নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহনশীলতাই ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক।

দেশ প্রেমিক বাঙালী

আমি একজন সাধারণ মানুষ। সর্বজন গ্রাহ্য মতামতকে প্রাধান্য দেই।

দেশ প্রেমিক বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বার্মিজরা ঐতিহাসিকভাবেই বর্বর

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪১


১৬২১ থেকে ১৬২৪ সাল। বার্মিজরা এই পাঁচ বছরে ৪২ হাজার বাঙালিকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। কেবলমাত্র ১৬২৯ সালের পর অল্প সময়ের মধ্যেই ধরে নিয়ে যাওয়া হয় ১৮ হাজার মানুষকে।

মগ দস্যুরা গ্রাম-কে-গ্রাম লুটপাট, হত্যা, লুন্ঠন শেষে অবশিষ্ট সম্পদ আগুনে পুড়িয়ে দিত। গ্রামের পর গ্রাম তাদের আগুনে ভষ্ম হয়েছে। বিয়ে-পূজা-পার্বন বা বড় উৎসবের সময়ও এই দস্যুরা হাজির হতো। লুটপাট আর হত্যা ছিল এদের নেশা।

ধরে নেয়া লোকজনের হাতের তালু ছিদ্র করে তার ভেতর সরু বেত ঢুকিয়ে দিয়ে বেঁধে জন্তুর মতো গাদাগাদি করে ফেলে রাখা হত জাহাজের পাটাতনের নিচে। অন্য দেশের বন্দরে নিয়ে বিক্রি করে দেয়া হত তাদের। বাঙালি বিক্রির একাধিক বাজারও ছিল বার্মায়। মগরা চট্টগ্রাম থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত দখল করে নিয়েছিল। সে সময়কার বাঙালি নারীদের দুঃখগাঁথা আর দীর্ঘশ্বাস এখনও অনেক লোকগানে পাওয়া যায়।

ফরাসি পর্যটক বার্নিয়ের-এর ভ্রমণ বৃত্তান্তে এমন ভয়ঙ্কর তথ্যই লেখা রয়েছে। মগের মুল্লুক বলে যে কথা তা এমনি এমনি লোকমুখে আসেনি। 'ইস্ট ইন্ডিয়া ক্রোনিক'স'-এর বর্ণনায় জানা যায়, ১৭১৮ সালে বার্মার রাখাইন রাজা দক্ষিণ বঙ্গ তছনছ করে অন্তত ১৮০০ জন সাধারণ অধিবাসীদের ধরে নিয়ে যায়। বন্দীদের অমানুষিক উপায়ে রাজার সামনে হাজির করা হয়। রাখাইন রাজা সেখান থেকে বেছে বেছে একদলকে তার নিজের দাস বানায়, অবশিষ্টদেরকে গলায় দিড় বেঁধে ক্রীতদাসের বাজারে বিক্রি করা হয়।
বৃহত্তর বরিশাল, খুলনা ও পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা এলাকা ছিল বলতে গেলে মগদের দখলে। উপকূলভাগ থেকে সুদূর ঢাকা পর্যন্ত নদী তীরবর্তী এলাকা প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছিল। নদী তীরবর্তী কোন বাড়িতে রাতের বেলা আলো জ্বালানো হত না এসব জলদস্যুদের ভয়ে।

১৭৬১ সালে প্রকাশিত রেসলের ম্যাপে দক্ষিণ বঙ্গে বেশ কয়েকটি জনবিরল এলাকার কথা বলা হয়। এতে কারণ হিসেবে 'মগদের দ্বারা উৎসন্ন' লেখা হয়েছে। এ সময় গোটা বাকেরগঞ্জ এলাকা প্রায় জনমানবশূন্য হয়ে গিয়েছিল। প্যারিসে রক্ষিত মোগল আমলের মাঝামাঝি পর্তুগিজদের প্রণীত একটি ম্যাপে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় পাঁচটি সমৃদ্ধ বন্দরের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু মগদের অত্যাচারে এসব বন্দর ও জনপদ পরিত্যক্ত হয় বলে মনে করেন ঐতিহাসিকরা। পরবর্তীতে ১৬৬৩ সালে সুবেদার শায়েস্তা খাঁ ক্ষমতায় আসলে মগদের বিতাড়িত করা হয় দেশ থেকে।

ইনিয়ে বিনিয়ে যেসব উঠতি বকলম যোদ্ধারা রোহিঙ্গা নির্যাতনের সাফাই গাইছেন তাদের জন্য এ লেখাটা। ঐতিহাসিকভাবেই বার্মিজরা বাঙালিদের মানুষ হিসেবে গন্য করে না। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের যেসব খবর মিডিয়ায় আসছে তা অতিরঞ্জিত নয়। এটা অনেক ক্ষেত্রে সত্য ঘটনার থেকেও অনেক কম। ১৬০০ শতক যারা নির্যাতনের এমন সব নিষ্ঠুর পন্থা জানতো, বর্তমানে তাদের নির্যাতনের ভয়াবহতা উপলব্ধির বিষয়।

আমাদের ঐতিহ্যগতভাবেই আরাকানের সঙ্গে সুস্পর্ক বিদ্যামান। সাহিত্য-সংস্কৃতির ছিল অনেক মিল। বড় বড় কবিদের জন্মও আরাকান রাজসভায়। একাত্তরেও অনেক শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল রোহিঙ্গারা। মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া নয়, এদের আশ্রয় দিয়ে সঠিক ডাটা সংরক্ষণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক শক্তিকে বাধ্য করতে হবে ব্যবস্থা নিতে। বার্মিজরা ঐতিহ্যগতভাবেই বাঙালিদের শত্রু, এটা ভুলে গেলে চলবে না।










সানাউল হক সানি লেখা থেকে।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

খালিদ আলম বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা। ধন্যবাদ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

আবু তালেব শেখ বলেছেন: সরকার তো আল্লাদ্বে আটখানা। বার্মার সাথে নাকি যৌথভাবে রোহিংগা দমন করবে। নিন্দার বদলে পাচাটা ভাব

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: হাস্যকর যতসব কথাবার্তা।







ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগল

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ধন্যবাদ।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: ধরুন আপনার আমার বাসার সামনে কিছু অসহায় মানুষকে গুন্ডারা মেরে ধরে রাস্তায় ফেলে গেছে মরার জন্য। কাছাকাছি আছি আপনার আমার মত কিছু সামর্থ্যবান মানুষ এবং কিছু ভিখারি।এখন কার উচিৎ ঐ অসহায় মানুষদের সাহাযার্থে এগিয়ে আসা? অথবা কে তাদেরকে পারবে সত্যিকার অর্থে সাহায্য করতে? মানবিকতা , বিবেকবোধ নিশ্চই আপনার আমারই বেশি থাকা উচিৎ। আমরা চাইলেই সেই গুন্ডাদের সায়েস্তা করে সেই দুখী মানুষদের ফিরিয়ে দিতে পারি তাদের সব কিছু।
রোহিঙ্গা ইস্যূটাও কি তেমন একটি ইস্যূ নয়? চাইলেই এই পৃথীবির সামর্থবান দেশগুলো এক মিনিটেই সায়েস্তা করতে পারে মিয়ানমারকে। উন্নত বিশ্বের যে সব দেশে মিয়ান্মারের নাগরিকরা আছে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেবার একটা হুমকি দিলেই মিয়ানমার এক মিনিটে ভাল মানুষ হয়ে যেতে বাধ্য। জাতিসংঘ মিয়ানমারকে যে ভাষায় অনুরোধ জানাচ্ছে তাতে মনে হতে পারে যে তারা মিয়ানমারের দাস! মিয়ান্মারের টাকায় মনে হয় জাতিংঘের মহাসচিবের বেতন দেয়া হয়!বাদ বাকি উন্নত বিশ্বের চুপ থাকায় মনে হচ্ছে যে তারা এই জেনোসাইড উপভোগ করছে!

মানবিকতা কেবল আমাদের মত ভিখারির কাছ থেকে কেন আশা করা হয়? মিয়ান্মারের গনহত্যার ছবি আমাদের মত ভিখারিদের সামজিক নেটওয়ার্কে নয়, বিবিসি, সিএনএন এর মত নেটওয়া্ররকে প্রচারিত হওয়া উচিৎ। যারা এই সব বিভৎস ছবি বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করছেন তাদের কাছে অনুরধ দয়া করে এইগুলো জায়গামত পোস্ট করে সামর্থবান দেশের মানুষের বিবেকবোধ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। রোহিঙ্গারা উপকার সেটাতেই বেশি হবে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার কথা সবই ঠিক আছে। তবে একটা কথা মনে রাখবেন ছোট ছোট কোন কিছুই ফেলনা নয়। কোন সময় বিন্দু বিন্দুই সিন্ধু হয়।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

ফাহমিদা বারী বলেছেন: বেশ ভালো লেখা। তথ্যসমৃদ্ধ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।







ভালো থাকুন নিরন্তর।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

আদর্শ সৈনিক বলেছেন: চমৎকার লেখা

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।







ভালো থাকুন নিরন্তর।

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: রহিঙ্গাদেরকে লড়াই করতে হবে নিজস্ব জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।

রহিঙ্গাদেরকে লড়াই করতে হবে নিজস্ব জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।


রহিঙ্গাদেরকে লড়াই করতে হবে নিজস্ব জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।

রহিঙ্গাদেরকে লড়াই করতে হবে নিজস্ব জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।



৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: রহিঙ্গাদেরকে লড়াই করতে হবে নিজস্ব জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।


৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: রহিঙ্গাদেরকে লড়াই করতে হবে নিজস্ব জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।


রহিঙ্গাদেরকে লড়াই করতে হবে নিজস্ব জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।


১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: রহিঙ্গাদেরকে লড়াই করতে হবে নিজস্ব জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।


১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: রহিঙ্গাদেরকে লড়াই করতে হবে নিজস্ব জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।

১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বার্মার মানুষ হায়েনার মত নিস্ঠুর

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এরা এতোটায় নিষ্ঠুর হায়েনা যে কোনখানে কোন অঘটন ঘটলে লোকে বলে এটা মগের মুলুক। প্রবাদই হয়ে গেছে মগের মুলুক।






ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বার্মার মানুষ হায়েনার মত নিস্ঠুর; বাংগালীরা বার্মিজদের থেকে সামান্য কম নিষ্ঠুর

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বাঙালীরা ওদের থেকে শত সহস্রগুন মানবিক।






ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১০

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: সুচি আপা কাদের লোক এটা নিশ্চই বলে দিতে হবে না্।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: হুম! :(






ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.