নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারণ মানুষ। সর্বজন গ্রাহ্য মতামতকে প্রাধান্য দেই।
আঙুলের ছাপ দিয়েই খুলে যাচ্ছে মোবাইলের লক, গেটের তালা,অফিসের উপস্থিতি, ফিঙারপ্রিন্ট নিয়েই যাচাই করা যাচ্ছে কে অপরাধী, এই ফিঙারপ্রিন্ট ডিটেকশান সিস্টেম প্রথম কে আবিষ্কার করেছিল জানেন? তারা ছিলেন দু্ইজন বাঙালী। তাদের নাম খান বাহাদুর কাজী আজিজুল হক ও আরেকজন হেম চন্দ্র বোস। খান বাহাদুর কাজী আজিজুল হক এর বাড়ি খুলনা জেলার কসবার পায়গ্রামে। তিনি কাজ করতেন তৎকালীন বেঙল পুলিশে।
ফিঙারপ্রিন্ট নিয়ে অনেকেই আগে কাজ করেছেন কিন্তু এর প্র্যাকটিক্যাল ইউজ কি? কিভাবে যাচাই করা যায়? কিভাবে ফিঙারপ্রিন্ট দিয়ে আলাদা করা যায় মানুষকে সেটা প্রথম আবিষ্কার করেন বাংলাদেশের কাজী আজিজুল হক ও আরেকজন হেম চন্দ্র বোস।
ব্রিটিশ আমলে বেঙল পুলিশের আইজি ছিলেন এডওয়ার্ড রিচার্ড হেনরি। তিনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে গবেষণার জন্য নিয়োগ করেন দুই বাঙালী প্রতিভাবান, একজন গণিতবিদ কাজী আজিজুল হক, আরেকজন হেম চন্দ্র বোস।
কাজী আজিজুল হক ও হেমচন্দ্র বোস ৭০০০ ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলেন। অনেক পরিশ্রম করে একটা গাণিতিক সূত্র দাড় করলেন যেটা দিয়ে ফিঙারপ্রিন্ট যাচাই এর মাধ্যমে মানুষ সনাক্ত করা যায়। যা আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিশাল বড় আবিষ্কার। এই পদ্ধতির নাম হওয়া উচিত ছিল "বোস-হক আইডেন্টিফিকেশান সিস্টেম"। কিন্তু ওখান থেকেই ইংরেজদের বেঈমানী শুরু।
পুলিশের আইজি হেনরী সাহেব এবার সবার কাছে প্রচার করা শুরু করলেন যে এই ফিঙারপ্রিন্ট ডিটেকশন সিস্টেম আবিষ্কার করেছেন উনি নিজেই। এমন কি কাজী আজিজুল হক ও বোসকে কোন রকম স্বীকৃতি দিতেই অস্বীকার করলেন। তিনি চুপি চুপি একটা পেপার পাবলিশ করেও ফেললেন নিজের নামে।
ব্যাশ, বাংলাদেশের কাজী আজিজুল হক ও বোস আবিষ্কৃত সিস্টেম এর নাম হয়ে গেল "হেনরী ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম"
"হেনরি ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম " এখন জগৎ বিখ্যাত, মোবাইলের টাচে, অফিসে, অপরাধী সনাক্তকরণে বলতে গেলে যত্ত জায়গায় ফিঙারপ্রিন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে, তত জায়গায় এই হেনরি ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম-ই ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজ করে গেল আমাদের সূর্য্য সন্তান, কিন্তু নাম হচ্ছে এক বেঈমান ব্রিটিশের। যদিও কিছুদিন আগে ব্রিটেনের "দ্যা ফিঙারপ্রিন্ট সোসাইটি" চালু করেছে "The Fingerprint society Azizul Huque & Hemchandra Bose prize"। ওদিকে যে সিস্টেমের নাম হতে পারত "হোক-বোস সিস্টেম " তা আজ-ও "হেনরি ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম"-ই রয়ে গেছে।
আর বাঙালি জাতির কাছে অজানায় থেকে গেছেন আমাদের আজিজুল হক ও বোস।
এখানে দেখা যেতে পারে।
ফেসবুক থেকে নেয়া জাস্ট কাটপেস্ট।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: Thanks.
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বিষয়টি আমার একেবারেই জানা ছিলো না।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমিও জানতামনা। শুধু জানার জন্য দিলাম।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: বাঙালি তবে ভারতীয়
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার লেখায়, এই ২ জনের পদ্ধতি সম্পর্কে কোন সাল তারিক নেই কেন? সাল তারিখ দেন, তখন বিষয়টা পরিস্কার হবে।
৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৩
গরল বলেছেন: উইকিপিডিয়াতে যে কেউ যে কোন কিছু লিখতে পারে, আপনিও ইচ্ছা করলে ঐ লিংকে যেয়ে এডিট করতে পারবেন। সম্ভবত কেউ দুই হেনরীকে মিলিয়ে ফেলেছে। আমি আপনাকে অথেনটিকেটেড সরকারি লিংক দিচ্ছি, পড়ে দেখুন।
Division of Criminal Justice - New York State Government
During the 1870's, Dr. Henry Faulds, the British Surgeon-Superintendent of Tsukiji Hospital in Tokyo, Japan, took up the study of "skin-furrows" after noticing finger marks on specimens of "prehistoric" pottery. A learned and industrious man, Dr. Faulds not only recognized the importance of fingerprints as a means of identification, but devised a method of classification as well.
৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:১১
গরল বলেছেন: A less dramatic but more plausible version of this breakthrough maintains that Sir Henry's Indian assistant, Khan Bahadur Azizul Haque, devised the mathematical formula, then found himself frustrated by Henry's lack of comprehension when he attempted to explain it to him.
এখানে আযিযুল হকের অবদানের কথাও বলা হয়েছে, তবে আবিষ্কারক হেনরী সাহেবই। আমি উইকিপিডিয়া আপডেট কোরে দিয়েছি, দেখতে পারেন।
৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:১৩
সোহানী বলেছেন: জানা ছিল না।
৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:৫৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: জানা ছিলো না। পড়েই জানলাম
৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বাঙালীকে ঠকিয়ে গেল ওরা চিরকাল।
১০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: অজানা একটা বিষয় জানালেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৭
জটিল ভাই বলেছেন:
তাইতো
যে দেশে গুণির কদর নেই,
সে দেশে গুণী জন্ম নেয় না!
১২| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার, মনোমুগ্ধকর তথ্য! বিষয়টি নিয়ে এখানে আলোচনা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মন্তব্যে অধিকতর আলোকপাত করার জন্য গড়লকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পোস্টে সপ্তম ভাললাগা। + +
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২১
আল আমিন হাসান সাদেক বলেছেন: আইফেল টাওয়ার । Eiffel Tower । পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র । DURBEEN BANGLA