![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মজার মানুষ ছড়া-কবিতা,গান,গল্প ও নাটক লিখি গান গাই , অভিনয় করি এক জীবনে যতটুকু সম্ভব.......... ভালো থাকার চেষ্টা করি।
আসুন একটা কবিতা লিখি (৩য় অংশ। )
"শত কবির বন্দনা"....মূল ভাবনা আমার হলেও কাব্যগ্রন্থের নাম দিয়েছেন সজল-৯৫।
প্রথম অংশ:http ৫০জন কবির ৫০টি অংশ আছে
Click This Link
২য় অংশ:৫১ থেকে ৮০ মোট ৩০ জন কবির ৩০টি অংশ আছে
Click This Link
রচনাকাল শুরু: ১৮ ই মে, ২০১০ রাত ১০:৫৮
(সম্পাদকীয়: আমরা অনেকে মিলে এই কবিতাটি লিখবো..। মন্তব্যের ঘরে আপনিও লিখে ফেলুন এর অংশ হিসেবে কটি লাইন। যা সংযুক্ত হবে মূল লেখায়। মুক্তিকামী মানুষ যেমন লিখেছে বাংলাদেশ। এটি সেরকম একটি প্রয়াশ। আপনিও সামিল হন...............)
( মূলভাবনা: সেবু মোস্তাফিজ)
কাব্যগ্রন্হের নামকরণ: সজল৯৫
[sb( লেখক: (২)জীবনানন্দদাশের ছায়া ,(৩) রাজসোহান ,(৪)মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্,(৫) পাহাড়ের কান্না , (৬)লুতফুল বারি পান্না, (৭)সোমহেপি, (৮)দেহপূজা, (৯)রিমঝিম বেষ্ট , (১০) রাজিবুল ইসলাম , (১১)অন্ধ আগন্তুক , (১২) শ্রীমান, (১৩) স্বপ্ন সওদাগর, (১৪)ওরাকল ,(১৫)ইলিয়াস সাগর ,(১৬) বাবুল হোসেইন , (১৭)কোয়ানটাম সায়েনস ,(১৮)শাওন ইমতিয়াজ , (১৯)জাফর বায়েজীদ,(২০)মনপবন , (২১)এবং অথবা আমি,(২২) মনিরুল হাসান, (২৩)নিভৃতচারী ,(২৪) অদ্ভুত শূন্যতা,(২৫) অসময়ের আমি ,(২৬)নুরুন নেসা বেগম ,(২৭) আদনান ফারাদী,(২৮)মুহসিন,(২৯) নীল ভোমরা,(৩০)তানভীর চৌধুরী পিয়েল,(৩১)নাঈম (৩২)জলকমল , (৩৩) নিস্সঙ্গ যোদ্ধা, (৩৪) আর.এইচ.সুমন , (৩৫)প্লাস_মাইনাস(৩৬)দুরন্ত স্বপ্নচারী ,(৩৭)ফকির ইলিয়াস, (৩৮)মাসুম আহমদ ১৪, (৩৯) কালপুরুষ ,(৪০)সৈয়দ নূর কামাল, (৪১)রাঙ্গাকলম,(৪২)সাইফ সামির,(৪৩)আসাদ /পারেভজ,(৪৪)আকাশদেখি, (৪৫)পঙ্খিরাজ,(৪৬) সজল হাজারি , (৪৭) রক্ত রঙ ,(৪৮) জুন, (৪৯) কাঠফুল , (৫০)শাহেদ খান , (৫১)ইসমাইল চৌধুরী , (৫২)আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়, (৫৩)শামীম শরীফ সুষম, (৫৪)হারুন আল নাসিফ (৫৫)ফকির আবদুল মালেক , (৫৬)জিয়া চৌধুরী ,(৫৭)আজম মাহমুদ,(৫৮) আজাদ আল্-আমীন,(৫৯) মাধব ,(৬০)জাভেদ জামাল,(৬১)প্লেটো,(৬২)সাদাকালামন,(৬৩) আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন,(৬৪)হোদল রাজা,(৬৫) ১৯৭১স্বাধীনতা,(৬৬) অগ্নিলা, (৬৭)মিয়াজী, (৬৮)আবদুর রহমান (রোমাস),(৬৯)আবদুল্লাহ তানভীর,(৭০)সাজেদা সুলতানা,(৭১)হতাশার স্বপ,(৭২)রাষ্ট্রপ্রধান,(৭৩)মিটন আলম , ,(৭৪)নীল_পরী ,(৭৫) মাহবুবুল আজাদ , (৭৬) ভিজামন, (৭৭) রেজওয়ান মাহবুব তানিম, (৭৮) সত্যবাদী মনোবট (৭৯) বাদশা মিন্টু, (৮০) বেলায়েত মাছুম (৮১) মাহামুদ রাহি, (৮২) সকাল রায়, (৮৩)মোশতাক আহমদ, (৮৪)নাহিয়ান বিন হোসেন (৮৫)কবিরাজ_কুশল, (৮৬)রুদ্রাক্ষী,(৮৭)সাজিদ এহসান, (৮৮) মাহমুদুল হাসান কায়রো,(৮৯) সুনীল সমুদ্র,(৯০) মুনসী১৬১২, (৯১) এসএনিট,(৯২) আশিক মাসুম,(৯৩) নেক্সাস ,(৯৪)মতিউর রহমান মিঠু, (৯৫) লেখোয়াড়, (৯৬) হাবিবুর রহিম, (৯৭) ধূসর স্বপ্ন,(৯৮) বসন্তের ঝরা পাতা, (৯৯) আবদুল্লাহ আল মনসুর,(১০০)এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল ।)
অংশ: ৮১
৩১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:০৮
মাহামুদ রাহি
যখন আমায় প্রশ্ন করা হবে
তুমি কর্তব্য কি করেছ পালন
আমি বলব
এখন'তো চশমা ছাড়া দেখতে পাই না
তবে,
এক সময় দেখেছি অনেক....
আমি দেখেছি একদিন...
বিহবল বাবার বুকে সন্তানের গুলিবিদ্ধ লাশ,
ডাস্টবিনে একদলা রক্তার্ত মাংসপিন্ডের চিৎকার।
সন্তানকে দেখেছি,
বাবার টুকরো করা দেহাংশ জোড়া দিতে
বাংলার সীমান্ত সন্তানদের,
নর্দমায় পঁচে-গলে লাশ হয়ে ভেসে যেতে ,
বোনকে দেখেছি
ভাইয়ের উপরে নেয়া চোখ, কেটে নেয়া হাত,পা খুঁজতে
পড়ুয়া বিদ্যানকে দেখেছি
বুলেটে খুলি উপরে নেয়া মস্তকে, পড়ার টেবিলে।
আমি দেখেছি....
গভীর রাতে এক মায়ের প্রলম্বিত আর্তচিৎকার
ছুটেছি হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল
কাটাকুটির পর তার মুখে এক চিলতে চাঁদ।
আমি দেখেছি...
নবপরিনীতা বধুর রক্তস্রাব
কোটর বেরিয়ে আসা চোখে ছিল
সন্তান বাঁচানোর হাহাকার,
ভূমিস্ট সন্তান কোলে
মা'য়ের কৃতজ্ঞতার হাসি তখন ছিল ম্লান।
আমি দেখেছি...
পুতিদূর্গন্ধময় ঘরে,
অক্সিজেন শেষে, শ্বাষ কস্টের জান্তব ঘরঘর
ঘরময় মৃত্যুর বিভিষীকায় ভয়ার্ত বেশ ক'জোড়া চোখ,
শুয়েছি নির্দিধায়,
জাড়িয়েছি বাহুডোড়ে একটু উষ্ণতা দেবার প্রত্যাশায়।
আমি দেখেছি.....
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করাতে আসা ইমামকে
আতঙ্কিত চোখে ছিটকে বেরিয়ে আসতে লাশ কাটা ঘর থেকে
করিয়েছি গোসল, যেমন নিজে করি নিজ হাতে।
আমি দেখেছি..
আমি দেখেছি অনেক....
এখন বলব কিছু
বলব কবিদের....
আবার আমাদের কবিদের কলম গুলো সব
একেকটা পিস্তল, বন্দুক, কামান হয়ে উঠুক
কালি গুলো হয়ে যাক গুলি-গোলা আর বারুদে ঠাসা
অবিরত বর্ষিত হোক আগুনঝরা বাক্যবান
ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাক সব প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য দেশ শত্রু
সার হয়ে সোনা ফলুক সবুজ প্রান্তরে, মাঠেঘাটে
সুবাষ ছড়াক দেশ-বৈদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বলোক।
অংশ: ৮২
০২ রা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৩
সকাল রয়
নিহারিকা জন্য কবিতা
__________________
সভ্যতার বিবর্তনে কালের আবর্তনে
আমি দীর্ঘ পথ পেরিয়ে, হৃদয় বন্দরে
দেখলাম .........
গরাদের জানালায় গোলাপি রং ছেয়ে গেছে।
নীহারিকা দাঁড়িয়ে একা,
সিঁথিতে সিঁদূর তার হাতে জোড়াশাখা।
অপলক মূর্তি মতো চোখেতে রেখে চোখ বলছে.......
কেমন আছো তুমি ? কতদিন পর দেখা !
আমি বাস্তুহারা বললাম
একজীবনে কতটাই বা ভালো থাকা যায়,
আর কতটাই বা মন্দ থাকা যায়।
আমি ততখানি ভাল আছি,
যতখানি স্বপ্ন মুঠো ভর্তি করে দিয়েছিলে নিহারিকা।
আজ স্বপ্ন নেই; কিন্তু, তার ছায়া আজও আছে হৃদয় মন্দিরে
ভালোবাসা আর ভালো থাকার নিরন্তরে।
অংশ: ৮৩
১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৪৩
মোশতাক আহমদ
পরীরা ছড়িয়ে পড়ে মহাদেশে মহাদেশে
এখানে বুঝি আকাশ পুড়ে অঙ্গার
পরীরা ছড়িয়ে পড়ে তাই মহাদেশে মহাদেশে :
এই বেদনার দুর্বাঘাস থেকে
ছাদের আ্যন্টেনায় কার্তিকের গোল চাঁদ থেকে
এই শাপলা-ভরা জলাশয় থেকে
ওরা ছুটি নিয়ে গেছে।
'ডানায় রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে'
নীল চিঠি ভুলে, চলে গেছে তারা অপরূপ মহাদেশে
এখানে ফেলে রেখে
জুলেখা-বাদশার-মেয়ের বিরান বাগান।
যেতে চায় যাক
অন্তর্জালে খুঁজে পাওয়া সোজা আজকাল
পৃথিবীর সুখের ব্যাসার্ধে
কোথায় উঠলো মেঘ-ভাঙা কমলা রঙের রোদ;
পরীরা ছড়িয়ে আছে মহাদেশে মহাদেশে
অংশ: ৮৪
১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০৬
নাহিয়ান বিন হোসেন
ছায়া হারান দিন দেখেছ কখনো?
সেই দিন, যে দিনে মেঘেরা থাকে আপন নির্বাসনে,
জানো খুব ইছে করে আমার , খুব ইচ্ছে,
এমন দিনে আমার খুঁজে পাওয়া ছায়া হবে তুমি,
তোমার বারান্দার রেলিং ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকা বুড়ো দেবদারু গাছটা,
ভীষন হিংসে হয় ওকে আমার,
যদি ওখানে আমি হতাম,বর্ষার দিনগুলোতে তোমায় শুধু ভাবতে হত না,
একটু ঝুঁকে, উঁকি দিয়ে দেখে নিতাম তোমার চুলগুলো,
জানো খুব ইচ্ছে করে আমার, খুব ইছে,
এই যে আজ সকাল থেকে মেঘ ভিড় করা আকাশ,
কি এমন ক্ষতি হত, যাদি তোমার পাশে রিকশায় বসতাম?
রাস্তাটা থাকত নির্জন, অবাক হয়ে তুমি চেঁচিয়ে উঠতে,
বলতে, দেখ, দেখ, কি সুন্দর ছোট্ট পুকুর!
পুকুরের বহু পুরনো গন্ধ ভরা জলে আজকের মেঘলা আলো,
সাথে তোমার আমার ছায়া,
জানো খুব ইচ্ছে করে আমার, খুব ইচ্ছে।
অংশ: ৮৫
৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৫২
কবিরাজ_কুশল
আজি শত প্রাণের হয়েছে মিলন
একটি কবিতা লিখব বলে ।
কোথায় সুকান্ত ? কোথায় নজরুল
এসো , দেখে যাও দলে দলে ।
দেখে যাও আমরা লিখছি কবিতা
জাতপাত ধর্ম ভুলে ।
এমনটাই তো চেয়েছিলে তোমরা
থাকবে বাঙালী মিলে ।
শুনে যাও কিভাবে করছি আমরা
সৃষ্টির নতুন বন্দন ,
কবিতা সে তো প্রাণের ধ্বণি
শত কবি মনের স্পন্দন ।
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে আজ
এক হয়েছি ব্লগের তলে ।
কোথায় সুকান্ত ? কোথায় নজরুল
এসো , দেখে যাও দলে দলে ।
অংশ: ৮৬
৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৩৬
রুদ্রাক্ষী
জীবনের দীর্ঘশ্বাসে বেছে থাকার আশ
ফিরে দেখা জীবনের ফেলে আসা চরন
জ্বলে উঠে মেঘময় কর্কট রাতের আকাশ
নেমে আসে চোখ বেয়ে প্রানের জলচ্ছাস।
ছন্দহীন ক্লান্তিকর পথচলার দাবী
হারিয়ে যায় শৈশবের শিখিয়ে দেয়া বুলি
জলন্ত আজ প্রতিবাদী শত কন্ঠ
আর নয় আর নয় নীলকন্ঠের মত
অবিরাম অবিরত বিষ গ্রহন
আবার আসে একত্তুর ঐ এলো বায়ান্ন
বাজী আজ আবার স্বাধীনতা.........
জ্বলে উঠে প্রানের মিছিলে সেই বারতা।
অংশ: ৮৭
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ৮:০১
সাজিদ এহসান
অনেক কথা হয়নি বলা,
আরও অনেক কথা বলার আছে বাকি।
প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে চলছে এই অলিখিত নিয়ম
কেবল পরাজিত জীবনে সুকরুন যাতনার নগ্ন দহন ।।
সুদিনের অপেক্ষায় থেকে
দাহকালের যন্ত্রনা বুকে চেপে পেড়িয়ে এসেছি কৈশর
কিন্তু- দু মুঠো চালের হাহাকার আজো আছে।
গায়ের রক্ত ঘাম হয়ে ঝাড়ার ক্লেদ
মজুরের কোদালের কষ্ট কেউ রাখেনি মনে ,
ভুখা মানুষের পেটে বেড়েছে ক্ষুধার নির্মম আঘাত
দারিদ্রে দলিত মায়ের স্তনে শিশুর খামচে ধরা হাত
ক্রমাগত মুক্তি চায় । জীর্ণ দেহে শীর্ণ বসন ভাসমান নারী
কেপেছে হেমন্তে গামছাটাকে করে শাড়ি ।
তবু লাঙ্গলের ফলায় কৃষকের ধানের কাব্য বাঁচে
বালকের হৃদয়ে কার্পাস মেঘের ভেতর হারিয়ে যাওয়া
স্বপ্নঘুড়ি একদিন আমিই করেছি লালন ,
ছিন্নমূল শিশুর লালচে চুলে চেয়েছি আগামিরে জানতে ।
একদিন উদ্দাম নদীর স্রোত যেখানে ছিল
এখন সেখানে স্থবির বদ্ধ জলাশয় ,
অথচ চিরকাল রমণীর তরে পুরুষ বেপরোয়া প্রেমিক ।।
মাঝ রাতে কুকুরের ঘেউ –পুলিশের বাশি -খুন-গুমের ভয়-
হঠাথ বুটের আওয়াজ–পচা ডোবা আঁশটে গন্ধ- বস্তি
তিলত্তমা নগরীর অংশ এড়িয়ে চলে সচকিত নাগরিক,
কালো টাকার বাকা হাসি জুয়াড়ির সঞ্চিত পাপ
পিছু নেয় অবগাহনে উত্তরাধিকার সুত্রে আরেক ধাপ ।
ক্ষয়িষ্ণু সামজের দেহে ছাড়পোকারা গড়েছে আবাস
চারদিকে রৌদ্রের ঝালক
গারদের চৌকাঠে মাথা ঠোকা ভ্রষ্ট যুবক
তবু তাম্র আলো দেখেনি অনেক দিন ।
গর্ভের মুল্যও আজ বিলীন
মাতাল জুয়াড়ি রাখেনা খবর জননীর ।
প্রতারক প্রেমিক পায়না খুজে পথ পালাবার
বেড়েছে প্রমোদবালার ঠোঁটে চুমুর ঋণ ।।
শীতের কুয়াশার মত এসেছে নষ্ট সময়
বস্তির ভাঙ্গা বেড়ায় নড়বড়ে ঘরের ফুটোচালে
সারাবেলা রোদ বৃষ্টি বাতাসের উপহাস ।
দীর্ঘশ্বাস জিইয়ে রাখে দারিদ্রের কষাঘাত-
মাঝ রাতে প্রনয় ভুলে যায় দম্পতি- তন্দ্রাহীন
চোখ- মেলে না সামান্য পান্তা ভাত ।
চন্দানার দুধের শিশুর ধারালো দাত
কেটে চলে তাঁতের শাড়ি ।
তাই কিছু নতুনের স্বপ্ন দেখি- নতুন ভাবে বাচার
কিছু পরিবর্তনের আভাস দেখি নতুন আশার ,
হায়েনার পাঁজরে লেগে গেছে মড়ক
রক্তে জমেছে নিপুন কোলেস্টরেল -
পৌরষত্ব বিলাসি কীটেরও জমেছে বিস্তর পাপ
ক্লান্ত নতজানু বয়ে যেতে প্রহেলিকার অভিশাপ ।
অংশ: ৮৮
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ৮:১৪
মাহমুদুল হাসান কায়রো
রিম ঝিম বৃষ্টির ছন্দে
কাঠাল চাপার গন্ধে
নীল আকাশে উরন্ত ঈগলের পাখায়
ফুলের শুরুভি দিয়ে আকা যেই ছবি
সেই ছবির কল্পনাকারি যে জন
সে যে উদাস আজ
এক কবিতা লেখার কল্পনায়।
শত কবির জল্পানায়
লাখো মানুষের অন্তরায়
না বলা কত কথা
সয়ে যাওয়া মনের গভির ব্যাথা
লিখে যাব আজ দুনিয়ার তরে।
সকলের তরে
তোমাদের তরে।
অংশ: ৮৯
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ১০:১৪
সুনীল সমুদ্র
কবিতা ছড়িয়ে পড়ছে শহরময়
ঘুমন্ত নাগরিক সত্তায়
বাকরুদ্ধ বিবেকের অলিতে গলিতে
কবিতা বিস্ফোরিত হচ্ছে
যেন অচেনা আগুন এক
শত আঙ্গিকে আজ পোড়াবে আমাদের
শত খেদ।
তুমি কি একেই বলেছিলে ফুঁসে ওঠা
দেয়ালের দিকে পিঠ ঠেকে গেলে শেষমেষ ?
তুমি কি একেই বলেছিলে উদগীরণ-
উত্তপ্ত আগ্নেয় লাভার অথবা তীব্র তোলপাড়-
জমতে জমতে পাহাড় হয়ে ওঠা তুমুল ক্ষোভের?
তুমি কি একেই বলেছিলে
আমাদের মানবিক প্রেম-
বারবার যূথবদ্ধ হওয়া
শব্দের শতাব্দী-দীর্ঘ শতকোটি শক্তিতে?
কবিতা ছড়িয়ে পড়ছে শহরময়
বৃষ্টি অথবা রোদে
কবিতার ঘুরে দাড়ানো ছন্দময় শরীর
চকচকে ছুরির ফলার মতো ছিন্ন ভিন্ন করে দিচ্ছে
আমাদের অনিয়ম
আমাদের অবহেলাগুলো
আগামী প্রজন্মের সবুজ বাগান থেকে
দূরে।
তুমি কি একেই বলেছিলে জন্ম- নতুন এক
অদেখা পাখীর পৃথিবীতে ?
তুমি কি একেই বলেছিলে
শুদ্ধি, সমুদ্রসমান
সূচারু শব্দের ধারাজলে, অণুক্ষণ ভিজে ভিজে?
কবিতা ছড়িয়ে পড়ছে শহরময়
নাগরিক কোলাহলে, বিক্ষোভে, বেদনায়
কবিতা আপন হয়ে শব্দের ছায়াতলে
টানছে বিপন্ন, বিহ্বল শত চোখ।
একা নয়
শত শত কবির কলম
মানুষের মমতায় মিশে
রাজপথে, ইতিহাসে
দীর্ঘ শপথ নিয়ে লিখে যায়
দীর্ঘতম কবিতার খাতা।
অংশ: ৯০
০১ লা মে, ২০১২ দুপুর ১:০৪
মুনসী১৬১২
দেখেছ কতো সুন্দরভাবে ভুলে গেছি তোমাকে
যে তুমি ছিলে আমার নিত্য অবিচ্ছেদ্য
নিজের অংশকে কি কেউ ভুলে
হ্যাঁ ভুলে ---যদি ইচ্ছে করে..
কিন্তু একদিন আমাদের দুজনের মাঝে ছিল শুধু যুগল কবিতা
আমরা আরো ভুলে যাই ওই দুর্লভ ঘামের কবিতা
যেই ঘাম কবিতার শব্দ দামে কেনা আমার তোমার
প্রতিটি আরাম সময় মসৃণ ক্ষণ
ভুলে গেছি কবিতাদের কথা নরম কেদারায় বসে
মশলদার মুরগীর রান চিবুতে চিবুতে
শপথ করেছিলাম পাথর কুঠার ছুঁয়ে সেই যাত্রার শুরেতে
থাকিব সমানে, চলিব এক সনে বন্ধুর পথ
এরপর সময় গড়িয়াছে
পৃথিবী বহু লক্ষ বার ঘুরে এসেছে সূর্যের চারপাশ
বহু চাঁদ ডুবেছে, আবার পূর্ণিমা হেসেছে
মেরুতে মেরুতে বরফ পাহাড় জমেছে
সবুজ বন সাহারা হয়েছ
গ্রিক রোম ব্যবিলন পারস্য আরব ইউরোপ জেগেছে আবার ডুবেছে
কত কবিতা কত কবি রচিয়াছে
কত গান গাওয়া হয়েছে
কিন্তু কেউ কথা রাখেনি
সকলে গেছে ভুলে সেই উচ্চারিত বাক্যগুলোকে
সেই হাতে আজও কোদাল কুড়াল
প্রাচীণ ঘাম কবিতা আজ উত্তরাধুনিক রুপ নিয়েছে
তবু মেটেনি অনাহারী ক্ষুধা
বরং আহার আরও কমেছে
জানো ওই বঞ্চিত চোখ শীর্ণ চোয়াল মুষ্ঠিবদ্ধ রেখাহীন হাত দেখলে তোমার কথা মনে পড়ে
মনে পড়ে তোমার ওই স্ফিত ঠোঁটে আমার ওষ্ঠ যুগল ছুঁয়ে আমি বলেছিলাম
দেখো এভাবেই তোমার কষ্টতাপ যন্ত্রণাবিষ শুষে নেব নিজের লোহিত কণিকায়
না রাখা হয়নি কোনো কথা, না কোনো কষ্টপ্রহর না কোনো যাতনাভার
সভ্যতাও এমন অসভ্য
শপথ বাক্য ভুলে অচ্ছুৎ বলে বুকে টানেনি ঘর্মাক্ত শরীর
সাম্য মৈত্রি, বাণি চিরন্ত হয়ে ঝুলেছে নগর দেয়ালে দেয়ালে
আইন সভায়, পাঁচতরাকার টেবিলে টেবিলে, আদালতের মজলিশে
সময় কি স্থবির রবে
অগ্নি জোয়ালার ঘুম কি ভাঙবে না
প্রিয় কবিতারা কি ঝঙ্কার তুলবে না
ওই ওই ভূকম্পন
ছোট ছোট কম্পনে প্রলয় সুনামির পূর্বাভাস আসে
জোয়ার তোড়ে সব জঞ্জাল যাবে ভেসে
নতুন পললে নব উদ্যোমে
সাম্য বীজ বপন চলবে
কচি পাতায় সবুজ স্বপন হাসবে
সুনীলে শুভ্র বলাকা উড়বে
লেখা হবে নতুন কবিতা রামধনুর রঙে
যেখানে
ঘাম পারফিউম সুবাস ছড়াবে
অংশ: ৯১
০২ রা মে, ২০১২ সকাল ১১:৪০
এসএনিট
শামসুন নাহার তারেক
অনেকদিন কিছু লিখি না
অনেকদিন শব্দরা ছোঁয়া দিচ্ছি দিচ্ছি
করেও ফাঁকি মেরে যাচ্ছে রকবাজদের মত।
আমি শব্দের অপেক্ষায় থাকি
আমি আবেগের অপেক্ষায় থাকি
আমি তোমার অপেক্ষায় থাকি।
আজকাল অনুভুতি বোধশক্তিহীন
আজকাল শব্দরা বিজাতীয়
আজকাল ভালবাসা ভালবাসাহীন
কবিতার কি গাছ গজায়?
সে গাছে অফুরন্ত পাতা?
ঝাঁকি দিলে কবিতা পড়ে টুপটাপ্?
আমার জানা নেই
আমার জানা নেই কবিতার জন্ম না হওয়া কষ্টে
কেউ কি আত্মহননে ব্যস্ত বন্ধা রমণীর মত?
আমার জানা নেই ’৭১ এ ধর্ষিতার কষ্ট কতটা প্রকট
নিজেকে মনে হয় বড়ই তুচ্ছ
কেন সে সময় শিশু না থেকে ষোড়শি ছিলাম না!
অংশ: ৯২
০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬
আশিক মাসুম
৪০ বছরে পা রাখা মাঝ বয়সী একটা জীবন্ত লাশ,
মাথা ভর্তি পাকা চুলের ফাঁকে ঁফাকে ধুলো-ময়লার মাখামাখি
পরনে তার সেই পুরাতন ছেরা-ফাটা মলিন বস্ত্র
যেখানে রক্ত আর মাটির মিশ্রনে সত্যিকারের রং গেছে মিলিয়ে
যেখানে ছেরা পতাকার টুকরো দিয়ে কোন রকমে
সম্ব্রম ঢাকতে হয় তার।
৪০ বছরে পা রাখা মাঝ বয়সী একটা জীবন্ত লাশ,
একদিকে ক্ষুধা-দারিদ্রতা অন্যদিকে অনিয়মের তিব্রতা,
মেরুদন্ড কিংবা গায়ের জোর ,অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান
কিছুই নেই তার,তবু তাকে বেঁচে থাকতে হয়
কারণ তার দেহ বিক্রির টাকায় অনেকেরই বিলাসী জীবন চলে।
১৫কুটি মানুষের বুকে লালন করা নিছক উপহাস,
বছরের পর বছর যে-যার ইচ্ছে মত ধর্ষণ করে ,ছিরে ছিরে খায়
৪০ বছরে পা রাখা মাঝ বয়সী এই জীবন্ত লাশটাকে
যাকে পাবার জন্য এতো রক্ত দেওয়া,জীবন দেওয়া
এতো ত্যাগ, সে কেনো আজ নিছকি একটা জিবন্ত লাশ?
তবে কি এদেশে স্বাধীনতার আগমনটাই প্রহসন?
অংশ: ৯৩
০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ২:০২
নেক্সাস
আসুন একটা কবিতা লিখি এবার
ছত্রে ছত্রে লিখে দিই সর্বহারা মানুষের কষ্ট
এবার শোষিতের বজ্রকন্ঠ হবে কবিতা
রক্তচক্ষু নির্মম শাসক যত ইচ্ছা হোক রুষ্ট।
এবার নষ্ট ভ্রষ্ট ধর্মান্ধ সমাজের পায়ে
কবিতা হোক পরশুরামের কুঠারাঘাত
কবিতায় সাম্যের বন্দনা করো হে কবি
কবির হাতেই রচিত হোক শুভ্র প্রভাত।
অংশ: ৯৪
০৩ রা মে, ২০১২ রাত ২:২৭
মতিউর রহমান মিঠু
আহবান করেছেন কবি
সাড়াতো দিতেই হয়
দিনে দিনে মানবতার
হচ্ছে যে শুধুই ক্ষয়।
অসুভ কালো এক থাবা
মুঠোবন্দী করেছে দেশ
আমরা শুধুই দেখছি আর-
পাঁকছে মাথার কেশ।
প্রতিটি ক্ষন ধর্ষীত হয়
আমার জননী দেশমাতা
এতটুকু কি করি অনুভব
দেশ জননী'র ব্যাথা??
ঘুরেফিরে কিছু নরকের কিট
জননী'কে করে দখল
১৬ কোটি সন্তান মায়ের
নপংসুক কি সকল??
১৬ কোটি জনতার
৩২ কোটি হাত
জেগে ওঠো হে বাঙালী
ভুলে যাও জাত-পাত।
হুংকার দিয়ে জেগে ওঠো হে
অসিম সাহসি বুকে
মুক্ত করবো দেশ মাতাকে
দেবোনা মরতে ধুঁকে।
একবার শুধু দাঁড়িয়ে দেখো
দুরকরে সব ভয়
দেখবে বিশ্ব অবাক নয়নে
আবারো বাঙালী'র জয়।
অংশ: ৯৫
০৩ রা মে, ২০১২ সকাল ৮:৫১
লেখোয়াড়
এ মাটির পৃথিবীতে এখন প্রেত পুরীর ভীড়
শিকারী পাখির নখরযুক্ত থাবার মত
অনেক দুর থেকে উড়ে আসে বড় বড় চিল
মস্তবড় নখ নারীর মসৃণ বুকে দাগ কাটে
রক্তাক্ত হয় পদ্মা যমুনার জল।
কী আশ্চর্য!
হায়ানাদের গান বেজে ওঠে
মানবতার ইতিহাস গড়াগড়ি খায়
অবিকল আফিম মিশিয়ে।
এইভাবে আর কতদিন চলবে নরক সময়
যেন রক্তাক্ত মায়ের স্তন কামড়ে পড়ে আছি।
ওই মুখোশ গুলোই আজ
ছত্রিশ পরগণা ও ১৭০০ মাইল চড়ো, যেন
অসম আগুনে পুড়ছে সবুজ ঘাস
প্রকৃতপক্ষে ব্যভিচারী আবির্ভাব বিজাতির
মনেই পেঁচানো আর মনেই হারিয়ে যাওয়া মন
অচেতন মনের সুখ পাবে না কখনো
যেন রক্তাক্ত মায়ের স্তন কামড়ে পড়ে আছি
অংশ: ৯৬
০৪ ঠা মে, ২০১২ সকাল ৯:১৮
হাবিবুর রহিম
কবিতার বাতায়নে চেপে
চলো যাই সুন্দরের দেশে,
হৃদয়ের কালো গুলো, ভুল রঙা আলো গুলো
সাজাই নতুন বেশে ।
চলো যাই অবগাহনে কাব্যের সরোবরে,
হৃদয়ের কাদা যত, থিকথিকে গাড় ক্ষত
প্রেমমাখা ভুলভাল অহর্নিশ আল্পনা
ধুয়ে মুছে গড়ে নেবো সফেদ হৃদয় ।
আপনারে সকলে মেশাতে চলো গড়ি
কাব্যের গোলাঘর,
সাহসী বেয়নেটের মতো উচিয়ে ধরে
কবিতার আগ্নেয়াস্ত্রে
ঝলসে দেবো যতো অন্যায় পৃথিবীর রনাঙ্গণে ।
চল যাই
কবিতার হাত ধরে সাত তবক আকাশ ফুঁড়ে
মহাকাশের ঐ অন্তিম কোণে,
বিশ্বকে চিনে নেবো,
জ্বরা গুলো ভুলে যাবো,
কালের পরিব্রাজক হয়ে নিয়ে আসবো
সময়ের সুখ কিংবা কিছু অবিমিশ্র আবেগ
অন্তত একটা সপ্ন ফানুষ ।
চলো যাই চলো ।
কবিতার এ মিছিলে চলো ।
খুব বেশী সময় নেই,
অনুতাপের যথেষ্ট অবকাশ নেই
দাড়িয়ে দাড়িয়ে বানর নাচ দেখার ফুসরত নেই ।
তোমার কন্ঠস্বরের আওয়াজে প্রতিধ্বণি তুলবে বলে
তাকিয়ে আছে দেখো সহস্র তরুণ ।
চলো চলো এ কবিতার মিছিলে ।
এক থেকে দুই, দুই থেকে চার এমনি করে দশ, বিশ, ত্রিশ, চল্লিশ
করে শত কবির বন্দনায় রচিত যে অমর পথচলা ।
তাকিয়ে দেখো এ মিছিল থামবার নয়,
কালের অনির্বাণ শিখায় আলোকিত পথ খুজে নেবে শব্দ সৈনিকেরা ।
নোনাগন্ধী প্রাচীন দেয়াল ভেঙে
আমরাই গড়বো সত্যিকারের রূপ কথা, স্বর্ণের রাজপ্রাসাদ ।
একেবারে যেমনটা শুনেছো এতকাল ।
তবে আর দেরি কেনো, চলো যাই...
অংশ: ৯৭
০৫ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০
ধূসর সপ্ন
ছন্দ পতন কবিতা
মাঝে মাঝে সমস্ত পৃথিবীটাকেই কবিতার মত মনে হয় ,
এই সুন্দর আকাশ , নদী, নারী, এমন কি রাস্তার ঐ -
বেওয়ারিশ কুকুরটাকেও ।
ক্ষণে ক্ষণে জীবনটাকেই যেন কবিতার মত লাগে ।
জীবনের যত সুখ -দুঃখ, বেদনা, হাসি- কান্না, চলা -ফেরা-
সব কিছুই কেন যেন খুব উপভোগ্য মনে হয়;
তখন আর খবর নিতে যাই না-
ঐ পথ ভুল করা পথিকের ; না পাওয়ার বেদনায় অশান্ত ঐ ভিক্ষুকের;
কিংবা ঐ শহরের ইট কোঠরের চিপাতে বাসরত হাড্ডিসার প্রাণগুলোর ।
তখন আমি আমাকে খুঁজে পাই -
কোন এক রঙ্গশালায়, অথবা শুরি খানার জাম্পেশ কোন আড্ডায় ।
নয় তো বা কোন অন্ধ গলির মধ্যে উপভোগের -
মাতলামিতে নিমগ্ন এক মাতালের মধ্যে ।
সময় সময়ে আমার এ বেঁচে থাকাকে বড় বেশী
নাটকীয় মনে হয় !
আমি তখন আমাকে হারাই বাঁচার সংগ্রামেরত কোন এক শিশু শ্রমিক
অথবা বয়োবৃদ্ধ দিন মুজুরের কাছে-
না হয় কোন সংগ্রামী এক নারীর কোমড়ে -
শক্ত বাঁধা আঁচলে !
থেকে থেকে আমার এ অস্তিত্ত্বকেই বড় বেশী ট্রাজেডি মনে হয়,
এই বাঁচার তাগিদে এখানে ওখানে ছুটে চলা -
এক পথ ছেড়ে অন্য পথের খোঁজ করা-
যেন সর্বদা ছুটন্ত অশান্ত থাকা ।
যখন বাদক তার লয় হারায়, যখন কবি (তার ) কবিতার ছন্দ হারায়,
জীবন যখন তার স্বাভাবিকতা হারায়,
কবিতার মত জীবনের কী তখন ছন্দ পতন ঘটে না ?
অংশ: ৯৮
০৫ ই মে, ২০১২ রাত ৯:৫০
বসন্তের ঝরা পাতা
কি মায়াবি যাদু লুকিয়ে আছে তব দৃষ্টিতে
কাদলে যেন রিমঝিম রব শ্রাবনী বৃষ্টিতে,
তুমি শ্রেষ্ট সুন্দরী বিধাতার সব সৃষ্টিতে
তুমি মননী আধুনিকা ভুবনের নব কৃষ্টিতে।
তুমি দক্ষিনা সমিরন, তুমি চন্দ্র তুমি বসন্ত
তুমি সুরভিত পুষ্প তুমি পুর্ণিমা অনন্ত।
তুমি রুপময় তুমি রুপের প্লাবিত বন্যা,
তুমি স্বপ্নপুরি শোভা তুমি পাতালপুরি রাজকন্যা।
সৃষ্টি জগতে যা কিছু আছে সুন্দর মনোহর,
সবকিছু মিলে এককোনা ধুলো তোমার চরন পর।
তুমি সর্বস্ব মম নয়নে, তুমি মোর কবিতার ব্যন্জনা,
তোমায় নিয়ে তাই উচ্চারিত শত কবির বন্দনা।
অংশ: ৯৯
১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৩৬
আবদুল্লাহ আল মনসুর
... এবং অবশেষে শিকড়েই ফিরে যাওয়া তবে; ক্রমে ক্রমে হামাগুড়িতে, পিচ্ছিল সুর বাজিয়ে বাজিয়ে
মরে যাওয়া স্বপ্ন ঘোড়া, স্মৃতির পিঠে ঘুরে
বিষাদ কালো ছেঁড়া চাদর, ঝাপসা চোখে উড়ে
দুধ সাদা ঐ শাপলা ফুলে, হলদে শালিক ভাসে
কাব্যে ঘেরা নদীর বুকে, গদ্যেরা আজ হাসে
লাজুক রাঙা প্রিয়ার ঠোঁটে, ভুল ব্যকরণ ফোটে
শুভ্র বরণ বেলীর মালা, অন্য কারও জোটে
পথ হারিয়ে পথের শেষে, আকাশ যখন কাঁদে
মেঘেদের দল ছুটে এসে, বুকটা দিয়ে বাধে
নতুন ভোরের প্রতীক্ষাতে, সময় চলে ছুটে
মিছে আশার মিছে ঘন্টায়, জীবন গেল টুটে
না লেখা সব লেখাগুলো, দুখি কলম খোঁজে
না পাওয়ার বেদনাতে, মৃত্যুতে চোখ বোজে
অংশ: ১০০
২৩ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৩
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল
আমি নদু শেখ
লাউতলী গ্রামে বাস করি
বাপ ও দাদার কাছে যে কবিতা
রচনা শিখেছি, মাঠে মাঠে ফুটে থাকে
সবুজ সবুজ ধান, পরে হয় সোনা সোনা রঙ
নানান শাকের সাথে
আলু ও পটল, লাউ, সীম কবিতায় ফোটে !
আমি শিশু মিয়া
মেঘনার চরে বসবাস
বাপের সাথেই শুরু কবিতার পালা
নাওয়ের গলুই জুড়ে কেটে যায়
কতো দিন রাত
ঝিরঝিরে বাতাসের নীরব পরশ
ঝড়ো জলে প্রবল লড়াই
কতো রূপ ধরে কবিতারা !
রমাকান্ত কামারের সৎপুত্র আমি
দীনু শীল আমার প্রপিতা
পালপাড়া হয়ে আমি
জোলাদের তাঁতে ঝুলে থাকি
চণ্ডীদাশ-রজকিনী জুটি
আমাকে বসিয়ে গেছে
ঘাটের কিনারে
একগাদা কাপড়ের
কালিমা ওঠাতে;
কলুর বলদ আমি
সরিষার খোঁজে ফিরি
পথে প্রান্তরে...
খাই বা না খাই আমি
তবু চলে কবিতার খেলা
কতো লোভ খেয়ে চলে
আমার কবিতাগুলো
বসে সেই খাদকের
বেরহম ডাকাতির মেলা !
৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:২৬
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: দয়া করে মূল ভাবনার সাথে মিল রেখে একটি অংশ লিখে দিন অথবা আপনার এই লেখাটিকে একটু সংশোধন করে মূল ভাবনার সাথে মিলিয়ে দিন।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৩০
সজল৯৫ বলেছেন: ভাল আছেন দাদা, আমার প্রস্তাবিত নামটি শিরোনাম হওয়ায় দেখে ভাল লাগছে, ধন্যবাদ। আর সকল কবিকে ও ধন্যবাদ যারা লিখাটাকে সমৃদ্ধ করেছে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:২৪
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
আমি চাই আপনিও এই কবিতার একটি অংশ লিখুন
আমার সাথে যোগাযোগ করুন
০১৭১১ ৭০৮০৮৬
৩| ০১ লা মে, ২০১২ সকাল ৭:৫১
নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: শুভকামনা রইলো
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ৭:৫৫
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ
মে দিবসের শভেচ্ছা...
শত শ্রমিকের কলম যুদ্ধে যুক্ত হোক আপনারও ঘাম...
এই কামনা...
৪| ০১ লা মে, ২০১২ সকাল ৭:৫৫
সাজিদ এহসান বলেছেন: অনেক কথা হয়নি বলা,
আরও অনেক কথা বলার আছে বাকি।
প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে চলছে এই অলিখিত নিয়ম
কেবল পরাজিত জীবনে সুকরুন যাতনার নগ্ন দহন ।।
সুদিনের অপেক্ষায় থেকে
দাহকালের যন্ত্রনা বুকে চেপে পেড়িয়ে এসেছি কৈশর
কিন্তু- দু মুঠো চালের হাহাকার আজো আছে।
গায়ের রক্ত ঘাম হয়ে ঝাড়ার ক্লেদ
মজুরের কোদালের কষ্ট কেউ রাখেনি মনে ,
ভুখা মানুষের পেটে বেড়েছে ক্ষুধার নির্মম আঘাত
দারিদ্রে দলিত মায়ের স্তনে শিশুর খামচে ধরা হাত
ক্রমাগত মুক্তি চায় । জীর্ণ দেহে শীর্ণ বসন ভাসমান নারী
কেপেছে হেমন্তে গামছাটাকে করে শাড়ি ।
তবু লাঙ্গলের ফলায় কৃষকের ধানের কাব্য বাঁচে
বালকের হৃদয়ে কার্পাস মেঘের ভেতর হারিয়ে যাওয়া
স্বপ্নঘুড়ি একদিন আমিই করেছি লালন ,
ছিন্নমূল শিশুর লালচে চুলে চেয়েছি আগামিরে জানতে ।
একদিন উদ্দাম নদীর স্রোত যেখানে ছিল
এখন সেখানে স্থবির বদ্ধ জলাশয় ,
অথচ চিরকাল রমণীর তরে পুরুষ বেপরোয়া প্রেমিক ।।
মাঝ রাতে কুকুরের ঘেউ –পুলিশের বাশি -খুন-গুমের ভয়-
হঠাথ বুটের আওয়াজ–পচা ডোবা আঁশটে গন্ধ- বস্তি
তিলত্তমা নগরীর অংশ এড়িয়ে চলে সচকিত নাগরিক,
কালো টাকার বাকা হাসি জুয়াড়ির সঞ্চিত পাপ
পিছু নেয় অবগাহনে উত্তরাধিকার সুত্রে আরেক ধাপ ।
ক্ষয়িষ্ণু সামজের দেহে ছাড়পোকারা গড়েছে আবাস
চারদিকে রৌদ্রের ঝালক
গারদের চৌকাঠে মাথা ঠোকা ভ্রষ্ট যুবক
তবু তাম্র আলো দেখেনি অনেক দিন ।
গর্ভের মুল্যও আজ বিলীন
মাতাল জুয়াড়ি রাখেনা খবর জননীর ।
প্রতারক প্রেমিক পায়না খুজে পথ পালাবার
বেড়েছে প্রমোদবালার ঠোঁটে চুমুর ঋণ ।।
শীতের কুয়াশার মত এসেছে নষ্ট সময়
বস্তির ভাঙ্গা বেড়ায় নড়বড়ে ঘরের ফুটোচালে
সারাবেলা রোদ বৃষ্টি বাতাসের উপহাস ।
দীর্ঘশ্বাস জিইয়ে রাখে দারিদ্রের কষাঘাত-
মাঝ রাতে প্রনয় ভুলে যায় দম্পতি- তন্দ্রাহীন
চোখ- মেলে না সামান্য পান্তা ভাত ।
চন্দানার দুধের শিশুর ধারালো দাত
কেটে চলে তাঁতের শাড়ি ।
তাই কিছু নতুনের স্বপ্ন দেখি- নতুন ভাবে বাচার
কিছু পরিবর্তনের আভাস দেখি নতুন আশার ,
হায়েনার পাঁজরে লেগে গেছে মড়ক
রক্তে জমেছে নিপুন কোলেস্টরেল -
পৌরষত্ব বিলাসি কীটেরও জমেছে বিস্তর পাপ
ক্লান্ত নতজানু বয়ে যেতে প্রহেলিকার অভিশাপ ।
_________________________________________
১০১ হতে পারে কি?
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ৮:১০
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: চমৎকার অংশ গ্রহণ
সংযুক্ত করা হলো।
অংশ: ৮৯
মোট: ৯১ জন
এটি হবে শত কবির বন্দনা....
৫| ০২ রা মে, ২০১২ সকাল ১১:৪০
এসএনিট বলেছেন: '৭১ তোমার জন্যে ভালবাসা
শামসুন নাহার তারেক
অনেকদিন কিছু লিখি না
অনেকদিন শব্দরা ছোঁয়া দিচ্ছি দিচ্ছি
করেও ফাঁকি মেরে যাচ্ছে রকবাজদের মত।
আমি শব্দের অপেক্ষায় থাকি
আমি আবেগের অপেক্ষায় থাকি
আমি তোমার অপেক্ষায় থাকি।
আজকাল অনুভুতি বোধশক্তিহীন
আজকাল শব্দরা বিজাতীয়
আজকাল ভালবাসা ভালবাসাহীন
কবিতার কি গাছ গজায়?
সে গাছে অফুরন্ত পাতা?
ঝাঁকি দিলে কবিতা পড়ে টুপটাপ্?
আমার জানা নেই
আমার জানা নেই কবিতার জন্ম না হওয়া কষ্টে
কেউ কি আত্মহননে ব্যস্ত বন্ধা রমণীর মত?
আমার জানা নেই ’৭১ এ ধর্ষিতার কষ্ট কতটা প্রকট
নিজেকে মনে হয় বড়ই তুচ্ছ
কেন সে সময় শিশু না থেকে ষোড়শি ছিলাম না!
০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ১২:২৬
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: সুন্দর
সংযুক্ত করা হলো
অংশ: ৯৩
মোট ৯৫ জন হলাম
৬| ০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ১২:৪২
আশিক মাসুম বলেছেন:
!!বছর যায়!!
বুলবুলিটা বাচ্চা ফুটিয়েছে আমার ঘরের কোনায়,
উনুনের উপর আগুনের কুন্ডলি দেখে কাল সারারাত
হাউমাউ করে কেদেছে বোকা বেড়ালটা,
ঘর হিন মানুষ গুলোর শিতের কাপনে
কেপেছে মাঝরাতের রাজধানী,আর আমি
উপুর হয়ে শুয়ে শুয়ে দেখেছি তোমাকে ,দেখেছি রাতের অদ্ভুৎ আকাশ।
সিগ্নাল বাতি গুলোর নিচে দাড়িয়ে আছে
ওপাড়ার চন্দ্রমূখিরা।আমি দেখেছি
সারা শহর জুরে মিছিলের পর মিছিল আর
ছোপছোপ কালো অন্ধকার।
বছর যায়।বুলবুলির ছোট্ট ছানা গুলো
আবারো বাচ্চা ফুটায় খরের বাসায়,
আর তুমি ঘুমিয়ে থাকো আমার বোকের ঠিক বা-দিকে,
চন্দ্রমূখিদের দলে জোগ হয় নতুন মোখ,
বেরালটা এখন কাদেনা আর কিছুতেই।
জানালার উপাসে দেবদারুর সাখায় আজ দেখি
কত ভালবাসা,ভালোবাসা প্রেমহীন ধরনিতে।
০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ১২:৫০
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: সুন্দর কবিতা
অনেক বানান ঠিক আছে কিনা বুঝতে পারছি না...?
৭| ০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬
আশিক মাসুম বলেছেন: !! জিবন্ত লাশ!!
৪০ বছরে পা রাখা মাঝ বয়সি একটা জিবন্ত লাশ,
মাথা বর্তি পাকা চুলের ফাকে ফাকে ধুলো-ময়লার মাখামাখি
পরনে তার সেই পুরাতন ছেরা-ফাটা মলিন বস্র
যেখানে রক্ত আর মাটির মিশ্রনে সত্যিকারে রং গেছে মিলিয়ে
যেখানে ছেরা পতাকার টুকরো দিয়ে কোন রকমে
সম্ব্রম ঢাকতে হয় তার।
৪০ বছরে পা রাখা মাঝ বয়সি একটা জিবন্ত লাশ,
একদিকে ক্ষুধা-দারিদ্রতা অন্যদিকে অনিয়মের তিব্রতা,
মেরুদন্ড কিংবা গায়ের জোর ,অন্য,বস্র,বাসস্থান
কিছুইনেই তার,তবু তাকে বেঁচে থাকতে হয়
কারন তার দেহ বিক্রির টাকায় অনেকেরই বিলাসী জীবন চলে।
১৫কুটি মানুষের বোকে লালন করা নিছক উপহাস,
বছরের পর বছর যে-যার ইচ্ছে মত ধর্ষণ করে ,ছিরে ছিরে খায়
৪০ বছরে পা রাখা মাঝ বয়সি এই জিবন্ত লাশটাকে
যাকে পাবার জন্য এতো রক্ত দেওয়া,জীবন দেওয়া
এতো ত্যগ, সে কেনো আজ নিছকি একটা জিবন্ত লাশ?
তবেকি এদেশে স্বাধীনতার আগমনটাই প্রহসন?
৪০ বছরে পা রাখা মাঝ বয়সি একটা জিবন্ত লাশ,
মাথা বর্তি পাকা চুলের ফাকে ফাকে ধুলো-ময়লার মাখামাখি
পরনে তার সেই পুরাতন ছেরা-ফাটা মলিন বস্র
যেখানে রক্ত আর মাটির মিশ্রনে সত্যিকারে রং গেছে মিলিয়ে
যেখানে ছেরা পতাকার টুকরো দিয়ে কোন রকমে
সম্ব্রম ঢাকতে হয় তার।
৪০ বছরে পা রাখা মাঝ বয়সি একটা জিবন্ত লাশ,
একদিকে ক্ষুধা-দারিদ্রতা অন্যদিকে অনিয়মের তিব্রতা,
মেরুদন্ড কিংবা গায়ের জোর ,অন্য,বস্র,বাসস্থান
কিছুইনেই তার,তবু তাকে বেঁচে থাকতে হয়
কারন তার দেহ বিক্রির টাকায় অনেকেরই বিলাসী জীবন চলে।
১৫কুটি মানুষের বোকে লালন করা নিছক উপহাস,
বছরের পর বছর যে-যার ইচ্ছে মত ধর্ষণ করে ,ছিরে ছিরে খায়
৪০ বছরে পা রাখা মাঝ বয়সি এই জিবন্ত লাশটাকে
যাকে পাবার জন্য এতো রক্ত দেওয়া,জীবন দেওয়া
এতো ত্যগ, সে কেনো আজ নিছকি একটা জিবন্ত লাশ?
তবেকি এদেশে স্বাধীনতার আগমনটাই প্রহসন?
০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: একি কথা কি দুবার করে হয়েছে?
৮| ০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ১২:৪৭
আশিক মাসুম বলেছেন: ভাই ২টা দিলাম যেটা ভালো লাগে সংযুক্ত করে দিয়েন......।
ধন্যবাদ
০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ১২:৫২
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: ২য়টা ভালো লেগেছে..
দয়া করে একটু যত্ন সহকারে দেখে দিবেন কি?
৯| ০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ১:৪১
আশিক মাসুম বলেছেন: জি ২বার হয়ে গেছে দুঃখিতো....
০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ১:৪৮
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: আপনরা লেখা সংযুক্ত করা হয়েছে
অংশ: ৯৪
মোট ৯৬ জন হয়েছি.....
১০| ০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ২:০২
নেক্সাস বলেছেন: ................
আসুন একটা কবিতা লিখি এবার
ছত্রে ছত্রে লিখে দিই সর্বহারা মানুষের কষ্ট
এবার শোষিতের বজ্রকন্ঠ হবে কবিতা
রক্তচক্ষু নির্মম শাসক যত ইচ্ছা হোক রুষ্ট।
এবার নষ্ট ভ্রষ্ট ধর্মান্ধ সমাজের পায়ে
কবিতা হোক পরশুরামের কুঠারাঘাত
কবিতায় সাম্যের বন্দনা করো হে কবি
কবির হাতেই রচিত হোক শুভ্র প্রভাত।
০২ রা মে, ২০১২ বিকাল ৪:০৮
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ
আমার ডাকে সাড়া দেবার জন্য..
আপনার অংশ সংযুক্ত করা হলো
অংশ: ৯৫
মোট ৯৭ জন হলাম...
১১| ০২ রা মে, ২০১২ বিকাল ৪:৪৮
আশিক মাসুম বলেছেন: ৯৬/৯৭/৯৮ কই ভাই.........আর এতোগুলো কবিতা দিয়ে কি হবে?????
০২ রা মে, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: আর ওই তিনটির অপেক্ষায় আছি...
তবেই শত কবির বন্দনায়-আসুন একটি কবিতা লেখার কাজ শেষ হবে।
আপনি কি বিরক্ত......
আমি এক বছর ধরে এই কাজ করছি.....
১২| ০২ রা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০২
সাইফ আসরার বলেছেন: অনেকদিন স্বপ্ন দেখা হয় না,স্বপ্নভূখা
দীর্ঘস্থায়ী দশ সেকেন্ডই হয় সখা-
না’হয় দুঃস্বপ্নই দেখ, নেতা দেখিসনে
বাস্তবতা, দুঃস্বপ্ন থেকে রুষ্ঠ।
যেমন আতংকে মানা করে আতংক
তারপরও-
ভিত গড়ি, দেয় হামগুড়ি
পথ স্বপ্নের আর গৌরব ইতিহাসের।
০২ রা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০০
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: আপনার কবিতার জন্য ধন্যবাদ....
১৩| ০২ রা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬
আশিক মাসুম বলেছেন: হাহাহা নাহ্ বিরক্ত হবো কেন???এমনিতেই যানতে ইচ্ছে হলে কবিতা গুলোর পরিনতি কি???
০২ রা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০০
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: ২১ শে বই মেলা ২০১৩ তে বই আকারে প্রকাশ করা হবে।
সাথে থাকুন
মহযোগিতা করুন।
১৪| ০২ রা মে, ২০১২ রাত ৯:০৯
মনিরুল হাসান বলেছেন: আমার অংশ:
দলে দলে যত আছে সংঘাত, আছে যত দ্বিধা দন্দ্ব,
একই মমমতার চাদর বিছিয়ে করে দেবো সব বন্ধ।
জনজীবনের অসুবিধা যত চাপা দেবো সব কবরে,
হাসবে মায়েরা ছেলের নতুন চাকরি পাওয়ার খবরে।
হবে উন্নতি, যত দূর্গতি একসাথে দূরে ঠেলবো,
দারিদ্র্যতার আছে যত গ্লানি সবটুকু মুছে ফেলবো।
ভালবেসে মোরা বাড়িয়ে দেবো যে সহযোগিতার হাত;
'ঝলসানো রুটি' হয়ে নেমে আসে যেন আকাশের ঐ চাঁদ।
পরিবার হয়ে মিলেমিশে সবে লিখবো এমন কবিতা,
ফুটিয়ে সেখানে তুলবো মোদের মাতৃভূমির ছবিটা।
দূর্নীতি যাবে দূর দিকে সরে, হবে খাবারের যোগান,
'উঁচু থেকে দেশ উঠবে উঁচুতে' হবে কবিতার শ্লোগান।
০৩ রা মে, ২০১২ সকাল ৭:৫৮
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ
আপনার অংশ সংযুক্ত করা হয়েছে..
অংশ: ৯৬
মোট ৯৮ জন
০৩ রা মে, ২০১২ সকাল ১১:০১
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: দুঃখিত আপনি অনেক আগেই অংশ গ্রহণ করেছেন।
অংশ:২২
২০ শে মে, ২০১০ রাত ১:৩৮
মনিরুল হাসান
আসুন সেই কবিতা লিখি
যাতে রবে আলোর আশা ভরা বাংলার গান,
দুই হাতে বিশ্ব জয়ের সকল সমাধান।
ভবিষ্যতের দিন ভরা থাকে যেন সুখী মানুষের তালিকা,
আজিকে যাহারা রয়েছে বালক এবং রয়েছে বালিকা।
তারও লিখবে বাংলাদেশ শিরনামে কবিতা।
............এই অংশ টুক সংশোধন করে বর্তমান অংশটুকু সংযুক্ত করা হল.............
১৫| ০৩ রা মে, ২০১২ রাত ২:২৭
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: **জানিনা ১০০ জন কবি'র লেখা পুরন হয়েছে কিনা। তবুও আমার এই ছোট্ট প্রয়াস। কবি নই তবুও চেষ্টা করলাম যদি কিছু হয়। ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন। শুভ কামনা রইলো সবার জন্য...ধন্যবাদ।
অহবান-০২
আহবান করেছেন কবি
সাড়াতো দিতেই হয়
দিনে দিনে মানবতার
হচ্ছে যে শুধুই ক্ষয়।
অসুভ কালো এক থাবা
মুঠোবন্দী করেছে দেশ
আমরা শুধুই দেখছি আর-
পাঁকছে মাথার কেশ।
প্রতিটি ক্ষন ধর্ষীত হয়
আমার জননী দেশমাতা
এতটুকু কি করি অনুভব
দেশ জননী'র ব্যাথা??
ঘুরেফিরে কিছু নরকের কিট
জননী'কে করে দখল
১৬ কোটি সন্তান মায়ের
নপংসুক কি সকল??
১৬ কোটি জনতার
৩২ কোটি হাত
জেগে ওঠো হে বাঙালী
ভুলে যাও জাত-পাত।
হুংকার দিয়ে জেগে ওঠো হে
অসিম সাহসি বুকে
মুক্ত করবো দেশ মাতাকে
দেবোনা মরতে ধুঁকে।
একবার শুধু দাঁড়িয়ে দেখো
দুরকরে সব ভয়
দেখবে বিশ্ব অবাক নয়নে
আবারো বাঙালী'র জয়।
.............................................
.............................................
স্বপ্নবাজ
৩' মে-২০১২ইং(রাত ১২:৫৩মি.)
বনশ্রী, রামপুরা
ঢাকা।
০৩ রা মে, ২০১২ সকাল ৭:৫৯
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: আপনার কবিতা সংযুক্ত করা হয়েছে...
অংশ: ৯৭
মোট ৯৯জন হয়েছে আপনি সহ
১৬| ০৩ রা মে, ২০১২ সকাল ১১:১০
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বিরাট প্রচেষ্ঠা টি সফল হতে যাচ্ছে অবশেষে।
আমার ছোট্ট দুটো অংশ হয়ে গেছে মনে হচ্ছে।
৫৩ এবং ৮৬, প্রথম টা বাদ দেয়া যেতে পারে।
হঠাত দেখলাম।
০৩ রা মে, ২০১২ সকাল ১১:২৯
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ........সহযোগিতা করার জন্য
প্রথম অংশ বাদ দিয়ে ৫৩ তে ২য়টা যোগ করেছি।
আরো কোন অসঙ্গতি থাকলে জানালে খুশি হবো।
১৭| ০৩ রা মে, ২০১২ সকাল ১১:৩১
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।
অবশ্যই জানাবো।
১৮| ০৪ ঠা মে, ২০১২ ভোর ৪:২০
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: দারুন প্রচেষ্টা ভাইজান। ভাল লাগলো যে এখনো বাঙালী ভাল কাজের ডাকে সাড়া দেয়। মানবতা এখনো শেষ হয়ে যায়নি এটাই আশার কথা। অনেক শুভকামনা রইলো স্বপ্ন দেখানোর কান্ডারীগনের প্রতি।
যদি কোন ব্যাপারে সামান্যও সহযোগিতা করতে পারি তো অবশ্যই চেষ্টা করবো। যোগাযোগ- ০১৭১৫৪২৬২৬৩
[email protected]
০৪ ঠা মে, ২০১২ সকাল ৭:৪৮
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ.......
সদা ভালো থাকবেন।
যোগযোগ হবে।
১৯| ০৪ ঠা মে, ২০১২ সকাল ৯:১৮
হাবিবুর রহিম বলেছেন: চলো যাই
কবিতার বাতায়নে চেপে চলো যাই সুন্দরের দেশে,
হৃদয়ের কালো গুলো ভুল রঙা আলো গুলো
সাজাই নতুন বেশে ।
চলো যাই অবগাহনে কাব্যের সরোবরে,
হৃদয়ের কাদা যত থিকথিকে গাড় ক্ষত
প্রেমমাখা ভুলভাল অহর্নিশ বৃত্তাল্পনা
ধুয়ে মুছে গড়ে নেবো সফেদ হৃদয় ।
আপনারে সকলে মেশাতে চলো নামি কাব্যের গোলাঘরে
সাহসী বেয়নেটের মতো উচিয়ে ধরে কবিতার আগ্নেয়াস্ত্র
ঝলসে দেবো যতো অন্যায় পৃথিবীর রনাঙ্গণে ।
চল যাই কবিতার হাত ধরে
সাত তবক আকাশ ফুঁড়ে
মহাকাশের ঐ অন্তিম কোণে,
বিশ্বকে চিনে নেবো, জ্বরা গুলে ফেলে দেবো,
কালের পরিব্রাজক হয়ে নিয়ে আসবো
সময়ের সুখ কিংবা কিছু অবিমিশ্র আবেগ
অন্তত একটা সপ্ন ফানুষ ।
চলো যাই চলো ।
কবিতার এ মিছিলে চলো ।
না না খুব বেশী সময় নেই,
অনুতাপের যথেষ্ট অবকাশ নেই
দাড়িয়ে দেখে বানর নাচ দেকার ফুসরত নেই ।
তোমার কন্ঠস্বরের আওয়াজে প্রতিধ্বণি তুলবে বলে
তাকিয়ে আছে দেখো সহস্র তরুণ ।
চলো চলো এ কবিতার মিছিলে ।
এক থেকে দুই
দুই থেকে চার
এমনি করে দশ বিশ ত্রিশ চল্লিশ পন্চাশ
করে করে শত কবির বন্দনায় রচিত যে অমর পথচলা ।
তাকিয়ে দেখো এ মিছিল থামবার নয়,
কালের অনির্বাণ শিখায় আলোকিত পথ
খুজে নিচ্ছে শব্দ সৈনিকেরা ।
নোনাগন্ধী প্রাচীন দেয়াল ভেঙে
আমরাই গড়বো সত্যিকারের রূপ কথা, একেবারে যেমনটা শুনেছো এতকাল ।
তবে আর দেরী কেনো, চলো যাই....
০৪ ঠা মে, ২০১২ সকাল ৯:২৩
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ
আপরনার অংশ সংযুক্ত করা হলো
অংশ: ৯৬
মোট ৯৮ জন হলাম
২০| ০৪ ঠা মে, ২০১২ সকাল ৯:২১
হাবিবুর রহিম বলেছেন: ভাই আমি কী জায়গা পাবো এই মহান শতকে ? প্রতীক্ষায় থাকবো....
আর দয়া করে প্রথম মন্তব্যটা মুছে দেবেন । দ্বিতীয়টায় আরো কিছু যোগ করেছি ।
০৪ ঠা মে, ২০১২ সকাল ৯:২৮
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: তাই করা হয়েছে
সাথে থাকুন.............
২১| ০৪ ঠা মে, ২০১২ দুপুর ১:১০
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: বিস্তারিত কথামালার মাঝে একফোঁটা নীহারিকাময় সঙ্গম
বিভ্রান্ত কিংবা হ্যালুসিনেটেড মানুষের মতোই
এদিক ওদিক ঘোরাফেরা শেষে যখন
ভেজা খবরের কাগজের পাতায়-
আশ্রয় নেয় তিনরাতের না ঘুমানো প্রজাপতি
ঠিক তখনি শ্লেষ বয়ে বেড়ানো
জঙ্ঘা জেগে ওঠে অতলের আহবানে।
পাশে শুয়ে থাকা ছায়ার শরীরে
খেলা করে এক দূর্বিনীত মানচিত্র।
রেখা-উপরেখায় লুকায়িত
গুম, ঘৃণা কিংবা স্বেদপাত্রের অহমিকায়
উঁইপোকাদের মাটির পথ বেয়ে উঠে আসে
শতবর্ষের অনন্ত গরল।
জঙ্ঘার পরতে পরতে তখন সুখের সুনামি
বিহ্বল কটিদেশের দ্রুত সঞ্চালন-
প্রবল শীৎকারে গুমরে মরে
মানচিত্রের আর্তনাদের ক্রুব্ধ অনল।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ধন্যবাদ সেবুদা
০৪ ঠা মে, ২০১২ দুপুর ১:৫৭
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ....
সুন্দর লেখা কিন্তু আমাদের লেখার ধারাবাহিকতায় যদি একটু ঠিকঠাক করে দিতেন তবে ভালো হতো।
২২| ০৪ ঠা মে, ২০১২ বিকাল ৫:০৯
সাদিক সাকলায়েন বলেছেন: চোখ
আজ অবধি যা অবোধ্য সে তোমার চোখ
তোমার চোখদুটি চর্যাপদ
অথবা কালিদাসের শ্লোক
সংস্কৃতের জটিল ধাঁধা অবাঞ্চিত আপদ
আমি স্বল্পবুদ্ধিমান আদম উত্তরসূরি
হাঁ করে তাকিয়ে থাকি
তোমার অমন কলকলানো ছলচাতুরী
পূর্ণ দুটি আঁখি
আমি বুঝবো কেমন করে?
চোখের ভাষা খুঁজতে গিয়ে মাথা ঘোরে
কোটর ভরা দুইটি বল সাদাকালো
ডানে বাঁয়ে উপর নিচে ঘূর্ণায়মান
দৃষ্টি প্রদীপ কখন কোথায় কি পেলো
সে কি আমার অভিজ্ঞান!
অতশত বুঝি না প্রতিক্রিয়া তাদের
কি বলে না বলে বুঝতে গিয়ে
ঝুলে থাকি কার্নিশে দ্বিধান্বিত ছাদের!
----------------------------------------ধন্যবাদ।
০৪ ঠা মে, ২০১২ বিকাল ৫:১৬
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন....
২৩| ০৪ ঠা মে, ২০১২ বিকাল ৫:৩৯
মাহী ফ্লোরা বলেছেন:
বিভ্রান্ত নদীর পাপ
যুদ্ধ শেষে নদীটাও বিভ্রান্ত এখন
আকাশ গালে মেখে তার বৃষ্টি হবার কথা ছিল
শিশুর লালে তার গড়িয়ে পড়ার কথা ছিল
মায়ের চুলে তার ঝরে পড়ার কথা ছিল।
মধুমিতা দুপুর হলেই ছাদে যায়
মাড় কড়কড়ে শুকনো কাপড় তুলে নিতে।
সেই রমনী মাঝ দুপুরে রোদের সাথে
মিশে যায় কচি লাউয়ের ডগার মত..
দুর গগনে গন্ধ শোঁকে বাতাসে-
নদী তার শরীর গিলেছে,
যোনীতে নিয়েছে সেই পুরুষের লাশ।
যুদ্ধ ফেরত মানবগুলো টুকরো কাঁচের মত,
যদি এমন হত,যুদ্ধ শেষে ফিরত সবুজ পুরুষ!
যুদ্ধ জ্বলা তারা যদি বৃষ্টি হয়ে যায়,
গড়িয়ে পড়ে লালে,মুঠো হাতের চুড়িতে
চুল ছুঁয়ে যায় পাকানো গামছায়...
তবে বিভ্রান্ত নদী পাপমুক্ত হবে।
কিন্তু রমনী দুপুর হলেই সেই ঝাঁঝালো গন্ধ পায়,
আজীবন তার গন্ধ পাবে!
লেখায় শব্দ যোগ না করে আপনি সব শেষ লেখা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। শব্দ যোগ করতে গেলে শেষের যে রিদম টা আছে হয়ত থাকবেনা। আমি চাইনা সেটা হারাতে।
অনেক ধন্যবাদ সব কিছুর জন্য। যদি ভাল কোন লেখা এর মধ্যেই পেয়ে থাকেন। তবে বাদ দিয়ে দিবেন। আমি কিছু মনে করবোনা। অনেক শুভকামনা আপনার উদ্যোগে।
০৪ ঠা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৩
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: সদা শুভ হোক
২৪| ০৪ ঠা মে, ২০১২ রাত ১১:৪৮
কালবেলার অকাল ভাবনা বলেছেন: চাইছি লিখতে, অংশ হতে
ভাবনা নাকি শ'কবির বন্দনা,
ভেবে দেখলাম শেষের পাতায়
ভাবনাটাতো মন্দ না।
লিখব যে কি আকাশ বাতাস
খুঁজে কিছুই পাচ্ছি না,
দেখি শেষে পত্রখানায়
লিখেছি, ছেড়ে তোমায় যাচ্ছি না।
উত্তরে বন্দনা করে
যেই ফিরেছি পূবে,
দেখি পূবে প্রেমের সাগর
সেথায় যাচ্ছি আমি ডুবে।
পূবে প্রেমের ছড়াছড়ি
দক্ষিণে যেই ফিরেছি,
ফাগুণ হাওয়ার দ্বিগুণ বেগে
যেনো চরকির মতো ঘুরেছি।
ঘুরেই দেখি সামনে তুমি
প্রেমের মূর্তি হয়ে রয়েছো,
তাই, বন্দনা সব তোমার তরে
কারণ, তুমি স্বপ্ন বুনে দিয়েছো।
০৫ ই মে, ২০১২ ভোর ৬:২৭
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: সংগ্রহ করলাম
২৫| ০৫ ই মে, ২০১২ দুপুর ১:০০
হাবিবুর রহিম বলেছেন: কবিতার বাতায়নে চেপে
চলো যাই সুন্দরের দেশে,
হৃদয়ের কালো গুলো, ভুল রঙা আলো গুলো
সাজাই নতুন বেশে ।
চলো যাই অবগাহনে কাব্যের সরোবরে,
হৃদয়ের কাদা যত, থিকথিকে গাড় ক্ষত
প্রেমমাখা ভুলভাল অহর্নিশ আল্পনা
ধুয়ে মুছে গড়ে নেবো সফেদ হৃদয় ।
আপনারে সকলে মেশাতে চলো গড়ি
কাব্যের গোলাঘর,
সাহসী বেয়নেটের মতো উচিয়ে ধরে
কবিতার আগ্নেয়াস্ত্রে
ঝলসে দেবো যতো অন্যায় পৃথিবীর রনাঙ্গণে ।
চল যাই
কবিতার হাত ধরে সাত তবক আকাশ ফুঁড়ে
মহাকাশের ঐ অন্তিম কোণে,
বিশ্বকে চিনে নেবো,
জ্বরা গুলো ভুলে যাবো,
কালের পরিব্রাজক হয়ে নিয়ে আসবো
সময়ের সুখ কিংবা কিছু অবিমিশ্র আবেগ
অন্তত একটা সপ্ন ফানুষ ।
চলো যাই চলো ।
কবিতার এ মিছিলে চলো ।
খুব বেশী সময় নেই,
অনুতাপের যথেষ্ট অবকাশ নেই
দাড়িয়ে দাড়িয়ে বানর নাচ দেখার ফুসরত নেই ।
তোমার কন্ঠস্বরের আওয়াজে প্রতিধ্বণি তুলবে বলে
তাকিয়ে আছে দেখো সহস্র তরুণ ।
চলো চলো এ কবিতার মিছিলে ।
এক থেকে দুই, দুই থেকে চার এমনি করে দশ, বিশ, ত্রিশ, চল্লিশ
করে শত কবির বন্দনায় রচিত যে অমর পথচলা ।
তাকিয়ে দেখো এ মিছিল থামবার নয়,
কালের অনির্বাণ শিখায় আলোকিত পথ খুজে নেবে শব্দ সৈনিকেরা ।
নোনাগন্ধী প্রাচীন দেয়াল ভেঙে
আমরাই গড়বো সত্যিকারের রূপ কথা, স্বর্ণের রাজপ্রাসাদ ।
একেবারে যেমনটা শুনেছো এতকাল ।
তবে আর দেরি কেনো, চলো যাই...
ভাই এডিট করে দিলাম......... (৯৬)
০৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৫৯
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: এডিট করে নেয়া হলো..সাথে থাকুন
২৬| ০৫ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৯
ধূসর সপ্ন বলেছেন: পথ
অনেকটা পথ চলে এসেছি,
মনে হয় অনেক দূর চলে এসেছি-
জীবনের এই পথ হাঁটতে হাঁটতে !
আসতে আসতে ফেলে এসেছি কিছু রঙিন মুহূর্ত,
স্মরণীয় কিছু স্মৃতি । এখনও পথ চলছি মিরিচিকার মত
এক টুকরা 'আশার' পিছনে ।
চলতে চলতে ফেলে এসেছি আমার প্রিয় ঘর, সবুজ গ্রাম,
শস্যভরা সবুজ মাঠ, ধুলিমাখা মেঠো সড়ক।
ফেলে এসেছি জোছনালোকিত তারা ভরা রাত ,
নিরব নির্জন ভাললাগা অন্ধকার ।
মাছরাঙা আর মাছের হারজিত দেখতে দেখেতে
কখন যে এতটা পথ পাড়ি দিলাম টেরই পাইনি।
পিছু ফিরে দেখি আনেক দূরে আমি ,
ধূ ধূ ফাঁকা প্রান্তর দেখা যায় না আর
প্রিয় ঘর আমার .........
ব্যাকুল এ মন আকুল হল ফিরে যেতে হায় !
পারব কি ফিরে যেতে ?
সন্ধ্যা যে নেমে এল সূর্য নিল বিদায়,
ঘরে ফেরার আছে কি উপায় ?
দীর্ঘ এ পথ আবার একমুখোও
ফেরার যে নেই কোন অনন্য উপায় ।
এ পথের শেষে মহাধ্বংস আছে
এ যে কঠিন পথ , এ যে কেবলই জীবন পথ !
০৫ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ...
আপনার এই কবিতাটি সংযুক্ত করেছি...
অংশ: ৯৭
০৫ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০
ধূসর সপ্ন
ছন্দ পতন কবিতা
মাঝে মাঝে সমস্ত পৃথিবীটাকেই কবিতার মত মনে হয় ,
এই সুন্দর আকাশ , নদী, নারী, এমন কি রাস্তার ঐ -
বেওয়ারিশ কুকুরটাকেও ।
ক্ষণে ক্ষণে জীবনটাকেই যেন কবিতার মত লাগে ।
জীবনের যত সুখ -দুঃখ, বেদনা, হাসি- কান্না, চলা -ফেরা-
সব কিছুই কেন যেন খুব উপভোগ্য মনে হয়;
তখন আর খবর নিতে যাই না-
ঐ পথ ভুল করা পথিকের ; না পাওয়ার বেদনায় অশান্ত ঐ ভিক্ষুকের;
কিংবা ঐ শহরের ইট কোঠরের চিপাতে বাসরত হাড্ডিসার প্রাণগুলোর ।
তখন আমি আমাকে খুঁজে পাই -
কোন এক রঙ্গশালায়, অথবা শুরি খানার জাম্পেশ কোন আড্ডায় ।
নয় তো বা কোন অন্ধ গলির মধ্যে উপভোগের -
মাতলামিতে নিমগ্ন এক মাতালের মধ্যে ।
সময় সময়ে আমার এ বেঁচে থাকাকে বড় বেশী
নাটকীয় মনে হয় !
আমি তখন আমাকে হারাই বাঁচার সংগ্রামেরত কোন এক শিশু শ্রমিক
অথবা বয়োবৃদ্ধ দিন মুজুরের কাছে-
না হয় কোন সংগ্রামী এক নারীর কোমড়ে -
শক্ত বাঁধা আঁচলে !
থেকে থেকে আমার এ অস্তিত্ত্বকেই বড় বেশী ট্রাজেডি মনে হয়,
এই বাঁচার তাগিদে এখানে ওখানে ছুটে চলা -
এক পথ ছেড়ে অন্য পথের খোঁজ করা-
যেন সর্বদা ছুটন্ত অশান্ত থাকা ।
যখন বাদক তার লয় হারায়, যখন কবি (তার ) কবিতার ছন্দ হারায়,
জীবন যখন তার স্বাভাবিকতা হারায়,
কবিতার মত জীবনের কী তখন ছন্দ পতন ঘটে না ?
২৭| ০৫ ই মে, ২০১২ রাত ৯:৫০
বসন্তের ঝরা পাতা বলেছেন: কি মায়াবি যাদু লুকিয়ে আছে তব দৃষ্টিতে
কাদলে যেন রিমঝিম রব শ্রাবনী বৃষ্টিতে,
তুমি শ্রেষ্ট সুন্দরী বিধাতার সব সৃষ্টিতে
তুমি মননী আধুনিকা ভুবনের নব কৃষ্টিতে।
তুমি দক্ষিনা সমিরন, তুমি চন্দ্র তুমি বসন্ত
তুমি সুরভিত পুষ্প তুমি পুর্ণিমা অনন্ত।
তুমি রুপময় তুমি রুপের প্লাবিত বন্যা,
তুমি স্বপ্নপুরি শোভা তুমি পাতালপুরি রাজকন্যা।
সৃষ্টি জগতে যা কিছু আছে সুন্দর মনোহর,
সবকিছু মিলে এককোনা ধুলো তোমার চরন পর।
তুমি সর্বস্ব মম নয়নে, তুমি মোর কবিতার ব্যন্জনা,
তোমায় দিয়ে শেষ হোক শত কবির বন্দনা।
০৫ ই মে, ২০১২ রাত ১০:০৩
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ
আপনাকে দিয়ে শেষ করতে চাই শত কবির বন্দনার কাজ
তবে অনুমিত দিন শেষ লাইনে একটু সংশোধন করার
কারণ শেষ অংশটি আগেই লেখা হয়েছে
........
তুমি সর্বস্ব মম নয়নে, তুমি মোর কবিতার ব্যন্জনা,
তোমায় দিয়ে শেষ হোক শত কবির বন্দনা।
এখানে
তোমায় নিয়ে তাই উচ্চারিত শত কবির বন্দনা
দিতে চাই
অনুমতির অপেক্ষায়..
২৮| ০৫ ই মে, ২০১২ রাত ১০:১৮
অদৃশ্য মানবী বলেছেন: আমি লেখক না।ভাল লাগলো তাই চেষ্টা করলাম কিছু লিখতে দেখুন আপনার পছন্দ হইয় কিনা। ''আসুন একটি কবিতা লিখি।
কবিতার ছলে জাগিয়ে তুলি
আমাদের ঘুমন্ত বিবেক কে।
বজ্রকন্ঠে আজ হুংকার ছাড়ি
সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে,
ছিনিয়ে আনি আমাদের অধিকারকে।
যা আজ খর্ব হচ্ছে শাসকরূপী
হিংস্র হায়েনার থাবায়।
আসুন একটি কবিতা লিখি
কবিতার ছলে সম্মিলিত হই
কোটি প্রাণ,মৃত্যুকূপ থেকে
ছিনিয়ে আনি আমাদের অধিকারকে।''
০৫ ই মে, ২০১২ রাত ১০:২১
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
কিছুক্ষন আগেই শেষ হলো শত কবির বন্দনা..
আপনার অংশগ্রহণের কথা মনে থাকবে।
সাথে থাকুন।
২৯| ০৫ ই মে, ২০১২ রাত ১০:৩৩
বসন্তের ঝরা পাতা বলেছেন: ঐ দুই লাইন শুধুমাত্র শত কবির বন্দনাকে উতসর্গ করার জন্য লেখা।ওখানে সংশোধন সম্পাদকের মর্জি। অনুমতি দেয়া হলো। ধন্যবাদ
০৬ ই মে, ২০১২ রাত ৮:২৩
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ...............
৩০| ০৭ ই মে, ২০১২ সকাল ৭:২৮
ধূসর সপ্ন বলেছেন: অবশেষে সেবুদা আপনা কে অভিন্দন , আপনি পেরেছেন! সেই সাথে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে, আমার একটি ক্ষুদ্র লেখাও আপনার শতকবির বন্দনায় স্থান পেয়েছে ।
আরো ভাল লাগছে এ কথা শুনে যে কবিতা গুলো বই আকারে বের হবে । আমার শুভ কাঙ্খীরা আমকে এই বলে উৎসাহ দিয়েছে -বইটি বের হলে যেন আমি তাদের বলি, তারা সকলেই বইটি সংগ্রহ করতে প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ।
০৭ ই মে, ২০১২ রাত ৯:২০
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
শত কবির বন্দনা বিয়ষক একটি পোস্ট দিন...
তাতে মতামত যাচাইয়ের সুযোগ হবে.....
৩১| ০৭ ই মে, ২০১২ রাত ৯:৩৩
নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: ভাবতেই ভালো লাগছে! আজ থেকে একশো বছর পরে হয়ত কেউ এই কবিতা গুলো একসাথে হাতে নিয়ে বলবে, একশ বছর আগের কিছু কবি কি চমৎকার এক কবিতা বন্দনা করে গিয়েছে! কি অদ্ভুত!
০৮ ই মে, ২০১২ ভোর ৫:৫০
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে....
সাথে থাকুন....ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:১৯
অরণ্য অংকুর বলেছেন: শ্রেণীতেও আছে শ্রেণী দ্বন্দ্ব
একে খুঁজে অন্যের গন্ধ,
বড় বৈচিত্র্যময় বসবাস
যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ।
একটুখনি হলে আড়াল
বের হয়ে যায় থলের বেড়াল,
একই পাতে খায় ভাত
বিভেদ করে জাত বেজাত।
নিজে বড় নিজের মাপে
গুটিয়ে থাকে রাঙ্গা খাপে,
দুদিনের এ জিন্দেগানি
কলুর বলদ টানে ঘানি।
দিন ঘুমায় রাতের বুকে
স্বপ্ন শুধু ছবি আঁকে,
হৃদয় জুড়ে কাঁপন উঠে
আলোর রেখা উঠলে ফুটে।