নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- আসাদ ভাই।
- হুম নিলু, বলো।
- খেতে আসুন। মা ভাত দিয়ছেন। আর হ্যাঁ কিছুহ্মণের মধ্যেই বাবা চলে আসবেন। তাই দয়া করে তাড়াতাড়ি আসবেন।
- আসছি।
- আমি যাচ্ছি। অপেহ্মা করতে পারব না। আর আপনি তো একা একা খেতেও পারেন না। তবে সেদিনের মতো যদি না আসেন তবে হোটেলে খাবার অভ্যেস করবেন। আমার পোড়া কপাল সে হ্মমতাও তো আপনার নেই।
কথাটা বলেই চুপ হয়ে যায় নিলু। আর কিছু বলতে পারে না ও। বলবেই বা কি? এত পছন্দ করে যে মানুষটাকে তাকেই এত বড় একটা কথা বলতে পারল।
নিলু কিছু না বলেই চলে যাচ্ছিল। আসাদ পেছন থেকে ডাক দিল-
- নিলু।
- হুম। পেছন ফিরে তাকায় নিলু।
- নীল শাড়িতে তোমায় একটুও ভালো লাগে না এটা কি তুমি জানো?
- না জানি না। আমি গেলাম। আর হ্যাঁ আজ আপনার খাওয়া বন্ধ।
ওর যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে থাকে আসাদ। বুকের মধ্যে শূন্যতা প্রকট হয়। এক ক্লান্তিকর ব্যাথা। যার বিরাম নেই কিন্তু ব্যাথার প্রতিটি অনুভূতিই আবেগের চাদরে মোড়ানো।
কিন্তু আসাদ জানে দারিদ্র যেখানে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে ভালোবাসা সেখানে ফানুস হয়ে উড়ে যায়।
বাবা মারা যাবার পর মা বোনকে গ্রামে রেখেই ঢাকা আসে আসাদ। কিন্তু সময়টা যে বড় খারাপ। দেশে আজ ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলনের আগ্নেয় আভা। মাতৃভাষা বাংলা চাই শ্লোগানে আসাদের মতো অনেকেই খুঁজে পায় আত্মিক প্রশান্তি। ভাষার জন্য জীবন দিতে যেন উন্মুখ এই তরুণ যুবারা। ভাবনায় ছেদ পড়ে আসাদের। হ্মুধার প্রচন্ডতায় ঝাপসা হয়ে ওঠে সব। টেবিল থেকে উঠে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যায় আসাদ।
- আসাদ, কেমন আছো?
- জী, ভালো খালাম্মা।
- তোমার মা বোন কেমন আছে?
- ভালোই।
- টাকা পয়সা কিছু পাঠাইছো?
চুপ করে থাকে আসাদ। কি করে বলবে ও যে এই খাবারটুকু যদি না জুটতো তবে ওকে না খেয়েই থাকতে হতো। কি করে পাঠাবে টাকা। ভাষা আন্দোলনের ব্যানার প্ল্যাকার্ড লিখে তেমন কিছুই পাওয়া যায় না। আর এক মায়ের জন্য আর এক মাকে অর্থের জন্য ব্যবহার কি করে করবে ও। তাই অধিকাংশ ব্যানারই আসাদ করে বিনা পয়সায়। দিনশেষে তাই পকেট ভরে ওঠে দেশপ্রেমে। টাকার সেখানে জায়গা কোথায়।
আসাদকে চুপ করে থাকতে দেখে নিলুর মা আবার বলেন-
- কি হলো আসাদ টাকা পাঠাও নি?
- মা! তুমি কি তারে খেতে দেবে না। তখন থেকে বকবক করেই যাচ্ছ।
আসাদ ভাই, আপনি খান।
মাথা নিচু করে খেয়ে উঠে যায় আসাদ। হাত মুখ ধুয়েই দেখে নিলু তোয়ালে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তোয়ালেটা নিতেই নিলু বলে-
- বিকেলে একবার গলির মাথায় আসবেন। আমি থাকব।
আসাদকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই নিলু চলে যায়। আর আসাদ। আসাদ তাকিয়ে থাকে। সেই একি অনুভূতি। কিন্তু বেশ ভালোই লাগে আসাদের। ব্যাথাটাকে মনে হয় ভালোই বেসে ফেলেছে সে।
- আপনি কি হ্যাঁ!
- কেন?
- আমি কতহ্মণ হলো দাঁড়িয়ে আছি। আর এখন আপনার আসার সময় হলো।
- ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
- আসাদ ভাই!
- বলো নিলু।
- দেশের কি অবস্থা আসাদ ভাই।
- নিলু দেশ আর আগের মতো নেই। সকলের মধ্যে চাপা আক্রোশ। ওরা, ওরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে চায় না। আমরা সংখ্যায় অনেক বেশি। তারপরও উর্দুকেই ওরা চাপিয়ে দিতে চায় আমাদের উপর। হায়েনার দল ওরা। স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিকিয়ে দিতে চায় আমাদের স্বকীয়তা।
- তাহলে কি হবে আসাদ ভাই?
-আমরা মেনে নেব না নিলু। প্রতিবাদ করবো। আমরণ আন্দোলন করবো যতদিন না ওরা বাংলা কে রাষ্ট্র ভাষা না করে। জানো উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিও ওরা নাকোচ করেছে।
- তাহলে?
- কি আবার। বাংলাই হবে আমার ভাষা, আমাদের ভাষা। ওদের মিথ্যে যত, কলুষতা যত, অপচেষ্টা যত সবই হার মানবে আমাদের কাছে।
- আসাদ ভাই।
- হুম নিলু।
- রফিক ভাই যেটা বলেছে তা কি সত্যি?
- কি বলেছে?
- ২১শে ফেব্রুয়ারি নাকি মিছিল ডেকেছে?
আক্রোশে জ্বলজ্বল করে ওঠে আসাদের চোখ ।
- হ্যাঁ নিলু। আমরা বিদ্রোহ করবো। হার মানবো না। যে কোন মূল্যেই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করবো আমরা।
- ওদিন নাকি ১৪৪ ধারা জারি করেছে। যদি আপনার কিছু হয়। যদি ওরা আপনাকে ধরে নিয়ে যায়।
- মরে যাবো।
আসাদের মুখটা হাত দিয়ে চেপে ধরে নিলু। খবরদার এসব বলবেন না। আপনি এমন কেন? আমায় কি আপনি কি আমায় বুঝতে পারেন না?
- না নিলু।
নিলু তাকিয়ে থাকে আসাদের দিকে। কাঠিন্য ভর করেছে দেখানে। দুচোখ জোড়া স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্নে নিলু নেই। আছে দেশপ্রেম। বাংলার প্রতি ভালোবাসা।
নিলু চলে যাচ্ছে। ধীরে কিন্তু প্রবলভাবে।
আসাদ তাকিয়ে আছে। দ্রোহী ঐ চোখে বিষন্নতার ছায়া। কিন্তু ছুটে যেতে পারে নি নিলুর কাছে। পারে নি নিজেকে স্বার্থপর তকমার আড়ালে ঢেকে দিতে।
চিঠিটা হাতে নিয়ে বসে আছে আসাদ। খামের উপর রূপার গোটাগোটা অহ্মরে লেখা ঠিকানাই যেন চিঠির মধ্যেকার সব কথা উগ্রে দিচ্ছে। মায়ের সেই চিরচেনা স্মৃতি গুলো। গন্ধ নেয় আসাদ। মায়ের শরীরের সেই তীব্র ভালো লাগার গন্ধ।
বোনের হাতের লেখাটায় পরম মমতায় হাত বোলায় আসাদ।
আর রাত জাগবে না। তাই শুয়ে পড়ে আসাদ। কাল ২১শে ফেব্রুয়ারি। আসাদ মিছিলে যাবে। যাবে বাংলাকে তার যোগ্য সম্মান পাইয়ে দিতে। যথাযথ আসনে তাকে অধিষ্ঠিত করতে। আসাদ জানে না সে ফিরবে কিনা। কিন্তু জানে নিলু তার জন্য অপেহ্মা করবে, অপেহ্মা করবে রূপা, মা।
ঘুমহীন আসাদ টেবিলের দিকে এগিয়ে যায়। রাত ২:৪০। সময় ঘড়ি যেন স্থবির হয়ে আছে।
- আসাদ ভাই। আসাদ ভাই।
দরজা ঠেলতেই অবাক হয়ে যায় নিলু। এতো ভোরে লোকটা দরজা খুলে কোথায় গেলো।
ফিরতি পথ ধরতেই নিলুর চোখ এড়ালো না শিউলি ফুলের মালাটা। আনন্দাশ্রু যেন পবিত্র থেকে পবিত্রতর করে তুলছে হাতে ধরা ঐ শিউলি ফুলের গন্ধহীন বাসি মালাটা। নিলুর জন্য যেন অপেহ্মা করছিল আরো বড় বিস্ময়। চিঠি। আসাদের।
" ভালোবাসি বলতে পারি নি। পারি নি ঐ চোখে চোখ রেখে বলতে, চল যাই তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে। দুজন দুজানার মাঝে চল যাই হারিয়ে। শুধু এই যাবার বেলা একটাই কথা বলতে চাই, যদি ফিরে আসি প্রতিটি ভোরের শুরু, প্রতিটি তপ্ত দুপুর বেলা, পড়ন্ত বিকেলের প্রতিটি মুহূর্ত তোমার করে দেব। প্রতিদানে ঘুমহীন প্রতিটি রাত চেয়ে নেব তোমার কাছ থেকে।
ভালো থেকো নিলু।"
পরিশিষ্টঃ আসাদ ফেরে নি। তাই অপেহ্মায় থাকা সেই মা, বোন বা অতি প্রিয় নিলুরা শূন্যতাকেই প্রাপ্তির স্থান দিয়েছে। পাক সেনার নির্বিচার গুলি বর্ষণে ছিড়েকুটে যায় আসাদের দেহ। বুক পকেটে রাখা রূপার সেই চিঠির উত্তরো বাদ যায় নি সেই পশুদের আক্রমণ থেকে। লাল হয়ে যাওয়া বুকে থকথকে রক্তের ছোপ। চিঠিতে তার স্পষ্ট ছাপ।
রক্তের ছোপ। রয়ে যায়। থেকে যায় অনেকটা জুড়ে।
উৎসর্গঃ বাংলার জন্য, মাতৃভাষার জন্য আসাদের মতো অগণিত যুবা অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। আজ আমরা স্বাধীন। আমাদের আনন্দ, কষ্টগুলো প্রকাশ করার মাধ্যম প্রিয় বাংলা ভাষা। তাই সেই সব ভাষাশহীদের শ্রদ্ধ্যার্ঘ আমার গল্প লেখার এই ব্যর্থ চেষ্টাটা।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আমাদের সকলের মনেই দেশপ্রেম আছে। কিন্তু রাজনীতির কালো আলমারিতে তা আজ বাক্স বন্দী।
মুক্তির অপেহ্মায়।
আমার প্রতিটি লেখাই এক একটি ব্যর্থ চেষ্টা। কিন্তু দিনশেষে আপনাদের মন্তব্য গুলো প্রাপ্তির খাতা পূর্ণ করে দেয়।
ভালো থাকবেন।
নিরন্তর শুভ কামনা।
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
চার্লি বলেছেন: রক্ত টকবগিয়ে ওঠা গল্প। ধন্যবাদ
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: গল্পটা লিখতেও আমার বেশ দারুন লাগছিল।
জানি কাঁচা হাতে লেখা। অনেক ফাঁক ফোকর রয়ে গেছে।
তবুও একুশ নিয়ে যে কোন কিছুতে উন্মাদনার কমতি নেই।
ভালো থাকবেন। নিরন্তর শুভ কামনা।
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
বৃতি বলেছেন:
একজন ভাষাশহীদকে নিয়ে সুন্দর একটি গল্প - বেশ ভাল লেগেছে। অনেক শুভেচ্ছা
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আপনার ভালো লাগায় আমার সুখানুভূতি।
মহান একুশের শুভেচ্ছা জানবেন।
নিরন্তর শুভ কামনা।
৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: একুশের গল্প বেশ লাগলো ।
++++
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৭
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: মহান একুশের শুভেচ্ছা।
নিরন্তর শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।
৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩
সুমন কর বলেছেন: চিরচেনা গল্পকে নতুন করে উপস্থাপন করছেন বলে, ভাল লাগল।
একুশের শুভেচ্ছা।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: একুশ তো আমাদের চিরচেনা অহংকার।
তাই গল্পের পেহ্মাপটও চিরচেনা।
মহান একুশের শুভেচ্ছা রইল প্রিয় সুমন ভাই।
নিরন্তর শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।
৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: দ্রোহ, দেশপ্রেম, মাতৃপ্রেম, ভালোবাসা, আবেগ সবই গল্পে ঠাই পেয়েছে। প্রোফেসর শঙ্কু যে লাইনগুলো কোট করেছে, সেগুলো আমারও খুব পছন্দের লাইন। প্রতিটা প্রতিটা বিষয়ের উপর বিশদ কিছু লেখা নাই। কিন্তু যেটুকু লিখেছেন তাতেই বিষয়গুলোর গভীরতা উপলব্ধি করা যায় খুব সহজেই।
দেশের প্রতি ভালোবাসা, মায়ের প্রতি ভালোবাসা, প্রিয় মানবীর প্রতি ভালোবাসা- সবগুলোকে এক করে দিয়েছেন। এক ভালোবাসায় তিন ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
বাক্য গঠনে যথেষ্ট মুনশিয়ানার স্বাক্ষর রাখতে সমর্থ হয়েছেন। ফলে দ্রোহের দৃঢ়তা এবং প্রমের গভীরতা দুটোই প্রকট হয়ে ধরা দিয়েছে। খুব ভালো লাগলো রাজপুত্র।
সকল ভাষা শহীদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আপনার জন্য রইলো একুশের শুভেচ্ছা।
অফ টপিকঃ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে কিছু লিখলে তার সত্যতা থাকা চাই। তা না হলে ইতিহাস বিকৃতির সম্ভবনা থেকে যায়। তাই গল্পের পটভূমি নিয়ে ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো। শুভ কামনা নিরন্তর।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বিদ্রোহী বাঙালি,
আপনার মন্তব্য দেখে নিজেকে লেখক ভাবতে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু আমার আর আমার লেখক হয়ে ওঠার মাঝে বুঝি অসম ব্যবধান।
তবু অনুপ্রেরণা পেলাম। যা পাই আপনার প্রতিটি মন্তব্য থেকে। নিজের যোগ্যতা আর সামর্থ্য আপনার মন্তব্যেই খুঁজে পাই যেমন ভুলগুলোও উঠে আসে সেখানে। সুযোগ পাই সংশোধনের।
অফ টপিকঃ পুরোপুরি কল্পনার উপরেই লিখেছি তবে আপনার বলা কথাটা মনে থাকবে। পরবর্তিতে পেহ্মাপটের সত্যতার বিষয়টি খেয়াল রাখবো।
মহান একুশের শুভেচ্ছা।
ভালো থাকবেন।
৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কয়েকবার পড়লাম । ভাল লেগেছে ।দারুন পটভূমি ।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৫
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: পাঠে ও মন্তব্যে ধন্যবাদ সেলিম ভাই।
মহান একুশের শুভেচ্ছা রইল।
নিরন্তর শুভ কামনা।
৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৯
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন:
গুচ্ছ গুচ্ছ রক্তকরবীর মতো কিংবা সূর্যাস্তের
জলন্ত মেঘের মতো আসাদের শার্ট
উড়ছে হাওয়ায় নীলিমায়।
বোন তার ভায়ের অম্লান শার্টে দিয়েছে লাগিয়ে
নক্ষত্রের মতো কিছু বোতাম কখনো
হৃদয়ের সোনালি তন্তুর সুক্ষ্মতায়
বর্ষীয়সী জননী সে-শার্ট
উঠোনের রৌদ্রে দিয়েছেন মেলে কতদিন স্নেহের বিন্যাসে।
ডালিম গাছের মৃদু ছায়া আর রোদ্দুর-শোভিত
মায়ের উঠোন ছেড়ে এখন সে-শার্ট
শহরের প্রধান সড়কে
কারখানার চিমনি-চুড়োয়
গমগমে এভেন্যুর আনাচে কানাচে
উড়ছে, উড়ছে অবিরাম
আমাদের হৃদয়ের রৌদ্র-ঝলসিত প্রতিধ্বনিময় মাঠে,
চৈতন্যের প্রতিটি মোর্চায়।
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা।
আসাদের শার্ট-শামসুর রাহমান
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর কবিতাটির জন্য প্রথমে ধন্যবাদ জানবেন।
কবিতাটা অসম্ভব ভালো লাগল। আগে পড়ি নি।
মহান একুশের শুভেচ্ছা রইল।
নিরন্তর শুভ কামনা।
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ গল্প| চিঠিটা দারুন| ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল।
মহান একুশ এর শুভেচ্ছা।
ভালো থাকবেন।
১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের গর্বের ইতিহাস এমন হাজারবার শব্দবন্দী হোক। শুভেচ্ছা।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই।
গর্বের ইতিহাসকে শব্দবন্দী করতে পেরে আমারো ভালো লেগেছে।
ভালো থাকবেন। নিরন্তর শুভ কামনা।
১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
কাবিল বলেছেন: পড়লাম, চমৎকার গল্প।
ভাল লাগল।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।
ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রেরিত হলাম।
ভালো থাকবেন।
১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: সেই চির চেনা গল্প... যতবার সেই গল্প পড়া যায় শোনা যায় ততবার হয়ত সকলের গা শিহরে ওঠে... ভয়ে/ গর্বে ...! ভাল লাগল আবার তা পড়ে... সালাম ও শ্রদ্ধা রইল সেইসব ভাষা শহীদদের প্রতি যাদের রক্তের বিনিময়ে আজ নিজ মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি, কিছু লিখতে পারছি! একুশের শুভেচ্ছা!
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৫
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: গল্প পাঠে ধন্যবাদ।
আপনার সাথে আমি একমত।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩২
শায়মা বলেছেন: আসাদের গল্প!
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: না তো!
পুরোটাই কাল্পনিক আপু।
নামটা শুধু ব্যবহার করেছি।
১৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৪
জুন বলেছেন: মাতৃভাষার জন্য, দেশ স্বাধীনের জন্য যে অসংখ্য মানুষ প্রান দিয়েছিল তাদের নিয়ে যে কোন লেখাই মন ছুয়ে যায় দিশেহারা
+
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: যে কোন অজুহাতেই যদি আমার কোন লেখা আপনার মন ছুঁয়ে যায়। তবে তা হবে আমার বাড়তি পাওয়া।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
১৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন ছুয়ে যাওয়া লেখা।
লেখকের, লেখক হয়ে উঠার আর এক ধাপ আগ্রগতিতে অভিনন্দন।
অনেক অনেক লিখুন
আরো অনেক ভাল থাকুন
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি যে কি পরিমাণ ভালো লাগল বলে বা লিখে বোঝাতে পারব না।
ভালো থাকবেন। নিরন্তর শুভ কামনা।
১৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
দীপান্বিতা বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেল...ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধার্ঘ্য...
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: গল্প পাঠে ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
১৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৮
বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ভালো লাগলো +++++++++
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: গল্প পাঠে ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
১৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩১
এহসান সাবির বলেছেন: এক গুচ্ছ ভালো লাগা...!!
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: গল্প পাঠে ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো লাগায় সুখানুভব।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এক মায়ের জন্য আর এক মাকে অর্থের জন্য ব্যবহার কি করে করবে ও। তাই অধিকাংশ ব্যানারই আসাদ করে বিনা পয়সায়। দিনশেষে তাই পকেট ভরে ওঠে দেশপ্রেমে। টাকার সেখানে জায়গা কোথায়।
সুন্দর লাইন। প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়নি লেখক!
শুভকামনা।