নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Good decision comes from experience, but experience comes from the bad decision.........so don't worry go ahead and learn from them.

Good decision comes from experience, but experience comes from the bad decision.........so don't worry go ahead and learn from them.

কোলাহল নির্জনে

Good decision comes from experience, but experience comes from the bad decision.........so don't worry go ahead and learn from them.

কোলাহল নির্জনে › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেকেন্ড অপচয় ১৩৮ কোটি টাকার ইন্টারনেট!!!!!!!!!

০২ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

বাংলাদেশের মোট ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি (ইন্টারনেট সক্ষমতা) প্রতি সেকেন্ডে ২০০ গিগাবাইট। এর মধ্যে মাত্র ৩২ গিগাবাইট ব্যবহার হচ্ছে। ব্যবহার না হওয়া প্রতি সেকেন্ডের ব্যান্ডউইথের দাম ১৩৮ কোটি টাকা। অন্যদিকে সরকার বলছে অবকাঠামো না থাকায় এ মহামূল্যবান ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা যাচ্ছে না।



বর্তমানে প্রতি মেগাবাইট পার সেকেন্ড ব্যান্ডউইথের দাম ৮ হাজার টাকা। এই হিসাবে ফেলে রাখা ১৬৮ গিগা ব্যান্ডউইথের দাম ১৩৮ কোটি। অন্যদিকে ব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের দাম মাত্র ২৭ কোটি টাকা।



তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, একশ্রেণীর ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতেই মহামূল্যবান ব্যান্ডউইথ ব্যবহার না করে ফেলে রাখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে সরকারেরই একটি অংশ। এ ব্যান্ডউইথ দিয়ে চলছে রমরমা অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) ব্যবসা। ফলে ভিওআইপি খাত থেকে দিনকে দিন সরকারের আয় কমছে।



ইদানীং ব্যান্ডউইথ নিয়ে সরকারি-বেসরকারি হিসাবের ফাঁক-ফোকরগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অভিযোগ আছে, সরকারের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়। যতদিন দেশের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি ৪৫ গিগা ছিল ততদিন মাত্র ১০ গিগা ব্যবহার করা হতো। ১৪৫ ও ১৬৪ গিগা যখন পাওয়া যেত তখন ব্যবহার হতো ২৬ গিগাবাইট। বাকিটা অব্যবহৃতই থাকত।



সরকারি হিসাব অনুযায়ী অব্যববহৃত ব্যন্ডউইথের পরিমাণ ১৬৮ গিগা। অভিযোগ উঠছে, একটি সিন্ডিকেট অবশিষ্ট ব্যান্ডউইথ অবৈধ ভিওআইপি কলে গোপনে ডাইভার্ট করে প্রতিদিন প্রায় ১০ কোটি মিনিট আন্তর্জাতিক কল আনছে। এর সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী মহলের কারণেই বিটিআরসির কোনো উদ্যোগই ভিওআইপি বন্ধে জোরালো কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।



এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দেশে নেটওয়ার্ক সক্ষমতা না থাকায় আমরা পুরো ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করতে পারছি না।’ সারাদেশে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের নেটওয়ার্ক তৈরি করা না গেলে এর ব্যবহার বাড়বে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি জানান, দেশের মোবাইলফোনের গ্রাহক বেড়েছে কিন্তু ভয়েসে ব্যান্ডউইথ বাড়ার সম্ভাবনা কম। ইন্টারনেটে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বাড়ছে কিন্তু তা আরো বাড়াতে জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে।



সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে সাবমেরিন ক্যাবলে গত ৩ বছরে ৩০ লাখ টেরাবাইটের বেশি কনটেন্ট অব্যবহৃত ছিল। অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের বাজার মূল্য বিশাল অংকের। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকার। দিনে দিনে এই ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভিওআইপির পরিচালনার ভিএসপি লাইসেন্স প্রাপ্ত এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে আন্তর্জাতিক কল আসে ১৩ কোটি মিনিট। প্রতি কলে ৩ সেন্ট বা প্রায় আড়াই টাকা হারে এ খাত থেকে সরকার বিপুল রাজস্ব আয় করার কথা। কিন্তু দৈনিক যে পরিমাণ কল টার্মিনেশন হচ্ছে তার মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আসে বৈধ পথে বাকিটা আসে অবৈধ কল টার্মিনেশনের মাধ্যমে। বৈধ কল টার্মিনেশন থেকে সরকার পাচ্ছে প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে চার কোটি মিনিট কল। অবশিষ্ট মিনিট কল চলে যাচ্ছে অবৈধ কল টার্মিনেশন ব্যবহারকারীদের পকেটে।’ তিনি প্রশ্ন করেন ‘অব্যহৃত ব্যান্ডউইথ অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যবহার না হলে অবৈধ ভিওআইপি হয় কীভাবে?’



প্রযুক্তি বিশ্লেষক জাকারিয়া স্বপন এ বিষয়ে বলেন, ‘বারবার বলা সত্ত্বেও ফেলে রাখা ব্যান্ডউইথ সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে না। ফলে এ ধরনের অভিযোগ ওঠাই স্বাভাবিক। প্রযুক্তিগতভাবে এর বিরোধিতা করার কোনো জায়গা নেই। অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যান্ডউইথ ডাইভার্ট হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি একটা হিসাব উপস্থাপন করে বলেন, ‘দেশে ভিওআইপি কলের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এই কল আসতে ব্যান্ডউইথের দরকার পড়ে। তা পাওয়া যাচ্ছে কোথা থেকে। দেশের ফেলে রাখা ব্যান্ডউইথই কেউ না কেউ দিচ্ছে ওইসব ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করছে। এই বিষয়গুলো কখনো অডিট হয় না। তাই ধরাও পড়ে না।’

সূত্র : ফেসবুক

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

পাইলট ভয়েচ বলেছেন: এত কিছু বুঝি না!!:)

০২ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কোলাহল নির্জনে বলেছেন: সব তো বাংলায় লেখা...........

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

গোবর গণেশ বলেছেন: ব্যবসা যারা বুঝে তারা সবখানেই ব্যবসা খুজে পায়। আমি আপনি কোথাও পাইনা। টাকা দিয়েও মাল পাইনা।

০২ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কোলাহল নির্জনে বলেছেন: সহমত

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৪

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: এইগুলি নিয়ে বলে লাভ নাই বলেই মনে হয়। বাংলাদেশের মানুষ এইগুলি এক কান দিয়ে ঢুকায় আর এক কান দিয়ে বের করে। সামনে সরকার পরিবর্তন হলে দেখবেন নাস্তিক উৎপাদন বন্ধে ইন্টারনেটই বন্ধ করে দেয় কিনা। এমনিতেই ব্যান্ডউইড্ঠ সংরক্ষণ করছে তখন মুল্যবান বিদেশী মূদ্রা বাচাতে সার্ভিস টাই হয়ত গলা টিপে শেষ করে দিবে।

০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৫

কোলাহল নির্জনে বলেছেন: আসলে সবার বুদ্ধি এখনো সেই ৭২ সালে পড়ে আছে

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৫

বাংলার হাসান বলেছেন: আমরা জনগন শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারি না।

০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৭

কোলাহল নির্জনে বলেছেন: ভাগ্যিস চাহনির উপর ভ্যাট যোগ হয় নাই ;)

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৩

কাইয়ূম খান রাহাত বলেছেন: ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি সম্পর্কে এখনো আমি তেমন কিছু জানি না। সংক্ষেপে কেও যদি জানান তাহলে ভালো হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.