নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৈয়দ মাহবুব হাসান আমিরী

সৈয়দ মাহবুব হাসান আমিরী

লেখাপড়া ও জানার প্রতি আগ্রহ আমার সেই মাধ্যমিক সময়ের মতোই রয়ে গেছে। নিজেকে আমি লেখাপড়া থেকে কখনো সরিয়ে নিতে চাই না।

সৈয়দ মাহবুব হাসান আমিরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজঃ বাংলাদেশের শ্রেষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১৭



১৯৬০ সালে তদানীন্তন পাকিস্থান সরকারের প্রধান ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান ইংল্যান্ডের বিখ্যাত পাবলিক স্কুলের অনুরূপ বিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল স্থাপনের কাজ শুরু করেন। শেরে বাংলা নগরের পাশের মিরপুর রোডের উপর এক মনোরম পরিবেশে ৫০ একর জমির উপর এর স্থান নির্বাচন করা হয়। বিদ্যালয়ের ইমারত, খেলার মাঠ, ছাত্রদের হাউস (হোস্টেল), প্রশাসনিক ভবন, শিশু পারক, জিম্নেশিয়াম, মসজিদ, সুইমিংপুল, মিলনায়তন এবং অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক ও বিভিন্ন পদের কর্মচারিদের বাসস্থান ইত্যাদি তৈরির কাজ পর্যায়ক্রমে হাতে নেয়া হয়। ১৯৬২ সালে কেন্দ্রিয় সরকার প্রাদেশিক সরকারের নিকট বিদ্যালয়ের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য প্রাদেশিক সরকার একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বোর্ড অব গভর্নর নিযুক্ত করেন এবং বিদ্যালয়টিকে স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দান করেন। ১৯৬৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার পুনরায় বিদ্যালয়টির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কিন্তু এর স্বায়ত্ত্বশাসিত মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা হয়। এ সময় এ বিদ্যালয়কে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করা হয়। স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালে শিক্ষা সচিবকে পদাধিকার বলে চেয়ারম্যান নিযুক্ত করে এ প্রতিষ্ঠানের 'বোর্ড অব গভর্নরস' গঠন করা হয়।



বিদ্যালয়ের বিবরণঃ

প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে ৫০ একর জমির উপর এর স্থাপিত হলেও, কালের বিবর্তে কিছু জমি হারিয়ে গেছে। এ প্রতিষ্ঠানের ৫ একর জমি অধিগ্রহন করে “মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ” প্রতিষ্ঠিত হয় কোন এক সরকারের ছত্রছায়ায়। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামো প্রায় একই রকম রয়ে গেছে। নিম্নে এর বর্তমান সকল ধরনের অবস্থান বিশ্লেষণ করা হলো।



কলেজের অবস্থানঃ

কলেজটি ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর থানায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মননীয় প্রধানমন্ত্রী এর বাসবভনের বিপরীত পার্শ্বে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। কলেজের রয়েছে অনেকগুলো খেলার মাঠ এবং বিভিন্ন রকমের নাম জানা না জানা হরেক রকমের গাছ। কলেজটির একপাশে রয়েছে মোহাম্মদপুর থানা কার্যালয় এবং আরেক পার্শ্বে রয়েছে মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ।



পরিচালনা কমিটিঃ

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিবকে সভাপতি করে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোর্ড অব গভর্নরস রয়েছে- নিম্নে বোর্ড অব গভর্নরস এর কাঠামো দেয়া হলো।

সভাপতিঃ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

সদস্যঃ মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা।

সদস্যঃ চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা।

সদস্যঃ যুগ্নসচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

সদস্যঃ যুগ্নসচিব (প্রশাসন), অর্থ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

সদস্যঃ অভিভাবক প্রতিনিধি (প্রভাতী শাখা)।

সদস্যঃ অভিভাবক প্রতিনিধি (দিবা শাখা)।

সদস্যঃ শিক্ষক প্রতিনিধি (প্রভাতী শাখা)।

সদস্যঃ শিক্ষক প্রতিনিধি (দিবা শাখা)।

সদস্য-সচিবঃ অধ্যক্ষ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ।



শিক্ষার্থী সংখ্যাঃ

বিদ্যালয়ে দুটি শিফট রয়েছে প্রভাতী ও দিবা শাখা নামে। দুটি শিফটে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় প্রায় ৪২০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। উল্লেখ্য যে, বিদ্যালয়ে কেবল বালক শিক্ষার্থীই অধ্যায়ন করে। প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক শাখায় উভয় শিফটে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ২২০০ জন। কোন শ্রেণীর তিনটি থেকে পাঁচটি পর্যন্ত শাখা রয়েছে এবং প্রতিটি শাখাতে ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করে। ২০১১ সাল থেকে প্রভাতী শাখার নবম শ্রেণীতে ইংরেজী ভার্সন চালু হয়েছে।



প্রাথমিক বৃত্তিঃ

২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ২৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে দুই শিফট এর সর্বমোট ২৯ জন শিক্ষার্থী জুনিয়র বৃত্তি পেয়েছে এর মধ্যে মেধা বৃত্তি ২৬ জন ও সাধারণ বৃত্তি ৩ জন পেয়েছে।



জুনিয়র বৃত্তিঃ

২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৪১২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে দুই শিফট এর সর্বমোট ২৯ জন শিক্ষার্থী জুনিয়র বৃত্তি পেয়েছে এর মধ্যে মেধা বৃত্তি ৭ জন ও সাধারণ বৃত্তি ২২ জন পেয়েছে।

সহ পাঠ্যক্রম ব্যবস্থাঃ

এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরকে দৈহিক ও মানসিক সুসমন্‌বিত উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে সহ-পাঠ্যক্রম কর্মসূচির ব্যবস্থা করা হয়। এখানে আবাসিক ছাত্রদের জন্য প্রাতঃকালীন শরীর-চর্চা ও বৈকালিক খেলাধুলা বাধ্যতামূলক। নিয়মিত খেলা হয়-

• ফুটবল

• ক্রিকেট

• হকি

• ভলিবল

• বাস্কেটবল



এছারা আন্তঃকক্ষ খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা রয়েছে। ছাত্রদের মধ্যে সাংস্কৃতিক চেতনা উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বার্ষিক সাংস্কৃতিক সপ্তাহের আয়োজন করা হয়। এতে-



• হামদ-নাত,

• ক্বিরাত,

• বক্তৃতা,

• বিতর্ক,

• আবৃতি,

• অভিনয়,

• কৌতুক,

• ছড়াগান,

• গল্প বলা,

• নাট্যানুষ্ঠান,

• সংগীতানুষ্ঠান,

• চিত্রাংকন



ইত্যাদি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়। ডাক টিকেট সংগ্রহ, চিত্রাংকন, ছবি তোলা, বাগান করা, মাটির কাজ, সঙ্গীত চর্চা, স্কাউটিং, নাট্যচর্চা, বিজ্ঞান ক্লাব, ব্যাণ্ড শিক্ষা, জুনিয়র ক্যাডেট কোর প্রভৃতি কার্যক্রমও এর আওতাভুক্ত। এই কলেজের শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকে।

শ্রেণীকক্ষ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যঃ

প্রতিষ্ঠানটির দুইটি একাডেমিক ভবন রয়েছে এবং একটি নির্মানাধীন। একাডেমিক ভবন-১ এ মোট ৩০ টি এবং একাডেমিক ভবন-১ এ মোট ২৪ টি শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। একাডেমিক ভবন ১ এবং ২ এর শ্রেণীকক্ষ সমূহের গঠন কাঠামো একই ধরনের। প্রতিটি কক্ষে ৫০থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থী একসাথে বসতে পারবে। প্রতিটি কক্ষে রয়েছে ব্লাকবোর্ড, ডায়াস, লেকচার ডেস্ক, পোস্টার ডিসপ্লে বোর্ড, ৫০থেকে ৬০ জোড়া চেয়ার টেবিল, ৬ থেকে ৯ টি পর্যন্ত ফ্যান, ৪ থেকে ৮ টি পর্যন্ত লাইট ও পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা। এছাড়া শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকগণ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করে থাকেন। শিক্ষাভবন-১ এ দুইটি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর রয়েছে।

ল্যাবরেটরী সমূহ হলোঃ

সর্বমোট ৭টি ল্যাবরেটরী আছে-

 পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব -১টি

 রসায়নবিজ্ঞান ল্যাব -১টি

 জীববিজ্ঞান ল্যাব -১টি

 গণিত ল্যাব -১টি

 ভূগোল ল্যাব -১টি

 কম্পিউটার ল্যাব -২টি

 ইতিহাস ল্যাব -১টি



অবকাঠামোঃ

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মোট ২৬ টি ভবন রয়েছে। নিন্মে তার বর্ণনা দেয়া হল-

একাডেমিক ভবন- ২টি

প্রশাসনিক ভবন- ১টি

অডিটরিয়াম- ১টি

হাউজ বিল্ডিং- ৬টি

অধ্যক্ষ ভবন- ১টি

উপাধ্যক্ষ ভবন- ১টি

টিচার্স কোয়ার্টার- ৪টি

কর্মচারী কোয়ার্টার- ৬টি

হরিণের ঘর- ১টি

অভিভাবকদের বসার ঘর- ২টি

মসজিদ ভবন- ১টি

এছাড়া একটি শিক্ষাভবন ও একটি টিচার্স কোয়ার্টার ভবন নির্মানাধীন।

মোট খেলার মাঠ রয়েছে ১৪ টি ( ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, হকিসহ অন্যান্য)। কলেজের এরিয়াতে সর্বমোট বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪৫০টি গাছ রয়েছে। এতে ফল, কাঠ ও ঔষধী গাছ রয়েছে। এখানে আরো সুন্দরভাবে দেখা যায় যে, প্রতিটি ভবনের সামনে একটি করে বাগান রয়েছে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বাগান হলো প্রশাসনিক ভবনের সামনে ফোয়ারাসহ একটি বিশাল বাগান।



চিকিৎসা ব্যবস্থাঃ

ছাত্রদের চিকিৎসার জন্য কলেজ এ ২০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। দুইজন অভিজ্ঞ এম.বি.বি.এস (শিশু বিশেষজ্ঞ) ডাক্তার এবং অভিজ্ঞ ফার্মাসিস্ট ছাত্রদের প্রদানের জন্য সর্বদা নিয়োজিত আছেন। সাধারণ রোগের চিকিৎসা, প্রয়োজনীয় টিকা দান ব্যবস্থা ইত্যাদি এখানেই সম্পন্ন করা হয়।



গ্রন্থাগারঃ

কলেজে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার আছে। গ্রন্থাগারে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্র-পত্রিকা ছারাও প্রায় বিশ হাজার বই আছে। গ্রন্থাগারকে ক্রমাগত সমৃদ্ধ করা হচ্ছে।



সফলতা ও ব্যার্থতাঃ

এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সফলতার ভার-ই অনেক বেশী। ব্যার্থতা বলতে কেবল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম হওয়া। নতুবা সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যাবলী ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সফলতা হিসেব কষাটাও দূরহ। তারপরও উল্লেখযোগ্য কিছু সফলতার কথা উল্লেখ করা হলো।

ছাত্রদের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক গুণাবলির পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন ধরনের অভ্যন্তরীণ ও বহিরঙ্গণ সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম। ছাত্রদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে এ কলেজে নিয়মিতভাবে প্রাতঃকালীন শরীরচর্চা, বৈকালিক খেলাধুলা, শিক্ষাসফর, আন্তঃহাউস মঞ্চ প্রতিযোগিতা, বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের দৈনন্দিন সহশিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ছাড়াও এ কলেজের ছাত্ররা বিভিন্ন ধরনের বহিরঙ্গণ প্রতিযোগিতায় ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত কুইজ, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, প্রবন্ধ লিখন, চিত্রাঙ্কন, সঙ্গীত, গল্পবলা, হামদ-নাত, বিজ্ঞান প্রজেক্ট উপস্থাপনা, ম্যাথ-ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি অলিম্পিয়াড, ভাষা-প্রতিযোগ, খেলাধুলা ইত্যাদি প্রতিযোগিতায় ছাত্ররা সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে চলেছে। এগুলোর মধ্যে বিগত প্রায় সাড়ে তিন বছরে অনুষ্ঠিত বহিরঙ্গণ প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্রদের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব (২০০৯-২০১০):

১। Debate for Democracy ও শহীদ লেঃ আনোয়ার গার্লস কলেজের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এবং বি.এস.বি Cambrian ও Concord Group এর যৌথ অর্থায়নে অনুষ্ঠিত আন্তঃকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকার ১৬টি সেরা কলেজের মধ্যে এ কলেজ বিতার্কিক দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

২। ATN বাংলা আয়োজিত ‘যুক্তিকথন’ বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বে এ কলেজের বিতার্কিক দল ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়।

৩। জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা-২০০৮ এর থানা/জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ছাত্ররা ক্বেরাত, হামদ-নাত, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, দাবা, চিত্রাঙ্কন, দৌড়, উচ্চ লম্ফ ইত্যাদি বিষয়ের প্রতিযোগিতায় ৮টি প্রথম স্থানসহ মোট ১৫টি পুরস্কার লাভ করেছে।

৪। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ‘তরুণ বিজ্ঞানীদের খোঁজে- বিসিএসআইআর বিজ্ঞান মেলা-২০০৮’প্রতিযোগিতায় সারা দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ১৯টি পুরস্কারের মধ্যে এ কলেজের ছাত্ররা ১১টি পুরস্কার লাভ করেছে।

৫। Cambrian College এ অনুষ্ঠিত ‘2nd National Annual Quality Convention on Edudcation’ প্রোগ্রামে এ কলেজের ছাত্ররা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

৬। সেন্ট যোসেফ আয়োজিত বিজ্ঞান মেলা-২০০৮ এর কুইজ প্রতিযোগিতায় এম আফনান রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

৭। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘বিজ্ঞান মেলা-২০০৮’ প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা আফনান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

৮। এস ও এস হারম্যান মেইনার কলেজ আয়োজিত ‘সাংস্কৃতিক সপ্তাহ-২০০৮’ এ একলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে।

৯। ২৭ আগস্ট ২০০৮ তারিখে অনুষ্ঠিত Uniaid Seed Trust কর্তৃক আয়োজিত ‘উপস্থিত বক্তৃতা’ প্রতিযোগিতায় ঢাকার ২৭টি খ্যাতনামা স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

১০। ২২ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে অনুষ্ঠিত ঢাকা ইমপেরিয়াল কলেজ আয়োজিত ‘বারোয়ারী বিতর্ক’ প্রতিযোগিতায় এ কলেজ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

১১। হলিক্রস কলেজ কর্তৃক আয়োজিত ‘আন্তঃকলেজ বিজ্ঞান মেলা-২০০৮’ প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

১২। ১০ নভেম্বর, ২০০৮ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ টেলিভিশন আয়োজিত ‘কুইজ’ প্রতিযোগিতায় এ কলেজের কুইজদল স্কলাস্টিকা স্কুল কুইজদলকে ১২০ পয়েন্টের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।

১৩। ১৩ নভেম্বর, ২০০৮ তারিখে অনুষ্ঠিত Stamford University কর্তৃক আয়োজিত ‘3rd Ittefaq Stamford National Debate Championship-2008’ প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব লাভ করেছে।

১৪। ২৬ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত Teletalk কর্তৃক আয়োজিত NDDC 2nd Debaters’ League এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

১৫। ১১ মার্চ ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব বিজনেস টেকনোলজি কর্তৃক আয়োজিত ‘ম্যাথ অলিম্পিয়াডে’প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

১৬। ১২ মার্চ ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় ‘কুইজ’প্রতিযোগিতায় এ কলেজের কুইজ দল রানার আপ হয়েছে।

১৭। ১১ থেকে ১৪ মার্চ ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ভিকারুননিসা নূন স্কুল আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় একলেজের ছাত্ররা বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। মোট ১৮টি পুরস্কারের মধ্যে ০৯টি পুরস্কার পেয়েছে এ কলেজের ছাত্ররা।

১৮। ১১ থেকে ১৪ মার্চ ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ‘তরুণ বিজ্ঞানীদের খোঁজে-বিসিএসআইআর বিজ্ঞান মেলা-২০০৯’ প্রতিযোগিতায় সারা দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একলেজের ছাত্ররা ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। মোট ১৮টি পুরস্কারের মধ্যে ০৮টি পুরস্কার পেয়েছে এ কলেজের ছাত্ররা।

১৯। ২৭ মার্চ ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস-২০০৯ উপলক্ষে ‘চিত্রাঙ্কন’ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।

২০। ২৪ মে ২০০৯ তারিখে নজরুল ইনস্টিটিউট এ অনুষ্ঠিত কাজী নজরুল ইসলাম এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘চিত্রাঙ্কন’ প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বিজয়ী ছাত্ররা- খ- প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং গ দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে।

২১। ৩০ মে ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ACI PURE SALT ‘দেশকে জানো’ ON LINE QUIZ প্রতিযোগিতায় এ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র মাহ্‌দী আল মাস্‌উদ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রায় তিন লক্ষ প্রতিযোগীর মধ্যে একমাত্র কলেজ ছাত্র হিসেবে নবম স্থান অধিকার করে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা পুরস্কার লাভ করেছে।

২২। ০৫ জুন ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত MARKS ALL ROUNDER QUIZ প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে।

২৩। ০৮ জুন ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত শিশু একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতীয় কুইজ’ প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা বিজয়ী হয়ে সেমি-ফাইনালে উন্নীত হয়েছে।

২৪। ১৩ জুন ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘বিজ্ঞান মেলা-২০০৯’ প্রতিযোগিতায় উপস্থিত বক্তৃতায় প্রথম এবং অলিম্পিয়াডে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।

২৫। ১৬ জুন ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ‘এস ও এস হারম্যান মেইনার কলেজ আয়োজিত হারম্যান মেইনার সপ্তাহ-২০০৯’ এ এ কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ইংরেজি বানানে প্রথম, কুইজ প্রতিযোগিতায় ইনান রানার আপ হয়েছে।

২৬। ১৯ জুন ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ আয়োজিত প্রথম বিতর্ক উৎসবে এ কলেজ বিতার্কিক দল রানার আপ হয়েছে।

২৭। ১৯ জুন ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত বিটিভি কর্তৃক আয়োজিত স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন বিষয়ক কুইজ’ প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

২৮। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘আন্তঃস্কুল কুইজ প্রতিযোগিতা-২০০৯’ এ ঢাকার খ্যাতনামা ৩২টি স্কুলের মধ্যে এ কলেজ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

২৯। ০৪ জুলাই ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল কর্তৃক আয়োজিত ‘বিজ্ঞান মেলা-২০০৯’এ এ কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। উপস্থিত বক্তৃতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে।

৩০। ২৫ জুলাই ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল আয়োজিত আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এ কলেজ বিতার্কিক দল রানার আপ হয়েছে।

৩১। ২৭ জুলাই ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ‘প্রথম আলো জেডিসি বিতর্ক উৎসব-২০০৯’ এ চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করেছে।

৩২। ০১ আগস্ট ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত নটর ডেম কলেজ কর্তৃক আয়োজিত ‘আন্তঃস্কুল কুইজ’ প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা ২৪টি দলের মধ্যে তৃতীয় হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

৩৩। ১৯ থেকে ২২ আগস্ট ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ আয়োজিত ‘বিজ্ঞান মেলা-২০০৯’-এ এ কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বিজয়ী ছাত্ররা- উপস্থিত বক্তৃতায় প্রথম, কেমিস্ট্রি অলিম্পিয়াডে প্রথম ও দ্বিতীয়, কুইজ প্রতিযোগিতায় রানার আপ হয়।

৩৪। ২৩ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হলিক্রস কলেজ আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় সাইন্স অলিম্পিয়াডে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে।

৩৫। ২৩ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এ কলেজ বিতার্কিক দল সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় - তৃতীয় ও ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান লাভ করে।

৩৬। ২৭ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ATN বাংলা আয়োজিত বি.এস.বি ক্যামব্রিয়ান ইয়ুথ পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এ কলেজ দল হলিক্রস কলেজকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

৩৭। ৩০ অক্টোবর ২০০৯ তারিখ থেকে ০১ নভেম্বর, ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত প্রাইম ব্যাংক ‘2nd YWCA Science Fair-2009’ আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় এ কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বিজয়ী ছাত্ররা- সুডুকু অলিম্পিয়াডে প্রথম, বায়োলজি তৃতীয় ও কেমিস্ট্রি অলিম্পিয়াডে তৃতীয় স্থান লাভ করে।

৩৮। ৩০ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে বাংলাদেশ ডিবেট ওয়ারিওরস আয়োজিত প্রথম বর্ষ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এ কলেজ বিতর্কির্ক দল রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

৩৯। ১০ নভেম্বর, ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত Multiplan Center Shop Owners Association কর্তৃক আয়োজিত ‘ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার-২০০৯’ এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এ কলেজ RDS ঋদ্ধ বিতর্ক দল রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

৪০। ০৬ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত ‘রিহ্যাব সপ্তাহ ২০০৯’ উপলক্ষে আয়োজিত উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করেছে।

৪১। ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত ঢাকা শিশু একাডেমীতে ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ‘৫ম জাতীয় বিতর্ক উৎসব-২০১০’এ সারা দেশের অংশগ্রহণকারী ১৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ কলেজ ‘শ্রেষ্ঠ কলেজ’ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

৪২। ২৯ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে ‘প্রথম আলো গণিত উৎসব-২০১০’ প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। প্রাথমিক, নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক গ্রুপে রানার আপ এবং উচ্চ মাধ্যমিক গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

৪৩। ১০ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ আয়োজিত ‘১৪তম বিজ্ঞান উৎসবে’এ কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে প্রথম ও দ্বিতীয়, গণিত অলিম্পিয়াডে তৃতীয়, এস্ট্রো ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে তৃতীয়, কেমিস্ট্রি অলিম্পিয়াডে তৃতীয়, উপস্থিত বক্তৃতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করে।

৪৪। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত একুশে ডটকম কর্তৃক আয়োজিত ‘আন্তঃস্কুল কুইজ’ প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা- প্রথম পুরস্কারসহ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

৪৫। ০৫ ও ০৬ মার্চ ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত নটর ডেম কলেজ কর্তৃক আয়োজিত ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎসব-২০১০’ এ অত্র কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। কেমিস্ট্রি ও গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথম, বায়োলজি অলিম্পিয়াডে দ্বিতীয় ও চতুর্থ, সুডুকু অলিম্পিয়াডে প্রথম, কুইজ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় এবং উপস্থিত বক্তৃতায় প্রথম ও তৃতীয় স্থান লাভ করে।

৪৬। ১০ থেকে ১২ মার্চ ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘বিজ্ঞান মেলা-২০১০’ এ অত্র কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বিজয়ী ছাত্ররা- কেমিস্ট্রি অলিম্পিয়াডে প্রথম ও দ্বিতীয়, গণিত অলিম্পিয়াডে দ্বিতীয় ও তৃতীয়, বায়োলজি অলিম্পিয়াডে তৃতীয়, কুইজ প্রতিযোগিতায় রানার আপ এবং উপস্থিত বক্তৃতায় প্রথম স্থান লাভ করে।

৪৭। ১২ মার্চ ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ইসলামিক জ্ঞান প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। রচনা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও কুইজ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান লাভ করে।

৪৮। ১৭ মার্চ ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত নজরুল ইন্সটিটিউট এ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতির জনক বঙ্গবঙ্গু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯০তম জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস’ উদ্‌যাপন উপলক্ষে শিশু কিশোর প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়, দেশাত্নবোধক সংগীতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান লাভ করে।

৪৯। ১৭ মার্চ ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় জাদুঘরে কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতির জনক বঙ্গবঙ্গু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯০তম জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস’ উদ্‌যাপন উপলক্ষে শিশু কিশোর প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বিজয়ী ছাত্ররা- উপস্থিত বক্তৃতায় দ্বিতীয়, সান্ত্বনা ও তৃতীয় স্থান লাভ করে।

৫০। ১৯ মার্চ ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সংগঠন দ্বীপলোক কিন্ডার গার্টেন এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করে।

৫১। ২১ থেকে ২৪ মার্চ ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ‘বিজ্ঞান মেলা-২০১০’ এ এ কলেজের ছাত্ররা বিজ্ঞান প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় ছাত্রদের সাফল্যের জন্য এ প্রতিষ্ঠানকে ‘শ্রেষ্ঠ স্কুল’উপাধিতে ভূষিত করেছে।

৫২। জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা-২০১০ এর থানা পর্যায়ে খেলাধুলা, সহশিক্ষা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। সর্বমোট ৩০টি ইভেন্টের মধ্যে এ কলেজের ছাত্ররা ২৪টিতে প্রথম, ২৫টিতে দ্বিতীয় এবং ১৫টিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।

৫৩। জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা-২০১০ এ জাতীয় পর্যায়ে দাবায় (বালক) এ কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র সেজান মাহমুদ প্রান্ত অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

৫৪। ১৯ থেকে ২২ মে ২০১০ তারিখে শিশু একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ে ‘আন্তঃস্কুল কুইজ ও বিতর্ক’ প্রতিযোগিতায় ঢাকার স্বনামধন্য ১৬টি এবং সারা দেশের ১৬টি মোট ৩২টি স্কুলের মধ্যে এ কলেজের কুইজ দল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

৫৫। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০ থেকে ০২ অক্টোবর ২০১০ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ট্রাস্ট ব্যাংক-নটর ডেম কলেজ কর্তৃক আয়োজিত বিজ্ঞান উৎসবে কুইজ প্রতিযোগিতায় চ্যাপিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

৫৬। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০ থেকে ০২ অক্টোবর ২০১০ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ কর্তৃক আয়োজিত বিজ্ঞান উৎসবে উপস্থিত বক্তৃতায় প্রথম স্থান, ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে প্রথম স্থান, গণিত অলিম্পিয়াডে দ্বিতীয় স্থান কেমিস্ট্রি অলিম্পিয়াডে তৃতীয় স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করেছে।

৫৭। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০ থেকে ০২ অক্টোবর ২০১০ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হলিক্রস কলেজ কর্তৃক আয়োজিত বিজ্ঞান উৎসবে উপস্থিত বক্তৃতায় দ্বিতীয় স্থান, প্রজেক্ট ডিসপ্লেতে দ্বিতীয় স্থান, কুইজ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান এবং গণিত অলিম্পিয়াডে তৃতীয় স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করেছে।

৫৮। ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত প্রথম আলো-ডেইলি স্টার রাজউক কলেজ বিতর্ক উৎসব-২০১০ এ রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

৫৯। ১৮ থেকে ২৩ অক্টোবর ২০১০ তারিখে সেন্ট যোসেফ স্কুল ও কলেজে অনুষ্ঠিত প্রথম আলো-জে.ডি.সি বিতর্ক উৎসব-২০১০ এ রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

২০০৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বোর্ডে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মাননা লাভঃ

শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি গ্রহণের ফলে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রাইমারি ও জুনিয়র বৃত্তি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অত্র কলেজের ফলাফল পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। এই ভালো ফলাফলের স্বীকৃতিস্বরূপ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা অত্র কলেজকে ২০০৮ সালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মাননা প্রদান করেছে। এছাড়াও বোর্ড অত্র প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষককে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক খেতাবে ভূষিত করেছে।

২০০৯ শিক্ষাবর্ষে অধ্যক্ষের শের-ই-বাংলা এ্যাওয়ার্ড লাভঃ

কর্নেল মোঃ কামরুজ্জামান খান ২৮ মে ২০০৭ তারিখে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা, সহশিক্ষা, প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলাসহ সর্বক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছেন, তার স্বীকৃতিস্বরূপ শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ তাঁকে ‘শ্রেষ্ঠ শিক্ষক’ হিসেবে ‘শের-ই বাংলা এ্যাওয়ার্ড-২০০৯’এ ভূষিত করেছে। বিগত ১১ অক্টোবর ২০০৯ তারিখ বিকাল ৫-০০ ঘটিকায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সাবেক প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বিচারপতি জনাব হাবিবুর রহমান খান এ পদক ও সনদপত্র প্রদান করেন। গবেষণা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে কর্নেল মোঃ কামরুজ্জামান খান এর মহতী কর্মকাণ্ড দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথ উন্মোচনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’



প্রাক্তন ছাত্রঃ

নিম্নে কিছু খ্যাতিমান মানুষের উল্লখ করা হল যারা ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্রঃ

• শেখ জামাল; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাই। শেখ জামাল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা।

• তারেক রহমান, বি.এন.পির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পুত্র।

• শমসের মুবিন চৌধুরী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব।

• আবদুন নুর তুষার; গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ত, উপস্থাপক এবং বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা।

• ড. নিজামউদ্দিন চৌধুরী; বিশিষ্ঠ স্থপতি।



সমস্যা বিশ্লেষণঃ

কলেজটির সার্বিক সকল দিক সমূহ বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায় যে, দুইটি শিফটে মাধ্যমিক শাখায় প্রায় দুই হাজার দুইশত শিক্ষার্থীর সকলেই সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা গ্রহন করার সুশৃঙ্খল পরিবেশ রয়েছে।

শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন সকল শিক্ষার্থীরা কো-কারিকুলার একটিভিটিজ-এ অংশগ্রহন করে থাকে। তাতে শিক্ষার্থীদের সকল সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের একটি সুন্দর রাস্তা তৈরী হয়। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সেজান মাহমুদ জাতীয় স্কুল দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া কো-কারিকুলার একটিভিটিজ ক্লাসের একটি সাফল্যের উদাহরণ। আর সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রতি সপ্তাহে একবার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকরা যথাসম্ভব শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করার চেষ্টা করেন আর শিক্ষণ শিখণ পদ্ধতি হিসেবে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিই ব্যবহারে সচেষ্ঠ থাকেন সর্বদা। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিভাগ সমূহের শিক্ষকগণ প্রতি সপ্তাহে সভা করে বিষয়ের সকল সমস্যা সমূহের সমাধান করে থাকেন বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান। এতে করে কোন সমস্যা ছুঁতে পারে না কোন বিষয় শিক্ষককে।



পরিকল্পনাঃ

কলেজের মাধ্যমিক শাখার সার্বিক দিক সমূহ সুন্দর এবং সুশৃঙ্খলভাবে পারিচালিত হয়। তবে প্রতিবন্ধকতা কিছু যদি কাটিয়ে উঠা যায় তাহলে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সফল্য শতকরা শতভাগে চলে আসবে। বিদ্যালয়টি আরো সুন্দরভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য নিম্নে কিছু সুপারিশ করা হলো-

 পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষকের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা।

 বিরতির পর শ্রেণী কক্ষে পাঠদানের সময় ৪০ মিনিট রাখা।

 সমাবেশ সাপ্তহে একবারের বদলে দুইবার করা।

 প্রতি পর্বে ক্লাস টেস্ট এর পরিমান আরো বাড়ানো।

 শ্রেণীকক্ষে আরো বেশী করে শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা।



ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ঢাকা মহানগরের ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানে সুশৃঙ্খলভাবে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য উদাহরণ সরূপ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.