নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লিখতে ভালবাসি,তাই চেষ্টা করি লিখে যেতে।মানুষ হিসাবে ব্যর্থ ও নষ্ট মানুষ।সত্যকে ভালবাসি বলে সত্য বলি।আমি এই পৃথিবীতে এসে যদি মিথ্যার চাদরে ঢেকে যাই,তা হবে জীবনের বড় পরাজয়।

সৈয়দ কামাল হুসাইন

সৈয়দ কামাল হুসাইন। অতি সামাণ্য ক্ষুদ্র মানুষ।

সৈয়দ কামাল হুসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমতা-ছোট গল্প

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩


ক্ষমতা
---------
শীতের অন্ধকার রাত। কনকনে শীতের
মধ্যে টুপটুপ করে বৃষ্টি পড়ছে। একেক'টা
বৃষ্টির ফোঁটা যখন সবুজের শরীর স্পর্শ
করে, তার মনে হয় যেন ভিতরে বরফের
খন্ড প্রবেশ করছে। এর মধ্যে প্রচন্ড
বাতাস। সবুজের আপাদমস্তক কাঁপতে
থাকে। সবুজের রক্তেও বরফের ঝড় বইতে
থাকে। একটা স্ট্যাচুর মতো তবুও সে
দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করে। সেই যে
সন্ধ্যায় দাঁড়িয়েছিল, এখন মধ্য রাত।
দেড়টার মত বাজে। গায়ে একটা টি'শার্ট
পরে দাঁড়িয়ে আছে গাছের মতো,
বাতাসে ডালপালা যেমন কাঁপতে থাকে
সবুজও তেমনি কাঁপছে। সবুজ তাঁর ঠান্ডা
হাত দিয়ে বুক ছুঁয়ে বুঝতে পারেনা
কোথায় হাত রেখেছে। আঘাতে রক্ত
মাখা হাত দিয়ে ক্ষত স্থানে স্পর্শ
করলে যেমন বুঝা যায়না, ঠিক তেমনি
অনুভূতিহীন সবুজও বুঝতে পারেনা
কোথায় সে ছুঁয়েছে। শুধু বুঝতে পারে
দাঁতের সাথে দাঁত মিলে একটা শব্দ
হচ্ছে। সবুজের চিৎকার করে কাঁদতে
ইচ্ছে হলেও কাঁদতে পারেনা। ঠান্ডায়
গলা বরফ হয়ে আছে, আওয়াজ আসছেনা।
আকাশও আজ যেন অভিশাপের বৃষ্টি
দিচ্ছে। ফোঁটা ফোঁটা পড়ছেই। বৃষ্টি
বরাবর তার কাছে ভালো লাগার মতো
একটি সংগীত, পবিত্র গানের মত। কখনো
কখনো সে এই বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতো।
কিন্তু আজকের বৃষ্টি বিষের মতো অসহ্য
লাগছে। তার গায়ে আকাশ যেন বিষ
ঢেলে দিচ্ছে। যা অসহনীয়।
"আমি তো কেবল বলেছিলাম, যার পিতা
মরেছে নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধির লালসায়,
সে কি আর অন্য কেউ হবে?" বিড়বিড়
করে নিজেকে বলছিলো সবুজ। দাঁতের
সাথে দাঁত লেগে শব্দ হয়। কথা স্বচ্ছ
হয়না। নিজের কথা নিজেই শুনতে
পায়না। "এইজন্য আমাকে এমন শাস্তি
দিতে পারেনা মাহবুব খান। আমি তো
মিথ্যা কিছু বলিনি, যা সত্য তাই
বলেছিলাম।" অবশ্য তার এই কথা বলার
মধ্যে একটি প্রধান কারণ হলো, দশ বছর
ধরে অস্ত্র আর শক্তির জোরে খান সাব
এই উপজেলার চেয়ারম্যান। কোন
নির্বাচন হয়নি, কারো ভোট লাগেনি।
এটা নাকি নতুন নিয়ম। সবুজের খারাপ
লেগেছিল গতবছর সে প্রথমবার ভোটার
হয়েও ভোট দিতে পারেনি।
যেন এই জগতে তার বলার কিছু থাকতে
নেই। কোন অধিকার নেই। স্বাধীনতা
নেই। খান সাব যদি বলে সূর্য আজ মাটির
নিচ থেকে উঠেছে, তবে তাই মানতে
হবে। নতুবা ভয়ংকর ভয়ংকর শাস্তি, নতুন
পুরনো নানা রকমের শাস্তি।
"খানের বিচার আল্লাহই করবেন, আমি
যেন দুনিয়াতে তার শাস্তি দেখে যেতে
পারি," বিড়বিড় করে অভিশাপ দেয় সবুজ।
হঠাৎ বাতাস এসে সবুজকে ধাক্কা দেয়।
সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও সে দাঁড়িয়ে
থাকতে পারেনি। কাঁদার মধ্যে পড়ে
কাঁদতে থাকে। না এখানে কোন গাছ
নেই। নির্দয়া বিলের পাশে রাস্তাটি
নতুন হয়েছে। খান সাব বলেছিলেন, রাত
নয়টা থেকে ফজর পর্যন্ত একই স্থানে
দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। বসা যাবেনা, নড়া
যাবেনা। গায়ে খুব পাতলা কাঁপড় ছাড়া
অন্যকিছু রাখা যাবেনা। এই কথার
অবাধ্য হলে সবুজ ও তার বাবাসহ
সবাইকে আজকের মধ্যে গ্রাম ছাড়া হতে
হবে। খান সাব আরোও বলেছিলেন, তুমি
রাতের মধ্যে চুরি করে যদি কোন আশ্রয়ে
যাও, তবে তোমার একটা হাড়ও আস্ত
থাকবেনা। মনে রেখ আমার লোক
তোমাকে পাহাড়া দিয়ে রাখবে।
মাটিতে চিৎ হয়ে খান সাবের কথাগুলো
ভাবতে থাকে সবুজ। এই আধুনিক সময়ে কি
কেউ বর্বর যুগের শাস্তি দেয়? দুনিয়াতে
তো শাস্তির কোন অভাব নেই। খান সাব
এমন জঘন্য শাস্তির কায়দা কোথায়
পেলেন, কোন দেশে কি এমন শাস্তির
প্রচলন আছে? নিজেকে প্রশ্ন করে সবুজ
উত্তর খুঁজে পায়না।
--
মাহবুব খানের পিতার নাম ছিল জান্নাত
খান। নাম জান্নাত হলেও তার ইহজীবন
ছিল জাহান্নামী পাগলের মতো।
এলাকার মানুষ তাকে সম্মান করতো
ভয়ে। সালাম দিতো, তবে সালামের
মধ্যে থাকতো ঘৃণা। মুখে মুখে যদিও
বলতো, আপনি তুলনাহীন ভালো লোক
কিন্তু অন্তরে জানোয়ারের কাতারে
রাখতো। মানুষ নামায পড়ে দোয়া
করতো, আল্লাহ এই হিংস্র থেকে
আমাদের বাঁচাও। হিন্দুধর্মানুসারী
অভিশাপ দিত, এই নরকী দানব থেকে
রক্ষা করো ভগবান।
সবার দোয়া একদিন কবুল হয়। চৌরাস্তার
মোড়ে একদিন বিকেল বেলায় নিজস্ব
দলেই সরকারী টাকার ভাগাভাগিকে
কেন্দ্র করে মারামারি হয়। তাতে নিহত
হয় জান্নাত খান। পথের ধূলোর উপরে
রক্তাক্ত লাশ--- রক্তে মাটি ভিজে
যাচ্ছিল। সে রক্ত কুকুর চেটে চেটে
খাচ্ছিল। কি ভয়াবহ দৃশ্য! কিন্তু দুঃখের
বিষয়, কারো মনে কোন কষ্ট লাগেনি,
কেউ কাঁদেনি তার জন্য। বরং আড়ালে
খুশি প্রকাশ করেছে। জান্নাত খানের
জানাযার নামায পড়েছিল মোট
চৌদ্দজন। তার ফ্যমিলি মেম্বারসহ দু/
চার আত্মীয়।
তাইতো সবুজ বলেছিলো, "'যার পিতা
মরেছে ক্ষমতা বৃদ্ধির লালসায়, সে কি
আর অন্য কেউ হবে?'"
এই কথা বলার শাস্তি এমন হবে সবুজ
ভাবতে পারেনি। ফজরের আযানের পর
ইলিয়াস সাব ছেলেকে দেখতে যান।
নির্দয়া বিলের নতুন রাস্তাটিতে শুয়ে
আছে সবুজ। নিস্তব্ধ দেহ। ইলিয়াস সাব
বেশ কয়েকবার ডাকলেন- কোন সাড়া
নেই। সবুজের দেহ স্পর্শ করে হাতটা দ্রুত
সরিয়ে নেন ইলিয়াস সাব। এ যেন বরফের
খন্ড। দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিজে থাকা
মাছের মতো। "বেঁচে আছে তো আমার
ছেলে?"' চোখের পানি বাঁধ ভেঙ্গে গাল
বেয়ে ঝরতে থাকে ইলিয়াস সাবের। এই
মানুষটি খুব শক্ত মনের। কঠিন মানুষ।
সবুজের দাদু যখন মারা যান তখনো
কাঁদেননি।সবুজের দাদা ক্যান্সারের
সাথে দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন বাঁচতে,
অবশেষে হেরে গিয়ে বিদায় নিলেন।
সেদিনও ইলিয়াস সাবের চোখে জল
আসেনি। কিন্তু আজ কেন কান্না আসছে
ইলিয়াস সাবের? তাঁর তরতাজা ছেলেটি
মরে গেলো কিনা ভেবে নাকি অতি
নির্যাতনে ছেলে বরফ হয়ে গেছে দেখে?
নির্দিষ্ট সময় পরে মরে তো সবাই যাবে।
কিন্তু এভাবে মরে যাওয়া শুধু কষ্ট নয়,
হৃদয় চুরমার করে দেওয়ার মতো।:
ইলিয়াস সাবের এখন কি করা উচিত ভুলে
যান। তবে এখন তাঁর জল ফেলার সময় নয়
বুঝে ছেলেকে দু হাতে জড়িয়ে বুকের
সাথে মিশিয়ে দাঁড়ান ইলিয়াস সাব।
এখন বৃষ্টি থেমে গেছে। তবে সবুজের দেহ
থেকে টুপ টুপ বৃষ্টি পড়ছে। ইলিয়াস
সাবের মনে পড়ে, ক'বছর আগেও তিনি
ছেলেকে কোলে করে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
আজ এই ছেলের এই অবস্থা-
সবুজকে কোলে করে নিয়ে দৌড়েও
যেতে পারছেননা ইলিয়াস সাব।
একদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা অন্যদিকে
সবুজের ঝুলে থাকা দেহ। দ্রুত হাঁটার
চেষ্টা করেন ইলিয়াস সাব।
ঘরে এসে গরম কাপড় দিয়ে সবুজের সমস্ত
শরীর মুছে দেন ইলিয়াস সাব। রাফেয়া
বেগম ছেলের মাথার পাশে বসে
একহাতে ছেলের মাথা মুছে দিচ্ছেন,
অন্যহাতে আচল দিয়ে চোখ মুছছেন।
---
কুয়াশায় সুর্য ঢাকা। রোদ নেই। দুপুর
হয়েছে বুঝা যায়না। "মা, এই কথাটি বলা
কি আমার অন্যায় ছিল?'" ক্ষীণ কন্ঠে
হঠাৎ সবুজ বলে ওঠে।
"কই তুমি? সবুজের বাপ! সবুজের জ্ঞান
ফিরেছে।" সবুজের কথার জবাব না দিয়ে
ইলিয়াস সাবকে ডাকেন রাফেয়া।
বারান্দায় ইলিয়াস সাব কি যেন
করছিলেন, ডাক শুনে দৌড়ে আসেনন
ইলিয়াস সাব।
বাবাকে দেখে সবুজ ফের প্রশ্ন করে,
"'বাবা, আমি কি মিথ্যা বলেছিলাম?'"
:-"বাপ, সবসময় সত্য বলা যায়না। এখন
ওদের ক্ষমতা। সত্য বুকে চাপা দিয়ে
বাঁচতে হবে।"
:-'বাবা এভাবে বেঁচে থেকে লাভ কী'?
এ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ইলিয়াস সাব
বলেন, "এখন এসব কথা বলোনা। ওরা শুনতে
পেলে আবার নতুন কি শাস্তির ব্যবস্থা
করে কে জানে।'"
:-'বাবা এতো ভয় পাও কেন? মরে তো
একদিন যাবোই।'
প্রশ্ন এড়িয়ে যান ইলিয়াস। "তোমার
ডাক্তার চাচা এসেছিলেন, এই ঔষধ'গুলো
দিয়ে গেছেন। খেয়ে ঘুমিয়ে যাও। আমি
নামাযে যাচ্ছি।"
ইলিয়াস সাবের চলে যাওয়ার দিকে
তাকিয়ে থাকে সবুজ।
---
দু'দিনেও
পুরো সুস্থ হয়নি সবুজ। বিকালে আস্তে
আস্তে হেঁটে বাড়ির সামনে বড় রাস্তার
স্টলে এসে বসে।
একটা চা এর কথা বলল হাবীবুল্লাহকে।
হঠাৎ শফিক, ফারুক আরো ক'জনের আগমন
ঘটে।
চা খাবি? সবুজ জানতে চায়।
"'না।আমরা সমাবেশে যাচ্ছি'রাতে
আমাদের সমাবেশ।'"
:-'কিসের সমাবেশ? চায়ের কাপ হাতে
নেয় সবুজ।
:-'আমাদের এলাকায় জঘণ্য রকমের
খারাপ কাজ হচ্ছে। রাতে দিনে
মাতালগুলো নেশা করে যা ইচ্ছা তাই
করে যাচ্ছে। যাকে ইচ্ছা ধরে নিয়ে
যাচ্ছে। কিছু বলাও যায়না। তাই
প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছেন
আমাদের ইদ্রিস স্যার।:'
একটু থেমে শফিক আবার বলে, 'তুই অসুস্থ
না হলে তোকে সাথে নিতাম।'
:-কে বলে আমি অসুস্থ? এই দেখ,, কি করে
দাঁড়িয়ে গেলাম-_-
যাবো আমি, দাঁড়া। মা'কে বলে আসি।
কাউকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সবুজ
বাড়িতে আসে। মায়ের কাছ থেকে "একটু
আসছি" বলে ছুটি নেয়।
----
কংশ নদের পাড়ে বাজার। তার পিছনে
স্কুলের বিশাল মাঠ। এখানেই সমাবেশ।
মিছিল হচ্ছে "আমাদের দাবি, নষ্টদের
বিচার চাই। আমাদের দাবি, আমাদের
দাবি, মানতে হবে, মানতে হবে।"
বিদ্রোহ ঝরা কন্ঠে বক্তৃতা দিচ্ছেন
ইদ্রিস স্যার। একের পর একেক জন বক্তৃতা
দিলেন, মাঠ ভরে গেছে মানুষ। সব
শ্রেনীর মানুষ আজ প্রতিবাদ করতে
এসেছে। সবুজের মন ভরে গেল দেখে। এ
যেন ফেরেশতাদের সমাবেশ। মনের গভীর
থেকে সবুজ বলে ফেলল,
আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু হঠাৎ এ কি হলো?
শান্তিময় সমাবেশে আগুন দিল কে?
কে গুলিতে ঝাঝরা করে দিল শমশেরের
বুক,,,
আহ! ফারুক কাতরাচ্ছে,,,,,,
বাঁচাও! বাঁচাও! আকাশ ফাটানো
চিৎকার!
যেন আকাশের প্রতিটি ফেরেশতাও
শুনতে পাচ্ছে সে চিৎকার!
দৌড়াচ্ছে পিঁপড়ের দলের মতো যে
যেদিক পারে!
সবুজ মঞ্চের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। শফিক
খুব জোরে বলল, মরবি নাকি? চল চল
দৌড়ি----
বাজার খুব ফাঁকা,,,ওদিকে কয়েকটি
ইসলামী লাইব্রেরীতে আগুন জ্বলছে"
লম্বা গোঁফওয়ালা এক লোক পেট্রোল
হাতে দাঁড়িয়ে। সবুজের চিনতে দেরি
হয়নি এটা মাহবুব খানের খাস চামচা
দিলু-'
দশ মিনিটে সব এলেমেলো হয়ে গেলো।
কিন্তু ওরা কুরআনে আগুন দিল কেন?
কুরআন কি অপরাধ করলো?
সবুজ চিৎকার করতে যাবে। শফিক সাথে
সাথেই মুখ চেপে ধরে সবুজের। "চুপ থাক
গাধা, চল দৌড়ি!!!
ওরা হচ্ছে খাঁটি মুনাফিক। ভালো
মানুষের বেশ নিয়ে করে শয়তানের কাজ।
দৌড়াতে দৌড়াতে শফিক বলে।
"ওরা ইবলিশের চেয়ে বড়। কারণ ইবলিশ
কখনো কুরআন পোড়ানোর সাহস করেনি।
যেখানে মানবজাতির সব সমস্যার
সমাধান রয়েছে, সে মহাগ্রন্থ যারা
পুড়াতে পারে, ওরা ইবলিশের চেয়ে নীচ-
পাষন্ড।"
ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে সবুজ বলে।
দু'জনে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির দিকে যায়।
--
শুক্রবার। জুমার নামায পড়তে এসেছে
সবুজ। ইমাম সাবের বয়ান করার কথা।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে মাহবুব খান হাত
নাঁড়িয়ে নাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছন। সবুজের
কাছে অসহ্য লাগে। ওরা সব জায়গাতেই,
মাদ্রাসা মসজিদেও ওদের রাজত্ব
লাগবে। ইসলামী মাহফিলেও ওরা,
মসজিদেও ওরা, সবখানেই ওরা। সবুজের
ইচ্ছে হয় চিৎকার করে বলতে, তোমরা
রাতে কোরআন পুড়িয়ে সকালে মসজিদে
এসে বলোনা, আমরা মুসলমান। এটা মানা
যায়না।
মাহবুব খান মসজিদ উন্নয়নের কথা বলে
যাচ্ছেন,
সবুজের খুব ইচ্ছে হয়, খানের গালে দু'টা
থাপ্পড় দিয়ে বলতে, কাল কুরআন পুড়িয়ে
আজ মসজিদে কেন এলে? তোমার কি
লজ্জা করেনা?
কিন্তু বলতে পারেনা। তার মনের ভিতর
কে যেন চাবুক মারতে থাকে অবিরাম,
সবুজের অসহ্য লাগে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৪

সৈয়দ কামাল হুসাইন বলেছেন: পড়ার নিমন্ত্রন।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গল্টা ভালই লাগছিল। একপর্যায়ে এসে কেমন যেন আরোপিত বা কোন উদ্দিষ্ট্য বক্তব্য প্রধান হয়ে গেল!

তারপরও লিখতে থাকুন।

আমরাতো লিখতেই পারিনা। তাইতো খালি পাঠকই রয়ে গেলাম ;)

+++

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১৪

সৈয়দ কামাল হুসাইন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.