![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার লেখা যে কেউ নকল করতে পারবেন,কপি পেস্ট করতে পারবেন । আপনারা যারা আমাকে পছন্দ করেন না, তারা দূরে গিয়া মরেন ।
শাহবাগ আজ বাংলাদেশের হৃদয়
হাজার হাজার মানুষের মিছিলের উচ্চকণ্ঠে এখন মুখরিত শাহবাগ। এই মানুষ অবিচার ও অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার। ১৬ কোটি বাঙালির প্রানের দাবি এইসব মানুষের মুখে। তরুন প্রজন্ম, যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, ওই সময়ের আন্দোলনের উত্তাপ কিছুটা হলেও এখান থেকে বুঝতে পারবে। রাজাকারদের প্রতি সীমাহীন ঘৃনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অন্তরে। স্বাধীনতার পর আমরা বিভিন্ন সময়ে রাজাকারের গাড়িতে লাল সবুজের পতাকার অবমাননা দেখেছি, আহত হয়েছি। আর নয়, এদেশের মাটিতে আমরা মীরজাফর-রাজাকারদের আর দেখতে চাইনা।
এই বাংলাদেশ কাদের? যারা স্বাধীন দেশ চায় নি তাদের, নাকি আমাদের? ৭১ সালে যারা পরাজিত হয়েছিল আজ তারা-ই মামলার রায়ে বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে হাসিমুখে গাড়িতে উঠছে। আমার মনে হয়েছে এটা বিজয় চিহ্ন নয়, দেশপ্রেমিক প্রতিটা বাঙালির মুখে সজোরে জুতো মারা। এই অপমান আমার আপনার সবার। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। আমরা চাই কসাই কাদেরের ফাঁসি।
আজকে প্রতিটা বাংলাদেশীর সঙ্গে প্রতারনা করা হয়েছে। চার শতাধিক মানুষের মৃত্যুর জন্য যদি কাউকে ফাঁসি না দেয়া হয় তাহলে কতজন মানুষ হত্যা করলে ফাঁসি দেয়া হবে সেটাও জানতে চাই আমরা।
ব্রিটিশ আমল থেকে ভারতবর্ষের প্রতিটা আন্দোলনে এই বাঙালি জাতি-ই নেতৃত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের সাধারন মানুষ যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে পথে নামতে জানে সেটা মনে হয় নতুন করে কাউকে মনে করিয়ে দেবার প্রয়োজন নেই। আমরা আমাদের প্রানের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, কেউ বাড়িতে এসে দিয়ে যায়নি। প্রয়োজনে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আরো রক্ত ঝরবে।
রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর এখন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত। প্রত্যেকের হাতে মোমবাতি। দফায় দফায় মিছিল। কোথাও মশাল মিছিল। কোথাও অবরোধ। সবার দাবি একটাই। স্লোগানও একটাই -‘কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই।’ কাদের মোল্লার মতো একজন কুখ্যাত খুনি যদি যাবজ্জীবন পায়, তাহলে এই রায়ের অর্থ কি? আজ মঙ্গলবার বিকেল তিনটা থেকে শুরু হলেও এখনও চলছে বিক্ষোভ আর সমাবেশ। শাহবাগে প্রথমে অবরোধ শুরু করেন ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্ক।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগন এসে জড়ো হয়েছেন এবং হচ্ছেন এখানে। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আগামীকাল বুধবার আরও বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী, কবি-সাহিত্যিক, শিল্পীসহ দলে দলে নতুন আন্দোলনকারী যুক্ত হচ্ছেন আমাদের সঙ্গে। আসুন, একতাবদ্ধ হই, রুখে দাঁড়াই।
©somewhere in net ltd.