নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহনশীলতাই ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক।

দেশ প্রেমিক বাঙালী

আমি একজন সাধারণ মানুষ। সর্বজন গ্রাহ্য মতামতকে প্রাধান্য দেই।

দেশ প্রেমিক বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাতে ঘুমিয়ে সকালেই ধনী; টিসিবির পণ্য কিনতে মরিয়া!

০৯ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০৩


দায়িত্বশীলরা বলছেন, রাতে ঘুমিয়ে সকালে উঠেই আমরা ধনী হয়ে যাচ্ছি যা সত্যিই আনন্দের খবরও বটে সেই সাথে মাথাপিছু আয়ের সূচকও ফুরফুর করে উপরের দিকে উঠতে উঠতে ২৫৯১ ডলারে ঠেকেছে। আহ! নিঃসন্দেহ ইহা বিরাট পাওনা ও আনন্দের বিষয়।

চাল, ডাল, পেয়াজ, তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় জীবনযাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের। সংসারের চাকা সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন থেকে মধ্যআয়ের মানুষ। যখন নূন্যতম প্রয়োজন মেটাতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে, তখন তার কাছে মধ্যম আয়ের দেশ অথবা মাথাপিছু আয় বাড়া সম্পূর্ণ অপ্রাসংগিক হয়ে যায়।

নেতারা ব্যবসায়ীর ভাষায় কথা বলছেন; আন্তর্জাতিক বাজারে পন্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাই আমাদের বাজারেও দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা সংসদ সদস্য; তারা ব্যবসার কথাই ভাববেন এবং সেটাই স্বাভাবিক বিষয়। স্টকমার্কেটের ডাকাতরা নীতিকথা বলছেন তাহলে কেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন হবেনা?

টিসিবির কর্মকর্তারা বলছেন, টিসিবির ট্রাক সেল গত বছরের তুলনায় আড়াই গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মানুষ রাতের মধ্যেই ধনী হচ্ছে, তাদের মাথাপিছু আয় বাড়ছে, ক্রয় ক্ষমতাও বাড়ছে তাহলে কেন টিসিবির ট্রাক সেল আড়াই গুণ বৃদ্ধি করতে হলো?

নেতারা ব্যবসায়ীর ভাষায় কথা বলবেন; ব্যবসায়ীরা যখন সংসদ সদস্য হবেন, সংসদ সদস্য হতে গিয়ে যখন অন্যরকম ভোটের চিন্তা করবেন তখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন হবেই। সুতরাং রাতে ঘুমিয়ে সকালের ধনী টিসিবির পণ্য কিনতে মরিয়া হবেই।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমাদের ডলার ছেড়ে টাকায় কথা বলতে হবে। কয়েকদিনে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। ৫মাস আগে যদি মাথাপিছু ২৫০০ ডলার থাকতো তা টাকায় ২,১২,৫০০ ছিলো; আজকে তা ২,২৫,০০০। কয়েক মাসের মধ্যে ১২,৫০০ বেড়ে গেছে। ;)

০৯ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৫১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: রাত পোহালেই আয় বেড়ে যাচ্ছে, সেই আয় চলে যাচ্ছে বিদেশী ব্যাংকে। বেগম পাড়ায়।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই সব ছবি দেখে বিভ্রান্ত হবেন না।
এই সব যারা ছড়ায় তারা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি (!!!)

০৯ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৫২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: তাদের মনমতো না হলে সবাই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি হয়ে যায়!

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪৮

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: এরা বিরোধীদলীয় এবং একটি সাম্প্রদায়িক শক্তির দলভুক্ত । তাই এদের নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই । পরিচিত নেতারা বলেন বিএনপি ইচ্ছা করেই এইসকল ভীর বাড়ায় !

১০ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৫৯

গরল বলেছেন: ছোট বেলায় দেখতাম রেশন কার্ড বলে কিছু একটা ছিল, যেটা দিয়ে তেল, চিনি, আটা আরও কিছু বোধ হয় ন্যায্য দামে কেনা যেত নির্দিষ্ট পরিমানে। মধ্যবিত্তের জন্য এটা একটা ভালো জিনিষ ছিলো বোধ হয় যেটা আবার চালু করার প্রয়োজন দেখছি।

১০ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যে অবস্থা তাতে আবার রেশনিংয়ে ফিরে যেতে হবে।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: মন্ত্রী, এমপি এবং আমলাদের উচিৎ লাইনে দাঁড়িয়ে পন্য কিনে গরীব্দের বাসায় পৌঁছে দেওয়া।

১০ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: লাইলে দাড়ালে বুঝতো ঠ্যালা কেমন?

৬| ১০ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বর্তমান ক্রাইসিসটা শুধু বাংলা দেশের না, এটা গ্লোবাল মুল্যস্ফিতি।
এসব সামাল দেয়া এইসময়ে পৃথিবীর কোন শক্তির পক্ষে সম্ভব না।
ইউক্রেন ক্রাইসিসে সব জিনিষের দাম বেড়ে গেছে। আমেরিকায় সয়াবিন তেল দাম আড়াই গুন ৩ গুন বেড়েছে। ২ডলার গ্যালনের পেট্রল হয়েছে ৫ডলার, ক্যলিফোর্নিয়াতে ৬ ডলার।
বাংলাদেশে বাড়েনি। সরকার ২০০% ভর্তুকি দিয়ে সামাল দিচ্ছে। জমা টাকা আছে তাই দিচ্ছে।
বেসরকারিদের হাতে ঢাকার বাজারে ১০০টাকার সয়াবিন বর্তমানে ১৬৬, আমি বলব হিসেবে খুব কমই বেড়েছে। পাগল হওয়ার কিছু নেই। বরং উন্নত দেশে এই তেলের দাম ৩ গুন বেড়ে বাংগালীদের কঠিন অবস্থা।
এধরনের ক্রাইসিসে মানুষ কি করে? লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় দৌরাদোউরি করে না। বরং বাস্তবতা বুঝে কেনাকাটা কমায়, অপচয় কমায়, রান্নায় তেল দশ লিটারের যাগায় ৬ লিটার খরচ করে।
আমি ডিম ভাজতে এখন আর তেল নষ্ট করিনা, মাপ মত ঢালি বা একটু কম করে ঢালি। আগে বিকেলে গাড়ি নিয়ে অকারন ঘোরাঘুরি করতাম, এখন বন্ধ রেখেছি। হেটে যাই বাসে যাই।



১০ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভাই আপনি আমেরিকা ছেড়ে বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশের এতো সুখ ছেড়ে আমেরিকার মতো একটা গরীব দেশে কেন থাকবেন?

৭| ১০ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

মানুষের মাথাপিছু আয় নিয়ে কটাক্ষ করা ঠিক নয়। আল্লায় বেজার হইবো। মাথাপিছু আয় অবস্যই বেড়েছে। আপনার খালি মানিব্যাগ দেখায়ে লাভ হবে না। আপনার পকেটের ৭০ হাজার টাকার মোবাইলটা বাইর করেন।

ব্যায়বহুল শহর কুয়াকাটা রাংগামাটি কক্সবাজারে মানুষে গিজ গিজ, নতুন নতুন কটেজ মটেল, উইকেন্ডে কোন রুম খালি থাকে না কেন? কারা থাকে? ৩০ টাকার নাস্তা ৪০০টাকায় কারা কিনে খায়? কোটিপতিরা?
সমস্ত দেশে যেখানেই যান হাজার হাজার লাখ লাখ নতুন দোকান হচ্ছে। সব দোকান বোঝাই বস্তা বস্তা মালামাল উপচে পড়ছে। ফ্রিজ টিভি মাইক্রওভেন, সাইকেন হোন্ডা লবন আলু পিয়াইজ বিস্কুট পাউরুটি প্রাণজুস ডিম . ... ... . প্রতিদিন হাজার হাজার টন পন্য কারা কিনছে? কোটিপতিরা?
যদি মানুষের হাতে টাকা না থাকে তবে এইসব নতুন তৈরি হওয়া দোকানের দামি দামি জিনিস পত্র প্রতিদিন কারা কিনে?
যদি না টাকার অভাবে মানুষ ট্রাক থেকে কিনে। বা কেনাকাটা বন্ধ করে থাকে তবে দোকানের লাখ লাখ টাকা ভাড়া কোন শালা দেয়?
আর ভাড়া দিতে না পেরে এজাবৎ কতগুলি দোকান বন্ধ হয় প্রতি মাসে?
ঢাকার কথা বাদই দিলাম ঢাকার বাইরের উপজেলা জেলাগুলতে কত গুলো নতুন নতুন হাসপাতাল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চ বেতনের ইংলিশ স্কুল হচ্ছে। সব কোটিপতির ছেলেমেয়ে?

১০ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:০৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এক ইঞ্জিনিয়ার গাড়ী নিয়ে নদী পার হওয়ার সময় নদীর বিভিন্ন স্থানের গভীরতার মাপ নিয়ে গড় করার পর দেখল ২ ফুট তখন ভাবলো গাড়ীনিয়ে নদী পার হওয়া যাবে; যেমন কথা তেমন কাজ, মাঝ নদীতে পুরো গাড়ীই ডুবে গেলো।

তেমনি আমাদের মাথাপিছু আয়ও। ৩/৪ শত লোকের হাতে আমাদের পুরো টাকা কেউ কেউ সুইস ব্যাংকেও জমা করেছে, কেউ বেগম পাড়ায় ঠাই নিয়েছে, আপনিও আমেরিকায় পারি দিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলছেন বাস্তবতা কিন্তু অন্যরকম।

৮| ১০ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৪৫

বিটপি বলেছেন: মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারটা সাময়িক। পেঁয়াজের দাম ২৬০ টাকা ওঠার পরে সবাই হাহাকার করছিলেন। কই, দুই বছর পর এখন তো আবার ৫০ টাকায় কিনতে পারছেন। তেলের দাম হয়তোবা কমবে না। কিন্তু একসময় মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে। কিভাবে? ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই। আগে খামারবাড়ি থেকে রাজাবাজার রিকশায় গেলে ১৫ টাকা দিলে রিকশাওয়ালা খুশি মনে পকেটে রেখে দিত। এখন ২০ টাকা দিলেও গাইগুই করে। আপনাকে হয়তোবা মাস খানেক পরে ২৫ টাকা দিয়ে রিকশাওয়ালাকে সন্তুষ্ট করতে হবে। এই ধারায় সবারই কামাই বেড়ে যাবে। তখন তেলের দাম হয়ে যাবে ২০০ টাকা লিটার। এভাবে চলতেই থাকবে।

১০ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:১২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: রিক্সাওয়ারা ১৫ টাকার যায়গাতে ২৫ টাকা নিবে, সরকারী চাকুরেরা ঘুসের পরিমান বাড়িয়ে দেবে, সরকার ভোটের আগে তাদের বেতনও বাড়িয়ে দেবে কিন্তু যারা নির্দিষ্ট ও সীমিত আয়ের মানুষ তাদের কি হবে?


হয়ত সময়ের পরিক্রমায় একদিন সবই খাপ খাইয়ে নেবে!

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩০

সোনালি কাবিন বলেছেন: এত লাগামছাড়া জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে আমরা অসহায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.