নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমা পাগল। সিনেমায় খাই, সিনেমায় ঘুমাই, সিনেমায় পড়ি, সিনেমায় স্বপ্ন দেখি। জীবন সিনেমাময়।

লেখাজোকা শামীম

গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।

লেখাজোকা শামীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন (রি-পোস্ট)

২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:০৯

সময়টা ১৯৯৯ সাল। একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমি প্রথমবারের মতো মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে যাই। আমরা ৬০ থেকে ৭০ জন। এক ঘরে দেখতে পাই সেই বিখ্যাত ঘোষণাটির রেকর্ড। আমরা সেই রেকর্ডটা বাজিয়ে শোনাতে বলি। তারা শোনায়। শুনি আর পূর্বের সেই ধারণা ভেঙ্গে যায়। এতকাল শুনে এসেছি, তিনি স্বাধীনতার ঘোষক। তখন বুঝি আসলে তিনি ঘোষক নন, তিনি একজন পাঠক মাত্র। অন্য জনের পক্ষ থেকে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন। তার আগেই আরেক জন এই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান। যদি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠকারী বলে কাউকে স্বীকৃতি দিতে হয় তবে তা এম এ হান্নানের প্রাপ্য। আর স্বাধীনতার মূল ঘোষণাকারী শেখ মুজিবুর রহমান।

অন্য দিকে ১০ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখে যেই অস্থায়ী সরকার সৃষ্টি হয়, সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। সেই সরকারের প্রধান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সুতরাং স্বাধীনতার ঘোষণার সঙ্গে শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতা জড়িত। জিয়ার ঘোষণাপত্র পাঠ করাটা একটি কাকতালীয় ঘটনা মাত্র। সেই সময়ের চট্টগ্রাম কালুরঘাট স্টেশনে যেই ব্যক্তিটি জিয়াউর রহমানকে ডেকে আনেন, সেই বেলাল মোহাম্মদ অসংখ্য সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তিনি প্রত্যেকবারই বলেছেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন।

যারা এখনও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে যান নি, তাদের অনুরোধ করব কমপক্ষে জিয়াউর রহমানের এই রেকর্ড শোনার জন্য মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে যান। সেই ঘোষণায় জিয়াউর রহমান পরিষ্কার বলেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা করছেন। তাহলে তিনি কিভাবে স্বাধীনতার ঘোষক হন ? তিনি তো কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধুর আহবানটা পাঠ করেছেন।

বিএনপির মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত বা রাজাকারপন্থী লোকজন শেখ মুজিবুর রহমানকে অপমান করার জন্য এবং বিতর্ক ও বিভক্তি সৃষ্টি করার জন্য স্বাধীনতার ঘোষক বানালেন জিয়াউর রহমানকে। তিনি বেঁচে থাকতে কোনদিনও এরকম দাবি করেন নি। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর এই থিউরি আবিষ্কৃত হয়।

গতকালও সংসদে এই স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে। আমরা মনে করি, আমরা এই সব বিতর্ক করে সময় নষ্ট না করে প্রকৃত সত্যটা জানি। তবে কেউ কেউ বিশেষত যারা '৭১ এ রাজাকার ছিলেন, তারা এই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এবং তারা চান এই বিতর্ক চলতে থাকুক। তাতে করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে জনদাবি উঠেছে, সেটা চোখের আড়ালে চলে যাবে। এই বিতর্কে আসলে তাদেরই লাভ। ক্ষতি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির। তাই অনর্থক বিতর্ক না করে সত্যকে মেনে নেয়া উচিত।

(বিঃদ্র ঃ ব্লগার স.ম বাবুর পরামর্শে আবারও পুস্টানো হইল)

Click This Link

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১৩/-১৩

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:১৭

এডভোকেট বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

২| ২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:২৫

সাগর চক্রবতী বলেছেন: ৩ টা মাইনাস?
রাজাকারেরা আবার সক্রিয়।

২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:২৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: গণতন্ত্রে সবাইকে শ্রদ্ধা করতে হয়। রাজাকারেরাও গণতন্ত্রের বাইরে না। তাদের বিচার করব বলে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দেব না, সেটা তো হয় না। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছে।

৩| ২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬

অনির্বান বলেছেন: সত্যটা মেনে নিতে কিছু মানুষের অনেক কষ্ট হয়..

+++

২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:২৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এইটা এক ধরনের গোয়ার্তুমি।

৪| ২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৪২

জানপরী বলেছেন:
কোন কিছু ঘোষনা করার জন্য বুকে সাহস থাকতে হয়। যে সাহস জিয়াউর রহমানের ছিল। কাপুরুষরা সব সময় পরে চিৎকার করে।

৫| ২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৪২

কীির্তমান বলেছেন: সহজ কথা সহজ যুক্তিতে কেন মানুষ বোঝেনা আমি বুঝিনা। ঘোষণাকারী আর ঘোষণা পাঠকারীর পার্থক্য বোঝাতো জটিল কিছু নয়। ঘোষণা পাঠকারী হিসেবে মেজর জিয়া অবশ্যই সম্মানের ও কৃতিত্বের দাবী রাখেন। কিন্তু কেউ যদি ঘোষণা পাঠকারীকে ঘোষণাকারীর মর্যাদা দেয় তো সেটা হবে বার্তাবাহককে বার্তাপ্রেরণকারীর মর্যাদা দেয়ার মতো।

ঘুমিয়ে থাকলে জাগানো যায় কিন্তু যে ঘুমের ভান করে তাকে জাগানো যায়না।

৬| ২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৭

ফারহানা আহমেদ বলেছেন: জিয়াউর রহমানের আগে অন্য কেউ স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেছেন-------এরকম ডকুমেন্ট নাকি নাই বলে অনেকে বলে থাকেন। তাদের যুক্তি হলো, কোনো আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যমে এর যেহেতু কোনো প্রমাণ নেই, সেহেতু এগুলো আওয়ামী প্রোপাগান্ডা। এবার সরকার কোর্টে সেই সময়ের কিছু পত্রিকার কপি সরবরাহ করেছে প্রমাণ হিসেবে-----সেখানে বলা হয়েছে শেখ মুজিবের পক্ষে কেউ একজন ঘোষণা পাঠ করেছে ২৬ তারিখে। কাজেই সেটা জিয়ার ২৭ তারিখের ঘোষণার আগে।

আর, জিয়া ২৭ মার্চ তার প্রথম যে ঘোষণা পাঠ করেছিলেন, সেখানে 'মুজিবের পক্ষে' কথাটা ছিলো না। কথাটা সংযোজিত হয় ২৮ তারিখের ঘোষণায়।

৭| ২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:০০

ফারহানা আহমেদ বলেছেন: শামীম ভাই, আমি ২৭ মার্চ লন্ডন থেকে প্রকাশিত টাইমস আর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের কপি দুটোর, যেগুলো আদালতা সরবরাহ করা হয়েছে, ফকোকপি রেখে দিয়েছি যাতে পরে এগুলো প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:০৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এই ফটোকপিগুলো দিয়ে একটি পোস্ট দেন।

৮| ২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:০৪

ভিন্ন চিন্তা বলেছেন: আমি প্রথম পাতায় যখন শামীম ভাইয়ের পোস্টে ৫ টা মাইনাস দেখলাম..............মনে হয়েছিল খুব সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি........লেখা খুলে দেখলাম.......কিন্তু মন্তব্য কারীরা কেউ তেমন কিছু বললেন নি।.............

মাইনাস যদি দিতেই হয়.............মন্তব্য করে মাইনাস দিন।

৯| ২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:০৪

আমার_মত০২ বলেছেন: ১, মুজিবের নাম দিয়েও কিন্তু যে কেউ স্বাধীনতার বিপক্ষ-এ ঘোষনা দিতে পারতো...তখন কি বলতেন?
কারন মুজিব জিয়াকে বা কাউকে কোন নিদেশনা দেন নি

২, জিয়ার স্বহস্তে লিখিত ছিলো, মুজিব সেটা লিখে দেন নি

৩, ১৯৭০ এর নিবাচিত কোন আওয়ামী সানং্সদও স্বাধীনতার পক্ষ-এ কোন কিছুই বলেনি


৪, কোন কিছু ঘোষনা করার জন্য বুকে সাহস থাকতে হয়। যে সাহস জিয়াউর রহমানের ছিল।

৫, মুজিব-ভুট্টোর আলোচনা সফল হলে বাংলাদেশ কোনকালেও স্বাধীন হতো না।
৬, মুজিব-ভুট্টোর আলোচনা ব্যর্থ হলে পাকিস্তানের সামরিক শাসক অপারেশন সার্চ লাইট চালায়, জরুরী আইনের আওতায়। এই জরুরী আইন মুজিব-ভুত্তো দুই জনই মেনে নিয়েছিলেন। কাজেই পাকিস্তানে অস্থিতিশীলতা দেখা যেতে পারে বলেই এই অপারেশন সার্চ লাইট ছিলো। বস্তুতপক্ষে, অপারেশন সার্চ লাইটের আবরণে পাক সেনারা বাংগালী নিধনে নেমে পড়ে ...মুজিব তার ভাষনেও বলেছিলেন ...আরো রক্ত দেবো (আওয়ামী কোন নেতার রক্ত নয়) ...কাজেই পাকিরা রক্ত খেয়েছে যা মুজিব দিতে চেয়েছিলো।

৭, ২৫ তারিখে মুজিব গ্রেফতার হোন, পাকিস্তানের আইন অনুয়ায়ী, রাজ্জাক, তোফায়েল দারা ভারতে পালাইতে থাকে ...

বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের কোনই প্রস্তুতি ছিলো, জিয়ার তাতক্ষনিক স্বাধীনতার ঘোষনা, এবং জনগনের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহনই দেশের স্বাধীন এনে দিয়েছে ...।

মুজিব ও তার আওয়ামী লীগ ছিলো কি যার প্রমান দিয়ে গেছে ১৯৭২-৭৫ শাসনামলে ...

মুজিব লীগের ভন্ডামীর লিষ্ট
বাংলাদেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে ফারাক্কা বাধ চুক্তি
২৫ বছর গোলামী চুক্তি
গনতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েম ... আমার তো মনে হয়, মুজিব ফেরাউন ছিলো, সে নিজের মুখের কথাকে দেশের আইন মনে করতো
টিপাই মুখে বাধের ব্যাপারে নীরব
ভারতকে ট্রানজিট দেবার জন্য প্যান্টের বোতাম খুলে রেখেছে ...
দীপু মনির বিশ্বাস
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে মনোপলি ব্যবসা
আওয়ামী বিরুধীকে জামাতীকরন, জাতীয় বেঈমান ইত্যাদি

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:০৭

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: দয়া করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে একবার যান।

১০| ২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:০৮

মনির হাসান বলেছেন: আমাদের দূর্ভাগ্য যে আমাদের সমাজে এবং আশেপাশে চন্ডাল শ্রেনীর মানুষজনের সংখ্যা বেশ ভালোই ... এই ব্লগেই সারাদিন এমন চন্ডালদের পোস্ট আসছে ...

কিচ্ছু করার নেই ... তারা ছিল আছে থাকবে ... ক্যান্সার ছড়িয়েই যাবে ...

১১| ২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:১১

ভিন্ন চিন্তা বলেছেন: গণতন্ত্রে সবাইকে শ্রদ্ধা করতে হয়। রাজাকারেরাও গণতন্ত্রের বাইরে না।.....................

শামীম ভাই আপনি বেশি ভাল মানুষ। আপনার সাথে এবার এ কথায় আর এক মত হতে পারলাম না।

যুক্তিতে না এসে লুকিয়ে লুকিয়ে মাইনাস মারা গনতান্ত্রকি অধিকার নয়। গনতান্ত্রকি অধিকার তাদেরই দেওয়া সাজে যারা গনতান্ত্রিক স্বংকৃতরি প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

১২| ২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৪

নেক্সাস বলেছেন: স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া লও সালাম।

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:০৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমিও উনার মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য সালাম দেই। কিন্তু উনি ঘোষক নন, মুজিবের পক্ষে পাঠকারী।

১৩| ২৪ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৬

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: শামীম ভাই সালাম নেবেন। লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার
' লেখাজোকা ' নাম স্বার্থক। বিনয়ের সাথে বলছি 'জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন' এর সাথে এক মত হতে পারলাম না বলে দূঃখীত। তবে পাইকারী হারে যে ভাবে রাজাকারের পাল্লা ভারী করতেছেন তাতে আগামীতে মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাওয়া যাবে তো? ভেবে দেখবেন। ধন্যবাদ।

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:০৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কেন একমত হতে পারলেন না, তার ব্যাখ্যা করলেন না। দয়া করে বুঝিয়ে বলুন।

১৪| ২৪ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০১

সীমন্ত ইসলাম বলেছেন: শেখ মুজিব কাকে স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠের নির্দেশ দিয়েছিলেন? যাকেই নির্দেশটা দিয়ে থাকুন না কেন, মানতেই হবে তিনি শেখ সাহেবের খুব কাছের মানুষ ছিলেন। আর শেখ সাহেব যেহেতু দক্ষ নেতা ছিলেন, তাই এটা মানতেই হবে যে তিনি অন্তত: এটুকু বুঝার ক্ষমতা রাখতেন যে এই ঘোষনাটা জনতার কাছে যেতে হবে বিশ্বস্ত কোন মুখ থেকে।

কারও কি জানা আছে কে সেই লোক? হান্নান? কেমন যেন মেলে না।

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:০০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে গিয়া মিলায়া নিয়া আসেন।

১৫| ২৪ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

সাইফ শামস বলেছেন: যারা মেজর জিয়ার ঘোষনা শোনেন নাই তারা দয়া করে নীচের লিংটা দেখুন

http://www.youtube.com/watch?v=J9NcosVnOMo

@আমার মত০২: আপনার মাথা ভাল। না জেনেও অনেক কিছু আইডিয়া করে বলতে পারেন। তবে, পড়াশুনা করলে আপনার আইডিয়া আরো পরিস্কার হবে।

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:২৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কোনটা কোনটা আইডিয়া বলতে পারেন কি ?
Click This Link

১৬| ২৪ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

প্রবাসী মন বলেছেন: আপনি যেটা শুনেছেন সেটা সংশোধিত ঘোষণা। তার আগেও জিয়ার আরো একটা ঘোষণা ছিল। তাছাড়া শেখ মুজিবের কোন নির্দেশ কিংবা আদেশ বা অনুরোধে জিয়া ঘোষণা দেয় নি। নিজের তাগিদে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন। মুজিব ২৫শে মার্চ রাতে গ্রেফতার হবার সময়ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হবার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন।

ইতিহাসটা ভালো করে জানতে শিখুন।

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৩১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে যত আন্দোলন সংগ্রাম তার জন্য কাকে সম্মান জানাবেন ? কাকে মনে করবেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ? আপনি নতুন করে ইতিহাস জানান।

১৭| ২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:০৪

বিডি আইডল বলেছেন: রিপোষ্টের মাহাত্ম্য কি? আগের পোষ্টেও অনেকেই দেখলাম যুক্তি তর্ক দেখিয়েছে....সেগুলোর সুরাহা তো দেখলাম না

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৩৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কোনটার কোনটার সুরাহা চান ?

১৮| ২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:১৪

সীমন্ত ইসলাম বলেছেন: আচ্ছা যদি এটা সত্যি হয় যে হান্নান মিয়াকে শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে গেছলেন, তবে প্রশ্ন আসে, আওয়ামী লীগের এতো বড় নেতা থাকতে হান্নান মিয়া কেন? এর পিছনে শেখ সাহেবের কি যুক্তি থাকতে পারে।

হান্নান মিয়ার ঘোষনা কয়জন মানুষ শুনছে? এত বড় একজন নেতার নির্দেশে দেয়া ঘোষনা মানুষের কানেই গেল না, তাহলে নেতার দাম থাকে কই?

------------------------------------------------------------------------
মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের কথা বলছেন - এটা কোন স্ট্যান্ডার্ড রেফারেন্স হলো?

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৩৫

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: একটা গোটা যাদুঘরকে কেন স্টান্ডার্ড রেফারেন্স মনে হচ্ছে না ? কেন মনে হচ্ছে না ? তাহলে আপনার রেফারেন্স কি ?
ঠিক আছে আপনি গোটা ঘোষণাটা এখানে প্রকাশ করুন। ওখানে কি শেখ মুজিবের পক্ষে এই কথাগুলো বলা নাই ?
on behalf of our great national leader Sheikh Muzibur Rahman এই কথাগুলো কি জিয়া বলেন নি ? এখানে কি তিনি স্বীকার করে নেন নি, তিনি শেখ মুজিবের পক্ষে ঘোষণা পাঠ করছেন মাত্র, নিজে ঘোষণা দিচ্ছেন না ?
দয়া করে আপনার রেফারেন্স বলেন।

১৯| ২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৩৮

সীমন্ত ইসলাম বলেছেন: ধরেন শেখ হাসিনা নাতিকে দেখার জন্য আমেরিকা যাওয়ার আগে আমাকে বললেন ভারতের সাথে একটা যুদ্ধ ঘোষনা করে দেন আর আমি উনি চলে যাওয়ার পর রেডিওতে বললাম "আমি সীমন্ত ইসলাম শেখ হাসিনার পক্ষে ভারতের সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করছি"।

দেশের মানুষ কি আমার কথা বিশ্বাস করবে? অবশ্যই না।

এখন ধরেন আপনারা বললেন শেখ হাসিনা সীমন্ত ইসলামকে বলে এসেছিলেন যুদ্ধ ঘোষনা করার জন্য। তাহলে আমার মনে হয় সবাই আপনাকে কে পাগল মনে করবে। আর যদি আপনার কথা সবাই বিশ্বাস করে, তবে শেখ হাসিনা করে পাগল মনে করবে।

আমি মনে করি না সে সময় মানসিক চাপে শেখ মুজিব পাগল হয়ে গিয়েছিলেন।

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৪০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: তর্ক করে সময় নষ্ট করতে চাই না।

২০| ২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৪১

সীমন্ত ইসলাম বলেছেন: আমি জিয়াকে নিয়ে কোন কথাই বলি নি। বলেছি হান্নান মিয়াকে নিয়ে। জিয়া শেখ মুজিবের পক্ষে ঘোষনা দিয়ে থাকতেই পারেন, এটা নিয়ে আমার আপত্তি নাই।

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৫৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: জিয়া যদি শেখ মুজিবের পক্ষে ঘোষণা পাঠ করে থাকেন, তবে মুজিবই মূল ঘোষক, জিয়া পাঠকারী মাত্র। জিয়া সেটা তার ঘোষণাতে বলে দিয়েছেন।

২১| ২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৪৫

সীমন্ত ইসলাম বলেছেন: লেখক বলেছেন: তর্ক করে সময় নষ্ট করতে চাই না।

--------------------------------------------------------------------

আমি অবশ্য ভাবসিলাম এই পোষ্ট নিয়ে তর্ক হতে পারে এটা আপনি অনুমান করছিলেন।

যাই হোক, তর্ক করে লাভ নাই, বাদ দিলাম।

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৫৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: তর্ক হতে পারে, সেটা প্রাসঙ্গিক হলে। যদি এমন হত গোছের তর্ক কেবল কথাই বাড়ায়। যদি, ধরেন ইত্যাদি বলে তর্ক করার কোন মানে মানে নাই।

২২| ২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৫৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সীমন্ত ইসলাম @ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের কথা বলছেন - এটা কোন স্ট্যান্ডার্ড রেফারেন্স হলো?

--------------------------------------------------------------------
দয়া করে বলবেন কি কোনটা স্ট্যান্ডার্ড রেফারেন্স ?

২৩| ২৫ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:০৭

সীমন্ত ইসলাম বলেছেন: জিয়া শেখ মুজিবের পক্ষে ঘোষনা দিয়ে ছিলেন, জিয়ার জায়গায় আমি হলেও শেখ মুজিবের নাম ভাঙ্গিয়েই ঘোষনা দিতাম।

কথা হচ্ছে জিয়া কার নির্দেশে ঘোষনা দিয়েছিলেন? আমি যতটুকু জানি জিয়াকে কেউ এ ঘোষনার নির্দেশ দেয় নি, তিনি নিজে উদ্দোগেই শেখ মুজিবের নাম ভাঙ্গিয়ে এই ঘোষনা দিয়েছিলেন।

আমার এই কথার সাথে কি আপনি একমত?

২৫ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: শেখ মুজিব গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ২৫ মার্চ রাতেই।
সামুর ফিরে দেখা ৭১ সংকলনের ৬৭ পৃষ্ঠায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা শীর্ষক লেখাটা পড়েন।
Click This Link

২৪| ২৫ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:১২

সীমন্ত ইসলাম বলেছেন: শামীম ভাই, যখন অনেক কিছুই বিতর্কিত হয় তখন অনেক দামি জিনিসকেও রেফারেন্স ধরা যায় না। যেমন স্বাধিনতা যুদ্ধের দলিলকে রেফারেন্স ধরা যাবে না অনেক আলোচনায়। এটা বিতর্কিত।

যে বিষয়ে তর্ক করছি সে বিষয়টাতে আসলেই তেমন কোন ভালো রেফারেন্স নাই। তাই এই তর্কের অবসানও হচ্ছে না।

২৫ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:০০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনি তো একটা গোটা যাদুঘরকে এক কথায় উড়িয়ে দিলেন । গেছেন কখনও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে ? আমার মনে হয় না, আপনি কোন যাদুঘরে কোনদিন গিয়েছেন।

২৫| ২৫ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:২২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "জিয়া যদি শেখ মুজিবের পক্ষে ঘোষণা পাঠ করে থাকেন, তবে মুজিবই মূল ঘোষক, জিয়া পাঠকারী মাত্র। জিয়া সেটা তার ঘোষণাতে বলে দিয়েছেন।"

শেখ মুজিবের পক্ষে ঘোষনা করা মানে তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করা। ঘোষনাও সে ভাবে দেয়া হয়েছে। শেখ মুজিব প্রকাশ্য ঘোষক নন। তার প্রকাশ্য কোন ঘোষনা নেই। সেই সময় প্রকাশ্য ঘোষনা জাতির জন্য দরকারী ছিল।


২৫ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:১০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: তাতে করে মুজিব বা জিয়া কারোই অবদান কমে যায় না। যতদিন মুজিব বেঁচে ছিলেন, জিয়া কখনও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেন নি। এমনকি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেও জিয়া নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেন নি। অর্থাৎ জিয়া কখনই বলেন নি, তিনি স্বাধীনতার ঘোষক। জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানিয়ে শেখ মুজিবকে ছোট করার প্রক্রিয়া শুরু হয় খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর।
জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন ২৭ মার্চ, তাহলে আমরা ২৬ মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস পালন করি ? কারণ এর আগেই শেখ মুজিব ২৫ মার্চ রাতে ওয়ারলেস বার্তার মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।

২৬| ২৫ শে জুন, ২০০৯ রাত ২:১৮

আমার_মত০২ বলেছেন: জিয়া প্রথমে নিজের নামেই স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। সেখানে নিজেকে দেশের প্রধান হিসাবে উল্লেখ করেন।

পরে, আবারো মুজিবের পক্ষে ঘোষনা দেন, শেখ মুজিবের পক্ষে ঘোষনা করা মানে তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করা। ঘোষনাও সে ভাবে দেয়া হয়েছে। শেখ মুজিব প্রকাশ্য ঘোষক নন। তার প্রকাশ্য কোন ঘোষনা নেই। সেই সময় প্রকাশ্য ঘোষনা জাতির জন্য দরকারী ছিল। এই গুরুত্বপুর্ণ কাজটি একজন মেজর করেচ্ছিলেন।

বস্তুত বাংলাদেশের জনগন স্বাধীনতার সুস্পষ্ট ঘোষনা মুজিবের মুখেই ৭ই মার্চে শুনতে চেয়েছিলো। মুজিব বলেন নি।

++ পরের ঘোষনায় কিন্ত জিয়া দেশের প্রধান কে উল্লেখ করেনি, কাজেই তার প্রথম ঘোষনা অনুযায়ী তিনিই দেশের প্রধান থাকেন এবং কেউ তাতে বাধা দেন নি, কাজেই মুজিব নগরে অস্থায়ী সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত জিয়াই বাংলাদেশের প্রধান হয়ে থাকেন ++ জিয়ার সাহসী ও সময়োপযোগী ভুমিকার জন্য সালাম। জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে উজ্জল নক্ষত্র। এবং পরবর্তীতে দেশের সফল প্রেসিডেন্ট, বহু দলীয় গনতন্ত্র প্রবর্তনকারী, দক্ষিন এশিয়ার সার্কের জনক।


একজন সাহসী মেজরের কন্ঠে যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা আসে তখন বাংগালীরা স্বতস্ফুর্তভাবেই স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে, আর প্রথম রাতেই আওয়ামী নেতৃত্ব কলিকাতায় পালিয়ে যায় ...এমন কি আওয়ামী অফিসে রেজিষ্টার বুকও ফেলে যায়।

এই রেজিষ্টার বুকে মুজিব বা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বিভিন্ন জনকে চিঠি দিলে তাদের নাম,ঠিকানা লিখে রাখা হতো।

পাকিস্তান বাহিনী এই রেজিষ্টারের উল্লেখ থাকা অনেক লোককে পরে খুব সহজে সনাক্ত করতে পারে এবং হত্যা করে। এই ছিলো আওয়ামী লীগের দাযিত্বশীলতা ...পালানো ছিলো এদের একমাত্র উদ্দেশ্য।


আরেকটি পয়েন্ট, ১৯৭০ সালে চট্টগ্রামের কালুর ঘাটের আওয়ামী সাংসদ কে এবং কোথায় ছিলেন নাকি উনিও পলাইতে ব্যস্ত ছিলো।












২৫ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার কথা অনুযায়ী মনে হয়, জিয়া সব কিছু করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতারা কিছু করেন নাই।
১৭ এপ্রিল যে মুজিব নগর সরকার হল, সেই সরকারে জিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হল না কেন ? তার প্রতি এত অবিচার করা তো উচিত হয় নি।
সামরিক অভু্যত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় না এলে এবং বিএনপি নামক একটি দল গঠন না করলে জিয়াকে আপনি এত গুরুত্ব দিতেন না।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ও সেনাবাহিনীর অফিসার হিসেবে সম্মানিত মানুষ ছিলেন। কিন্তু তাকে মহামানব বানানো শুরু হয় খালেদা জিয়ার শাসন আমল থেকে।

২৭| ২৫ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:০৫

কমুক্যা বলেছেন: এই দুইজন মানুষকে আর কত খাট করলে আমাদের এ তর্ক শেষ হবে ? এ প্রশ্নের জবাব টা সবার কাছে আশা করলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.