর নিয়েও বিভিন্ন ভাষায় রচিত হয়েছে একাধিক গ্রন্থ। আছে বাংলাতেও। বিশেষ করে আলোচিত হয়েছে তার যৌনজীবনের অন্যতম অধ্যায় 'সমকামিতা।'
2010 সালে প্রকাশিত ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লেখক ও ঐতিহাসিক জাড অ্যাডামস “গান্ধী: নেইকেড অ্যাম্বিশন”(Gandhi : Naked Ambition)
বইটি গান্ধীর যৌন জীবন সম্পর্কে রচিত। এখানে গান্ধীর বিচিত্র যৌনজীবন ও ব্রহ্মচারিতার আড়ালে বিকৃত যৌন চরিতার্থের ইতিহাস উল্লেখ করেছেন। গান্ধীর সমকামিতা সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেছেন। এবং উল্লেখ করেছেন, জার্মানের এক স্থপতি হ্যারমান কালেনবাখের সাথে তার সমকামের সম্পর্ক ছিলো এবং আফ্রিকায় একটি বাড়িতে দুই বছর তারা একসাথে ছিলেন।
পুলিৎজার পুরষ্কার বিজয়ী লেখক জোসেফ লেলিভেল্ডের ২০০১ সালে প্রকাশিত আলোচিত একটি বইয়েও গান্ধী এবং কালেনবাখের মধ্যে সমকামিতার অনেক কথা উঠে এসেছে।
বইটির নাম,
‘মহৎ প্রাণ: মহাত্মা গান্ধী ও তার ভারত সংগ্রাম’
(Great Soul: Mahatma Gandhi And His Struggle With India)
এছাড়াও গান্ধীর বিকৃত যৌনচর্চা, পরনারী কামুক চরিত্র সম্পর্কে বিষদ আলোচনা করে অনেকেই বই লিখেছেন। বাংলাভাষায় পৃথ্বীরাজ সেনের 'তিন নায়কের কলঙ্ক' বইতে গান্ধীর বাহ্যিক চরিত্রের বাইরে পর্দার অন্তরালের বহু আলোচনা উঠে এসেছে। খাস করে তার বিকৃত যৌনচর্চা ও কথিত যৌন পরীক্ষা! যা থেকে রেহাই পায়নি নাতনি-ভাগ্নিও। আর তার আশ্রমের কথা নাই বা বললাম। ওটাকে তো যৌনপল্লি বললেই চলে।
ভারতের বহু বড় বড় নেতারা নারীসম্ভোগ ও বৈবাহিক জীবন থেকে মুখ ঘুরিয়ে কথিত চিরকুমার থেকেছেন। সদ্য প্রয়াত কুখ্যাত অটল বিহারি বাজপেয়িও তার দাবি মতে কুমার ছিলেন। নারী সংস্পর্শে যেতেন না। হরহর মোদিও নিজেকে কুমার প্রমাণের ব্যার্থ চেষ্টা করে থাকেন। তাছাড়া বিভিন্ন সময় সারা ভারতের বিভিন্ন মন্দির ও আশ্রমগুলোতে ব্রহ্মচারিতার নামে যৌন কেলেঙ্কারি ও নিগ্রহের ঘটনা ঘটে। সমকামিতার অভিযোগও ঢের।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলার এক রিপোর্টে ভারতে পথে-ঘাটে-মার্কেটে-পাবলিক প্লেসে পুরুষদের উপর ষৌন নিগ্রহের খবর ওঠে এসেছে। যার বেশিরভাগই ঘটছে সমকামী ও বিকৃত রুচির কামুক পুরুষদের মাধ্যমে। উক্ত খবরের কমেন্টবক্সে এক ভারতীয় হিন্দু যুবক তার উপর এক ধর্মগুরুর যৌন সুড়সুড়ির অভিযোগ এনে নিজ ঘটনা বিবৃত করেছে।
ভারতের বহু তারকা ও আইডল খ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা পর্যন্ত এই সমকামিতায় লিপ্ত। বহু নেতা কর্মী, ধর্মগুরুরাও মুক্ত নয় এই জঘন্য ও ঘৃণিত কাজ থেকে।
পরিশেষে একটা কথাই বলবো, যে দেশের জাতির পিতা ও প্রধান পুরোধা সমকামী, ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে অবাধ যৌনচর্চা চলে, পৃথিবীর সব থেকে বড় বড় যৌনপল্লি যেখানে, গোবরকে যেখানে কোহিনূর থেকেও বেশি মূল্যবান মনে করা হয়, উত্তরাধুনিক কালেও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন এমন দেশে সমকামিতা বৈধ হওয়া আশ্চর্যের কিছু নয়!
লা'নাতুল্লাহি আলাইহিম।
©somewhere in net ltd.