নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার স্বাধীন চিন্তা চেতনার প্ল্যাটফর্ম

ব্লগিং আমার নেশা, পেশা নয় ।

জািতর মামা

আমার লেখা যে কেউ নকল করতে পারবেন,কপি পেস্ট করতে পারবেন । আপনারা যারা আমাকে পছন্দ করেন না, তারা দূরে গিয়া মরেন ।

জািতর মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারা মানুষের জাত না : জয়

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, যারা হরতাল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে, তারা মানুষের জাত না। তিনি বলেন, ‘আমার তো এখন বিএনপির প্রতি ঘৃণা হচ্ছে। এদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। এ ছাড়া আমার বলার কিছু নেই।’

জয় গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে হরতালে অগ্নিদগ্ধ ও আহতদের দেখতে গিয়ে সেখানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি এই ধরনের ঘটনা যেন আর না হয়। যারা গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে, শিশুদের পোড়ায় ওরা মানুষের জাত হতে পারে না। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। যারা এগুলো করে তারা কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারা সন্ত্রাসী দল। আমি আমার জীবনে এমন নৃশংসতার দৃশ্য দেখিনি। কোনো রাজনৈতিক দল এ ধরনের কাজ করতে পারে এটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য।’



এদিকে, প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় ঢাকা মেডিক্যালে আসছেন, এমন খবর প্রচার হওয়ার পর দুপুর ২টা থেকে মেডিক্যালের জরুরি বিভাগের গেটে অবস্থান নিতে থাকে সরকার সমর্থক বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে ঢাকা মেডিক্যাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন গেটে। এর ফলে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় জরুরি বিভাগের রোগী ও তাদের স্বজনদের। এ ছাড়া জয়ের সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য বার্ন ইউনিটের সম্মেলন কক্ষে জড়ো হন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের এক থেকে দেড়শো কর্মী। পরে তাদেরকে জানানো হয়, আইসিইউ গেটের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন জয়। ছোট্ট এ পরিসরে সাংবাদিকসহ সরকার সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় আইসিইউ গেট। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে মেডিক্যাল চত্বর।

পরে নিচে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সজিব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, ‘বিএনপি হরতাল ঘোষণা করে আগুন দিয়ে আট বছরের শিশু সুমিকে পুড়িয়ে মেরেছে। আমারও একটি মেয়ে আছে। এই মাসে তার বয়স সাত বছর হবে। একজন বাবা হিসেবে এটা আমি কল্পনা করতে পারি না। এদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিৎ এবং শক্তভাবে আইনের ব্যবস্থা করা দরকার। আমরা ৭১-এর পরে আর এ ধরনের ঘটনা দেখিনি।’

যারা এগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

জয় বলেন, যাত্রীভর্তি বাসে আগুন দেওয়া, শিশুদের পুড়িয়ে মারা এটা হরতাল নয়। এটা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। এটা কারো রাজনৈতিক অধিকার নয়।

হরতালে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া ও বিরোধী দলের নৈরাজ্য প্রতিরোধে সরকার ব্যর্থ কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, সরকার ব্যর্থ নয়। এদের বিরুদ্ধে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। যারা বোমা ও ককটেল বানাতে অর্থের জোগান দেয় সরকার তাদেরও গ্রেফতার করছে।

এর আগে মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে আসেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আহতদের খোঁজ-খবর নেওয়ার পর বার্ন ইউনিটের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন তিনি।

এ সময় তিনি মানুষ পোড়ানো তত্ত্ব রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে গ্রহণ না করতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আর সংঘর্ষ নয়, আপনার দিলে একটু রহম আনুন। পোড়া রোগীদের হাসপাতালে আসার সুযোগ করে দিন। আসুন সংঘর্ষের রাজনীতি ছেড়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসন করি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত হরতালগুলোতে ৪৪ জন মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়েছে, এর মধ্যে ১৮ জন মারা গেছে। আগুনে পুড়িয়ে মারা রাজনৈতিক কোনো আন্দোলন নয়, এটা খালেদা জিয়ার মানুষ পোড়ানোর তত্ত্ব। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা দেখেছিলাম রাজারকার-আলবদররা অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। তারা তখন নির্যাতন, হত্যা, খুন, ধর্ষণের তত্ত্ব নিয়েছিল।’

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা রোগীদের দেখতে এসেছি। যারা হরতালে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তাদের চিকিৎসার দায়ভার সরকার নিয়েছে। হরতালের অধিকার বিরোধী দলের রয়েছে, তবে আগুনে মানুষ পোড়ানোর অধিকার নেই।’

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.