![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে পারি না পারি ব্লগিং টা শখ। ফেসবুকেঃ https://www.facebook.com/ashiqur.amit সত্য যতয় তিক্ত হোক সেটার পক্ষে থাকার চেষ্টা করি কিন্তু অনেক সময় তা হয়ে উঠে না। রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে যন্ত্রকৌশলে পড়াশোনা শেষ করে এখন কামলা। এক কালে রস আলোতে ফান আইডিয়া দিতাম। এখন জীবনটা রম্য হয়ে গেছে। অবসর কাটে গল্পের বই আর মজিলায় স্বেচ্ছাসেবা।
প্রজন্ম চত্বরের এই প্রাণের দাবী আমাদের সবার- যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই!
প্রতিনিয়ত এই রাজশাহীতে বসে ঘরে বাহিরে পরিচিত অপরিচিত অনেকের কাছে আমাদের এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার গুলোর জবাব দিচ্ছি, সাধ্যমত যুক্তি দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করছি কে কেন কিসের জন্য এই অপপ্রচার চালাচ্ছে আর এইগুলো কতটা ভিত্তিহীন। সেই একটাই চাওয়া যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই।আমার মত নাহ আমার চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হাজার হাজার তরুণ তরুণীরা, এই আন্দোলনের সর্বোচ্চ সফলতার জন্য।
কিন্তু আপনেরা যারা এই আন্দোলনের প্রথম থেকে আছেন , যারা সামান্য হর্তাকর্তা টাইপের , যারা হয়ত ঘোষণা বা রূপরেখা দিচ্ছেন অনুগ্রহপূর্বক এমন কিছু করবেন নাহ বা এমন কোন সিদ্ধান্ত নেবেন নাহ যার জন্য সাধারণ মানুষ আঙুল তুলে আমাদের দিকে কিংবা আমাদের এই আন্দোলনের জোয়ার টা কমে যায়। মনে রাখবেন সারাদিন রাত নাম না জানা একদল মানুষ মাটিতে বসে ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই বলে চিৎকার করছে তারাই কিন্তু এই আন্দোলনের মূল শক্তি।
যত কষ্ট হোক একটা আন্দোলনের বাহির থেকে বা চিনা পরিচিত শত্রুদের শত শত অপপ্রচার, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ আঘাত সামাল দেওয়া যায়, আমরা হাজার হাজার মানুষ তৈরি জবাব দিতে। কিন্তু নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য যখন যখন নিজেদের ভিতর অনাস্থার তৈরি হয় সেটা হয় সবচেয়ে ভয়ংকর। আন্দোলনের এতদিনের অর্জন হয়ত ধুয়ে মুছে ফেলতে পারে এই অনাস্থা!!! মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা ছুটে গিয়েছিলেন তারা কোনদিন ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি যে পদক পাবো, সম্মান পাবো বা লোকে আমাদের নিয়ে গর্ব করবে। ঠিক তেমনি যেন এই আন্দোলনকে ঘিরে যেন না ভাবেন এতদিন অন লাইনে ছিলাম এইবার দেশের মানুষ আমাকে চিনবে, ব্লগ ফেসবুকে আমার জনপ্রিয়তা হবে আকাশচুম্বী!
একটা আন্দোলন একটা যুদ্ধ, কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু কোন ভাবেই যেন তা স্বাভাবিকতা কে ছাড়িয়ে না যায়। এটা দেখার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের যারা প্রথমে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন। যাদের দেখে শুধু ব্লগার অনলাইন এক্টিভিটিস্টরা নয় সাধারণ মানুষ ছুটে গেছে। আপনাদের কে সাজেশন দেওয়া হয়ত আমাদের ধৃষ্টতা তাই অনুরোধ করছি কিছু বলার আগে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাল করে একটু ভাববেন , আপনার এই কথা বা সিদ্ধান্ত কি আন্দোলন কে কোন ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করবে?
সারাজীবন হয়ত শাহবাগে সবাই বসে থাকবে নাহ, অনেকে হয়ত এখন থেকেই আসা যাওয়া কমিয়ে দিবে, কিন্তু এই আন্দোলনের চরম সাফল্য কোথায়? আমার মতে, রাজাকারদের নির্মূল করতে হবে, দেশ কে প্রাণ দিয়ে ভালবাসতে হবে, দেশদ্রোহীদের শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে, জাতীয় স্বার্থে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে যেতে একসাথে এই কথাগুলো যেন মনে প্রাণে গেঁথে যায় সকলের।
ফলে একদিন হয়ত আপনি বা আমি রাস্তায় যেতে যেতে হটাৎ চেঁচিয়ে উঠব, “ রাজাকারের ফাঁসি চাই” অনেকেই বলে উঠবে, “ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই”। নির্জন রাস্তায় যদি বলে উঠেন, “আমি কে তুমি কে” প্রতিধ্বনির মত করে শুনতে পারবেন, “বাঙ্গালী বাঙ্গালী”। এটাই হবে শাহবাগ আন্দোলনের সবচেয় সার্থকতা, এই চেতনার জোরেই ভেসে যাবে সকল যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বর্তমান দোসররা।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: জয় বাংলা!
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: সহমত ভাইয়া। বিশাল পরিমাণ মানুষের কনফিউশন দূর করতে করতে ক্লান্ত। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি সত্যটা সবাইকে জানাতে। যে আদর্শ নিয়ে এই মহান ব্রত শুরু, তা যেন বৃথা না যায়। জয় বাংলা!