![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ট্যালেন্টেড লেখক জহির রায়হানের এক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প পড়েছিলাম। সময়ের প্রয়োজনে। অমন গদ্যরীতি আর কোথাও দেখিনি।
আমরা বাঙালি রা এখন অনেক বেশি কাজ “সময়ের প্রয়োজনে” করি।
ফেব্রুয়ারি আসলে ভাষা নিয়ে বেশ একখানা গুঁতাগুঁতি হয়ে যায়। বাংলায় স্ট্যাটাস দেয়া, বাংলায় কথা বলা.........ব্লা ব্লা ব্লা। তারপর আবার যা তা।
মার্চ আসলে স্বাধীনতার ঘোষণা, স্বাধীনতার হিসাব নিয়ে এক হুল্লোড় বয়ে যায়। অমুকে অমুক করেছিল, তমুক তমুক করবে.........ব্লা ব্লা ব্লা। তারপর আবার যা তা।
একেবারে নভেম্বরের শেষভাগে আবার সময়ের প্রয়োজনে জেগে উঠবে বাঙালি। এবার যে বিজয়ের মাস আসছে, “জাগো বাহে, কোনঠে সবাই”। বিজয়ে অমুকের অমুক ভূমিকা ছিল, অমুক দেশ আমাদের কি দিয়েছিল, তমুক দেশ না থাকলে কি অবস্থাটাই হত............ ব্লা ব্লা ব্লা। তারপর আবার যা তা।
তারপর আবার ফেব্রুয়ারিতে চক্র শুরু হয়। দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্রের মত এই “অদ্ভুত চক্র” ঘুরে চলে বছরের পর বছর।
প্রশ্ন আসতে পারে, মানুষের আর কি খেয়েদেয়ে কাম নেই নাকি, সারা বছর দেশ নিয়ে পড়ে থাকবে? হ্যা, কাজ আছে।
কাজ করে মাংসপেশি, শক্তি দেয় পাকস্থলি, ফুসফুস দেয় রক্তস্রোতে জীবনদায়ী অক্সিজেনের বন্যা, হৃৎপিণ্ড দেয় তাতে গতি।
আর চেতনাটা ধারন করে মন, ইচ্ছাশক্তি তাকে দেয় ক্ষমতা। আমাদের সমস্যাটা এখানেই।
এই জেগে ওঠা আমাদের স্রেফ সামাজিকতা, উদযাপন। না ভাইবোন, এভাবে উদযাপনের বিষয় নয় এগুলো। এগুলো সারা বছর ধরে, জীবন ভরে ধারন করবার মত, আঁকড়ে ধরবার মত বিষয়। অতীত আমাদের দিয়েছে এই দিনগুলো, চেতনাগুলো। বর্তমানে আমাদের হাতে আছে দেশ। ওই চেতনা ধারন করে এই দেশকে নিয়ে ভালর দিকে চলতে হবে আমাদের।
উদযাপনের সংজ্ঞাই যে বদলে ফেলেছি আমরা, তাইতো শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদের উদ্দেশ্যে অর্পন করা ফুলের উপর শুয়ে বসে ছবি তুলি, সেলফি তুলি। টি ভি ক্যামেরায় মুখ দেখানোর জন্য নির্লজ্জের মত ঘাড় উঁচু করি, ফেব্রুয়ারির সকালে পরব বলে সাদা কালো দামী পোশাক তৈরি করে বুকের রক্তে পরনের কাপড় লাল করা শহীদদের জীবনের প্রতিদান দেই, ফেসবুক সয়লাব করে ফেলি মাল্যদান, মুত্রদানের ছবি দিয়ে। ঘৃনা হওয়া উচিৎ এদের। এমন ভাবে নিজেদের শহীদ দের অপমান আর কোন দেশে হয় বলে মনে হয় না আমার।
জাতি এত দ্রুত নিজের শিকড়, নিজের গর্ব ভুলে যায়!!! এত অভাগা আমরা!!
চেতনাধারি কেউ কি নেই!!!! অনেক, অজস্র, ভুরি ভুরি আছে, সবখানে আছে। এদের সংখ্যাই বেশি। যাদের বর্ননা দিলাম এতক্ষণ, তাদের ভিতরও আছে। সুপ্ত, মৃতপ্রায় অবস্থায় আছে। শুধুমাত্র ঘষেমেজে চকচকে করতে হবে।
চেতনারও নিজস্ব অভিকর্ষ আছে। just need a little push.........
মুল্যায়ন যার যার নিজের কাছে।
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চেতনারও নিজস্ব অভিকর্ষ আছে।
ভাল বলেছেন
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: জহির রাযহানের গল্প সব অাছে পডা হযনি। অাপনার সাথে একমত
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লিখেছেন।