নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমাকেই জ্বালাতে হবে আশার রবি, সোনালি প্রভাতের রাঙ্গা ছবি, তোমাকেই আঁকতে হবে......
.
হোটেলের সামনে এই যে লোকগুলো বসে আছেন, দেখে মনে হবে তারা শ্রমিক বাজারে নিলামে উঠার বা কোনো খদ্দেরের অপেক্ষায় আছেন!
কিন্তু না, বাস্তব চিত্র পুরোটাই উল্টো। উনারা সবাই ক্ষুধার্ত। ভুখা হয়ে হোটেলের সামনে বসে আছেন এই আশায় যে, রুটি বানানোর সময় যেটা সামান্য পুড়ে যায় বা ভোগীদের ভোজনের অনুপযুক্ত হয় সেই রুটিটা হয়তো তাদের কারো ভাগ্যে জুটবে! কিংবা মালিক দয়াপরবশ হয়ে তাদের প্রতি একটু নেক নজর দিবে। সামান্য ঝুটা কারো তকদিরে মিলবে! আর সেটুকু দিয়েই ক্ষুধা নিবারণের কসরত করবেন!
এই রোডের প্রায় প্রতিটি হোটেলের সামনেই এমন ভীড় দেখেছিলাম। যদিও এই ছবিটি জুমাবারের, কিন্তু সপ্তাহের অন্যান্য দিনেও একই অবস্থা। ছবি তোলার সময় খুব ইতস্তত বোধ করছিলাম। এই লোকগুলোর চেহারার দিকে তাকানো যায় না। এইসব বাস্তবচিত্র দেখলে অনেক কথা, বহুত চিন্তা মাথায় ঘুরে। যেগুলো প্রকাশ্যে বললে এই অসুস্থ সমাজ আপনাকে নেত্রকোণাতেও স্থান দিবে না।
যাক, ভয়ে ভয়ে কেউ না দেখে মতো একটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম। পাশেই ঐতিহাসিক জামা মসজিদ! হাজারো বান্দা দূর দূরান্ত থেকে এখানে নামায পড়তে আসে, মসজিদ দেখতে আসে!
ক্ষুধার্ত, সে ক্ষুধার্ত! ক্ষুধার কোনো ধর্ম নাই! কিন্তু আমাদের ধর্মবোধ ও মানবিকতা সপ্তাহে একদিনেও আল্লাহর কিছু বান্দার মুখে দুটো রুটি, সামান্য ডাল-ভাত তুলে দিতে পারে না! এই হোটেলগুলোর পাশেই দিল্লির বিখ্যাত কুতুবখানাগুলোর অবস্থান! এবং ধনকুবের মুসলমানদের বসবাস! এই হলো মুসলমানের ইসলামচর্চা! সব চর্চা কাগজে আর মুখে! বাস্তব হতে পারিনি। হাজারো মানুষ এখানে আছে, তাদের মধ্যে সামর্থ্যবান আছে কিন্তু অনুভূতিশক্তি হারিয়ে গেছে। সবাই দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে! কেউ আর ক্ষুধা-মন্দা দূর করার দায়িত্ব অনুভব করে না।
ছবিটি দিল্লির ঐতিহাসিক জামা মসজিদের দক্ষিণ গেইট বরাবর মাটিয়া মহল রোড থেকে তোলা।
©somewhere in net ltd.