নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিয় প্লাটিপাস

...

অ্যামাটার

...

অ্যামাটার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ফুটবল স্মৃতি

১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

একটা বিষয় সবাই স্বীকার করবে নিশ্চয়, বড় ইভেন্টে, বিশেষত যেখানে নকআউট পর্ব থাকে, সেখানে বেস্ট টিম চাম্পিয়ন হয়না। আজকে সেই 'বেস্ট টিম' গুলোর কথাই বলব।

আমার দেখা প্রথম কোনও মেগা ফুটবল ইভেন্ট হল ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ। এর আগে ১৯৯৪তে ফুটবল ক্রেজ সেভাবে ঘিরে ধরেনি হয়ত।

১৯৯৮তে চাম্পিয়ন জিদানের ফ্রান্স, রানার আপ ব্রাজিল। কিন্তু যে দলটা মন কেড়েছে, তা হল প্রথমবার খেলতে এসেই বাজিমাত করা ক্রোয়েশিয়া। ক্রোট ডেভর সুকার সেবার গোল্ডেন বুটও পেয়েছিল।

২০০২ তে না চাম্পিয়ন ন্যাড়া রোনাল্ডোর ব্রাজিল, না কানের জার্মান; নিঃসন্দেহে মনমাতানো ফুটবল খেলেছে টার্কি। যে দলটার চাম্পিয়ন হবার কথা ছিল! দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রিভালদোর অস্কারজয়ী অভিনয়ের কারণে অন্যায়ভাবে সেমিফাইনাল থেকেই বাদ না পড়লে, এটা বলা যায়, ফাইনালে বালাক বিহীন জার্মান ধরাশায়ী হত নিশ্চিত। ঘটনাবহুল এই বিশ্বকাপেই পিত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছিল দক্ষিন কোরিয়া, প্রিয় তিনটা দলকে বিদায় করে।

২০০৪ ইউরোঃ সবচাইতে বাজে একটা আসর। শৈল্পিক ফুটবলের পরাজয় হয়েছিল কুৎসিত ফুটবলের ্কাছে। গ্রিসের ১০জন ডিফেন্ডারের আগলি স্ট্রাটেজি কাজ করেছে সব গুলো খেলায়ই। ফাইনালে শক্তিশালী পর্তুগাল উঠলেও সেরা দল পর্তু নয়, মুগ্ধ করেছিল সেবার চেক রিপাবলিকের খেলা। পাভেল নেদভেদের ভক্ত বনে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম।

ফিফা ২০০৬ বিশ্বকাপঃ এই আসলে সত্যি বলতে কি কোনও দলই ঠিক সেভাবে মন ছুয়েঁ যেতে পারেনি। আর্জেন্টিনা, স্পেন শক্তিশালী দল ছিল, জার্মানরা ছিল অপ্রতিরোধ্য;

অথচ ফাইনাল খেলল কিনা ১০টা ভাদাইম্যা+১জন জিদানের ওয়ান ম্যান আর্মি আর নড়বড়ে ইতালি! আর চাম্প ইতালি, যারা কিনা দ্বিতীয় রাউন্ডেই টিম কাহিলের অস্ট্রেলিয়ার কাছে কাহিল হয়ে হারতে হারতে ভাগ্যের জোড়ে জিতে অন্তিম মুহুর্তের পেনাল্টির বদৌলতে!

ইউরো ২০০৮: স্পেন স্পেন স্পেন! আর কিচ্ছু না। জাভি ইনিয়েস্তা ভিয়া স্রেফ কামাল কিয়া।

ফিফা ২০১০: এই আসরটা শুধুই উরুগুয়ে আর ফোরলান ময়! খেলা শুরুর আগে উরুগুয়েকে কেউই হিসাবে নিতে চায়নি। চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি হয়ত, কিন্তু মন ছুঁয়ে যাওয়া ফুটবলের সৌন্দর্য্য উপহার দিয়েছে দর্শকদের।

ইউরো ২০১২: আবারও পুরনো সৈনিক ইনিয়েস্তা ময়। আসরের আর বাকি প্রতিটা দলই শক্তিতে স্পেনের হাঁটুর কাছে ছিলো। ফলাফল আবারও সেরা দলই চ্যাম্পিয়ন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

গা্িলব বলেছেন: ভাই একটু কারেকশন আছে, রিভালদোর অভিনয় সেমিফাইনালে নয় ফাসট রাউনড এ........।

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৫৬

অ্যামাটার বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমি পোস্ট করে ফেলার কিছুক্ষন পরেই একজন শুধরে দিল।
কিন্তু সেমিতে টার্কি ব্রাজিলের সাথে না খেলে সামনে জার্মানি বা দক্ষিন কোরিয়া পড়লে নিশ্চিতভাবেই ফাইনালে উঠত।

২| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

সময়ের ডানায় বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিময় লেখা।

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৫৯

অ্যামাটার বলেছেন: শুকরিয়া :)

৩| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩

আবুল হাসান নূরী বলেছেন:
বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশীদের সমর্থনের মজার ইতিহাস

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৫৯

অ্যামাটার বলেছেন: পড়ে দেখব।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: In 2010 world cup,and 2012 Euro Spain was hot favorite and they won. Good post.

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:০১

অ্যামাটার বলেছেন: হ্যাঁ, এই ৫/৬ বছর স্পেন আসলেই দুর্দান্ত ফর্মে ছিল।

৫| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:০১

অ্যামাটার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৪১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: বিশ্বকাপের মত বড় আসরগুলোতে চ্যাম্পিয়ান হবার জন্য ভাগ্যেরও কিছুটা সহায়তার প্রয়োজন হয়।

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:০২

অ্যামাটার বলেছেন: নকআউট মানেই ভাগ্য ছাড়া পার পাওয়া যাবে না। ভাল খেলতে খেলতে একটু স্লিপ করলেই সব শেষ।

৭| ১২ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৫:৪১

জাফরুল মবীন বলেছেন: ফুটবল জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় পথ্য হিসাবে তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটা বেশ ভালই লাগলো।

১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

অ্যামাটার বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.