নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহনশীলতাই ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক।

দেশ প্রেমিক বাঙালী

আমি একজন সাধারণ মানুষ। সর্বজন গ্রাহ্য মতামতকে প্রাধান্য দেই।

দেশ প্রেমিক বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছুই করবেনা, কিন্তু বাগড়া ঠিকই দেবে।

১৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

দৃশ্য এক
রাস্তার পাশে একটি গাছে চমৎকার একটি ফুল ফুটে আছে। ওই পথে পর পর তিনজন লোক গেলো, চতুর্থ লোক পাশের বাড়ি থেকে সব দেখছে।
প্রথম লোক, কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ফুলটার সৌন্দর্য উপভোগ করে চলে গেলো।
দ্বিতীয় লোক, ক্যামেরা বের করে ছবি তুলে নিয়ে চলে গেলো।
তৃতীয় লোক, ফুলটিকে ছিঁড়ে দলাই মলাই করে চলে গেলো।
চতুর্থ লোক কোনো প্রতিবাদ না করে ভাবলো, কোন আক্কেলে রাস্তার পাশে গাছ লাগিয়েছে, লোকে তো ছিঁড়বেই।

দৃশ্য দুই
ভীড়ের মধ্যে সুন্দর এক শাড়ি পরা একটি মেয়ে যাচ্ছে।
প্রথম লোক, মুগ্ধ হয়ে শাড়ির আর সুন্দরীর মেলবন্ধন দেখলো।
দ্বিতীয় লোক, মেয়েটিকে দেখে কবিতার প্লট খুঁজে পেলো।
তৃতীয় লোক, মনেমনে এক্সরে করে হাত বাড়িয়ে চাপ দিলো মেয়েটির বুকে।
চতুর্থ লোক, দেখে ভাবলো, সেজেগুজে ভীড়ের মধ্যে এলে লোকে হাত তো বাড়াবেই, কপাল ভালো যে, টান দিয়ে শাড়ি খুলে নেয়নি!

দৃশ্য তিন,
একজন লেখক তার ব্যক্তিগত বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে লিখেছেন।
প্রথম লোক, লেখায় যুক্তি পেয়ে পছন্দ করলো।
দ্বিতীয় লোক, পছন্দ না হলেও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার ভিত্তিতে মেনে নিলো।
তৃতীয় লোক, অনুভূতি আহত হওয়ার নামে চাপাতি নিয়ে লেখকের মাথা শরীর থেকে আলাদা করে দিলো।
চতুর্থ লোক, ভাবলো, বেশ হয়েছে! এই লেখকের চেয়ে হত্যাকারীর অনুভূতি অনেক বেশি মূল্যবান।

প্রতিটি ঘটনায় অপকর্ম তৃতীয় জন করলেও চতুর্থ জনকেও এই একই কাতারে ফেলা যায়। অন্যায় দেখে প্রতিবাদ না করে যে ভিক্টিমের দোষ খোঁজে তার অপরাধকে হাল্কা করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। সময় থাকতেই এদের চিনে রাখুন। প্রতিটি আন্দোলনের পথে এই চতুর্থ শ্রেণী নিজেরা কিছুই করবেনা, কিন্তু বাগড়া ঠিকই দেবে।




মালবিকা শীলার লেখা থেকে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

মক্ষীরাজা বলেছেন: ভাইয়ুমণিতা!!!!!!!!!

বাহ!!!!!!!!

মুগ্ধ মুগ্ধ মুগ্ধ!!!!!!!!

ঠিক পরীর দেশের রাজণ্যদের লেখা !!!!!!!!

উলে জাদুরে। উম্মা :>

২৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: উলে জাদুরে। উম্মা :<

২৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: উলে জাদুরে। উম্মা :D

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ব্লগে দেখি আপনি নিয়মিত না , এখন থেকে নিয়মিত লেখার চেষ্টা করুন......

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: থ্যাংকস ভাই মন্তব্যের জন্য।







ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

ফ্রিটক বলেছেন: পড়ে কিছুক্ষন ভাবলাম। বেশ ভাল বলেছেন

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ওমেরা বলেছেন: জী ঠিক বলেছেন দুই জনই সমান অপরাধি ।ধন্যবাদ

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৩৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: থ্যাংকস।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

নক্ষত্র নীড় বলেছেন: অামি আপনার ভক্ত হয়ে গেলাম।লিখলেই পড়বো।

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: থ্যাংকস ভাই মন্তব্যের জন্য।







ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১০

একলা ফড়িং বলেছেন: সমস্যা হলো, আমরা বেশিরভাগ মানুষই ওই চতুর্থ মানুষটার মত!

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:২৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: একদম ঠিক।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।


ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। এ হিসাবে অপরাধীকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা যেতে পারে। আপাতদৃষ্টিতে এমনটি মনে হলেও মনে রাখা দরকার যে, ক্ষমারও নির্দিষ্ট সীমা থাকতে হবে। তা না হলে অন্যায় বেড়ে গিয়ে সমাজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। বিবেকবান মানুষ হিসাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার চেতনার অধিকারী হলেও অনেক সময় মানুষ নানা কারণে দিনের পর দিন অন্যায়কে সহ্য করে। সরাসরি অন্যায় না হলেও এটি অন্যায়কে সহযোগিতা করার নামান্তর। অনেকে বিপদের ঝুঁকি থাকায় নীরবে অন্যায়কে সহ্য করে চলে। এসব প্রবণতার কারণে আজ আমাদের সমাজে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে অন্যায়কারী এবং অন্যায় সহ্যকারী উভয়ই সম অপরাধে অপরাধী।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: নূরি ভাই চমৎকার বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।





ভালো থাকুন নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.