নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আমিনুর রহমান

মোঃ আমিনুর রহমান

বেশী কিছু বলার নাই আমার সম্পর্কে আমি খুবই সাধারন একজন ব্লগার।

মোঃ আমিনুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংবিধানে “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” কেন প্রয়োজন?

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০১


কয়েকদিন আগে “বাদ যাচ্ছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, জাতি নির্বিকার, নিলিপ্ত” শিরোনামে ফেসবুকে ও সামহোয়্যারইন ব্লগে একটা পোস্ট লিখেছিলাম। সেখানে পাঠকদের অনেকেই বিষয়টির পক্ষে থাকলেও বিপক্ষের পার্টিরও অভাব ছিলনা। নাস্তিক বা সেক্যুলাররা যে যেভাবে পারে মনের খেদ ঝাড়লো ব্লগের ঐ পোস্টে। সেখানে ইসলামকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্যকারিদের মধ্যে কিছু জন্মসূত্রে মুসলমানও ছিল। নাস্তিক বা সেক্যুলাররা চায়না রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকুক কারন এটা তাদের নীতি বিরুদ্ধ কিন্তু ঐ মুসলমানরা কি করে রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের সমর্থন করতে পারে তা বোধগম্য হলোনা। যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সমর্থন করছে, তারা আসলে এটা করছে তাদের ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অবহেলার কারনে।

তারা আসলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের গুরত্বটা অনুধাবন করতে পারছেনা যে, যদি “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” বাতিল হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ইসলাম ও মুসলিমদের উপর এর রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাদের অনেকেই যুক্তি দেখাচ্ছে যে, “যেখানে সংবিধানে ইসলামের কোন নামগন্ধই নাই সেখানে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম থাকলেই কি আর না থাকলেই কি” আবার আরেকজন বলছে “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম শব্দটা সংবিধানে এরশাদ ঢুকিয়ে দিয়ে সংবিধানটাকে কলুষিত করেছে! তাই ওটাকে ছুড়ে ফেলে দেবার এখনই সময়” অন্য আরেকজন বলেছে যে, “রাষ্ট্রধর্ম কি দেশকে উন্নত করবে? যদি না করে তাহলে বাদ দিলে ক্ষতি কি?” নাস্তিক, সেক্যুলারদের বলে লাভ নাই কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সম্পর্কে মনে এমন ধারনা পোষন করছেন আমি তাদেরকে বলতে চাই যে, আপনারা সত্যিই এখনো বোকার স্বর্গেই আছেন।

অনেক কথাই হলো এবারে আসুন মুল প্রসঙ্গে। বলছিলাম সংবিধানে “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” না থাকলে কি সমস্যা হবে এবং এটা থাকার প্রয়োজনীয়তাটা কি? সংবিধানে “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” থাকা এবং না থাকাটা যদি একই বিষয় হতো তাহলে নাস্তিক সেক্যুলাররা সংবিধান থেকে এটা অপসারন করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করতো না, আদালতে রিট দায়ের করতো না, দেশ-বিদেশে এতো প্রচার প্রচারনা চালাতো না। অবশ্যই এর গুরুত্ব আছে, যেটা আমরা বুঝতে না পারলেও ওরা ঠিকই বুঝতে পারছে। কারন ওরা আমাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী দূরদৃষ্টি সম্পন্ন।

বাংলাদেশে এখনো বিটিভি কিংবা বেতারে নামাজের ওয়াক্তে ৫ বার আযান প্রচার করা হয়, এখনো এদেশে প্রশাসনের কোন কাজ শুরুর পূর্বে কুরআন তেলাওয়াত করা হয়, এখনো স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের ইউনিফর্মে ওড়না রাখা অনেকটা বাধ্যতামূলক আছে, এখনো অনেক আইন-কানুন বা বিধি বিধান তৈরীর সময় কোরআনের বিধি নিষেধ বিবেচনায় নিতে হয়, এই এতো সব সম্ভব হয়েছে কেন জানেন? এই এতোসব সম্ভব হয়েছে শুধুমাএ “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” থাকার কারনে। সংবিধানে শুধুমাএ “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” থাকার কারনেই নাস্তিক সেক্যুলাররা বাধ্য হয় এসব মানতে, তা-না হলে আযানের সময়টাতেও নাচ-গান-সিনেমা দেখানো হতো, দেশের সবখানে হিজাব নিষিদ্ধ হতো, কোরআনের বিরোধীসব আইনকানুনন প্রনয়ন হতো, রাষ্ট্রীয় কাজের আগে কোরআন তেলাওয়াত হতোনা ইত্যাদি।

এখন অনেকেই হয়তো বলবেন এদেশের অনেক আইনকানুনই তো পুরোপুরি ইসলামসম্মত নয়, সেখানে শুধু রাষ্ট্রধর্ম কি সব ঠেকাতে পারবে? জ্বি, আমিও জানি শুধু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম দিয়েই নাস্তিকদের সব প্রচেস্টা ঠেকানো যাবেনা তবে এই ঠুনকো অজুহাত দেখিয়ে যেটুকু আছে সেটুকুও বিসর্জন দিতে হবে এমন যুক্তির পক্ষপাতি আমি কখনোই হতে পারবোনা। শুধু এটুকুই বলবো নাই মামার চেয়ে আপাতত(!) কানা মামাই ভাল। তাহলে এই কানা মামাকে অন্তত একদিন সুস্থ মামায় পরিণত করার আশাটা থাকে। অনেকেই হয়তো জানেন, একটা সময় তুরস্কে আরবীতে আযান দেয়া নিষিদ্ধ ছিল। এই আইনটা জারী করার পূর্বে সবার আগে কিন্তু ঐদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিতে হয়েছিল। এখন বুঝতে পারছেন সমস্যাটা আসলে কোথায়?

সংবিধানের এই একটা পরিবর্তন ভবিষ্যতে আরো অসংখ্য ইসলামবিদ্বেষী আইন জারীর পথ খুলে দিবে। নাস্তিক সেক্যুলাররা আসলে ইসলামকে নিয়ে একটা গেম খেলছে। এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারা এক ধাপ এগোতে চাইছে, এতে সফল হলেই চলে যাবে পরবর্তী ধাপে চলে যাবে। নাস্তিকরা দেখতে চাইছে দেশের মানুষ এটাকে কিভাবে নেয়। এখন আমরা যদি এর প্রতিবাদ না করি তাহলে নিশ্চিত তারা এটা অপসারন করেই ছাড়বে! আর তারা এতে সফল হলে আরো বেশি মাত্রার ইসলামবিদ্বেষী আইন জারী করার উদ্যোগ নিবে। তাই এই ষড়যন্ত্র ঠেকানোর এখনই উপযুক্ত সময়। দেরী হয়ে গেলে আর কিছুই করার থাকবে না হায় হায় করা ছাড়া!

আমি মনে করি, সংবিধানে “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” থাকার এই ইস্যুটা তাসকিন-সানি বা আট’শো কোটির ইস্যুর চেয়ে হাজারগুন বেশি গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই, এমনকি রাষ্ট্রের সমস্ত রিজার্ভ চুরি গেলেও এতোটা ক্ষতি হবে না যতটা ক্ষতিগ্রস্থ হতে হবে 'রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম' তুলে দিলে। তাই আমাদের সকলেরই উচিৎ নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এর প্রতিবাদ জানানো, যাতে করে নাস্তিক সেক্যুলাররা ভবিষ্যতে সংখ্যাগরীষ্ঠ মানুষের ধর্ম নিয়ে এমন দুঃসাহস দেখানোর সাহস না পায়। ধন্যবাদ সবাইকে।।।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি ঐ পোস্টে তারপরও আমার কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নাই। তারপরও আমি নতুন কিছু প্রশ্ন করলাম:


১) সংবিধানে “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” থাকা এবং না থাকাটা যদি একই বিষয় হতো তাহলে নাস্তিক সেক্যুলাররা সংবিধান থেকে এটা অপসারন করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করতো না, আদালতে রিট দায়ের করতো না,

এটা সরকার কবে কোথায় করলো তার একটা রেফারেন্স দেন?

২) বাংলাদেশে ৫ বেলা আজান, কোরাআন তেলাওয়াতের সাথে ঢাকা শহর সবচেয়ে বড় মসজিদের শহর, মাদ্রাসা সংখ্যা প্রাইমারী স্কুলের চেয়েও বেশী। কারন যেকোনো গ্রামে মসজিদ যে কয়টা মাদ্রাসা এতিমখানা সে কয়টা এখন। প্রাইমারী স্কুলে এতগুলা নাই। তো এতো এতো মুসলমান দিয়া কি হইছে দেশের?

কথায় কথায় বলেন ভারতীয় আগ্রাসন, চারিদিকে অভাব নৈরাজ্য সন্ত্রাসবাদ ধর্ষন মাঝে মাঝে ভারতের থেকেও বেশী। আওয়ামী সরকার তো ৮ বছর ধরে কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে তার আগ পর্যন্ত এগুলা বেশ ভালো পরিমানেই ছিলো। তো আমাদের রাস্ট্রধর্ম ইসলাম থাকায় এর কি কোনো হেরফের হইছে?

৩) সংখ্যালঘু নির্যাতন আর তাদের দেশত্যাগের হার এতই বেশী যে আগে তো ১৫% ছিলো এখন তা ৫ এ নাইমা আসছে। শুধু হিন্দু না, পাহাড়ী এলাকায় বাঙ্গালী সেটেলার-সেনাবাহিনীর অকথিত নির্যাতন, হত্যা খুন ধর্ষন এসব কি কমাইতে পারছে?

৪) পাকিস্থান, আফগানিস্থান, আফ্রিকার ব হু দেশ আছে যাদের মিডল ঈস্টের মতো এত খনি নাই কিন্তু শরীয়াহ আইন টা আছে। তা দিয়া কি তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাইতে পারছে?

অবশ্য তা না পারলেও মাইয়া মানুষ স্কুল যাওনের অপরাধে অপ হরন ধর্ষন এমনকি মাথায় গুলি, বোকো হারামের কিশোরী মেয়েদের যৌনদাস বানানো, হুদুদ আইনের মতো বর্বর আইন ইত্যাদি ছাড়া দেশেরমানুষের জীবন মান উন্নয়নে কি ভূমিকা রাখছে?

৫) বাংলাদেশে এই তো কিছুদিন আগে ৫০০ বোমা, শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, মুফতি হান্নানের মতো ইসলামের পুরাধা তাদের সাথে আমার টয়লেটের রাজাকার গো.আ, মুজা, চান্দু সাঈদীদের যে সমাজে রেখে গেছেন এবং এখনও আইএসআইএস সমর্থিত জেএমবি নামের ভাইদের যে বোমা, কল্লা কাটা অবদান এদিয়ে সমাজে দারিদ্র্যতা বা বেকারত্ব বা সুশাসন কায়েম করা গেছে?

৬) যেসব দেশে ইসলাম রাস্ট্রধর্ম না, এই যেমন সুইডেন, নরওয়ে না নেপাল বা মঙ্গোলিয়া এমনকি চীন বা জাপানে আপনি যদি নামাজ পড়েন আপনারে কি তারা মাইর দেয়? আপনি যদি রোজা রাখেন আপনার গলায় ছুড়ি বসায়? আপনি যদি মসজিদে যান তাহলে শিয়া মনে কইরা সুন্নীরা কি বুমা মারে?

এইসব প্রশ্নের উত্তর দিলে তাহলে আমরা পরবর্তী আলোচনায় যেতে পারি!

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৫৪

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: উদা ভাই, পুস্টদাতা আপ্নের কমেন্ট এর স্পেসিফিক আন্সার দিবে বলে মনে করেন ???
মনে হইতাসে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার - -আল-সামু বিভাগ এর ছত্রছায়ায় উনি সামুতে ব্লগিং শুরু করেছেন- ব্লগিং এর প্যাটার্ন দেইখেন, এক্কেরে ১ম লেখা থেকে, আল-সামু এখন ইমেজ উদ্ধারে বিশেষ টিম নামাইসেন
চালায়া যান লেখক ভাই চালায়া যান
আমি আপাতত পুস্ট ব্যানড, ৭ বছরের ব্লগিং এর উপহার স্বরুপ

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঈগলু, পোস্ট ব্যান নাকি? কবে থিকা?

শিট ম্যান!

আমি এই ছাগলটারে আগেো কুশ্চেন করছিলাম কিন্তু তোতা পাখির মতো একই ক্যাচাল পারে!

সামুর মৌলবাদী ইস্যু নিয়া জানাপা একখান কমেন্ট দিছে দেখছাও?

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৭

মোঃ আমিনুর রহমান বলেছেন: ঐ কি প্রশ্ন আছে কইরা ফালা? আর একজনরে ছাগল বলা যে কতবড় পাগলামীর লক্ষন সেটা তোরা না জানলেও আমি জানি।।।।

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৬

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: @উদাসী আপনি একটা পোস্টে কমেন্ট করেছিলেন সেখানে লেখা ছিলো তুরষ্কএ রাষ্ট্র ধর্ম বাতিল নিয়ে কিছু কথা, সেটা খুজে পাচ্ছিনা, কোন লেখক ছিলো মনে আছে?

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

ফাহিম আবু বলেছেন: আচ্ছা, রাষ্টভাষা বাংলা রাখার কি দরকার ?? রাষ্টভাষা বাংলা রাখা এক ধরনের সাম্প্রদায়িকতা , কারন এতে আমরা উপজাতীদের অস্বিকারের মত । তাই আমিও চাই রাষ্টভাষা বাংলা নিষিদ্ধ হোক ।।

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

রাজু বলেছেন: লেখক ভাইয়ের সাথে আমিও একমত।।

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১০

নতুন বলেছেন: ভাই পরিবত`ন আসবে, সেটা মেনে নিন।

পাকিস্তান, আফগানস্তান, সৌদিআবর.... সহী ইসলামের উদাহরন কোনটা?

হয়তো আপনার জীবদ্বসায় সৌদিআরবে গনতন্ত্র দেখে যেতেও পাবেন... পরিবত`ন আসবে সবখানেই।

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হে অন্ধ বুরবাক

প্রথম কমেন্টে কি লিখছি সেটা কি দেখোনি নাকি উর্দুতে লিখতে হইবে?


আর তুরস্কের ব্যাপারে কি লিখছি মনে নাই তবে এটা জানি প্রানে এরদোগান আমাদের রাজাকার নটোবর গো. আ ক জন্য কাঁদে আর আইএসআইএস এর তেলের কালো ডলারের এনডোর্স পেয়ে ইলেকশন যেতে

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

ইসটুপিড বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকুক, সেইটা আমিও চাই। কিন্তু তুমি যেই কারণগুলা দেখাইছ, সেইটা জামাইত্যা বেশ্যার ছাওগুলা ছাড়া কেউ দেখাইব না। আগের পোস্ট দেখলাম, এইখানে কি হোগার পোস্ট দিছ, সেইটাও পড়লাম। সুজাসাপ্টা তুমার কথা একটাই, রাষ্টধর্ম ইসলাম না থাকলে নামাজ রোজা করা যাইব না। দিনকে দিন জামাইত্যাগর কোয়ালিটি ফল করতাছে, আগে তোমার চেয়ে ভাল ঘিলুওয়ালা ছাগুরা ল্যাদাইত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.