![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা কী দেখছি ? স্থানীয় সরকারকে পঙ্গু করে সর্বত্র এমপিদের রাজত্ব চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কেবল উপজেলা নয়, পৌরসভাও এমপিদের আন্ডারে দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। দুর্নীতিকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কুক্ষিগত রাখার জন্যই এটা করা হচ্ছে।
দুদককে বেকার করে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে দুদক কোন প্রকাশ্য কার্যক্রমে আসছে না। তারা একটি স্থবির ও অথর্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে চলেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের শর্তানুযায়ী তাদের চূড়ান্ত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়ার কথা। সেটা এখন পালন করেনি কোন রাজনৈতিক দল।
বেকারদের চাকুরি দেয়ার কথা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকলেও সরকার বেকারদের চাকুরি না দিয়ে তাদের দলীয় ক্যাডারদের চাকুরি দিচ্ছে প্রকাশ্যে ঘোষণা করে। মনে হয়, এই দেশে সরকারী দল করা ছাড়া আর কোন যোগ্যতা দরকার নাই চাকুরি পাওয়ার জন্য।
রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহারের নাম করে একে একে দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যহতির পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করে ফেলেছে রাজনীতিবিদরা। যেন তারা কখনও কোন দুর্নীতি করেনি, অনর্থক বাংলাদেশ দীর্ঘ ৫ বছর দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ছিল।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে অগ্রাধিকারের ৫টি বিয়য়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল। দুদকের কার্যক্রম বন্ধ ও কালো টাকা সাদা করার নামে অবৈধ টাকা সাদা করার অবাধ সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে তারা সেই ওয়াদা থেকে বহু আগেই সরে এসেছে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, একজন জেনারেলের পকেট থেকে অবৈধভাবে জন্ম নেয়া একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এখন আরেকজন জেনারেলের বিচারের জন্য মাঠে নেমেছে। তাদের অভিযোগ জেনারেল মউন উ আহম্মেদ তাদের উপর অন্যায় আচরণ করেছে - তারা ধোঁয়া তুলসি পাতা।
ক্ষমতার সিঁড়ি পাওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক দল এখনও যুদ্ধাপরাধীদের তাদের জোটে টেনে রেখেছে এবং স্বাধীনতার সপক্ষের দল বলে দাবিকারী দলটি আরেক জেনারেল পতিত স্বৈরাচারকে জোটে ধরে রেখেছে। এদের নীতি নৈতিকতার কোন বোধ নাই। রাজনীতিতে শেষ কথা নাই বলে এরা যে কোন অনাচার করতে অভ্যস্থ। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ, চামচাতন্ত্র ইত্যাদি করে এরা গণতন্ত্রের জয়গান গায়। ক্ষমতার জন্য যাকে দরকার তাকে কাছে টানছে, প্রয়োজন ফুরালে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে।
এক সময় এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার কুটচালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা করার দাবিতে দীর্ঘদিন হরতাল জ্বালাও পোড়াও করে আমাদের জ্বালিয়ে মেরেছে, সেই আওয়ামী লীগই এখন তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থার অবসান চায়। যথারীতি তাদের বিরোধী দল বিএনপি সেই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কঠোর বিরোধী হলেও এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একনিষ্ঠ সমর্থক। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার স্বার্থে তারা বার বার ফর্মুলা বদলায়, বার বার রং বদলায়।
জরুরি অবস্থা জারি ও গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এদের পারস্পরিক অবিশ্বাস, মারামারি, অরাজকতা, দায়িত্বহীনতা ও ক্ষমতার লোভের ফল। নিজের দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করে তারা গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে চিৎকার করে আমাদের বোকা বানিয়ে রাখে। গণতান্ত্রিক এসব দলে দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, কালো বাজারি, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, চামচা ও সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যে কোন সৎ ও ভালো মানুষ টিকতে পারে না। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে খারাপ মানুষদের নেতা বানানোর অদৃশ্য খেলা সবসময় চলতে থাকে। ফলে রাজনৈতিক দলে ভালো মানুষের সংখ্যা নগণ্য এবং যারা আছে তারা কোণঠাসা।
আমাদের ভাগ্য ভালো একজন জেনারেল মইন উ আহমেদ আগের জেনারেলদের মতো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসেননি। হ্যা, না ভোটের নাটক করেননি। সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে যাননি। জেনারেল জিয়া বা পতিত এরশাদের মতো রাজনৈতিক দল গঠন করে গণতন্ত্রী সাজেন নি। বরং তাদের ক্ষমতালিপ্সার আগুন থেকে দেশকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছেন। দুঃখজনকভাবে তার সেই চেষ্টা সফল হয় নি।
কেননা, যে দেশে সবাই অন্ধ, সেই দেশে কানাই রাজা হয়। আমাদের দেশের বার বার এ কথা প্রমাণিত হয়েছে। এই দেশে যতদিন পর্যন্ত জনগণ অন্ধ থাকবে, তত দিন পর্যন্ত এই কানাদের রাজত্বই চলবে।
২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: একজন সৎ ও যোগ্য মানুষকে।
২| ২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:০১
বিবেক হীন বলেছেন: যে দেশে এক কাপ চা, একটা বিস্কুটের বিনিময়ে ভোট বিক্রি হয়, সে দেশের জন্য গনতন্ত্র আসেনি। আমি খুব খুশি হতাম একজন ভাল, ন্যায়পরায়ন ডিক্টেটর যদি ক্ষমতায় আসত এবং সব ধরনের রাজনীতি অন্তত আগামী ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করত। এই ১০ বছর সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল বন্ধ, কোন সরকারি বা বেসরকারি কর্মচারী ঘুষ বা দুর্নিতিতে ধরা পরলে জনসম্মুখে তাকে গুলি করে মারা হবে, অর্থাৎ পুরোপুরি ন্যায়ের শাসন যদি অন্তত একবার প্রতিষ্ঠিত করা যেত, আমাদের দেশ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর মতো দাঁড়িয়ে যেত।
২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:০৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এত কঠিন পথে না গিয়ে ভালো লোককে ভোট দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।
৩| ২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:০৫
ফালতু মিয়া বলেছেন: চামড়া তুলে ফেলবে শামীম ভাই, এতো সত্য কথা বলা ঠিক না! আপনার সবগুলো পর্বই পড়লাম। পোষ্টে +
২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:০৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এত ভয় পেলে কি চলে ?
৪| ২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:১০
দিনযাপন বলেছেন: সৎ ও যোগ্য মানুষ হইয়া লাভ নাই,তারে আমলীগ নয় বিম্পি হওন লাগবো।দেশের মানুষ ভোদাই না,যার লগে ধানের শীষ নাই নৌকা ও নাই..তার কোন ভোট ও নাই।সেলুকাস....
২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:১৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমরা কি মানুষকে ভোট দেই নাকি ভোট দেই মার্কায়।
৫| ২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:১৯
দিনযাপন বলেছেন: আমরা মার্কায় ভোট দেই শামীম ভাই,'মানুষ' রে ভোট দিলে সেই একই চোর-জালিয়াত গুলার তো ক্ষমতায় আসার কথা না!!
২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:২১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সম্পূর্ণ একমত। আমরা অন্ধের মতো ভোট দেই।
৬| ২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৫
সুফিয়ান ডট কম বলেছেন: লেখক বলেছেন: এত কঠিন পথে না গিয়ে ভালো লোককে ভোট দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।
আপনি আগে একজন ভালো লোক দেখান দেখি। একটা জিনিস খেয়াল করেন। ইউনুস নোবেল পাবার পর একজনও তারে নিয়ে খারাপ কিছু বলে নি..... বলা শুরু হয় যখন ঘোষনা দিলেন নতুন দল গঠন করবেন.... তার মানে যখন থেকে আ.লীগ/ বিম্পীর প্রকাশ্যে বিরোধীতায় গেলেন....
হাসান মাসুদ এত ভালো লোক..... কিন্তু দুদক ছাড়ার পর তার ছেলেদের দুর্ণীতি নিয়ে কথা উঠছে। আমাদের আসলে মন্দের ভালো খুজে নিতে হবে। এছাড়া আর কোন উপায় নেই......
২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: মন্দের ভালোই খুঁজে নেই না কেন ? আমরা তো খুঁজে নেই মন্দেরও মন্দ।
৭| ২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৮
সেতূ বলেছেন: রাজনৈতিক দলগুলো :
দেশ ও দেশের জনগনের সাথে যুগ যুগ ধরে বেইমানি করে আসছে.
সাথে থাকছে বিশিষ্ট সরকারি আমলারা,
কিছু লোভী সেনা কর্মকর্তা,
বিশিষ্ট ব্যাবসাহী,
দাতা গোষ্টী এবং
কিছু বৈদেশীক রাষ্ট্র দুত......
তাও অন্ধ পাবলিক ভোট দেয়,
বুবু ভোট পায় বাবার নাম বেচে...
ভাবী ভোট পায় স্বামীর নাম বেচে...
ভাই ভোট পায় ভন্ডামী করে...
কেহ ভোট পায় ধর্মের নাম বেচে...
দেশ এভাবেই চলবে....
যত দিন পর্যন্ত না দেশের শিক্ষার মান না বাড়বে...
যত দিন পর্যন্ত না দেশের শিক্ষিত জনগণে পাল্লা ভারী হবে...
তখন জনগণে মধ্য অন্ধ ভক্ত থাকবে না,
জনগণ বুঝতে পারবে কোনটা/কে দেশ জন্য ঠিক...
এখনো শিক্ষিত ও অশিক্ষিত -উভয় জনগণ অন্ধের মত ভোট দেয়.....
২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সম্পূর্ণ এক মত।
৮| ২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৩
তিথী ও টাটা বলেছেন: আমারে ভোট দিয়েন আমি আসতেছি বাংলাদেশে
সব সমস্যার সমাধান দিমু.............
২০ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আগে আসেন, পরে প্রতিশ্রুতি দেন।
৯| ২০ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৩
সেতূ বলেছেন:
শামীম ভাই আপনি যা লিখেছেন তা "এই দিনে আলোর মত সত্য" তাও এর মধ্য কোন এক বেজন্মা মাইনেস দিয়ে গেলো.
এই সকল দালালদের জন্য দেশ ও জাতির এই দূর-অবস্থা....
২০ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: মাইনাস প্লাসে কিছু আসে যায় না, বরং সেও একটা সত্য প্রকাশ করে গেছে।
১০| ২১ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:২০
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: থোড় বড়ি খাড়া; খাড়া বড়ি থোড়!
২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:০০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: হ, দিনের পর দিন চলতাছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৪
রুবেল শাহ বলেছেন: করে ক্ষমতায় দেখতে মন চায় শামীম ভাই বলেন................... ?