নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক সুবোধ বালক /অবুঝ শিশুর মতো /মোর চলন বলন/খাই-দাই ফুর্তি করি / সাধ্যমত লিখি-পড়ি /আর কিছু নেই কথন।

আমানউল্লাহ রাইহান

তোমাকেই জ্বালাতে হবে আশার রবি, সোনালি প্রভাতের রাঙ্গা ছবি, তোমাকেই আঁকতে হবে......

আমানউল্লাহ রাইহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কৃষি হোক সর্বোচ্চ সম্মানজনক পেশা

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮


এই তথাকথিত আধুনিক জীবনব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা, বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও এলিট সমাজ, আমাদের জঘন্য চিন্তাধারা কৃষকের প্রাপ্য মর্যাদা দিতে পারে নাই আজো। যেখানে অন্ততঃ কৃষি নির্ভর দেশে কৃষি হওয়া উচিত সর্বোচ্চ সম্মানের পেশা, সেখানে কৃষি ও কিষাণগণই সবচেয়ে অবহেলিত, নির্যাতিত, সর্বহারা মজলুম।

যারা নিজেদের জীবন বলি দিয়ে, ভুখা-নাঙ্গা অবস্থায়, সমাজের সবথেকে নিম্নমানের জীবন যাপন করে, নিজে অভুক্ত থেকে আমাদের খাবার জুটায়, সেই কিষাণদের উপরই রাষ্ট্রের জুলুম অব্যাহত। ফসলের নেই ন্যায্যমূল্য, সাড়ের উচ্চমূল্য, কখনো দুর্যোগ বন্যা, আছে ঋণের বোঝা! বিড়ম্বনার শেষ নেই। আত্মহত্যা করে হাজারো কৃষক!
অথচ কৃষিই তাদের ধ্যান-জ্ঞান। কৃষিতেই জীবন, কৃষিতেই মরণ। কৃষিই তাদের নেশা ও পেশা। এই ভালোবাসা বা অনন্যোপায় বাধ্যবাধকতাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আজ।মজলুমের কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে অন্নজোগানেদের।

এই সমাজের কথিত শিক্ষিত, উচ্চ শিক্ষিত মহামানবেরা, জমিদারের পোলারা কৃষির কথা শুনলে নাক সিঁটকায়। কেউ কেউ আছে, কৃষকের সন্তান হয়েও কারো সামনে বাবার পরিচয় দিতে বিব্রত বোধ করে। এটা যেমন হয়ে থাকে এই আধুনিক জাহেলিয়াতের কারণে, তেমনি আমাদের হীনম্মন্যতাও সমানভাবে দায়ী।

আমরা গর্ব করে বলতে পারি না, আমার বাবা কিষাণ। মহান কিষাণ। আমরাই এটাকে নিম্নশ্রেণির পেশা ভাবি। সর্বসাকুল্যে দোষ আমাদের উপরও বর্তায়। আমরা নিম্নমধ্যবিত্তরা আমাদেরকে নিচু করে উপস্থাপন করি। নিজেকে ছোট ভাবি। এটাই বড় ভুল। আমরা চাই, যাদেরকে 'নিম্নশ্রেণির মানুষ' আখ্যা দিয়েছে এই সমাজ, এই রাষ্ট্র তাকেই গুড়িয়ে দিয়ে পরিবর্তন নিয়ে আসতে।মানুষের এইসব জঘন্য ভাবনা, রাষ্ট্রের এই অমানবিক বিভাজন, সিস্টেমের এই অনৈতিক ধারা, এগুলো যুলুমের হাতিয়ার। ভোগবাদী ও পুঁজিপতিদের তৈরি দেওয়াল।

আমরা নিম্নশ্রেণির নই। আমি গর্বের সাথে বলি, আমার বাবা শ্রমিক। মজদুর। এটা সম্মানজনক পেশা। দুনিয়ার সবথেকে বড় মাদরাসায় ভর্তি ফর্মে বাবার পেশার স্থানে আমি 'মজদুর' লিখেছি। লুকোচুরি করি নাই। করার কোনো কারণও নাই।
এই দেশের প্রতিটা এলিটের বা নিজেরে জমিদার ভাবাদের পাছার কাপড় খুলে দেখেন, বেতের দাগ লেগে আছে আজো। ওর বাপ-দাদা কৃষক, দিনমজুর বা শ্রমিক ছিলো। এদের পারফিউমে ঘামের গন্ধ আছে! কিন্তু নিজেরে আলটা মডার্ন ভাবে। ভাব লয়। বাপ-দাদার পেশায় নাক সিঁটকায়।

কৃষিকে কেউ পেশা হিসেবে বেছে নিতে চায় না। এটাকে চামারের চাইতেও নিম্নশ্রেণির মনে করে। এই শিক্ষাই পেয়ে বড় হয়। অথচ চামারের কাজও একটি সম্মানজনক পেশা। বৈধ পন্থায় জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম।
কৃষি হোক সমাজের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পেশা। আমাদের চিন্তার পরিবর্তন হোক।

3 রা অক্টোবর, 2018 ঈ.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.