![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুদ্ধ নিয়ে অনেক চমৎকার ও বিখ্যাত সিনেমাই দেশ বিদেশে বানানো হয়েছে।এই পোষ্টে আমি শুধু আমার সব থেকে বেশি ভাললাগা মুভিগুলোর কথাই শেয়ার করব।সবার পছন্দ এক নয়।টপ টেন ওয়্যার মুভি নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে।তবে নিচের দশটি মুভির একটিও যদি দেখা আপনার বাদ থাকে তবে দ্রুত দেখে নিন।মুভিখোরদের ভাল লাগবে নিশ্চিত।
১।Saving Private Ryan (1998)
টম হ্যাঙ্কস অভিনীত স্টিভেন স্পিলবার্গের অসাধারণ একটি মুভি এটি।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে বানানো সিনেমাটি পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে অস্কার লাভ করে ১৯৯৯ সালে।
সময় ১৯৪৪ সাল রায়ান পরিবারের ৪ ভাইয়ের মধ্যে শুধু একজনিই বেঁচে আছে আর বাকি সবাই বিভিন্ন যুদ্ধে মারা গেছে আর এই দুঃসংবাদ টা তাদের মা কে দেওয়ার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নেই বেঁচে থাকা ভাই (প্রাইভেট রায়ান) কে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিবেন কিন্তু রায়ান কোথায় তা জানাই হল বড় সমস্যা আর তার ভার এসে পড়ল ক্যপ্টেন মিলার এর উপর আর তিনি শুরু করলেন রায়ান কে খোজার অভিযান।
২।আগুনের পরশমণি(১৯৯৪)
হুমায়ুন আহমেদের প্রথম বানানো চলচিত্র এটি।আমদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে সুখ দুঃখের উপাখ্যানের মাধ্যমে এর কাহিনি আবর্তিত হয়।মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা বাহিনীর অপারেশনের এবং পাক বাহিনীর নির্মমতার চিত্র অনেক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে।
৩।Schindler's List (1993)
পরিচালক স্পিলবার্গের এই অস্কার পাওয়া মুভিটি সত্য কাহিনী নিয়ে গড়ে উঠেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানি অফিসারদের প্রিয় একজন লোক অস্কার সিন্ডলার্স।
অস্কার বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পর তার কারখানায় , ধরে আনা ইহুদীদের দিয়ে কাজ করাতেন । তার উদ্দেশ্য ছিল , যাকে তার মিলের কাজ করানোর জন্য আনবেন তাকে নাৎসীরা মেরে ফেলতে পারবে না । আর এভাবে তিনি আগলে রাখলে রাখলেন প্রায় বারশ ইহুদীকে । যুদ্ধ যখন প্রায় শেষ তখন নাৎসীরা সব ইহুদীদেরকে মারার জন্য পাগল হয়ে উঠল । আর সিন্ডলার্স ও তখন মরিয়া হয়ে উঠলেন তার শ্রমিকদের বাচাতে । হত্যা করা হয়তো অনেক সোজা , কিন্তু কারো জীবন বাঁচানো ততটা সোজা নয় , সিন্ডলার্স আরেকবার প্রমান করলেন মানুষ কতটা মহৎ হতে পারে ।
৪।The Pianist (2002)
একজন পোলিশ পিয়ানিষ্টের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে করুণভাবে বেঁচে থাকার সংগ্রামের গল্প নিয়ে এই মুভিটি হৃদয়ে দাগ কেটে যাওয়ার মত।
৫।The Boy in the Striped Pajamas (2008)
‘দি বয় ইন দ্য স্ট্রাইপড পাজামাস’।
৮ বছরের ব্রুনোর কাহিনী। বাবা নাজি কমান্ডার। পদোন্নতি পেয়ে চলে যান দূরের একটি গ্রামে। ব্রুনো সেখানে একাকী। ব্র“নো জানেনা ঠিক পাশেই বন্দী শিবির। একদিন দেখা যায় ৮ বছরের স্মুয়েলের সাথে। সে ইহুদী, বাবার সাথে বন্দী।
ব্রুনো একদিন লুকিয়ে দেখে ফেলে বন্দী শিবির নিয়ে একটি প্রপোডান্ডা মূলক প্রামান্য চিত্র। ব্রুনো দেখে যে, সেখানে বন্দীরা কাজ করে, ভাল খেতে পায়, বিকেলে ফুটবল খেলে, একটা ক্যাফে আছে আড্ডা দেওয়ার। ব্রুনো বিশ্বাস করে। গৃহশিক ব্রুনোকে শিখায় ইহুদিরা কত বড় শত্রু। তার বাসায় যে লোকটা কাজ করে একদিন ব্রুনো জানতে পারে এই লোকটি আসলে একজন চিকিৎসক। তারপরেও ৮ বছরের ব্রুনোর কাছে যুদ্ধের বিভীষিকা স্পষ্ট হয় না।
ব্রুনো কমান্ডারের পুত্র। যুদ্ধের ভয়াবহতা তার গায়ে লাগার কথা না। স্মুয়ের জানে তার অবস্থা। তারপরেও দুজনের মধ্যে হয় বন্ধুত্ব। কাটাতারের বেড়ার দুপাশে দুজন-অসাধারণ এক দৃশ্যকল্প তৈরি করেন পরিচালক।
৬।মাটির ময়না(২০০২)
ষাটের দশকের উত্তাল সময়ের প্রেক্ষাপট হতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আগের সময়ের একটি পরিবার কিভাবে যুদ্ধ ও ধর্মের কারণে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় তার গল্প নিয়ে তৈরি এ চলচ্চিত্র। পরিচালকের নিজের ছোটবেলার কাহিনীর জীবনের উপর ভিত্তি করে এ ছবির কাহিনী গড়ে উঠেছে। অত্যন্ত ধার্মিক বাবা কাজী সাহেব তাঁর ছোট্ট ছেলে আনুকে পড়াশোনার জন্য মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেন। দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের পাশাপাশি আনুর মাদ্রাসাতেও চরম ও মধ্যপন্থী মতবাদের বিকাশ ঘটতে থাকে। বিভক্তির এই একই চিত্র দেখা যায় গোঁড়া ধার্মিক কাজী ও তাঁর স্বাধীনচেতা স্ত্রী আয়েশার মধ্যে । ধর্মীয় উদারতা, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র এবং ইসলামের দুর্বোধ্যতা এ সব কিছু মিলিয়ে মাটির ময়না জাগতিক দ্বন্দ্বের একটি দৃশ্যমান প্রতিকৃতি।
৭।Pearl Harbor (2001)
জাপানিদের পার্ল হারবারে আক্রমণের উপর আমার দেখা অসাধারণ একটি মুভি এটি।
৮।The Imitation Game (2014)
এটি সত্য ঘটনার উপর নির্মিত একটি চলচ্চিত্র। মুভিটির প্রধান চরিত্র “এলান টুরিং(Alan Turing)” নামে এক কম্পিউটার বিজ্ঞানীর বা গণিতবিদ যাই বলা হোক।ধারণা করা হয় বিখ্যাত গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী এলান টুরিং ১ কোটি ৪০ লক্ষের বেশী মানুষের জীবন রক্ষা করেছিলেন। মুভিটি না দেখলে তার অভূতপূর্ব কৃতিত্বের কথা হয়তো অজানাই রয়ে যাবে।
৯।Full Metal Jacket (1987)
একটি ড্রামা ও যুদ্ধের মুভি যেখানে আর্মি নিয়োগ থেকে শুরু করে তাদের ক্যাম্প, প্রশিক্ষণ যুদ্ধের ভয়াবহতা সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে তাদের মোটো থাকে Born to kill। নিয়োগের পর তাদেরকে আলাদা নাম দেয়া হয় আবার মুভিতে দেখা যায় একজন আর্মি কর্মী তাদের প্রশিক্ষককেই গুলি করে হত্যা করে
১০।Fury (2014)
আমেরিকান সোলজারের সাথে বিশ্বযুদ্ধের কিছু অভিজ্ঞতা নিতে হলে দেখতে পারেন এই মুভিটা।ব্রাড পিটের অসাধারণ অভিনয় মুভিটিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।
২০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
ইনজামামুল আমীন প্রীমন বলেছেন: এই দুটি সিনেমাও আমার অনেক প্রিয়।ধন্যবাদ আপনাকে।পরবর্তীতে শুধু বাংলা সিনেমা নিয়েই একটি পোষ্ট দিব ।
২| ২০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:২১
সুমন কর বলেছেন: ৫, ৮ ও ৯ দেখি নাই। বাকিগুলো দেখেছি।
৩| ২০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৯
সতন্ত্র সাইলেন্সার বলেছেন: একটাও দেখিনাই, ডাউনলোড লিঙ্ক দিলে সুবিধা হত
২১ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:১৫
ইনজামামুল আমীন প্রীমন বলেছেন: প্রায় সব মুভি আমি ব্রডব্র্যান্ড সার্ভার থেকে ডাউনলোড করে দেখি,তাই লিঙ্ক দিতে পারলাম না।
৪| ২১ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:২৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ৯ দেখি নাই। দেখতে হবে।
৫| ২১ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:৫৩
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ২ খানা দেখিনাই
৬| ২১ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:১২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: The way back মুভিটা অসাধারণ। সেটা থাকলে ভালো হত
২২ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
ইনজামামুল আমীন প্রীমন বলেছেন: The way back টা দেখা ছিলা না।দেখলাম।অনেক ভাল লেগেছে।ধন্যবাদ
৭| ২১ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার কালেকশনও ভালো। তবে আরো অনেক চমৎকার সব যুদ্ধের মুভি আছে। যেমন ডার্ক ম্যান যে মুভিটির কথা বললেন, সেটাও অসাধারন একটা মুভি। সম্ভব হলে অবশ্যই দেখে নিবেন। এছাড়া দ্যা গ্রেট রেইড এই মুভি টাও অসাধারন। সম্ভব হলে দেখে নিবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
অর্ণব বড়ুয়া বলেছেন: ওরা এগারো জন, হাঙর নদীর গ্রেনেড এগুলোর যে দেখা মেলছে না।