![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
নিচের ঘটনাটা দিনাজপুর, উপশহরের। ঘটনাগুলো জেনেছি আমার স্ত্রীর কাছে।
আমার শ্বশুর শহরের পাশে একটি পুরাতন টিনের বাড়ি কেনেন। বাড়ির প্রথম মালিক ছিলেন একটি হিন্দু পরিবার। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এক বিহারীর কাছে তারা বিক্রি করে চলে যায়। সেই বিহারীর কাছ থেকে সস্তায় বাড়িটি কেনেন আমার শ্বশুর ১৯৮৮ সালে। ওঠার পর থেকেই তারা অস্বাভাবিক কিছু বুঝতে পারেন। কিন্তু সবকিছু অগ্রাহ্য করে দিন কাটাতে থাকেন। হাজার হলেও নিজেদের বাসা।
বাসাটির ডিজাইন সম্বন্ধে ধারনা না দিলে হয়ত ব্যাপারটি বোঝা যাবে না। বাসাটি ছিল ৪ কোনা কিন্তু ঘরগুলো ছিল ইংরেজী " L " সেপ্ড। মানে ঘর গুলো " L " এর দাগের বরাবর। দুটো উঠোন। একটি বাসার ভেতরের পেছনের অংশে। অন্যটি বাসার সামনে রোডের সাথে লাগানো। সামনের উঠোনটা সরকারী জায়গা। তবে ঘিরে নিয়ে উঠোন মত করা। পেছনের উঠোনটিতে ৩টি ভিন্ন ভিন্ন রঙের জবা গাছ, একটি গাব গাছ, ডেওয়া, কাঁঠাল ও বরই গাছ ছিল। কাঁঠাল গাছের গোড়ায় টিউবয়েল। আর গাব গাছের পাশে পায়খানা ছিল। বাসায় বাউন্ডারী দেয়া। আর বারেন্দা থেকে টিনের চালা এক মানুষ উঁচু ছিল। রান্না ঘর টিউবয়েলের পাশে। বারান্দার শুরুর মাথায় ডাইনিঙ স্পেস। এই ডাইনিঙ স্পেসের গা ঘেসে বরই গাছ। অন্যদিকে সামনের আঙিনায় একটা বড় পেয়ারা গাছ, আর কিছু ফুলের গাছ ছিল।
আমি এখন ঘটনায় চলে যাচ্ছি।
১.
ঐ বাড়িতে ওঠার পর, আমার শ্বশুর-শ্বাশড়ী দুজনই লক্ষ্য করলেন, মাঝরাতে তাদের বারান্দায় প্রায় প্রত্যেক দিন, দু তিন জন মানুষ কথা বলে। প্রথম প্রথম চোর ডাকাত মনে করলেন। পরে একদিন নারী কন্ঠও শুনলেন। এভাবে চলার কিছুদিন পর সাহস করে তারা বের হতেন, কিন্তু কোন কিছু দেখা যেত না। দরজা বন্ধ করার কিছু পরেই আবার কথাবার্তা শুরু হত।
এরপর প্রতিরাতেই টিউবয়েল চাপার শব্দ পাওয়া যেত। মনে হত কেউ যেন কল চাপছে এবং গোসল করছে। কিন্তু গিয়ে দেখা যেত কলের পাড় একেবারে শুকনা। কোন শব্দও নেই। প্রশ্ন জাগতে পারে, অন্য টিউবয়েলের শব্দ শোনা যেত কিনা । কিন্তু মজার ব্যাপার হল, ঐ এলাকায় কাছাকাছি ৩ টা বাসা ছিল, যার মধ্যে শুধু আমার শ্বশুরের বাড়িতে টিউবয়েল ছিল। আর তাছাড়া নিজের টিউবয়েল চাপার যে শব্দ, তা অবশ্যই বাড়ির লোকদের চেনা থাকে। কাজেই ভুল হবার কথা না। তবুও তারা প্রমানের অভাবে চুপ থাকলেন।
এরপর একটা বিশেষ ঘটনা ঘটল। তখন সময়টা ১৯৮৯ সাল। শীতের শুরুতে, মাঝরাতে আমার শ্বাশুরী টয়লেটে গেলেন, হেরিকেন হাতে। হঠাৎ তার মনে হল, কেউ যেন তার পিছে পিছে আসছে। কিন্তু পিছনে ঘুরে দেখলেন কেউ না। টয়লেটের সিঁড়িতে পা রাখতেই মনে হল, কেউ যেন গা ঘেসে গেল। টয়লেট সেরে বের হতেই তিনি লক্ষ করেলেন ভীষণ ঝড় হচ্ছে। মনে হচ্ছে ডাল পালা ভেঙ্গে পড়বে। তিনি তাড়াতাড়ি করে উঠোন পেরিয়ে বারান্দায় পা রাখলেন। ঠিক সে সময়, এক দমকা হাওয়াতে ওনার হেরিকেন নিভে যায়। সেই সাথে বুঝতে পারলেন, তিনি শূন্যে উঠে যাচ্ছেন। তিনি এতটাই উঠে গেছেন যে, শেষে টিনের চালা টেনে ধরেলেন। আল্লাগো বলে চিৎকার দিয়ে, জোরে জোরে দোয়া দরুদ পড়া শুরু করেন। সাথে সাথে ৩-৪ হাত উপর থেকে পড়ে যান তিনি এবং পা মচকান। আমার শ্বশুর তখনও ঘুমাচ্ছিলেন। ঘরে ঢুকে দেখতে পান তার বুড়ো আঙ্গুলের নখটাও উপরে গেছে।
পরের দিন তাবিজ দেয় ইমাম সাহেব। আর বলা হয় যে, প্রেগনেন্ট অবস্থায় একা রাতের বেলায় কোথাও যাওয়া যাবে না। এর দু'তিন
পর তিনি স্বপ্নে দেখেন যে, কেউ একজন ওনাকে বলছে, তার সাথে যেতে হবে। নয়ত একটা সন্তান মেরে ফেলবে।
এই ঘটনার ঠিক এক মাস পর, যখন প্রেগনেন্সির সাড়ে সাত মাস চলছে, বাদ এশা ওনার ডেলিভেরি পেইন ওঠে। আমার শ্বশুর দাই ডেকে আনেন। রাত দুটার দিকে ডেলিভেরী হয়, কিন্তু শিশুটি মিনিট দশেক পর মারা যায়। সে রাতেই দাই চলে যায়। আমার শ্বশুর মৃত শিশুটিকে তুলা আর তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে ঘরের মেঝের এক পাশে রাখেন। ঘর কম থাকায় অন্য দুই বাচ্চাকে (যাদের বয়স ছিল ৩ বছর ও ২ বছর) চাচা শ্বশুরের সাথে এক ঘরে রাখেন। আর আতুর ঘরে আমার শ্বশুর বিছানার উপরে শুয়ে পড়েন, শ্বাশুরী মেঝেতে শুয়ে ছিলেন। তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, ফজরের নামাজ শেষে ইমাম কে ডেকে নিয়ম মাফিক দাফন করা হবে। শীতের রাত হওয়ায় দরজা জানালা সব লাগানো ছিল। এক ফাঁকে তারা ঘুমিয়েও পড়েন।
ভোরে আযান শুনে ঘুম ভাঙ্গে। আমার শ্বাশুড়ী খুব দুর্বল ছিলেন। তারপরেও বাচ্চাটার মুখ দেখতে চান, শেষবারের মত। আমার শ্বশুর বিছানা থেকে নেমে প্যাচানো তুলা আর তোয়ালা ওনার কাছে নিয়ে আসলেন। কিন্তু দেখলেন ভেতরে কিছুই নেই। দুজনেই স্তম্ভিত। ঘরের সব কোনায় কোনায় তন্ন তন্ন করে খুঁজলেন, কিন্তু কোন ইঁদুর, বিড়াল বা চিকা কিছুই পেলেন না, যা কিনা খেয়ে ফেলতে পারে বা টেনে সরে নিয়ে যেতে পারে। আশ্চর্যের ব্যাপার হল, যে ভাজে শিশুটিকে তোয়ালের ভেতর রেখেছিলেন, ভাজটা সেরকমই ছিল।
সাথে সাথে ইমাম কে জানান হল। উনি যা বললেন, তা হল, দাই এসে গা থেকে সব তাবিজ কবজ খুলে ফেলেছিল, তাতেই এই সমস্যা হয়েছে। খারাপ কিছু বাচ্চাটাকে নিয়ে গেছে বা খেয়ে ফেলেছে।
২.
এরপর মোটামুটি ভালই গেছে বেশ কয়েকটা বছর। পরে আরও ৩ সন্তান জন্ম নেয়। ঘটনা নতুন করে শুরু হয় ১৯৯৭ এর মাঝামাঝি থেকে। তখন আমার ওয়াইফ ক্লাস সেভেনের ছাত্রী। ঘুমের ঘোরে হঠাৎ হঠাৎ বুঝতে পারে যে, রাতে কে যেন তার গায়ের কাঁথা আস্তে আস্তে টেনে নামায়। কিংবা মনে হয় ঘরের ভেতর কেউ যেন হাঁটাহাঁটি করছে।
এদিকে এক কবিরাজের কথা মত লোহার গ্রিল দিয়ে বাসার ভেতরের আঙিনাটাকে পুরোপুরি পৃথক করা হয়েছে। গাব গাছ কেটে ডেউয়া ফলের গাছ লাগান হয়েছে। টয়লেটটা বাসার ভেতরে বানান হয়েছে। পেয়ারা গাছটা মরে গেছে। বাকিটা আগের মতই আছে।
আমার স্ত্রী হঠাৎ এক সন্ধ্যায় দেখেন, গ্রীল ধরে এক মোটা সোটা লম্বা মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। চিৎকার দেয়ার সাথে সাথে চোখের সামনে থেকে লোকটা উধাও হয়ে যায়। এরপর আমার শ্বাশুরী মাঝ রাতে শুনতে পান যে কেউ যেন ডাইনিং স্পেসে মেয়েলি কন্ঠে ফিস ফিস করছে। তখন আমার শ্বশুর দেশে নেই। তাই তিনি নিজেই দরজা খুললেন, তারপর একটা নারী মুর্তিকে ভ্যানিস হয়ে যেতে দেখলেন। এসবের পরে উনি বিভিন্ন কবিরাজের কাছে দৌড়াতে থাকেন। কিন্তু কাজ হয়না। দিন কে দিন ভীতিকর অবস্থা বাড়তে থাকে।
এভাবে দিন যাচ্ছিল। এরপর আমার স্ত্রী এস.এস.সি পাশের পর একটা অদ্ভূত ঘটনা ঘটে। সকালে উঠে টয়লেটে যাবে। রান্নাঘর পেরিয়ে টিউবয়েল, তার পেছনে নতুন টয়লেট। কিন্তু রান্না ঘরের সামনে আসতেই দেখে, চক দিয়ে পাকা মেঝেতে কেউ যেন গোল করে আলপনা এঁকেছে। সে টয়লেটে না গিয়ে তার মাকে ডাকে। তারা দেখতে পায়, গোল সারকেলের মধ্যে কিছু ঘর কাটা। তার মাঝে আরবীর মত হরফ লেখা। সেটি মুছে ফেলার চেষ্টা করে কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। কিছুপরে ঐ চিত্রটি আপনা আপনি উধাও হয়ে যায়। এরপর একসঙ্গে ২ টা সারকেল দেখল। তবে অন্যদিন। সেবারের অক্ষরগুলো ঠিক বুঝতে পারেনি। সেগুলোও আপনা আপনি ভ্যানিস হয়ে যায়।
আরও টুকরো টুকরো যে সব ঘটত সেগুলো সংক্ষেপে বলছি, ডাইনিং স্পেসে আর টয়লেটের সামনে মাসিককের রক্ত পড়ে থাকত। কখনও মাথার খুলি, কখনও শশ্মানের পোড়া মাটি, লাল কাপড়ের টুকরা, এসব পড়ে থাকত। রাতের বেলা বা খাড়া দুপুরে টিনের চালের উপর দিয়ে লাফালাফি বা জোরে জোরে হাঁটার মচ মচ শব্দ পাওয়া যেত । কিন্তু সাথে সাথে গিয়ে একটা বিড়াল পর্যন্ত পাওয়া যেত না। আবার নেমে আসার সাথে সাথে শব্দ শুরু হত।
মাঝে মাঝে ওড়না বা লুঙ্গি উঠোন থেকে নাই হয়ে যেত। একদিন রাতে সাবাই খেতে বসেছে, দেখল, আমার স্ত্রীর একটা ওড়না বারান্দায় উড়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিক ওড়া না, অনেকে যেমন মাথার উপর দিয়ে পেচিয়ে ঘাড়ে একটা অংশ ফেলে হাঁটে, তেমন করে হাটছে বা উড়ছে। অথচ তখন কোন ঝর বৃষ্টি বা বাতাস ছিল না।
এভাবে দিন যাচ্ছিল। পড়ে টিউবয়েলের কাছে এবং ডাইনিং স্পেসের ঢালাই করা মেঝে খুড়ে অনেক গুলো তাবিজ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় টিনের চালের ফাঁকে, গাছের ডালে, আলমারির ভেতরে তাবিজ পাওয়া গেছে। ওদের ধারনা, জ্বীন পরী বা অশুভ কিছুর মাধ্যমে এসব রাখা হয়। তিন মাস আগেও আমি যখন শ্বশুর বাড়ি যাই, বাগানের ভেতরে আমি ২ টা নতুন তাবিজ পেয়েছি। যার ভেতরে কিছু মাটি, একটা সুতা, একটা কাগজ, কাগজে নকশা আঁকা, ভেতরে কিছু সেম্বলের আঁকাআঁকি।
একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, আমার স্ত্রী ওই বাসায় আগুনের গোলাও উড়তে দেখেছে আমাদের বিয়ের আগে। রিসেন্টলি ওই বাসায় আমাদের ডিজিটাল ক্যামেরার কিছু ছবিতে আগুনের গোলার মত কিছু একটা ধরা পড়েছে। আমি ঠিক জানি না এটা কি? লেন্সের ধূলার কনাও হতে পারে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, ৪ টা ছবির ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় এই আগুনের গোলার ছবি। ধূলার কনা হলে লেন্সের একই জায়গায় থাকার কথা। অথবা পরপর সব ছবিতে থাকার কথা। কিন্তু এই ব্যাপারটা ঘটেছে রানডমলি।
আজ এ পর্যন্তই।
১৬ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:১৭
অপলক বলেছেন: জানি না ভাই... যারা এগুলো ফেস করেছে, তাদের গা এ এখনও কাটা দিয়ে ওঠে। আমি নিজে গা শিউরে উঠতে দেখেছি।
২| ১৬ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:৩০
যামিনী সুধা বলেছেন:
কোন বিষয়ে আপনি কতদুর পড়ালেখা করেছেন?
১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:৩৭
অপলক বলেছেন: আপনার কি মনে হয়?
৩| ১৬ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:৪৩
যামিনী সুধা বলেছেন:
জীবিত, কিন্তু দেখা যায় , উহা না ব্যাকটেরিয়া। যা দেখা যায় না, উহা যদি সেলের থেকে হয়, সেটা ব্যাকটেরিয়া। কথা বলতে পারে শুধু মানুষ; এগুলো প্রতিষ্ঠিত সত্য। ভুত, জ্বীন, শয়তান, পেত্নী, এগুলো রুপকথার অংশ। নিজের বেকুবীকে "সত্য ঘটনা" বলাটা আরো বড় বেকুবী মাত্র।
১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:১৬
অপলক বলেছেন: আপনার কথাবার্তা 'অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী' প্রবাদের সাথে মিলে যায়।
কুরানে আছে, আমি আল্লাহ জ্বীন ও মানুষকে কেবল মাত্র আবার ইবাদতের জন্যে সৃষ্টি করেছি। আর অন্য সকল সৃষ্টিকে তাদের উপকারের জন্যে।
আমি বেকুব হতে পারি, আমার সৃষ্টিকর্তা নন। আমি আল্লাহতে বিশ্বাসী। ইসলামে ভূত, জ্বীন, শয়তান, পেত্নী, পিশাচ, শাকচুন্নী, কন্ধকাটা ইত্যাদি সব কিছুকে জ্বীন বলে নাম করন করা হয়েছে। বিশ্ব ব্রাক্ষ্মান্ডের সব কিছু যদি আপনার ১৪০০গ্রাম মগজে থাকতো, তাহলে এই সামুর মত ছোট্র বাংলা ব্লগে কে কি লিখছে সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা না বা সেটার ইচ্ছা মাথাতেই আসতো না। বিশ্ব ব্রাক্ষ্মান্ড ছাড়েন, এই পৃথিবীর সব কিছু যদি জানতেন তাও বাদ দেন, যদি বাংলাদেশের ব্যাপারে সব কিছু জানতেন তাও হত। আমার পড়ালেখা কতদূর সেটাই তো জানেন না।
আপনি এও বলছেন, 'খালি চোখে ব্যাকটেরিয়া দেখা যায় না, অথচ তারা জীবিত সেল থেকে হয়'।
দেখুন আপনার দেখার ক্ষমতাই সীমিত। আপনি আমি শুধু দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যদি ৪০০-৭০০এন.এম হয়, সেটুকুই দেখি। আপনি আর আপনার বিজ্ঞানীরা মাত্র ৭টি মৌলিক রঙের কম্বিনেশন দেখেন। আপনি আর পার্থিব দুনিয়ার কত টুকুই বা দেখেন?
কথা অধিকাংশ প্রাণী বলে থাকে। আপনি আমি বুঝি না তাদের ভাষা । ্আমাদের সীমাবদ্ধতার জন্যে এটা বলা ঠিক নয়, মানুষ ছাড়া কেউ কথা বলতে পারে না। এ.আই ইতোমধ্যে কুকুর সহ বিভিন্ন প্রাণীর ৭০% কথা ডিকোডেড করে মানুষের ভাষায় যা ১০০% সঠিক। দয়াকরে নেট ঘেটে দেখুন।
আপনি তো বর্তমান দুনিয়ার খবরই রাখে না। অথচ আবিষ্কার করে ফেলেছেন, আমি বেকুব, বেকুবী পোষ্ট করছি।
জ্বীন ভূত আছে কিনা, সাইনটিফিক্যালী সেটা প্রমানিত হয়েছে। যার উপর ভিত্তি করে আমেরিকায় ১৯৬২ সালে একটি আদালত খুনের ঘটনার রায় দিয়েছিল। দু:খের সাথে বলছি আপনার ভাগ্য ভাল, এ মুহূর্তে আমি কন্টেন টা অনলাইনে খুঁজে পাচ্ছি না।
তবে জ্বীনের অস্তিত্ব নিয়ে লেখা একটি প্রকাশনা পড়তে পারেন, নিচের লিঙ্ক থেকে:
LIFE IN THEE SUN
৪| ১৬ ই মে, ২০২৫ রাত ১:০৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমিও একবার জীন দেখেছিলাম। খালের পাড়ে ছিল এক হিজল গাছ। গাছটায় জীবন আছে সবাই বলতো, একদিন আমি সন্ধ্যার পরে যখন ওদিকটায় আসছিলাম তখন দেখি খালের এ পাড় ওড়াছ দুই পা দিয়ে জীন দাঁড়িয়ে রয়েছে! কী একটা অবস্থানা তখন হয়েছিল।
১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:২০
অপলক বলেছেন: তারপর ?
৫| ১৬ ই মে, ২০২৫ রাত ২:২৩
যামিনী সুধা বলেছেন:
৮০ ভাগ বাংগালী মিথ্যা বলে থাকে।
১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:২১
অপলক বলেছেন: আমি বাকি সেই ২০ জনের মধ্যে একজন। আপনি মনে হয় ৮০র দলে।
৬| ১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:৫৯
যামিনী সুধা বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপনার কি মনে হয়?
-আমার মনে হয়, প্রশ্নফাঁস!
১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:৩১
অপলক বলেছেন: মজা পাইছি। সুধা বইন শুনেন, আমি স্বশিক্ষিত। অশিক্ষিত বা কুশিক্ষিত না। আমি প্রতিদিন একটু একটু করে শিখি। ভুল হলে স্বীকার করি।
তবে একটু নিজের ঢোল নিজে পিটাই: আমি এমন একটা মানুষ যে কিনা বুকে হাত রেখে বলতে পারে, কোনদিন একটা লাইনও নকল করেনি, স্কুলের স্যারদের হাতে বেত্রাঘাত খায়নি (গনপিটুনি খেয়েছি ক্লাসের দোষী নিদোর্ষী সবাই যখন খেয়েছে)। স্কুল কলেজ বা ভার্সিটির ক্লাস কখনও মিস দেয়নি। প্রশ্নফাঁস তো দূর কি বাত...
৭| ১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:২৮
জনারণ্যে একজন বলেছেন: আরে, আমাদের জ্বিন বিশেষ-অজ্ঞ দেখি জ্বিনের ক্লাসিফিকেশন নিয়া হাজির হয়ে গেছে! 'প্রেমিক জ্বিন' হা হা হা হা।
আমিও একবার জ্বিন দেখেছিলেম বটে। সুদীর্ঘদিন আগের কথা। সুন্দরবন বেড়াইতে যাইয়া বিকেলে বের হইছি পার্শ্ববর্তী গ্রাম পরিভ্রমনে। কি আর কমু রে ভাই- এমন ইয়ে লাইগা গেলো হঠাৎ কইরা! ছোট ইয়ে আর কি।
রাস্তার পাশেই খাল.....খাড়ায়া গেলাম চোখ বন্ধ কইরা। মুখে আবার সিগারেট।ছ্যার-ছ্যারায়া যেইনা জলপ্রপাত ছাইড়া দিলাম; অমনি বাবাগো-মাগো বইলা বিকটদর্শন, পুরাই নাঙ্গা, মিশমিশে কালো এক প্রাণী জঙ্গল হ্যাঁচড়ায়া-পাঁচড়ায়া নিচের নিচের খালপাড় থিকা উপরে উইঠা আইসা রাস্তা ধইরা নিমেষে মিলায়া গেলো। যে গতিতে মিলায়া গেলো, বুঝলাম জ্বিন না হইয়া যাই'ই না!
জ্বিন বাবাজি লুঙ্গি খুইলা বড়ো ইয়ে করতে বসছিলো, জলপ্রপাতের ঈষদুষ্ণ গরম পানি গায়ে পড়তেই লুঙ্গি রাইখা দিগম্বর হইয়া দৌড় মারছে।
হায়! তারপর কত চন্দ্রভূক অমবস্যা গেলো!! আমেরিকাতে আসার পরেও জঙ্গলে-ফঙ্গলে-বন-বাদাড়ে কত বিনিদ্র রজনী পার করলাম, জলপ্রপাত বইয়ে দিলাম কতবার - মাগার ….দিগম্বর জ্বিন বাবাজি আর দেখা দিলো না।
দেখা দেবেই বা কিভাবে! বেচারাদের সহবাস থুক্কু বসবাস হইলো দু'পেয়ে নির্বোধ, অকাট-মূর্খদের মস্তিষ্কে।
১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:৩৯
অপলক বলেছেন: হাসতে হাসতে পেট ব্যথা ধরে গেল দাদা... আরও মজার ঘটনা লিখবেন কিন্তু।
দোয়া রইল, আপনার জ্বীন দেখার অপূর্ন আশা যেন আল্লাহ পূরন করেন। সে দেখাটা পাবার পর বাকিটা জীবন যেন অহংকারের পরিসমাপ্তি ঘটে।
৮| ১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬
জনারণ্যে একজন বলেছেন: জ্বি, আইচ্ছা।
মাগার আপনার আশা পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য। কারণ শকুনের দোয়ায় কখনোই গরু মরে না।
প্রয়োজনে এই ব্যাপারে ব্লগের তথাকথিত জ্বিন বিশেষ-অজ্ঞের সাহায্য নিতে পারেন।
১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:৫৭
অপলক বলেছেন: কিন্তু আমি বাস্তব দেখতে পাই। গরু না, যে কোন কিছুু মরলেই শকুন চলে আসে... 911 কল করলে শুধু পুলিশ আসে।
ধন্যবাদ আ্যামেরিকান প্রবাসী। ভাল থাকবেন।
৯| ১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ধরে নিলাম আপনার গল্প সত্য।
অলৌকিক কিছু নেই। যা মানুষ ব্যাখ্যা করতে পারে না, সেটাই তার কাছে অস্বাভাবিক।
আপনার গল্পের সহজ ও সুন্দর ব্যখ্যা আছে।
১০| ১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
অজ্ঞদের কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। ইসলামের দৃষ্টিতে এই ধরনের ঘটনা অদৃশ্য জগতের বাস্তবতারই প্রমাণ, যা কুরআন ও হাদীসে বারবার উল্লেখ আছে। জ্বিন বা অশরীরী অস্তিত্ব আমাদের ক্ষতি করতে পারে, তবে আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কিছুই ঘটে না।
এই ধরণের বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত নামাজ আদায়, কুরআন তিলাওয়াত (বিশেষ করে সূরা বাকারা), দোয়া-দুরুদ ও যিকিরের মাধ্যমে আত্মা ও ঘরকে রুহানিয়াতপূর্ণ রাখা উচিত।
কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী রুকিয়া করা উচিত, কুফরি তাবিজ-কবচ বা অজ্ঞতামূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকা জরুরি। আল্লাহ তাআ'লা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন।
১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:২৪
অপলক বলেছেন: আমিন...
১১| ১৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭
যামিনী সুধা বলেছেন:
জ্বীন হচ্ছে আদি আরবের বেদুইনদের রূপকথা, সেজন্য ইহা কুরানেও স্হান পেয়েছে। কুরানে আরো অনেক রূপকথা স্হান পেয়েছে।
১২| ১৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:০০
নতুন বলেছেন: দুনিয়াতে অলৌকিক কিছু ঘটেনা।
যেইগুলির ব্যাক্ষা করতে পারেনা সেইগুলিকেই অলৌকিক বলে চালিয়ে দেয়।
হয়তো ঐ বাড়ীর লোভে কেউ এই কাজগুলি করছে যাতে বাড়ী বিক্রি করে চলে যায়।
দুনিয়ার প্রতিটা কাজের পেছনেই কোন না কোন কারন থাকে।
খুজে দেখুন অবশ্যই এই রহস্যের কিনারা করা সম্ভব।
১৩| ১৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:১০
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আশেক জীন এর কথা এই প্রথম শুনলাম
আপনার জ্বীন ভুতের অভিজ্ঞতা দারুন হয়েছে ।পুরা আসর জমিয়ে অনেকের সাথে বসে ভুতের গল্প শোনার মত করেই পড়লাম। গা খানিকটা শিউরেও উঠল।
এরকম অভিজ্ঞতা আরো শুনতে চাই। থাকুক বা না থাকুক এসব ঘটনার পেছনে কোণ ব্যখ্যা , শুনতে বেশ লাগে। পোস্টে++
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এগুলিকে আশেক জীন বলে। অনেক সময় জিনেরা মানুষের প্রেমে পড়ে যায়।