নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্ম সংক্রান্ত আলোচনার ব্লগ...

সময়ের শপথ! নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে আহবান করে সত্যের এবং আহবান করে ধৈর্যের (আল কুরআন ১০৩: ১-৩)

আমি আস্তিক

আস্তিকতাই শেষ কথা নয়, শয়তানও একজন আস্তিকই কিন্তু...

আমি আস্তিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরজ আলী মাতুব্বরকে নিয়ে ভাবনা ২

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩২

আরজ আলীর লেখা খন্ড খন্ড ভাবে আগে কিছুটা পড়েছিলাম। আরজ আলীর 'সত্যের সন্ধান' বইয়ের আর্টিকেলগুলো এখন আবার নিবেদিত প্রাণ ব্লগার এমএ হোসেনের কল্যানে পড়ার সুযোগ হচ্ছে এবং মূলত সে কারনেই এ পোষ্টের অবতারণা ।

তার লেখার আলোচনা শুরু করার আগে ধর্মীয় প্রশ্নের বা ধর্মীয় প্রসঙ্গের একটা প্রকৃতি বলা প্রয়োজন বোধ করছি। ধর্মীয় যেকোন প্রশ্নকে বা ধর্মীয় প্রসঙ্গকে মোটা দাগে দুভাগে ভাগ করা যায়। এক মনস্তাত্ত্বিক বিষয় ,অন্যটি তথ্যভিত্তিক যৌক্তিক বিষয়।

আমি যদি বলি আমার নীল রঙ প্রিয়,সেটা পুরোই মনস্তাত্ত্বিক, কোনযুক্তি বা তথ্যভিত্তিক কোন কথা বলে আমার এই প্রিয়ত্ব রোধ করা যাবে না। হতে পারে এই প্রিয়ত্বের কিছু যুক্তি আছে...মাথার উপর প্রিয় আকাশটা নীল..দিগন্তজোড়া সাগরটা নীল, নীল প্রিয় ফুল অপরাজিতা...কিন্তু তাই বলে যার প্রিয় রঙ সবুজ তাকে আমি তিরস্কার করতে পারি না।কারন এটাই বৈচিত্র, এটা কারও ভুল বা সঠিক চয়েস না।

আর আমি যদি বলি আমি কোন প্রকার জ্বালানী ছাড়া একটা ইন্জিন বানিয়ে ফেলেছি (বঙ্গদেশের হট টপিক), তাহলে বুঝতে হবে থার্মোডিনামিক্সের ল্য গুলো আমার এখনো জানা নাই...তথ্যগত বা যৌক্তিক ভুল।

যাই হোক আরজ আলীর লেখাগুলোর আলোচনায় প্রয়োজন হলে প্রসঙ্গ নির্ধারনের চেষ্টা করব, তবে সবসময় দরকার হবে না। আর এমএ হোসেনের লেখাটা সহজলভ্য হওয়ায় তার লিঙ্ক ধরেই আপাতত শুরু করা যাক...

১ম ও ২য় পর্বকে ভূমিকা বলা যায়, তাই পর্ব ৩ থেকেই শুরু.. ■ এর পর আরজ আলীর বক্তব্য, এবং ► এর পরে তার উপর মন্তব্য দেয়া হল

ব্লগার এমএ হোসেনের লিঙ্ক অনুযায়ী পর্ব ৩ এর আলোচনা :



আমাদের অভিজ্ঞতা হইতে আমরা জানিতে পারিতেছি যে, বিশ্বমানবের সহজাত বৃত্তি বা 'স্বভাবধর্ম' একটি। এ সংসারে সকলেই চায় সুখে বাঁচিয়া থাকিতে, আহার-বিহার ও বংশরক্ষা করিতে, সন্তান-সন্ততির ভিতর দিয়া অমর হইতে। মানুষের এই স্বভাবধর্মরূপ মহাব্রত পালনের উদ্দেশ্যে সংসারে সৃষ্টি হইল কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প, সমাজ, নীতি এবং রাষ্ট্র; গড়িয়া উঠিল জ্ঞান-বিজ্ঞানময় এই দুনিয়া। মানুষ যেখানে যে কাজেই লিপ্ত থাকুক না কেন, একটু চিন্তা করিলেই দেখা যাইবে যে, সে তাহার 'স্বভাবধর্ম' তথা 'স্বধর্ম' পালনে ব্রতী। এই মহাব্রত উদ্‌যাপনে কাহারো কোন প্ররোচনা নাই এবং এই ধর্ম পালনে মানুষের মধ্যে কোন মতানৈক্য নাই।

►এই ব্যাপারে আমি আরজ আলীর সাথে একদম একমত। তিনি স্বভাবধর্ম বলতে যেটা বুঝিয়েছেন সেটা আসলে প্রবৃত্তি বা ইন্সটিঙ্কট। অন্যভাবে বলা যায় টিকে থাকার সংগ্রাম, আরজ আলী বলেছেন এ ধর্ম পালনে মানুষের মধ্যে কোন মতানৈক্য নাই -তা হতে পারে কিন্তু এর জন্যই যত অনৈক্য-মানুষে মানুষে, জাতিতে জাতিতে এমনকি জীবজগতের সব ক্ষেত্রে। টিকে থাকার সংগ্রামই মানুষের প্রাথমিক সংগ্রাম-আরজ আলীর ভাষায় 'স্বধর্ম' পালনে ব্রতী। আমার প্রশ্ন হল সবাই যদি স্বধর্মপালনে ব্রতী হয় বা সুখে বাঁচিয়া থাকিতে চায় তবে যারা অসীম প্রতিকুলতার ভিতরে নিজেদের অস্তিত্বকে ভীষণ হুমকির মুখে ঢেলে দিয়ে ঈশ্বরের বানী প্রচার করে গেছেন তারা কি প্রকৃতি বিরুদ্ধ কাজ করে ফেললেন না?? তাদের এই কাজকে তো অন্তত স্বধর্ম পালন বলা যায় না, আরজ আলীর ভেরি ফার্স্ট স্টেটমেন্টই তার পরবর্তী সমস্ত বক্তব্যের বিরোধী। বলতেই পারেন ধর্মকে ব্যবহার করে প্রাচীনকাল হতে মানুষ অনেক ফায়দা লুটেছে...কিন্তু এটা তার সাথে প্রাসঙ্গিক হয় না...ফায়দা লোটার ব্যাপারটা পরে এসেছে, কোন ধর্ম সেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবার পরে...নতুন একটি ধর্মমত শত বিরুদ্ধশক্তির মুখে প্রচার করতে গিয়ে প্রধান ধর্মমত গুলির প্রচারকগণ, নবীরা কী নিদারুন কষ্ট সহ্য করেছেন তা সবাই জানে। তাই এটা নিশ্চিত যে স্বধর্মের গড্ডলিকা প্রবাহে ঈশ্বরের বানী প্রচারক নবীগণ অন্তত গা ভাসাননি।





সাধারণত আমরা যাহাকে 'ধর্ম' বলি তাহা হইল মানুষের কল্পিত ধর্ম। যুগে যুগে মহাজ্ঞানীগণ এই বিশ্বসংসারের স্রষ্টা ঈশ্বরের প্রতি মানুষের কর্তব্য কি তাহা নির্ধারণ করিবার প্রয়াস পাইয়াছেন। "স্রষ্টার প্রতি মানুষের কি কোন কর্তব্য নাই? নিশ্চয়ই আছে"- এইরূপ চিন্তা করিয়া তাঁহারা ঈশ্বরের প্রতি মানুষের কর্তব্য কি তাহা নির্ধারণ করিয়া দিলেন। অধিকন্তু মানুষের সমাজ ও কর্মজীবনের গতিপথও দেখাইয়া দিলেন সেই মহাজ্ঞানীগণ। এইরূপে হইল কল্পিত ধর্মের আবির্ভাব। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন মনীষী বা ধর্মগুরুদের মতবাদ হইল ভিন্ন ভিন্ন।

► এই স্টেটমেন্টকে আমার কাছে তার ভূমিকার উদ্দেশ্যের আত্মহত্যা বলে মনে হয়, তিনি তার লেখার উদ্দেশ্য রেখেছেন পাঠককে প্রশ্ন করবেন এবং সত্য প্রকাশ করবেন, কিন্তু প্রথমেই ধর্ম যে কাল্পনিক তা বলে দেয়া তো তাহলে সমীচীন নয়,তিনি স্বভাবধর্ম হতে প্রচলিত ধর্মকে পার্থক্য করতে চেয়েছেন ভাল কথা, বড়জোর বলতে পারতেন স্পিরিচুয়াল বা আধ্যাত্মিক ধর্ম,সমাজবিজ্ঞানীগণও তাই বলে আসছে, কিন্তু তা না করে সরাসরি নিজের মত দিয়েছেন। তারপর তার ধর্মের উৎপত্তি সম্পর্কে যে ধারনা তা সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সঠিক নয়। ঈশ্বরের প্রতি মানুষের কর্তব্য কি তাহা নির্ধারণ করিবার প্রয়াস এটা ধর্মের উৎপত্তির কারন নয়, এটা ধর্মের একটা অংশ-রিচুয়ালিক পোরশন। বিশ্বাস, একতাবদ্ধ হওয়া এগুলিই ধর্মের মূল প্রেরণা। আর থিওলজিয়ান মাত্রেই জানে প্রধান ধর্মগুলোর মতবাদ মোটেও ভিন্ন নয়- ভিন্ন তার বহি:সজ্জা, অন্তসজ্জা নয়।





এই কল্পিত ধর্মের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গেই দেখা দিল উহাতে মতভেদ। ফলে পিতা-পুত্রে, ভাইয়ে-ভাইয়ে, এমনকি স্বামী-স্ত্রীতেও এই কল্পিত ধর্ম নিয়া মতভেদের কথা শোনা যায়। এই মতানৈক্য ঘুচাইবার জন্য প্রথমত আলাপ-আলোচনা, পরে বাক-বিতণ্ডা, শেষ পর্যন্ত যে কত রক্তপাত হইয়া গিয়াছে, ইতিহাসই তাহার সাক্ষী। কিন্তু ধর্ম সম্পর্কে বিশ্বমানব একমত হইতে পারিয়াছে কি?

► মতভেদ সবকিছু নিয়েই হয়,ধর্ম নিয়ে হবে সেটা অস্বাভাবিক নয়। তবে ধর্মের উদ্দেশ্য থাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, ভিন্ন ধর্মালম্বীরা ধর্মের কারনে বাক-বিতণ্ডা বা ধর্মযুদ্ধে লিপ্ত হয় সেটা জাতিবিদ্বেষের চেয়ে ভয়ংকর নয়। প্রাগৈতিহাসিক কাল হতে মানুষ ভূমি দখল, নিজ রক্তের আত্মদম্ভ নিয়ে যত যুদ্ধ করেছে তার তুলনায় ধর্মযুদ্ধ কিছুই না, হতে পারে অধিকাংশ সময় দুপক্ষের ধর্মও ভিন্ন থাকে, সেটা ভিন্ন জাতির ক্ষেত্রে খুবই সম্ভব,তারমানে এই নয় সেটা ধর্মযুদ্ধ। যেমন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় যে দুটো যুদ্ধ ১ম আর ২য় বিশ্ব যুদ্ধ তার কারন ধর্ম না , জাতিবিদ্বেষ বা রাজনৈতিক কারন। কেউ বলতে পারে হিটলার তো ইহুদিদের নিধন করেছে, তারমানে ধর্মীয় যুদ্ধ। কিন্তু সবাই জানে এখানে হিটলারের জাতিবিদ্বেষই আসল কারন, হিটলার তো বলতোই , জার্মানরাই সেরা জাতি। তাছাড়া হিটলার খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু ছিল না, বাইবেলে বলা নেই ,ইহুদিদের ধরে ধরে মার। তাই ধর্মের কারনে যুদ্ধের চেয়ে জাতি বিদ্বেষ আরো ভয়ানক। আর এ ক্ষেত্রে ধর্মের কল্যানময়ী দিককে অস্বীকার করার উপায় নেই, ধর্মের চেয়ে ভাল আর কোন নিয়ামক আছে যা একাধিক জাতিকে ঐক্যবদ্ধকরতে পারে????





কেবল যে বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন মত এমন নহে। একই ধর্মের ভিতরেও মতভেদের অন্ত নাই। হিন্দু ধর্মের বেদ যাহা বলে, উপনিষদ সকল ক্ষেত্রে তাহার সহিত একমত নহে। আবার পুরাণের শিক্ষাও অনেক স্থলে অন্যরূপ। 'বাইবেল'-এর পুরাতন নিয়ম (Old Testament) ও নূতন নিয়মে (New Testament) অনেক পার্থক্য......পবিত্র কোরানপন্থীদের মধ্যেও মতবৈষম্য কম নহে। শিয়া, সুন্নী, মুতাজিলা, ওহাবী, কাদিয়ানী, খারিজী ইত্যাদি সম্প্রদায়ের মত এক নহে। আবার একই সুন্নী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হানাফী, শাফী ইত্যাদি চারি মজহাবের মতামত সম্পূর্ণ এক নহে...

► একমত, ব্যাপারটা ধর্মালম্বীদের ধর্মথেকে বিচ্যুত আচরণ। তারজন্য ধর্মদায়ী সেটা ঠিক না,যেমন কুরআনে বলা আছে, 3:103:: And hold fast, all together, by the rope which Allah (stretches out for you), and be not divided among yourselves

Yusuf Ali's Quran Translation

আর চার মাজহাবের মত এক না এটা ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানশূন্যতার প্রকাশ। ইসলামে ইজমা কিয়াসের কল্যানে এবং কিছু ব্যাপারে ভিন্ন ভাবে পালনের অপশন রয়েছে,তারমানে এই নয় তারা ভিন্ন মতালম্বী।



হিন্দুদের নিকট গোময় (গোবর) পবিত্র, অথচ অহিন্দু মানুষ মাত্রেই অপবিত্র। পক্ষান্তরে মুসলমানদের নিকট কবুতরের বিষ্ঠাও পাক, অথচ অমুসলমান মাত্রেই নাপাক। পুকুরে সাপ, ব্যাঙ মরিয়া পঁচিলেও উহার জল নষ্ট হয় না, কিন্তু বিধর্মী মানুষে ছুঁইলেও উহা হয় অপবিত্র। কেহ কেহ একথাও বলেন যে, অমুসলমানী পর্ব উপলক্ষে কলা, কচু, পাঁঠা বিক্রিও মহাপাপ। এমনকি মুসলমানদের দোকান থাকিতে হিন্দুর দোকানে কোন কিছু ক্রয় করাও পাপ।

►এটাও ধর্মালম্বীদের ধর্মথেকে বিচ্যুত আচরণ, আরজ আলীর সামাজিক সংস্কারকে ধর্ম হিসেবে মনে করেছিল সেটা পুরান কথা।বেশি কিছু না বলে ঋগ্বেদের একটা ভার্স কোট করি,

'যখন কোন ক্ষুধাতুর ব্যক্তি রব করিতে করিতে উপস্থিত হয় তখন যে অন্নবান হয়েও হৃদয় কঠিন করে রাখে এবং অগ্রে নিহে ভোজন করে. তাকে কেউ কখনো সুখী করে না।' ঋগ্বেদ ১০:১১৭:২

ঋগ্বেদ সর্ব্বোচ্চ গ্রন্থ হিন্দু ধর্মে, এই ভার্সে শুধু হিন্দুর কথা বলা হয় নাই, সব মানুষের কথাই বলা হয়েছে। আর কোরআনের রেফারেন্স দিতে চাইলে তো অসংখ্য দেয়া যাবে।



(চলবে...)

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১৬/-২

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪২

এস বাসার বলেছেন: চমৎকার আলোচনা, ধন্যবাদ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৩৭

আমি আস্তিক বলেছেন: ধন্যবাদ...

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪৮

আহমদ ময়েজ বলেছেন:
বেশ, যুক্তিগুলো দাড়িয়েছে। সঙ্গে একটা কথা কেবল আরজ আলী মাতব্বরের ক্ষেত্রেই সত্য নয়, আমাদের সমাজে অনেকের বেলায়ই সত্য। আমরা অনেক সামাজিক সংস্কারকে, প্রচলিত পদ্ধতিকে ধর্মের বলে চালিয়ে দেই। এই সীমাবদ্ধতাকে পূর্বে সনাক্ত করা দরকার।



চিরমঙ্গলার্থে ...

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৩৮

আমি আস্তিক বলেছেন: ধন্যবাদ এবং আপনার জন্যও মঙ্গল কামনা...

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫৯

অািম বাবু বলেছেন: আরজ আলী মাতুব্বর তার একটা লেখা, শয়তানের জবানবন্দী তে বলেছেন, ইবলিস শয়তান ছিলো ফেরেশতা। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, এই তথ্য উনি কোথায় পেলেন? শয়তান ফেরেশতা ছিল একথা টা পুরোটাই ভুল। পবিত্র কোরআন থেকে শয়তান সম্পর্কে যতদূর জানা যায়, শয়তান ছিল জ্বীন। ইবলিসের ইবাদতে খুশি হয়ে আল্লাহ তায়ালা তাকে ফেরেশতাদের সর্দার হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন। কিন্তু যখন আদম(আঃ) কে সেজদা করার জন্য বলা হলো, তখন সে অহমিকা দেখালো। সে বেহেশত থেকে বিতাড়িত হল এবং অভিশপ্ত হল।

আমার কথা হলো, ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে এত কম ধারনা নিয়ে উনি কিভাবে শয়তান কে নিয়ে বই লিখে ফেললেন??

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৪৮

আমি আস্তিক বলেছেন: আমি এ লেখার প্রথম পর্বে বলেছিলাম আরজ আলী আলোচ্য কিছু বিষয়বস্তু এমন যে তা নিয়ে খুব বেশি আলোচনার সুযোগ নেই, শয়তান,ফেরেশতা এদের আলোচনা ধর্ম গ্রন্থে , পবিত্র কোরআনে যা আছে সেটা ওয়ার্নিং হিসেবে..ইতিহাস হিসেবে নয়...সৃষ্টির আগের অবস্থা, স্বর্গ-নরক এসব নিয়ে আল্লাহই ভাল জানেন এটা বলা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০০

পারভেজ আলম বলেছেন: ধর্ম জিনিসটা কি? ইসলাম, হিন্দু আর বৌদ্ধ তিনটাই যদি ধর্ম হয় তাহলে ধর্মের একটা উপযুক্ত সংজ্ঞা দেন তো। ইসলাম একত্ববাদি, হিন্দু ধর্ম বহু দেব দেবীর আর বৌদ্ধ ধর্মে তো খোদাই নাই। আরজ আলী ধর্ম বলতে আধ্যাত্বিকতার কথা কখনোই বলেন নাই। ধর্ম বলতে এখানে তিনি গড়পরতা আচার সর্বস্ব ধর্মের কথাই বলেছেন। তিনি যে সমাজের কথা বলেছেন, সে সমাজ অন্ধ ভাবে আচার সর্বস্ব ধর্মের অনুসরণ করে, বারবার প্রতারিত হয়, প্রতারিত করে। তার লেখার অংশবিশেষ তুলে ধরে বিভ্রান্তি ছড়ানোর তো কোন মানে হয় না, তার বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধর্মের কোন অংশের প্রতি তার আপত্ত্বি তা তিনি উল্লেখ করেছেন, ধর্ম বলতে এখানে তিনি কি বুঝিয়েছেন তাতে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ নেই। তবে তিনি খুব শক্তিশালী ভাষা জ্ঞান সম্পন্ন লেখক ছিলেন না তা স্বিকার করি। তবে তার সাহিত্য জ্ঞান ছিলো, তা তিনি দেখিয়েছেন "অনুমান" এ।
মুসলমানদের চার মাজহাবের মাঝে আইন আর হাদিস বিষয়ক বেশ বড় বড় কিছু পার্থক্য আছে, এক সময় চার মাজহাবের মাঝে গোলমালও কম ছিলোনা। আমার ঠিক মনে নেই, তবে পরবর্তি যুগের কোন এক খলিফা রাজনৈতিক কারনে চার মাজহাবের সবাইকে সমান বলে ঘোষনা দিয়ে একটা গোজামিল দিয়ে গেছেন। মুসলমানরা যখন সবল ছিলো তখন নিজেদের মধ্যকার এইসব অমত নিয়ে ভালোই গোলমাল করতো, এখন সেই বিলাসিতা করার অবকাস কোথায়। ডঃ আমিনুল ইসলামের "মুসলিম ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন" বইটিতে এইসব বিভেদের বিস্তৃত ইতিহাস আছে, পড়ে দেখবেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৪১

আমি আস্তিক বলেছেন: ধর্মের সংজ্ঞা অনেক ভাবে দেয়া যায়, তবে পৃথিবীতে নানা ধরনের আচারকে ধর্ম হিসেবে ধরায় অ্যানথ্রপলজিতে বলা হয়
One major problem in the anthropology of religion is the definition of religion itself
কিন্তু একেশ্বরবাদী ধর্মগুলোর সংজ্ঞা দেয়াটা কঠিন কিছু নয়, সার্চ করলে অনেক সংজ্ঞা পাবেন তবে সেগুলো মোটামুটি একই রকম।
যাই হোক, হিন্দু ধর্মও যে একেশ্বরবাদী তা কিন্তু আরজ আলীও জানত।
বলেছেন,আরজ আলী ধর্ম বলতে আধ্যাত্বিকতার কথা কখনোই বলেন নাই। ধর্ম বলতে এখানে তিনি গড়পরতা আচার সর্বস্ব ধর্মের কথাই বলেছেন। আমিও কিন্তু তাই বলতে চেয়েছি..আপনার এ কমেন্ট আমার বক্তব্যের সপক্ষে নিশ্চয়ই..সেজন্য ধন্যবাদ...তবে আরজ আলীর ধর্ম সম্পর্কে অন্য কোন কনসেপ্ট আছে কি??

তার লেখার অংশ বিশেষ তুলে ধরে বিভ্রান্তি ছড়ানো...এ অভিযোগ বুঝলাম না, এমএহোসেনের লিঙ্কটা দিয়েছি,ভাল মত পড়ে দেখেন..
আর আপনার মাজহাব সংক্রান্ত বিষয় দীর্ঘ আলোচনার বিষয়...পরে বিস্তারিত আলোচনার ইচ্ছা রইল...
ডঃ আমিনুল ইসলামের বই সাথেই আছে...পরে আলোচনায় আসছি


৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৪

শ্রাবনের ফুল বলেছেন: চমৎকার এনালাইসিস..সমাজ সংস্কার আর ধর্মকে গুলিয়ে ফেলার বিভ্রান্তিগুলো সুন্দর উপস্থাপন করেছেন, পোষ্টটা আরেকটু বড় হলে মন্দ হতো না।

চলুক।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৫০

আমি আস্তিক বলেছেন: ধন্যবাদ...ইনশাল্লাহ

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:১১

পারভেজ আলম বলেছেন: জনাব অািম বাবু, কোরআনের কোথায় আছে যে শয়তান জীন ছিলো আয়াতের সংখ্যা সহকারে উল্লেখ করুন। শয়তানকে নিয়ে উনি বই লেখেন নাই, একটা বইয়ের একটা প্রবন্ধ লিখেছেন, প্রবন্ধটা আসলে ঠিক শয়তানকে নিয়ে লিখেছেন এমনও না, শয়তান এখানে একটা রুপক চরিত্র। এই প্রবন্ধটা যে বইয়ে আছে সেই অনুমান নামক বইটা নিয়ে আমার নিজের একটা লেখা আছে। লিংক দিলাম-
Click This Link

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২৭

তানভী বলেছেন: ভাই আরজ আলীর ভূল ধরার আগে তার চারপাশের সমাজব্যবস্থা কিরূপ ছিল সেটার দিকে তাকান। তিনি কোন ইতিহাসবিদ ছিলেন না যে গবেষণা করে বলবেন যে ধর্ম কোত্থেকে এল। তিনি যা দেখেছেন, যা জেনেছেন যা নিজের বিচার বিবেচনা অনুযায়ী বুঝেছেন তাই লিখে গেছেন।

তার প্রতিটি কথার চুল চেরা বিশ্লেষণ আমি অনেককেই করতে দেখেছি। তাদের সবাইকে আমি একই কথা বলেছি যে তার ভূল ধরার আগে প্লিজ তার শিক্ষা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করবেন। তার সহজ সরল যুক্তিগুলোত দিকে তাকান। তার অনেক যুক্তির অনেক বৈজ্ঞানিক ভূল আছে, যার কারন তখন তার সেই ছোট্ট রাজশাহী লাইব্রেরীতে জ্ঞানের আপডেট হতো না। আর যেখানে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামেই প্রয়োজনীয় অনেক বই পেতে এখনকার সময়েই আমাকে কান্নাকাটি করতে হয় নাইলে অর্ডার করে আনাতে হয়, তখনকার সময়ের রাজশাহী শহরের অবস্থা ভাবুন একবার!!!! তার জানার দৌড় অনেক ছিল ঠিক, কিন্তু তার সব কিছু আপগ্রেডেড ছিল না। সে দোষ আপনি তাকে দিতে পারেন না।

এখানে আপনি যে যুক্তিগুলো ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেছেন তার মধ্যে
২ নম্বরটা তার শুধুমাত্র চিন্তা প্রসূত, প্রাথমিক চিন্তায় একজনের এর থেকে ভালো কিছু আসবে না। হয়তো ওটাকে আরো ডিটেইল করা যেত, কিন্তু পরবর্তিতে যেসব প্রশ্ন অবতারনা তিনি করেছেন সেগুলোর চেয়ে হয়তো এটি তার কাছে কম গুরুত্বপুর্ন মনে হয়েছিল।
আর ২ নম্বর সম্পর্কে আমার যা ধারনা তা হল, ধর্ম বোধ টা এসেছে কিছুটা ভয়, কিছুটা সাহায্যপ্রাপ্তির আশা........ইত্যাদি হতে।

আর ৩ নম্বরের ক্ষেত্রে বলব আপনি কি ভাই দুনিয়ার খোজ রাখেন? কত যুগ ধরে কত শত সহস্র ক্রুসেড বা ধর্ম যুদ্ধ হয়েছে তার কি কোন শেষ আছে? মুসলমানরাই কি ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে কম যুদ্ধ করেছে? এখনো কি ধর্মযুদ্ধ বন্ধ আছে? ওসামা বিন লাদেন থেকে শুরু করে বুশ -সবাই কি ধর্মকেই টার্গেট করছে না? জাতিগত বিদ্বেষতো সে তুলোনায় নেই বললেই চলে। ইসলাম বলে কাফির মার, হিন্দুরাও বিধর্মীদের উপর বিরূপ মনোভাব রাখে(আমি হিন্দুধর্ম সম্পর্কে বেশি জানি না)। এক্ষেত্রে আপনি বলবেন "আমি ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছি। কোথাও কাফির মারার কথা বলা নেই।" আমি বলি, ভাই কোন ব্যখ্যা সঠিক আর কোনটা ভূল সেটা কে নির্ধারন করে? আপনি বলবেন আপনি ঠিক,অন্য কেউ বলবে সে ঠিক। তাইলে আমরা কোনটা ধরব?

৪ সম্পর্কে বলি, উনি ওখানে বলেননি যে ৪দল সম্পূর্ন ভিন্ন। উনি বলেছেন সম্পুর্ন এক নয়, অর্থাৎ এক হওয়া সত্ত্বেও কিছু কিছু পার্থক্য লক্ষিত হয় (সেগুলো ছোট বড় যেরূপই হোক না কেন)। আপনি নিজেও লিখেছেন যে ইজমার কারনে পার্থক্য হতে পারে। তিনি একবারও বলেন নি যে এরা ভিন্ন মতালম্বী।

৫ নিয়ে বললে বলতে হয় ওটা ওরকম হয়েছে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারনে।

আর সবশেষে ১ নিয়ে বললে বলতে হয় যে আপনি শুধু ঈশ্বরের বানী প্রচারকদের কেই দেখলেন? আর কেউ যেন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে অত্যাচারের শিকার হয় নি? আর উনি এখানে মানব বা বিশ্বমানব বলতে নিশ্চই এক দুজনের কথা বলেননি? উনি বলেছেন সামগ্রিক ব্যবস্থাকে বা সমগ্র বিশ্বের সকল মানুষ কে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৩৩

আমি আস্তিক বলেছেন: ভাই আরজ আলীর ভূল ধরার আগে তার চারপাশের সমাজব্যবস্থা কিরূপ ছিল সেটার দিকে তাকান। তিনি কোন ইতিহাসবিদ ছিলেন না যে গবেষণা করে বলবেন যে ধর্ম কোত্থেকে এল।
► আমি আপনার সাথে একমত, আরজ আলীকে আমি সমালোচনা করতে চাই না, তার ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে জানি বলে সে ইচ্ছাও আমার করে না।
তবে যখন দেখি তার বক্তব্য ব্যক্তি আরজ আলীকে ছাড়িয়ে ধর্মবিরোধীদের হাতিয়ার হয়ে উঠে তখন আস্তিক হিসেবে সে বক্তব্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়...তার বক্তব্যের বিরুদ্ধে বলতে হয়...সেখানে ব্যক্তি আরজ আলী হয়তো অনুপস্থিত।
কত যুগ ধরে কত শত সহস্র ক্রুসেড বা ধর্ম যুদ্ধ হয়েছে তার কি কোন শেষ আছে? মুসলমানরাই কি ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে কম যুদ্ধ করেছে? এখনো কি ধর্মযুদ্ধ বন্ধ আছে? ওসামা বিন লাদেন থেকে শুরু করে বুশ -সবাই কি ধর্মকেই টার্গেট করছে না? জাতিগত বিদ্বেষতো সে তুলোনায় নেই বললেই চলে।
► দ্বিমত পোষণ করতে পারছি না-ক্রুসেড এবং অন্যান্য ধর্মযুদ্ধ হয়েছে, সেটা অস্বীকার করারও কিছু নেই। কিন্তু জাতিগত বিদ্বেষতো সে তুলোনায় নেই ---এটার সাথে একমত হতে পারলাম না।
ধরেন, আজকে যদি আমাকে কেউ বলে বিজ্ঞানের সুফল সম্পর্কে বল...আমি নির্দ্বিধায় ঘন্টাখানেকের এক বক্তব্য দেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে যাব...বক্তব্য শেষ হওয়া মাত্রই আবার কেউ যদি বলে এবার বিজ্ঞানের কুফল সম্পর্কে বল...তখন আমি বিজ্ঞানের কোন কুফল নেই এই স্টেটমেন্ট দিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে আসব না..আরো এক ঘন্টা না হোক অন্তত ১৫ মিনিট হলেও অন্তত বলতে পারব...যুদ্ধের ভয়াবহতা বৃদ্ধি...পরিবেশ বিপর্যয়...এগুলোও তো বিজ্ঞানেরই দান...
এসব কারনে আপনি যেমন বলতে পারেন না বিজ্ঞান কুফলময়, তেমনি কিছু যুদ্ধের কারনে সার্বিক ভাবে বলতে পারেন না ধর্ম কুফলময়...
ধর্মের মূলনীতি তৈরি হয় মানবকল্যানে...আর মানব কল্যান শুধু ফুল হাতে হয় না...ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামও কখনো করতে হয়,

আর কোন আয়াতের কোন ব্যাখ্যা সঠিক আর কোনটা ভুল সেটা যাচাই করার সামর্থ সবারই আছে, তবে যাচাইয়ের ব্যাপারটা একপাক্ষিক বক্তব্য দিয়েই যারা করতে চায় সেটা নিয়েই আমাদের আপত্তি...

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৩৮

পারভেজ আলম বলেছেন: তানভী ভাই, রাজশাহী না , বরিশাল, বরিশালের এক্কেবারে অজপারা লামচরি গ্রাম।

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৫৭

তানভী বলেছেন: @ পারভেজ ভাই
উ উ সরি, এত রাত্রে বইটা আনতে পারিনাই, আর আমি ছোটখাট ব্যাপারগুলা তারা তারি ভুইলা যাই।
বইখান আনতে পারলে আরো কিছু কোপাইতাম।

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৫৯

অািম বাবু বলেছেন: We said to the angels, "Fall prostrate before Adam." They fell prostrate, except Satan. He became a jinn, for he disobeyed the order of His Lord. Will you choose him and his descendants as lords instead of Me, even though they are your enemies? What a miserable substitute! [18:50]

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:০৫

অািম বাবু বলেছেন: The other half of the guilty creatures, those who leaned closer to Satan's point of view and exhibited the biggest egos, became classified as jinns. It was God's plan to assign one jinn to every human being from birth to death. The jinn companion represents Satan and constantly promotes his point of view (50:23, 27). Both the jinns and the humans are given a precious chance in this world to re-educate themselves, denounce their egoism, and redeem themselves by submitting to God's absolute authority. Whenever a human being is born, a jinn is born and is assigned to the new human. We learn from the Quran that the jinns are Satan's descendants (7:27, 18:50). When a jinn being is born and assigned to a human being, the jinn remains a constant companion of the human until the human dies. The jinn is then freed, and lives on for a few centuries. Both humans and jinns are required to worship God alone (51:56).

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:১৪

অািম বাবু বলেছেন: প্রিয় পারভেজ ভাই। আরজ আলী কে নিয়ে এত মাতামাতির প্রয়োজন নেই বলেই আমার মনে হয়। অনেকেই করেছে। আর দরকার নাই।
আরজ আলী এমন কিছু নতুন কথা বলেননি যা এর আগে বলা হ্য়নি। ভদ্রলোকের ধর্ম সম্পর্কে বেশি জানা শোনা ছিলনা। নইলে কি আর জ্বীন কে ফেরেশতা বলে ভুল করে আস্ত একটা লেখা লিখে ফেলে!!!

১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:২৩

পারভেজ আলম বলেছেন: অািম বাবু, শয়তানের সিজদা বিষয়ে যে উদৃতি আপনি দিয়েছেন জানিনা কোত্থেকে দিয়েছেন। আমার কাছে যে আরবী আর বাংলা ভাষার কুরআন আছে তা থেকে তুলে দিচ্ছি- সুরা বাকারার ৩৪ থেকে ৩৫ নং আয়াত- "এবং যখন আমি হযরত আদম (আঃ) কে সেজদা করার জন্য ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দিলাম, তখনই ইবলীস ব্যতীত সবাই সিজদা করলো। সে নির্দেশ পালন করতে অস্বীকার করল এবং অহংকার প্রকাশ করল। ফলে সে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলো"। আরবীতেও দেখলাম কাফির শব্দটা লেখা, জ্বীন শব্দটা পাইলাম না। ইংরেজিতে কাফির শব্দের ট্রান্সলেশন জ্বীন কি আপনে করলেন না কি অন্য কেউ বুঝতছিনা। অন্য যে করছে তার রেফারেন্সটা তারাতারি দেন। কোরআন শরিফের এমন বিকৃতি আল্লাহ সহ্য করবেনা। পরবর্তি আয়াত গুলা কিসের বুঝলাম না, কোরআন না হাদিস, লিংক দেন বা রেফারেন্স দেন, ভেরিফাই করি।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:২৯

আমি আস্তিক বলেছেন:
যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললামঃ আদমকে সেজদা কর, তখন সবাই সেজদা করল ইবলীস ব্যতীত। সে ছিল জিনদের একজন। সে তার পালনকর্তার আদেশ অমান্য করল। অতএব তোমরা কি আমার পরিবর্তে তাকে এবং তার বংশধরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করছ? অথচ তারা তোমাদের শত্রু। এটা জালেমদের জন্যে খুবই নিকৃষ্ট বদল। সূরা কাহফ,সূরা নং ১৮, আয়াত ৫০


এবং যখন আমি হযরত আদম (আঃ)-কে সেজদা করার জন্য ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দিলাম, তখনই ইবলীস ব্যতীত সবাই সিজদা করলো। সে (নির্দেশ) পালন করতে অস্বীকার করল এবং অহংকার প্রদর্শন করল। ফলে সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেল। সূরা আল বাকারাহ ২:৩৪

►প্রথম যে আয়াতটি দেয়া হল তাতে এটা স্পষ্ট যে ইবলীস জ্বীন, কিন্তু ২য় আয়াতে মনে হচ্ছে ইবলীস বোধহয় ফেরেশতা
আসলে এটা অ্যারাবিক গ্রামার সম্পর্কে না জানার কারনে এ ভুল হয়, আরবীতে একে বলা হয় তাগলিব..অর্থাৎ যখন মেজরিটির মধ্যে মাইনরিটি থাকে সেখানে অধিকাংশের সাথে মাইনরিটিকেও সম্বোধন করা হয়, যদি কোন সমাবেশে একশ জন লোক থাকে আর দু এক জন নারী থাকে --তখন আরবীতে যদি বলা হয় সব লোক দাঁড়াও তখন সঙ্গের দুএকজন নারীকেও দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়...
তারমানে ২য় আয়াত অনুসারে ইবলীশ জ্বীন বা ফেরেশতা উভয় হতে পারে, কিন্তু যেহেতু উল্লেখিত ১ম আয়াতে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে ইবলীশ জ্বীন সুতারাং তার ফেরেশতা হবার কোন চান্স নেই।
► ফেরেশতারা নিজ ইচ্ছাধীন নয়,মানুষ ও জ্বীনের স্বইচ্ছা রয়েছে, তাই এদিক থেকেও বোঝা যায় যে ইবলীশ জ্বীন ছিল...

আরজ আলী অনেক পড়েছেন কিন্তু সব ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন সে অবস্থায় তার জন্য সম্ভব ছিল না, তাই তিনি এ ভুলটা করেছিলেন...

১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৩১

পারভেজ আলম বলেছেন: ও, পরবর্তি আয়াতের রেফারেন্স না দিলেও চলবে, এইটা কোরআন না, প্লাস এইখানে কোথাও বলাও নাই শয়তান ফেরশতা ছিলেন না বরং জ্বীন ছিলেন। বলা হইছে শয়তানের উত্তরসুরিরা জ্বীন। কোরআনে কোথাও বলা নাই শয়তান ফেরেশতা ছিলোনা। শয়তান জ্বীন ছিলো এ জাতীয় কাহিনি আছে কিছু হাদিসে, তাওহিদ সম্পর্কিত সমস্যা মোকাবেলায় ঐসব হাদিসের সৃষ্টি। নবীর মৃত্যুর প্রায় ১৫০/২০০ বছর পর হাদিস গ্রন্থগুলা লিখিত।

১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৩১

অািম বাবু বলেছেন: পরবর্তি আয়াতগুলোতে নাম্বার দেয়া আছে। দয়া করে মিলিয়ে দেখেন। আপনি তাফসির গুলো একটু দেখবেন আশা করি।

১৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৩২

পারভেজ আলম বলেছেন: অািম বাবু, আরজ আলী ধর্ম বিষয়ে যতটুকু জানতেন তার শতভাগের এক ভাগও যদি আপনি নিজে জানতেন তাহলে এধরণের মন্তব্য করতেন না।

১৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৩৪

পারভেজ আলম বলেছেন: আগে আপনি কাফির শব্দের ইংরেজি কিভাবে জ্বীন হলো তা ব্যখ্যা করবেন। এখন আবার তফসিরের কথা বলেন কেনো। আপনার তফসির দিয়া আমি কি করমু। আমি বলছি কোরআনে কোথায় আছে বলেন, বিকৃত কে করলো? আপনে না অন্য কেউ? ব্যখ্যা দেন।

১৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৩৫

পারভেজ আলম বলেছেন: আরে কপাল, পরবর্তি আয়াত গুলা যে কোরাআনের না তা কপি পেস্ট করার সময় দেখেন নাই, কোরআনের আয়াতে কখনো লেখা থাকবো যে "কোরআন থেইকা আমরা জানি জ্বীন রা শয়তানের বংসধর"। মিয়া, কি কপি পেস্ট করছেন তাও জানেন না।

১৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৪২

অািম বাবু বলেছেন: কোরআন নাযেল হয়েছে বিশ্বাসীদের জন্য। আপনার প্রতি বিনয় রেখে বলছি, আমার বিশ্বাস কে আমি শ্রদ্ধা করি।
কোরআন এ কোথায় শয়তান কে ফেরেশতা হিসেবে উল্লেখ আছে জানালে খুশী হব। আপনার মত বিদগ্ধ মানুষ আমার মত মূর্খকে বোঝাতে সমর্থ হব আশা করি।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

২০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৪৬

অািম বাবু বলেছেন: প্রিয় পারভেজ ভাই, আমি জানি আমি কি কপি পেস্ট করেছি।

২১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৪৯

পারভেজ আলম বলেছেন: অািম বাবু, আরে ভাই, আপনার বিশ্বাস কে তো আমি অশ্রদ্ধা করছিনা। দয়া করে একটু খেয়াল করুন আমি কি বলছি। আমি কখোন দাবী করলাম যে কোরআনে আছে শয়তান ফেরেশতা ছিলেন। কোরআনে স্পষ্ট কোথাও বলা নাই, "শয়তান ফেরেশতা ছিলেন" অথবা "শয়তান জ্বীন ছিলেন"। তবে কোরআনে সুরা বাকারায় বলা আছে সব ফেরেশতা আদমকে সিজদা করলো শুধু ইবলিস করলো না। এইখানে শয়তানকে ফেরেশতা না ভাবার কি কারণ আছে বলেন।
আর একটা পয়েন্ট আপনি খেয়াল করেন, কাফির শব্দের ট্রান্সলেসন জ্বীন যদি আপনি না কইরা থাকেন তাইলে যে করছে তার বিরুদ্ধেতো আপনের লাগা উচিত। এইটা একটা খারাপ কাজ হইয়া গেলো না।

২২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৫১

পারভেজ আলম বলেছেন: কি কপি পেস্ট করছেন জানেনি যখন তাইলে সুরার নাম আয়াত সংখ্যা বুঝায়ে বললে ভালো হইতো না, আমি তো সংখ্যা দেইখা কিছু বুঝতাছিনা ভাই। পইড়াতো মনে হইলো কোন হাদিসের লাইন, কোরাআনের না।

২৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৫৮

অািম বাবু বলেছেন: পারভেজ আলম বলেছেন...............................তবে কোরআনে সুরা বাকারায় বলা আছে সব ফেরেশতা আদমকে সিজদা করলো শুধু ইবলিস করলো না। এইখানে শয়তানকে ফেরেশতা না ভাবার কি কারণ আছে বলেন।

আপনার যুক্তি টা কেমন কেমন যেন হয়ে গেল। যাই হোক.... আপনার অনেক পড়াশোনা বোঝা যায়। যদি শিওর করে যদি কিছু জানাতে পারেন দয়া করে পরবর্তিতে জানাবেন ভাই। আমি আরো ডিটেইলস জানলে জানাবো আপনাকে। ভালো থাকবেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:০৩

পারভেজ আলম বলেছেন: অািম বাবু, আমার চেয়ে অনেক বেশি পড়াশুনা আরজ আলী মাতুব্বরের ছিলো। তার সমান পড়া লেখা করতে আমি কোনদিন পারুম কিনা জানিনা, ঐরকম নিরলস সাধনা কঠিন কাজ। অথচ আপনি তার শয়তানের জবানবন্দি না পইরাই উলটা পালটা মন্তব্য কইরাযে কাজটা ঠিক করনে নাই, এই বোধদয় আপনার হইলেই আমি খুসি। আর কিছু বলার নাই।

২৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:০৯

এন্তার এত্তেলা বলেছেন: ফালতু বিষয় নিয়া ক্যাচাল লাগছে !!!
একটা বিষয় বলি, এটা আপনারা কেউ কোট করলেন না কেন বুঝলাম না। ইবলিশ আল্লাহর ইবাদতে এতটাই নিজেকে নিবেদেত রেখেছিল যে আসমান ও জমিনে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে তার সিজদা পড়েনি। ইবলিশ ছিল ফেরেশতা কুলের সর্দার।

রাত হয়ে গেছে তাই রেফারেন্স দিতে পারলাম না।

ফালতু বিষয়...!
......................................................................

বাদ দেন, বলেন, আল্লাহ তো সর্বজ্ঞানী সর্বকালজ্ঞ, অবশ্যই তিনি জানতেন ইবলিশ এমন করবে, ইবলিশ কে বানানোই হইসে এই আকাম করার জন্য, তো সেখানে তার কি দোষ ছিল যে তাকে ফেরেশতাকুলের নেতা থেকে সর্বনিকৃষ্টতম পরিচয়ে পরিচিত হবার !!!

এটা কি আল্লাহর সেচ্ছাচারিতা নয়???

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৫৯

আমি আস্তিক বলেছেন: কষ্ট করে রেফারেন্স গুলো দিয়ে যেয়েন...আশা করি আরও কিছু জানতে পারব...
আল্লাহ তো সর্বজ্ঞানী সর্বকালজ্ঞ, অবশ্যই তিনি জানতেন ইবলিশ এমন করবে
হুম, সেই পুরান কথা... আমি তো জানি আমার কোন স্টুডেন্ট নেক্সট এক্সামে ফেল করবো আর কে পাশ করবো...তাইলে যে ফেল করলো তার সেই ফেলের দোষ কি আমার????

২৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:২০

অািম বাবু বলেছেন: প্রিয় পারভেজ ভাই, আমি ভেবেছিলাম অন্যের প্রতি এবং অন্যের মতামতের প্রতি আপনার শ্রদ্ধা আছে। আপনার মত বিদ্বান মানুষের কাছে এটা আমরা আশা করি। দুম করে বলে ফেললেন বইটা না পড়েই কথা বলছি। বাহ!!! সুন্দর।
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আপনি খানিকটা উত্তেজিতও বটে। আপনার বিশ্রাম প্রয়োজন। আক্রমনাত্মক কথা না লিখে আরজ আলীর ভুল তথ্য টা কে যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করুন। আমরা উপকৃত হব। শুভরাত্রি।

২৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:৪৫

আট আনা বলেছেন: শুরুর ২ প্যারা পড়েছি, আপাতত প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম পরে পড়ব।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:৫০

আমি আস্তিক বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য..

২৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১৪

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আরজ আলী মাতুব্বরের অনেক ধারণাই ভুল কিংবা অজ্ঞতাপ্রসূত। কিন্তু, তাঁর জ্ঞানপিপাসাকে আমি শ্রদ্ধা করি।

আর লেখকের বিশ্লেষন ভাল লেগেছে; পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায়........

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৩০

আমি আস্তিক বলেছেন: ধন্যবাদ...

২৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৩৯

কানা বাবা বলেছেন:
শয়তানরে নিয়া ক্যাচাল লাগছে দেকি... হাহ্ হাহ্ হাহ্...
ঈশ্বর বেচারা শয়তানরে এদন উদ্যান থিকা "বহিষ্কার" কোরুনের্পরও হ্যায় ইভরে উইশডম ট্রি'র "ফল"(?) খাইতে প্রলুব্ধ কোর্লো ক্যাম্নে কৈরা? তাইলে কি শয়তান বাবাজিরে ঈশ্বর আশোলে স্বর্গ থিকা সফলভাবে এক্সপেল কোর্তারেন্নাই? এইখানে ওবৈষ্য ঐন্যরমের বেখ্যাও আচে...

আবার দ্যাখেন, সাদা চৌক্ষে দেক্লে শয়তান কিন্তুক ঈশ্বরের চায়া অধিকতর অনেস্ট... নাদান আদমের লগে হ্যায় কিন্তুক ঈশ্বরের মতুন ভাঁওতাবাজি করে নাই... যা যা কৈচে ঠিকই কৈচে... আর বাইবেল-কুরআনের ঈশ্বর হৈলেন এ্যাক্টা মিথ্যুক... "যেইদিন তুম্রা নিষিদ্ধবৃক্ষের ফল খাইবে সেইদিন তোমরা মরিবেই মরিবে" কৈলেও তা সৈত্য হৈতে দ্যাখা যায় নাই... বরং শয়তান যেইটা কৈচিলো যে- এই ফল খাইলে তুমাগো জ্ঞান হৈবো, হেইটা কিন্তুক ঠিকই হৈচে... ফল খাওনের পরে আদম কিন্তুক বুজতে পার্চিলো যে হ্যায় ন্যাঙটা, যে কারনে হ্যায় ডুমুরের পাতা দিয়া "লজ্জাস্থান" ঢাকোনের কোশেশ কোর্চিলো... যেই কারনে বাইবেলে ঐ বৃক্ষের নাম কওয়া হৈচে উইশডম ট্রি তথা সদাসদ জ্ঞানবৃক্ষ...

ঈশ্বরের ইত্রামি আরু হাস্যকরভাবে ধরা খাইচে জকোন ন্যাঙটা আদমের এই জ্ঞান দেইকা হ্যায় লগে লগে কৈয়া বইচে "নিচ্চয়ি তুম্রা নিষিদ্ধবৃক্ষের ফল খাইয়াচো"... তার মাইনি ঈশ্বর মিঞা জান্তেন যে ঐ ফল খাইলে ওরা জ্ঞানী হৈবো, "মরিবেই মরিবে" কতাডা আচিলো পুরা এ্যাক্টা গুল্ তথা মিছা কতা...
মাইনি কিতা খাড়াইলো? "মহান" ঈশ্বর মিথ্যুক আর শয়তান সত্যবাদী- নয় কি?

রেপ্টাইল গড কিম্বা সার্পেন্ট গড লেইক্কা গুগলায়া দেকেন, আরু ওনেক মজার মজার কতা পাইবেন...

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৫২

আমি আস্তিক বলেছেন: হুম, কনসেপ্ট অব গড রাইখা এখন কনসেপ্ট অব স্যাটান নিয়া লাগতে হইবো মনে হচ্ছে। আসেন কুরআন বাইবেলে কনসেপ্ট অব স্যাটান কী দেখি

আল কুরআন
সূরা আল আরাফে, সূরা ৭ আয়াত ১১-২৪:

7:11. It is We Who created you and gave you shape; then We bade the angels prostrate to Adam, and they prostrate; not so Iblis; He refused to be of those who prostrate.

7:12. (Allah) said: "What prevented thee from prostrating when I commanded thee?" He said: "I am better than he: Thou didst create me from fire, and him from clay."
7:13. (Allah) said: "Get thee down from this: it is not for thee to be arrogant here: get out, for thou art of the meanest (of creatures)."
7:14. He said: "Give me respite till the day they are raised up."

7:15. (Allah) said: "Be thou among those who have respite."
7:16. He said: "Because thou hast thrown me out of the way, lo! I will lie in wait for them on thy straight way:
7:17. "Then will I assault them from before them and behind them, from their right and their left: Nor wilt thou find, in most of them, gratitude (for thy mercies)."

7:18. (Allah) said: "Get out from this, disgraced and expelled. If any of them follow thee,- Hell will I fill with you all.
7:19. "O Adam! dwell thou and thy wife in the Garden, and enjoy (its good things) as ye wish: but approach not this tree, or ye run into harm and transgression."
7:20. Then began Satan to whisper suggestions to them, bringing openly before their minds all their shame that was hidden from them (before): he said: "Your Lord only forbade you this tree, lest ye should become angels or such beings as live for ever."

7:21. And he swore to them both, that he was their sincere adviser.
7:22. So by deceit he brought about their fall: when they tasted of the tree, their shame became manifest to them, and they began to sew together the leaves of the garden over their bodies. And their Lord called unto them: "Did I not forbid you that tree, and tell you that Satan was an avowed enemy unto you?"

7:23. They said: "Our Lord! We have wronged our own souls: If thou forgive us not and bestow not upon us Thy Mercy, we shall certainly be lost."
7:24. (Allah) said: "Get ye down. With enmity between yourselves. On earth will be your dwelling-place and your means of livelihood,- for a time."

Yusuf Ali's Quran Translation


আর বাইবেলের জেনেসিসে আছে
Genesis 2:9 And out of the ground made the LORD God to grow every tree that is pleasant to the sight, and good for food; the tree of life also in the midst of the garden, and the tree of knowledge of good and evil.

Genesis 3:3 But of the fruit of the tree which is in the midst of the garden, God hath said, Ye shall not eat of it, neither shall ye touch it, lest ye die.

তারমানে দেখা যাচ্ছে কোরআনে বলা হয় নি ওটা জ্ঞানবৃক্ষ কিংবা ফল খাইলে মারা যাবে, বাইবেলে এসব বলা আছে।তারমানে আপনার পাঞ্চিং লাইন মহান" ঈশ্বর মিথ্যুক আর শয়তান সত্যবাদী এটা কোরআনের ক্ষেত্রে খাটছে না...
আর এখন যে কোন ল্যে ম্যানও জানে বাইবেলের জেনেসিস সহ অনেক বুক প্রচুর বিকৃত হয়েছে, অনেক গালগল্প ঢুকেছে...

আর একটা মজার বিষয় হল ধর্মবিরোধী শক্তির পুরোটা কিন্তু নাস্তিকতা নয়, তার একটা অংশ হল ঈশ্বরবিরোধী...সেই প্রচারণা আস্তিকপ্রচারণা, তবে শয়তানের পক্ষে...
এখন কথা হল এ সকল প্রচারণার শ্রেণীবিন্যাস করতে গেলে সমগ্র ধর্মীয়প্রচারণাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়---
১. নাস্তিকতা
২. আস্তিকতা--শয়তানের পক্ষে
৩.আস্তিকতা--ঈশ্বরের পক্ষে
মজার ব্যাপার হল নাস্তিকগণ জেনে হোক আর না জেনে হোক প্রথম দুই ধরনের প্রচারণা চালিয়ে যায়--আরজ আলীও তাই করে গেছে...

৩০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩৬

হাসিব মীর বলেছেন: খুব ই ভালো আলোচনা। পরের পর্ব গুলোর আপেক্ষায় রইলাম। আলোচনায় অংশ নেয়ার ও ইছছা রইল। একটা পরামর্শ, একাডেমিক মান বজায় রেখে যেন আলোচনা চলে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১৫

আমি আস্তিক বলেছেন: ধন্যবাদ...একাডেমিক মান বিষয়টা কী বুঝলাম না ভাই...যাই হোক পরামর্শের জন্য আবারও ধন্যবাদ...

৩১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:০৪

লালসালু বলেছেন: জোশ একটা লেখা লিখেছেন

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:২০

আমি আস্তিক বলেছেন: ধন্যবাদ....পড়া ও মূল্যায়নের জন্য

৩২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৩০

মনজু মজুমদার বলেছেন: চমৎকার...সুখপাঠ্য!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২৯

আমি আস্তিক বলেছেন: ধন্যবাদ বস...

৩৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:০৩

মুনতা বলেছেন: আল্লাহ তো সর্বজ্ঞানী সর্বকালজ্ঞ, অবশ্যই তিনি জানতেন ইবলিশ এমন করবে
হুম, সেই পুরান কথা... আমি তো জানি আমার কোন স্টুডেন্ট নেক্সট এক্সামে ফেল করবো আর কে পাশ করবো...তাইলে যে ফেল করলো তার সেই ফেলের দোষ কি আমার????


ভাই,বুঝতে না পারা আর বুঝতে না চাওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে।

যারা বুঝতে পারে না তাদেরকে আপনি হয়তো বুঝাতে পারবেন।

কিন্তু যারা বুঝতে চায় না তাদেরকে কি করে বুঝাবেন???

++++

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২৮

আমি আস্তিক বলেছেন: ধন্যবাদ...কাউকে বোঝানো উদ্দেশ্য নয়...আলোচনাই মূল উদ্দেশ্য...
মূল্যায়নে কৃতজ্ঞ হলাম, শুভ কামনা।

৩৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৩০

এন্তার এত্তেলা বলেছেন: না না, কাহিনী ওইটা না। কাহিনী হইল, গড তো এক অর্থে (আপনাদের মতানুসারে) সবকিছু আগেই ঠিক করে রাখছে। কে ভাল হইব কে খারাপ হইব, কে মোল্লা হইব কে গোল্লা যাইবো, ডট ডট ডট...

তাইলে, পাপ-পূন্য নিয়া ধর্মে এত লাফলাফি কেন?
কেউ খারাপ হলে ওইডা ১০০% ইশ্বরের দোষ অথবা ইচ্ছা (অনেকের দোষ কথায় এলার্জী আছে) ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:২২

আমি আস্তিক বলেছেন: নতুন কিছু বলার নাই, আগে যে কথাটা বলছি সেটাই একটু ভাইবা দেখেন....শুভ কামনা

৩৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪৪

পারভেজ আলম বলেছেন: লেখক বলেছেন: আর একটা মজার বিষয় হল ধর্মবিরোধী শক্তির পুরোটা কিন্তু নাস্তিকতা নয়, তার একটা অংশ হল ঈশ্বরবিরোধী...সেই প্রচারণা আস্তিকপ্রচারণা, তবে শয়তানের পক্ষে...
এখন কথা হল এ সকল প্রচারণার শ্রেণীবিন্যাস করতে গেলে সমগ্র ধর্মীয়প্রচারণাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়---
১. নাস্তিকতা
২. আস্তিকতা--শয়তানের পক্ষে
৩.আস্তিকতা--ঈশ্বরের পক্ষে
মজার ব্যাপার হল নাস্তিকগণ জেনে হোক আর না জেনে হোক প্রথম দুই ধরনের প্রচারণা চালিয়ে যায়--আরজ আলীও তাই করে গেছে..

এইটা আপনে কি বললেন। আরজ আলীর শয়তানের জবানবন্দিতে শয়তান একটা রুপক চরিত্র। এইটাতো কোন প্রবন্ধ না, এইটা একটা গদ্য রচনা। শয়তান চরিত্রটার মুখ দিয়া তিনি সাধারণ মানুষের কিছু প্রশ্ন উথ্যাপন করছেন। বাংলা সাহিত্যে এইরকম আরেকটা সাহিত্য শফিকুর রহমানের "স্বর্গ মুসলমানের" যেইখানে লেখকের সাথে জিবরাইলের সাক্ষাত হয়। এর মানে কি এই যে আরজ আলী শয়তানের অস্তিত্ব মানতো বা তিনি শয়তান নামক কোন অস্তিত্বের পক্ষের লোক ছিলেন, শফিকুর রহমানের মতো একজন মহা নাস্তিক ব্যক্তি জিবরাইলের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন? মোটেও না। জন মিল্টনের প্যারাডাইস লস্ট এর নায়ক তো শয়তান, তার মানে কি তিনি শয়তানের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন বা শয়তানের অনুসারী ছিলেন?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০১

আমি আস্তিক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রশ্নটা করার জন্য, প্রশ্নটা না হলে আমার বক্তব্যটা হয়তো পূর্ণতা পেত না....
ব্যাপারটা আসলে বিশ্বাসের জায়গায় না, মিল্টন বা আরজ আলী শয়তানের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতো তা আমি বলছি না, কিন্তু প্রচারণার ব্যাপারটা বলছি।
আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক নেতা যখন তার প্রতিপক্ষের অপরাধের লিষ্ট দিয়ে জনতার মনকে বিষিয়ে তোলে তখন সে ভালই জানে সে প্রতিপক্ষের নামে অনেকগুলো মিথ্যা অপবাদ্ দিয়েছে।
তারমানে সে মিথ্যা জেনেও অনেকগুলো অপবাদ সে তার প্রতিপক্ষের নামে দেয় নিজ দল ভারী করার জন্য বা নিজ বক্তব্য দৃঢ় করার জন্য।
যেসব নাস্তিক শয়তানের পক্ষ নেয় তারাও কখনো সেই একই ভাবে নিজেদের বক্তব্য জোড়ালো করে, আর এই প্রাকটিসটা খুব প্রাচীন....তাছাড়া শয়তানের পূজারী সংঘও পৃথীবিতে কম নেই...কেউ জেনে ,কেউবা না জেনে....

৩৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩৭

এন্তার এত্তেলা বলেছেন: তাঁর বইগুলো পড়ে অজানা গুলো জেনে ধর্ম পালন করা কোন সংশয় না রেখে। আশা করি সবচেয়ে ভাল হবে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৮

আমি আস্তিক বলেছেন: সহমত,
ধন্যবাদ ...

৩৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:০৩

কানা বাবা বলেছেন:
হ, আপ্নের আল্লায় বেজায় ভালু; আর গড খ্রাপ... কুব্ খ্রাপ্...

১১ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩৫

আমি আস্তিক বলেছেন: ভালো না খারাপ সেটা অনেক পরের কথা,পুরাই আপেক্ষিক বিষয়... প্রথম কথা হল আপনি যে তথ্য দিয়েছেন তার মধ্যে ঘাপলা ছিল...

৩৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:৫৯

কানা বাবা বলেছেন:
ওল্ড টেস্টামেন্ট, নিউ টেস্টামেন্ট আর কুরআনকে এ্যাক সুতায় গাঁথোনের চেষ্টা কোর্লে ঘাপ্লাটা মিনিমাইজড হৈতারে... মোজেস (মূসা), জ্যাকব (ইয়াকুব), অ্যারন (হারুন), ডেভিড (দাউদ), সলোমন (সুলাইমান) এবং ইরামের আরু ওনেকের সম্পক্কে পুরাতন নিয়মে যতোডা বিস্তারিতো কওয়া আচে নূতন নিয়মে কিম্বা কুরআনে হুবহু সেইরমের নাই... আবার কুরআনে মরিয়ম (মারিয়া), ঈসা (জিসাস), ইউসুফ (জোসেফ) সম্পক্কে এ্যামোন কিচু কওয়া আচে যেইটা আগের পুস্তকগুলানে এ্যাকইরমের কৈরা বলা নাই...
সকল আসমানী পুস্তকের উর্ফে বিশওয়াশ রাকোনের ধুয়া তুইলা পরম্পরা মাইনা নিতে চাইলে আপ্নে কি আপত্তি কোর্বেন? নাকি তাহরিফের ধুয়া তুইলা আগের্গুলারে পত্রপাঠ বাতিল কৈরা দিতে চাইবেন? তাইলে কুর্চেন আয়া পোর্বো কুন্ প্রাচীন পুস্তকের কতটুকুন সৈত্য আর কতটুকুন পরবর্তীকালের প্রক্ষেপ- হেইটা নিরুপনের মাপকাঠি নিয়া... মায় কুরআন তুরি এই দোষে দুষ্ট বৈলা ওভিযুগ আয়া পোর্তারে... তখন "ফ" আবার গাবগাছে আটকায়া যাইবোগা...

ঈশ্বর, গড, আল্লাহ্, ইলোহিম কিম্বা জিহোভা নিয়া আমার সুনির্দিষ্ট কুনু পক্ষপাত নাই... সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার ঐ জায়গাটায় বৈসা বেবাক কর্তার কীর্তিই মোর অর লেস এ্যাক হৈয়া যায় বৈলা মুনয়...

মজার বেপার হৈলু, বেদ-বাইবেলে মুহাম্মদের আগমনীবার্তার ইঙ্গিত কুন্ কুন্ চিপাচাপায় আচে হেইটারে নিয়া কিন্তুক ততোখানি সন্দো পোর্কাশ করা অয়না; যতোডা অয় ঐন্য বেপারগুলারে সূত্রবদ্ধ কোর্তে গ্যালে...
বড়ই মজার্বেপার, তাইনাহ্?

১১ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩২

আমি আস্তিক বলেছেন: হুম,মজার্বেপার :)
আপনার এ বক্তব্য পাঠে আনন্দিত হইলাম....(দুর্বোধ্য শিলালিপির অর্থোদ্ধারে যে আনন্দ হয় সেই আনন্দ আরকী :-B)

৩৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪৮

ঘাতক বলেছেন: Sotter Sondhane - Aroj Ali Matubbor

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আমি আস্তিক বলেছেন: ধইন্যা...

৪০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:২১

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: এটি তো দেখি আমি আগেই পড়েছি!:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.