নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারার ঐ লৌহকপাট, ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট, রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী।

আমি নবীন পথিক

আমি যারে চাইরে সে থাকে মোরই অন্তরে আমি যারে চেয়েও হারাই রে আমি যারে পেয়েও হারাই রে

আমি নবীন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজধানীতে তারাবীর নামাযে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষ

০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

রাজধানীতে তারাবীর নামাযে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গেন্ডারিয়ার স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের রথযাত্রি এবং মসজিদের মুসল্লিদের মদ্ধে সংঘর্ষ হয়েছে। মন্দিরের হিন্দু ধর্মাাবলম্বিদের ইটের আঘাতে ৮ থেকে ১০ জন মুসল্লি আশঙ্কাজনক ভাবে আহত হয়েছে।

সোমবার রাতে তারাবির নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে।



উল্লেখ্য ৮২ নং স্বামীবাগে অবস্থিত ‘ঐতিহ্যবাহী স্বামীবাগ জামে মসজিদ’ ঢাকার প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। অপরদিকে ‘স্বামীবাগ মন্দির’ রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি প্রধান হিন্দু মন্দির।



অনুসন্ধানে জানা যায় মসজিদ এবং মন্দির দুটি পাশাপাশি অবস্থিত হওয়ার কারনে ইবাদতে বিঘ্ন হওয়ার অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় এবং মসজিদের মুসল্লিরা একপক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করছিল।



সম্প্রতি মন্দিরের পক্ষ থেকে ৭ দিনব্যাপী রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। স্থানিয় মুসল্লিরা দবি করেন এই রথযাত্রার বাদ্য বাজনার কারনে তাদের ইবাদতে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য মসজিদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়নি।

অপর দিকে আজ রথযাত্রায় অসুবিধার কারনে তারাবির নামাজ চলাকালে মন্দিরের পক্ষ থেকে নামাজ রাত ১০টার মধ্যে শেষ করবার জন্য চাপ দেওয়া হয় মসজিদ কতৃপক্ষকে। কিন্তু তারাবির নামাজ দাবি মোতাবেক যথাসময়ে শেষ না করার কারনে মসজিদের মুসল্লিদের ঢিল ছোড়া শুরু করে মন্দিরের একদল উশৃঙ্খল গোষ্ঠী।



এ সময়ে ঘটনাস্থলে গেণ্ডারিয়া থানার এসআই অমল কৃষ্ণ উপস্থিত হয়। এবং মসজিদের ইমামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালান। এসময় উপস্থিত মসজিদের মুসল্লিগন এবং মসজিদ কমিটির লোকজনের হস্তক্ষেপে ইমাম কে ছেড়ে দেন এসআই অমল কৃষ্ণ।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মহাম্মাদ সিরাজ জানান ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে তারাবির নামাজ রাত ১০টার মধ্যেই শেষ করতে করতে হবে। অন্যথায় মন্দিরের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার কারনে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। ” বলে হুমকি দেন গেন্ডারিয়া থানার এসআই অমল কৃষ্ণ।



এসময় মসজিদ কমিটির সভাপতি এসআই অমল কৃষ্ণের কাছে তারাবির নামাজ কিভাবে দ্রুত শেষ করব জানতে চাইলে এসআই অমল কৃষ্ণ দ্রুত পড়ে তারাবির নামাজ শেষ করবেন বলে জানান।

মসজিদে তালা ঝুলানো কথা শুনে মসজিদের মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে ঘটনা সামাল দেওয়ার জন্য গেন্ডারিয়া থানার ওসি মেহেদী নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।



থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই মন্দির থেকে একদল লোক দা, লাঠি নিয়ে বের হয়ে মুসল্লিদের ধাওয়া করে বলে অভিযোগ করেন মুসল্লিরা। হিন্দুদের ইটের আঘাতে ৮ থেকে ১০ জন মুসল্লি আশঙ্কাজনক ভাবে আহত হন



এ সময় স্থানীয় মুরব্বী এবং মসজিদ কমিটির লোকজন মুসল্লিদের শান্ত রাখার চেস্টা করেন বিধায় বড় ধরনের মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে সাময়িক ভাবে রক্ষা হয় বলে জানান মসজিদ কর্তৃপক্ষ।



Click This Link

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

আমি নবীন পথিক বলেছেন: শেষ সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে তারাবি শেষ
করতে হবে .................................... পুরো মসজিদ এখন পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখছে।

মনে হইতেছে মুসল্লীদের সব দোষ।

Comments from FB

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: সাড়ে ১০টা নামাজ ১০টার মধ্যে কিভাবে শেষ করবে?


আমি প্রায় ৫-৬ বছর এই মসজিদে নামাজ পড়েছি। তখন তো কোন সমস্যা হয়নি। এখন হবে কেন?



আর গেন্ডারিয়া থানার এসআই অমল কৃষ্ণ এত সাহস কোথায় পান? খোজ নিলে দেখা যাবে হয়তো তিনি নিজ ধর্মের প্রতিই যত্নশীল নন। নিজ ধর্ম পালনে যত্নশীল হলে অন্য ধর্মের প্রতি আচরন এমন হতে পারে না।



যহোক পারস্পরিক সহঅবস্থানের মধ্যে সাবই যার যার ধর্ম পালন করুক এই প্রত্যাশা।

০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

আমি নবীন পথিক বলেছেন: আমরা আশা করি এই সমস্যার সমাধান হবে এবং সহঅবস্থান নিচ্ছিত হবে।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে তারাবির নামাজ রাত ১০টার মধ্যেই শেষ করতে করতে হবে। অন্যথায় মন্দিরের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার কারনে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। ” বলে হুমকি দেন গেন্ডারিয়া থানার এসআই অমল কৃষ্ণ।

জয়বাংলার জোরে লাফায় নাকি অমল ধমল!!!!!

মুসলমানদের ধৈর্যকে যেন দুর্বলতা না ভাবে। আর সরকারেরও দ্রুত এই বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত

০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮

আমি নবীন পথিক বলেছেন: হ্যাঁ ভাই তারা আমাদের ধৈর্যকে দুর্বলতা ভাবে।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: গেন্ডারিয়ের আশেপাশে যারা আছেন সবাই চলেন আজ থেকে ঐ মসজিদে নামাজে যাই দেখি কেমনে কি হয় !!!!!!

০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

আমি নবীন পথিক বলেছেন: ভাই খুব ভাল হয়, প্লিজ আপনারা ঐ মসজিদে নামাজ পড়তে যান।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

গাধা গরু বলেছেন: চুতিয়া বাল সরকারের জন্যই এই অবস্থা, লাই দিয়ে দিয়ে মাথায় তুলেছে, হাম্বা শালারা নিজেরা তো নাস্তিকের জাত , আর কয়দিন পরে গরু কুরবানি নিষিদ্ধ করবে। রমজান মাসে রোজা রেখে গালিটা দিলাম, গালি দিতে চাই নাই, মুখ দিয়ে বের হয়ে গেল

০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

আমি নবীন পথিক বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবার হেদায়েদ নসিব করুক

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

আমি নবীন পথিক বলেছেন: মুদ্‌দাকির বলেছেন: গেন্ডারিয়ের আশেপাশে যারা আছেন সবাই চলেন আজ থেকে ঐ মসজিদে নামাজে যাই দেখি কেমনে কি হয় !!!!!!

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: একটু ছাড় একটু সহনশীলতা একটু ভালবাসা... তাহলেই অনাবিল শান্তি আসত। কিন্তু ওসবের বড়ই অভাব!

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

রিফাত ২০১০ বলেছেন: ভারতীয় দালাল জারজ হাম্বা এসআই অমল কৃষ্ণ কুত্তার বাচ্চা টা এতো সাহস পায় কোথা থেকে? ভারতীয় দালাল সরকার ক্ষমতায় থাকায় এই ভারতীয় দালাল উগ্রবাদী হিন্দুরা এতো সাহস পেয়েছে। মগের মুল্লুক পেয়েছে কুকুরের দল । মামা বাড়ির আবদার। রাত দশটার মধ্যে তারাবী শেষ করতে হবে। না হলে মুসল্লিদের মেরে মসজিদে তালা লাগিয়ে দিবে।

বাংলাদেশের মুসলিমরা আর কতো সহনশীল হলে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক দেশ বলবে ভারতীয় জারজরা? আজ এ রকম কোন ঘটনা যদি ভারতে হতো ভারতের উগ্রবাদী উলঙ্গ সাম্প্রদায়িক হিন্দুরা বেশ কিছু মুসলমান হত্যা করতেও চিন্তা করতনা।

রথযাত্রার নামে পুরা শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করেছিলো এরা।তারা এদেশের নাগরিক। তাদের অধিকার ও আছে তা করার। বাংলাদেশ একটি ঐতিহ্যবাহী অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। ভারত অথবা পাকিস্তানের মতো নোংরা সাম্প্রদায়িক হলে কি হতো কল্পনাই করা যায়না।

ভারতীয় জারজ হাম্বা সরকারের লায় পেয়ে এরা মসজিদে তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে । এখনই এই কুকুর গুলো জিহ্বা টেনে ছিরে না ফেললে হাম্বা সরকারের মদদে আর কয়েক দিন পরেই কোরবানির ঈদ নিষিদ্ধ করার কথা বলবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.