নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একদিন সবকিছু গল্প হয়ে যায়...

আহমাদ মোস্তফা কামাল

জন্ম : ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৯; মানিকগঞ্জ। পৌষের কোনো এক বৃষ্টিভেজা মধ্যরাতে এদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম হয়েছিলো আমার, মায়ের কাছে শুনেছি। হঠাৎ বৃষ্টির সেই শীতের রাতে আঁতুর ঘরে মার পাশে দাইমা নামক আমার অ-দেখা এক মহিলা ছাড়া আর কেউ ছিলো না। উঠোনে রেখে দেয়া প্রয়োজনীয় সাংসারিক অনুষঙ্গ বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে দাইমা বাইরে গেলে প্রায়ান্ধকার ঘরে জন্ম হয়েছিলো আমার। জন্মেই দেখেছিলাম, আমার চারপাশে কেউ নেই- মা ছাড়া। আজ, এই এতদিন পর- আমার চারপাশে সহস্র মানুষের ভিড়- তবু মার কাছে ফিরতেই ভালো লাগে আমার। যোগাযোগ : [email protected] [email protected]

আহমাদ মোস্তফা কামাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আস্তিক-নাস্তিক-সংশয়ী এবং তাদের ঈশ্বর

২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৪৮

[আস্তিকতা-নাস্তিকতা নিয়ে বিতর্ক অনেক দিনের পুরনো হলেও এর কোনো মীমাংসা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিতর্ক চলছেই। আমার এই লেখাটিও সেই বিষয় নিয়েই। বলা দরকার যে, লেখাটি আমার 'সংশয়ীদের ঈশ্বর' প্রবন্ধের অংশবিশেষ। ব্লগে বড় লেখা দেয়া সমস্যা, তারই সঙ্গত কারণেই কাটছাঁট করে দেয়া হলো।]



আমাদের সমাজে আস্তিকদের কণ্ঠ অনেক উঁচুস্বরে শোনা গেলেও, সাহিত্য-সংস্কৃতির জগতে কোনো 'আস্তিক' স্বীকার করতে লজ্জা পান যে, তিনি আস্তিক- কারণ সেক্ষেত্রে তাকে প্রতিক্রিয়াশীল অভিধা পেতে হতে পারে। অন্যদিকে 'নাস্তিক'রা প্রকাশ্যে বলতে কিঞ্চিৎ 'ভয়' পেলেও আড্ডায় বা ঘরোয়া পরিবেশে বেশ গর্ব করেই বলেন যে, তিনি নাস্তিক। অর্থাৎ নাস্তিকতা গৌরবের আর আস্তিকতা লজ্জার! কিন্তু অদ্ভুত শোনালেও সত্যি যে, এর একটি যদি নেতিবাচক হয় তবে একইভাবে অন্যটিও নেতিবাচক শব্দ। আমাদের এখানে একটি ধারণা প্রচলিত আছে- এই দুটো শব্দ পরস্পরের বিপরীত অর্থ বহন করে। কিন্তু সত্য হচ্ছে এই যে, আস্তিকতার বিপরীত শব্দ নাস্তিকতা নয়, এই দুটো শব্দ দুটো বিশ্বাসের প্রতিনিধিত্ব করে। একটি ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস, অন্যটি ঈশ্বরের অনস্তিত্বে বিশ্বাস। যিনি অনস্তিত্বে বিশ্বাস করেন তিনি আবার ঈশ্বরের পরিবর্তে প্রকৃতি বা এই ধরনের অন্য কোনোকিছুতে বিশ্বাস করেন। এই শব্দ দুটোর বিপরীত শব্দ হচ্ছে সংশয়। একজন সংশয়ীকে কি এর যে-কোনো একটি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বা পক্ষে দাঁড় করানো যাবে? যে-কোনো এক পক্ষে দাঁড় করালে তার অন্য পক্ষে চলে যাবার সম্ভাবনাটিও পুরোমাত্রায় রয়ে যাবে।



সংশয়ীদের নিয়ে না হয় একটু পরে বলি, তার আগে বরং আস্তিক-নাস্তিকদের নিয়েই কিছু চিন্তাভাবনা করা যাক।



প্রথম কথা হচ্ছে- আমাদের দেশে আস্তিকতা-নাস্তিকতার ধারণাটি খুবই অদ্ভুত। বিষয়টি আর ঈশ্বরের অস্তিত্ব-অনস্তিত্বে বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে নেই; দাঁড়িয়ে গেছে ধর্মে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ওপর। অর্থাৎ যিনি ধর্মে বিশ্বাস করেন তিনি আস্তিক, যিনি করেন না তিনি নাস্তিক। এই কনসেপ্টটিকে পরিপূর্ণ বলা যায় না। ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বরের প্রতি যার বিশ্বাস নেই অথচ অন্য কোনো মহামহিম ক্ষমতাবান অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস আছে, আমাদের দেশে তাকে নিশ্চয়ই কেউ আস্তিক বলতে চাইবেন না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি তো আস্তিকই। ধর্মগ্রন্থে বিশ্বাস আছে কি নেই সেটা তো কোনো প্রশ্নই নয়। অন্যদিকে ঈশ্বর সম্বন্ধে একেবারেই কোনো ভাবনা-চিন্তা নেই অথচ ধর্ম-প্রণীত আচার-আচরণ মহা সাড়ম্বরে পালন করেন এমন সব ব্যক্তিকে সবাই আস্তিক বলবেন, যদিও তার আস্তিক্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট কারণ আছে।



প্রশ্ন উঠতে পারে- ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বরে আস্থা নেই এমন লোককে আস্তিক বলা যায় কীভাবে? প্রচলিত দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁকে আস্তিক বলা যায় না বটে, কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে- ধর্ম মেনে চলা বা ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত মোটামুটি নিষ্ঠুর এবং ভয়ংকর একজন ঈশ্বরে বিশ্বাস করার পরিবর্তে একজন মানুষ তার নিজের মতো করে একজন ঈশ্বরের কল্পনা করতে পারেন এবং সেক্ষেত্রে তাঁকে আস্তিক বললে খুব বেশি ভুল করা হবে না। এ প্রসঙ্গে আমরা লালনের একটি গানের উদাহরণ দিতে পারি। 'পারে কে যাবি নবীর নৌকাতে আয়'- এই গানটির কয়েকটি পংক্তি এরকম



নবী না মানে যারা

মওয়া ছেদ কাফের তারা

আখেরে হয়




এই পংক্তি শুনে যে কেউ মনে করবেন, লালন ইসলাম ধর্মে প্রচারিত মতেরই প্রতিধ্বনি করছেন। কিন্তু এর পরের বাক্যগুলো এরকম-



যে মুর্শিদ সেই তো রাসুল ইহাতে নাই কোনো ভুল খোদাও সে হয়



এই পংক্তি অবশ্যই ইসলামের মূল তত্ত্ব বিরোধী। কারণ এখানে মুর্শিদ অর্থাৎ একজন সাধারণ মানুষকে (হতে পারেন তিনি সাধক পুরুষ) প্রথমত রসুলের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা হয়েছে (রসুল নিজে কোনো সাধারণ পুরুষ নন, ইসলাম ধর্মমতে তিনি আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ- মহামানব)। তবু শরীয়তপন্থী লোকেরা হয়তো এ কথাটি মেনে নিতে আপত্তি করবেন না, কারণ রসুলই বলেছেন- আমি তোমাদেরই মতো সাধারণ মানুষ, পার্থক্য শুধু এই যে, আমার কাছে আল্লাহর অহি আসে তোমাদের কাছে আসে না (এটাকে অবশ্য তাঁর অপূর্ব বিনয়ের প্রকাশ বলেই মনে হয় আমার। কারণ যাঁর কাছে আল্লাহর অহি আসে তিনি সাধারণ মানুষ হন কীভাবে?)। কিন্তু লালন যখন বলেন- 'খোদাও সে হয়'- তখন ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীদের প্রতিবাদ স্বরূপ একসঙ্গে চেঁচিয়ে ওঠার কথা। কারণ রসুল উপরোক্ত কথাটি বলেছিলেন যেন তার অনুসারীরা আল্লাহর সঙ্গে তাঁকে মিলিয়ে না ফেলেন এবং তাঁকেই আল্লাহ বলে ভাবার মতো ভুল না করেন। কিন্তু এখানে লালন তাই করেছেন। মুর্শিদ (সাধারণ মানুষ), রসুল (মহাপুরুষ) ও খোদা (সৃষ্টিকর্তা) কে তিনি মিলিয়ে মিশিয়ে একাকার করে ফেলেছেন- এবং পংক্তিটি পরিষ্কারভাবে এ কথাটিই বলতে চায় যে, মানুষ এবং খোদা একই রূপের দ্বিবিধ প্রকাশ অথবা মানুষের মধ্যেই খোদা বিরাজমান- তাঁর আলাদা কোনো অস্তিত্ব নেই। এই মত মূল ইসলাম সমর্থন করে না (যদিও এর সঙ্গে সুফিবাদ কথিত মতের বেশ মিল পাওয়া যায়)। প্রশ্ন হলো লালনের খোদা তাহলে কে, এই ধারণাই-বা তিনি কীভাবে এবং কোত্থেকে পেলেন?



এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কথাও বলা যায়। মানব-ইতিহাসের বিভিন্ন সময়কালে যতগুলো প্রতিভা প্রকাশিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ তাদের অন্যতম, আর রবীন্দ্রনাথের বহুমাত্রিক প্রতিভার সর্বোচ্চ প্রকাশ ঘটেছে তাঁর গানে। কী কথায়, কী সুরে তিনি এক অতুলনীয় সংগীত-ব্যক্তিত্ব। পৃথিবীতে এমন 'সংগীত প্রতিভা' আর দেখা যায় না। মানুষের জীবনের এমন কোনো অনুভূতি নেই যা তাঁর গানে ধরা পড়ে নি। আমার তো মনে হয় মানুষের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে মানিয়ে যাবার মতো একটা না একটা গান রবীন্দ্রনাথের আছে। কিন্তু তাঁর এই বহুবিচিত্র গানগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ প্রতিভার ছোঁয়া পেয়েছে তাঁর প্রার্থনা সংগীতগুলো। মানুষের সমর্পণ ও আত্ননিবেদনের এমন অসামান্য আকুতি ও আর্তি অন্তত আমার জানামতে অন্য কোনোকিছুতে ধরা পড়ে নি। তো, তাঁর একটি প্রার্থনা সংগীতের উদাহরণ দেই-



যদি এ আমার হৃদয় দুয়ার বন্ধ রহে গো কভু

দ্বার ভেঙে তুমি এসো মোর স্বামী ফিরিয়া যেওনা প্রভু।




রবীন্দ্রনাথের আস্তিকতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবেন না, জানি, কিন্তু এই গানের প্রভু কোন ধর্মগ্রন্থের? বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত কোনো ঈশ্বর তো তার অনুরাগীর এমন অন্যায় আব্দার রাখবেন বলে মনে হয় না, এমন প্রেমময় আহ্বানে তাকে পটানো যাবে না, উল্টো দ্বার বন্ধ দেখে তিনি রেগে যেতে পারেন। প্রভুর এমন কী দায় পড়েছে যে, বন্ধ দ্বার ভেঙে অনুরাগীর হৃদয়ে প্রবেশ করবেন?



লালনের দয়াল/খোদা কিংবা রবীন্দ্রনাথের প্রভু কোনো ধর্মগ্রুন্থের ঈশ্বর নন, অথচ এঁরা প্রত্যেকে ঈশ্বরের মতো কোনো একজনকে কল্পনা করেছেন। এঁদেরকে কি আমরা আস্তিক বলবো? আস্তিক বলতে তো আমরা কোনো ধর্মাবলম্বীকে বোঝাই, অথচ প্রচলিত কোনো ধর্মে এঁদের আস্থা ছিলো না। সেক্ষেত্রে তাঁরা তো আস্তিকই থাকেন না, আবার নাস্তিকও তো বলা যাচ্ছে না, তাঁরা যে বিশ্বাস করেন! আমি এতক্ষণ ধরে তাঁদেরকে আস্তিকই বলেছি, কিন্তু এখন সম্ভবত বলা যায়- এঁরা প্রত্যেকেই সংশয়ী। প্রচলিত ঈশ্বর ধারণার প্রতি এঁদের সকলেরই সংশয় ছিলো বলে তাঁরা নতুন এমন একজন ঈশ্বরের প্রকল্প দাঁড় করিয়েছেন যেটা তাঁদের দার্শনিক প্রতীতির সঙ্গে মেলে।



এই ঈশ্বরের স্বরূপটা কিরকম? এঁরা এই ঈশ্বরের ধারণাই-বা পান কোত্থেকে? কেউ হয়তো লালনের ওপর সুফিবাদের প্রভাব খুঁজে পাবেন, অথবা ভারতবর্ষের প্রেম-ভক্তিবাদের এবং বৌদ্ধ সহজিয়াবাদের প্রভাবও খুঁজে দেখতে চাইবেন। রবীন্দ্রনাথের ওপর তো লালন, কবীর প্রমুখ মরমীদের প্রভাব প্রায় স্পষ্ট। কিন্তু যে প্রভাবই থাকুক না কেন, ধর্মগ্রন্থের ঈশ্বরের সঙ্গে যে তাঁদের ঈশ্বরের মিল প্রায় নেই- একথা সবাই বোঝেন। এমনকি ইসলাম ধর্মের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে সম্পর্কিত সুফিবাদের ঈশ্বরও ইসলামী ঈশ্বর নন! সুফিরা মনে করেন- মানুষ হচ্ছে ঈশ্বরেরই একটি প্রকাশ মাত্র এবং মানুষ সাধনার মাধ্যমে নিজেকে এমন এক স্তরে উন্নীত করতে পারে যখন মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না, তাঁরা একই সত্ত্বায় পরিণত হন। সুফিবাদের এই আল্লাহর সঙ্গে মূল ইসলামের আল্লাহর ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। মূল ইসলামেরর কনসেপ্ট অনুযায়ী আল্লাহ একটি ইউনিক (একক/অদ্বিতীয়) সত্ত্বা, অন্য সবকিছু তাঁর সৃষ্টি। অর্থাৎ সম্পর্কটা এখানে স্রষ্টা ও সৃষ্টির। আর সুফিবাদ বলছে আল্লাহ এবং তাঁর সৃষ্টজগতের মধ্যে মূলত কোনো পার্থক্য নেই, কারণ আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করেছেন মাত্র। এই ধারণা এখন আর আমাদের কাছে বৈপ্লবিক বলে মনে হয় না, কিন্তু সুফিবাদের জন্মকালে এসব কথাবার্তা কী ভয়ানক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিলো ভেবে দেখুন! ইসলামের পরিকাঠামোর মধ্যে থেকে, ইসলাম সৃষ্ট আল্লাহকে মেনে নিয়ে এবং নবীকে এবং ঈমানের অন্যান্য অনুষঙ্গগুলোকে স্বীকার করে নিয়েই তাঁরা আল্লাহর ভিন্নতর একটি রূপ দাঁড় করিয়েছিলেন।



এই যে প্রচলিত ধর্মমতসমূহের বাইরে গিয়ে ঈশ্বর সম্বন্ধে একটি নতুন ধারণা সৃষ্টি বা নিজের জন্যই ঈশ্বরের একটি রূপ তৈরি করেন মনীষীরা, তার কারণ কি? সঠিক কারণটি নির্ণয় করাটা খুবই দুরূহ; সম্ভাব্য কারণটি হয়তো এই যে, তারা অনুভব করেন- নিজেকে সমর্পণের জন্য, নিবেদনের জন্য এমন একজনের অস্তিত্ব থাকা প্রয়োজন। কেমন একজন? প্রেমময়, দয়াময়, ক্ষমাশীল একজন। এমন একজন যিনি কথায় কথায় নরকের ভয় দেখান না, স্বর্গের লোভও দেখান না, শাস্তি দেবার জন্য উদ্যত হস্তে যিনি দাঁড়িয়ে থাকেন না, অনুরাগীর অপরাধকে যিনি দেখেন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে, যাঁর কাছে দাবি করা যায়, যাঁর ওপর অভিমান করা যায়, রাগ করা যায়, এমনকি তাঁর কোনো নিষ্ঠুরতার জন্য তাঁকে অভিযুক্তও করা যায়। প্রেম নিবেদনে যিনি আনন্দিত হন, অনুরাগীর সমর্পণ যাঁকে খুশি করে তোলে। প্রেমের মাত্রাটা বেশি হয়ে গেলে যিনি নিজের বিরাটত্ব ভুলে গিয়ে অনুরাগীর বন্ধ দুয়ার খুলে ঢুকে পড়েন, নিজেকে প্রকাশ করেন অনুরাগীর প্রেমের মধ্যে দিয়ে, প্রমাণ করেন- তিনি ভয়ংকর নন, বীভৎস নন, বিদ্বেষপরায়ণ নন, শাস্তিদাতা নন, ভীতিকর নন- তিনি প্রেমময় এবং সুন্দরের পুজারী, সমর্পণ আর নিবেদনই তাঁর কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- আর কিছু নয়। এই ঈশ্বর তাঁদের নিজস্ব ঈশ্বর যিনি তাঁদেরকে সৃষ্টিকর্ম উপহার দেন। তাঁর সঙ্গে তাই সম্পর্কটি ভয়ের নয়, প্রেমের ও কৃতজ্ঞতার। আর এই প্রেম ও কৃতজ্ঞতা থেকেই জন্ম নেয় সমর্পণ।



বিশ্বাসীরাই শুধু তাদের ঈশ্বরের কাছে সমর্পিত হন- কথাটি ঠিক নয়, অবিশ্বাসী এবং সংশয়ীরাও জীবনের কোনো-না-কোনো সময়ে সমর্পিত হন কারো-না-কারো কাছে। হয়তো কোনো সুনির্দিষ্ট ঈশ্বরের কাছে নয়, তবু তিনি কোনো-না-কোনো অর্থে সমর্পিত ব্যক্তিটির চেয়ে অনেক বড়, মহান এবং দয়াময়। প্রকৃতপক্ষে নাস্তিক বা সংশয়ীদের এই সমর্পণ অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তাদের কোনো সংজ্ঞায়িত ঈশ্বর নেই। আমার তো মনে হয়- বিশ্বাসীরা কোনোদিনই আপাদমস্তক সমর্পিত হতে পারেন না, তাদের ঈশ্বর ধারণা সুনির্দিষ্ট এবং সংজ্ঞায়িত বলেই ঈশ্বর সম্বন্ধে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করার সময় তাদের নেই, তারা তাই ধর্মের কতগুলো আচার মেনেই সন্তুষ্ট থাকেন। ফলে তাদের নিয়মিত ধর্মচর্চা নিছক আচারসর্বস্বতায় পরিণত হয়।



পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই জীবন ও পৃথিবীর সবকিছুকে ব্যাখ্যা করার জন্য একটি ফ্রেম তৈরি করেন- আর ওই ফ্রেমকেই তিনি স্ট্যান্ডার্ড বলে মনে করেন। পৃথিবীর সবকিছুকেই ওই ফ্রেমে বন্দী করে ফেলাটা তার একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়ায়, একান্তই কোনো বিষয় যদি সেই ফ্রেমের মধ্যে না পড়ে তাহলে সেটাকে তীব্রকণ্ঠে অস্বীকার করেন। আস্তিকদের জন্য নাস্তিকতা আর নাস্তিকদের জন্য আস্তিকতা হচ্ছে ফ্রেমের বাইরের ব্যাপার- ফ্রেমে ফেলে বিষয়টিকে তারা ব্যাখ্যা করতে পারেন না বলেই অস্বীকার করেন।



অন্যদিকে সংশয়ীদের এমন কোনো সুনির্দিষ্ট ফ্রেম থাকে না, ফলে তারা যে-কোনো বিষয়কেই স্বীকার বা অস্বীকার না করে বিবেচনায় নেন, সংশয় প্রকাশ করেন, বিষয়টির ভালো-মন্দ, ইতি ও নেতি খতিয়ে দেখেন। আর এইদিক থেকে বিচার করলে মনে হয়- সংশয়ীরা দার্শনিকভাবে অন্যান্যদের চেয়ে এগিয়ে আছেন। তাদের বিবেচনার আকাশটি অনেক বড়, তাদের ভাবনা-চিন্তার জগৎটি ফ্রেমবন্দী নয়, আর তাছাড়া কে না জানে আকাশকে কখনো ফ্রেমবন্দী করা যায় না!



সংশয়ীদের কৌতূহলের শেষ নেই, প্রশ্নেরও শেষ নেই- আর তাই অনুসন্ধানেরও শেষ নেই। শেষ নেই বলেই সংশয়ীরা কোথাও দাঁড়ান না, অবিশ্রান্তভাবে এগিয়ে চলেন। ঈশ্বরবিহীন পৃথিবীতে তাঁরা নতুন ঈশ্বরের জন্ম দিতে পারেন- হয়তো এভাবেই কোনো এক সুদূর অতীতে কোনো এক সংশয়ী মানব-সমাজে ঈশ্বর ধারণার সূচনা করেছিলেন। একইভাবে ঈশ্বরময় পৃথিবীতে তাঁরা সংশয়ী প্রশ্ন করে ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে পারেন। অর্থাৎ কোনো অবস্থাই তাঁদের জন্য শেষ অবস্থা নয়। অন্য সব দর্শন যেখানে হেরে যায়, থেমে যায়- সংশয়ীরা তখনও থাকেন চলমান। এই একটি জায়গায় সংশয়ীরা অন্য সবার থেকে শ্রেষ্ঠ।

মন্তব্য ১২২ টি রেটিং +৫৩/-৪

মন্তব্য (১২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৫১

নাফে মোহাম্মদ এনাম বলেছেন: বস্তুনিষ্ট লেখা। পরে পড়ব।

২| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৫১

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এই লেখায় আমি লালন ও রবীন্দ্রনাথের কথা বলেছি। কিন্তু শুধু কবিদের মধ্যেই নয়, বিজ্ঞানীদের মধ্যেও কখনো কখনো এমন অদ্ভুত ঈশ্বর-বিশ্বাসের দেখা মেলে। মানব-ইতিহাসের আরেক বিস্ময়কর প্রতিভা আইনস্টাইন একবার অনিশ্চয়তা তত্ত্ব নিয়ে বিতর্কে (তিনি ঐ তত্ত্বের বিপক্ষে ছিলেন) যুক্তি দিয়ে সুবিধা করতে না পেরে 'দি গড ক্যান নট গ্যাম্বলিং' বা ঈশ্বর জুয়া খেলতে পারেন না- বলে অদ্ভুত এক অবৈজ্ঞানিক মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এই মন্তব্যটি থেকেই তার মানসজগৎ সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায় : ১. তিনি ঈশ্বর বিশ্বাসী ছিলেন এবং ২. এই ঈশ্বর কোনো ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বর নন। বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা যাক। আইনস্টাইন ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে ইহুদি ছিলেন। ধরা যাক তাঁর ঈশ্বর-বিশ্বাস ইহুদি ধর্ম প্রভাবিত (যদিও একটি লেখায় তিনি নিজেকে 'নন বিলিভার' বলে দাবি করেছেন!)। সেক্ষেত্রে বলতেই হয়, যে-কোনো ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বর জুয়া খেলতে খুবই পছন্দ করেন এবং প্রায়শই জুয়া খেলে থাকেন। অর্থাৎ কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই তিনি যা ইচ্ছে তা-ই করেন, এবং যা ইচ্ছে তা-ই করার ক্ষমতাও তাঁর আছে। অতএব ঈশ্বর জুয়া খেলতে পারেন না বলে তিনি যেমন তাঁর ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে দিলেন (পারেন না শব্দটিই সীমাবদ্ধতার পরিচায়ক) অন্যদিকে ইঙ্গিত করলেন- তাঁর ঈশ্বর অবশ্যই নিয়ম কানুন মেনে চলেন, বিজ্ঞানীদের কাজই সেই নিয়ম কানুনগুলো আবিষ্কার করা-_ জুয়াড়িদের মতো কোনো অনিশ্চিত ব্যাপার স্যাপার নিয়ে কাজ করা তাঁর পক্ষে সম্ভবই নয়। এই কথাটি অনেক পরে স্টিফেন হকিংও বলেছেন। তাঁর মতে- একজন ঈশ্বর যদি থেকেও থাকেন তাহলে তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময়ই কিছু নিয়ম-কানুন বেঁধে দেয়ার মধ্যে দিয়েই তাঁর কাজ শেষ হয়ে গেছে এবং এইসব নিয়ম-কানুনে তিনি নতুন করে হস্তক্ষেপ করেন না, কোনো পরিবর্তন করেন না। সত্যি বলতে কি, সেই ক্ষমতাই তাঁর নেই। ধার্মিকরা কিন্তু বিশ্বাস করেন- ঈশ্বরের ইচ্ছে ছাড়া গাছের একটি পাতাও নড়ে না, হকিং বলছেন বলছেন উল্টোটা! আইনস্টাইন বা হকিং-এর এই ঈশ্বরই বা কোন ঈশ্বর? কোনো ধর্মের সঙ্গে কি তা মেলে?

৩| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৫৩

নাফে মোহাম্মদ এনাম বলেছেন: কিন্তু সব পরে আপনি নিজে কোন মতবাদে আশ্বস্ত? তা জানার ইচ্ছে থাকছে।

২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৫৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: লেখাটা পড়ে আপনার কি মনে হয়, জানার ইচ্ছে রইলো। যদিও লেখা থেকে সেটি না বোঝা যায়, তারপর না হয় বলবো।

ভালো থাকবেন।

শুভেচ্ছা নিন।

৪| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৫৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সুফিবাদ ঈশ্বর সম্বন্ধে যে প্রকল্প দেয় তার উদাহরণ হিসেবে মনসুর হেল্লাজের প্রসঙ্গ টানা যেতে পারে। কথিত আছে-_ তিনি সাধনার এমন এক উচ্চতর স্তরে আরোহন করেছিলেন যে, নিজেকে আল্লাহ থেকে পৃথক করতে না পেরে 'আমিই সত্য' (আনাল হক) বলে দাবি করেছিলেন। শরিয়তের দৃষ্টিতে গর্হিত এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে মনসুর হেল্লাজকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিলো (শরিয়তপন্থীদের মতে, নিজেকে বা অন্য কাউকে, এমনকি নবীকেও, আল্লাহর সঙ্গে তুলনা করা যাবে না, আল্লাহর শরীক বা অংশ হিসেবে বর্ণনা করা যাবে না। নিজেকে আল্লাহ হিসেবে দাবি করা তো ভয়াবহ অপরাধ। জ্ঞানত বা অজ্ঞানত আল্লাহর কোনো শরীক করা মৃতুদণ্ডের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ)। তো, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর তাঁর রক্ত থেকেও 'আনাল হক' ধ্বনি বেরিয়ে আসতে থাকে, অতঃপর তাঁর সারাশরীর কেটে টুকরো টুকরো করা হয়, কিন্তু প্রত্যেকটি টুকরো থেকে আনাল হক শব্দটি ধ্বনিত হতে থাকলে টুকরোগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু মাংস-পোড়া ছাই থেকেও একই ধ্বনি নির্গত হতে থাকলে শরিয়তপন্থীরা ভয় পেয়ে ঐ ছাই সাগরে নিক্ষেপ করেন, এবং পরিণামে সাগরের পানি ফুলেফেঁপে উঠে আনাল হক ধ্বনিতে সমস্ত শহর ভাসিয়ে নিতে উদ্যত হয়। মনসুর হেল্লাজ নিজের এই পরিণতি আগে থেকেই জানতেন, (যিনি নিজেকেই খোদা বলে দাবি করেন, তিনি যে আগে থেকেই নিজের পরিণতি জেনে ফেলবেন সে আর বিস্ময়কর কী!) তাই তাঁর এক অনুসারীকে এরকম পরিস্থিতিতে কী করতে হবে সেটা আগেভাগেই বলে গিয়েছিলেন, ফলে সেবারের মতো শহরটি রক্ষা পায়।

৫| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৫৬

নাফে মোহাম্মদ এনাম বলেছেন: আশ্চর্য! এই গল্পটা আমার কাছে একদম নতুন। আসলে জানার তো শেষই নেই।

৬| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:১৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: এইসব নিয়ম-কানুনে তিনি নতুন করে হস্তক্ষেপ করেন না, কোনো পরিবর্তন করেন না। সত্যি বলতে কি, সেই ক্ষমতাই তাঁর নেই।.......ক্ষমতা না থাকা আর ইচ্ছাকে প্রশ্রয় না দেয়ার মাঝে তফাত বুঝলে কথাটার মাঝে স্ববিরোধীতা ধরতে হয়।

সংশয়ী বলতে যাদের বুঝিয়েছেন তাদের সাক্ষাত আমি পেয়েছি। তারা ক্ট্টর নন, কিন্তু উদার পন্থী নাস্তিক। সামাজিকতা রক্ষার জন্য পশু জবাই করেন বিশেষ ধর্মীয় দিনে। অশুদ্ধ করে হলেও সালাম দেন, ভদ্রতার খাতিরে। কিন্তু ইশ্বরের প্রশ্নে সরাসরি 'নাই' বলেন এবং তার স্বপক্ষে পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র দিয়ে প্রমাণের জোরাল প্রচেষ্টা দেখা যায়।
ইশ্বর কোনদিন এতটা বর্বর হতে পারেন না যে শিশুকে ক্ষুধার কষ্ট দিয়ে হত্যা করতে পারেন।ইশ্বর থাকলে তিনি বর্বর আর তার চেয়ে ভাল উপলব্ধি হচ্ছে 'ঈশ্বর নাই'। 'সংশয়বাদীরা' যে মহান শান্তিপ্রিয় ইশ্বরের ছবি আকেন, যুক্তিতে না টিকে তাকেও অস্বীকার করে বসেন এক সময়।


'কাজেই সংশয়বাদী রা ঘুরে ফির নাস্তিকই। তারা পৌরাণিক গল্পের ন্যায় ঈশ্বরকে কল্পনা করেন, প্রসঙ্গ টানেন, কিন্তু বিশ্বাসের খাতিরে বিশ্বাস করেন না কখনও।'

শেষ মেষ উপসংহার টানেন,

"ঈশ্বর আছেন। এবং মানুষের বিশ্বাসই তার শক্তি।" অথাৎ সব মানুষ তার বিশ্বাস হারালে ইশ্বর ধ্বংস হয়ে যাবেন। স্ববিরোধিতা স্পষ্ট।

যেখানে বিশ্বাস কে যুক্তি দিয়ে দাড় করানো যায়না ,সেখানে 'সংশয়ের' মত নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে 'বিশ্বাসে'র দিকে সমান ঝোঁক রাখাটা সেই সব কড়া কড়া যুক্তির মারপ‌্যাচের সাথে খাপ খায়না।'সংশয়' মানেই একটা পরিস্কার মানসিক দুর্বলতা।

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:০০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সংশয়ীরা নাস্তিক? অনেকে কিন্তু বলেন- সংশয়ীরা আস্তিক। আসলে তাদের সম্বন্ধে পরিষ্কারভাবে কিছূ বলা কঠিন।

'সংশয় মানেই একটা পরিস্কার মানসিক দুর্বলতা' তোমার এই মতের সঙ্গে আমি একমত হতে পারলাম না শেরিফ। আমি সংশয় বলতে বুঝি- প্রচলিত যে কোনো মত ও পথ নিয়ে প্রশ্নমুখর থাকা। প্রশ্ন করা তো মানসিক দূর্বলতা নয়!

চমৎকার মন্তব্যের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।

৭| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৫৯

সক্রেটিস বলেছেন: স্যার, এই সব নিয়া অনেক জল ঘোলা হইসে। আর ভালো লাগে নাহ।

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ২:৪৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: জল ঘোলা করিবার নিমিত্তে এই পোস্ট দেওয়া হয় নাই!

৮| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:০৪

নাফে মোহাম্মদ এনাম বলেছেন: আসলে আমি যেটা বুঝতে চাই, পৃথিবীর কোন খাতে এ বিষয়টির সঠিক ইতিহাস বিবেচিত। আপনার লেখায় আমি কিছু তথ্য ধারন করেছি যা অন্যতায় কাজে লাগবে। যুক্তিতর্কে যাওয়াটা একদম বোকামি। আপনার লেখায় যে বিষয় প্রাধান্য লাভ করছে তা কি ইতিহাসেরই খন্ডচিত্রায়ন নয়? আর তাছাড়া আমি এখনও আপনার এ লেখাটি পুরো পড়িনি, ছেড়ে ছেড়ে দেখেছি।(আসলে কেউই পুরোটা পড়েন না।)

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ২:৫০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'কেউই পুরোটা পড়েন না'- এরকম কিছু কখনো আমার মনে হয়নি। পুরোটা পড়লে আপনি নিজেই হয়তো আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

৯| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:০৬

নূহান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ২:৫১

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কেন? কাকে?

১০| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:৪০

আক্রমণ বলেছেন: যুক্তি দিয়ে ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা খুবই কঠিন। আইনস্টাইন পর্যন্ত বলেছেন ঈশ্বর জুয়া খেলতে পারেন না। আসলে যদি চিন্তা করেন তবে দেখবেন ঈশ্বর আমাদের নিয়ে জুয়াইতো খেলছেন। মানুষ বানিয়ে তিনি পৃথিবীতে আমাদের তামশা দেখছেন। আমরা তো তার তৈরী পুতুল। চলমান, জীবন্ত পুতুল।

যাইহোক, তবে যত যাই বলি। এই সিস্টেম নিশ্চই আপনা-আপনি তৈরী হয় নি। তার একজন স্রষ্টাতো অবশ্যই আছেন। তাই না? আপনি কি মনে করেন?

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:১৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: বিজ্ঞানের মতে- এই সিস্টেম আপনাআপনিই তৈরি হয়েছে। নাস্তিকদের সেই বিখ্যাত প্রশ্নটির কথা ভাবুন- 'ঈশ্বর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন বুঝলাম, কিন্তু ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছেন কে?'- এই প্রশ্নের উত্তর কি?

স্রষ্টা যদি থেকেও থাকেন তাঁকে কে সৃষ্টি করেছেন, এই প্রশ্নটি কিন্তু ফেলে দেবার মতো নয়। স্রষ্টার স্বরূপই বা কি? কি রূপে তিনি অবস্থান করেন? কোথায়? এইসব প্রশ্ন তো তোলাই যায়।

'আপনিই বলেছেন- 'যুক্তি দিয়ে ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা খুবই কঠিন'। আমিও একমত আপনার সঙ্গে। ঈশ্বরের ভিত্তি যুক্তি নয়- বিশ্বাস!

১১| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:০৭

মৈথুনানন্দ বলেছেন: ঈশ্বর আছে কি নেই সেটা খুঁজতে গিয়ে লোকে বড়ো বেশি মারকুট্টে হয়ে যাচ্ছে। ঘরের ঈশ্বর ভুলে সবাই নাচানাচি করছে বিধেয় নিয়ে। কিন্তু ঐ উদ্দেশ্য, যাদের প্রতি চরম অবহেলা করছে প্রতি নিয়ত, তারা কারা আসলে? মা, মেয়ে, ভগিনী - এরাই তো ঈশ্বরের নানাবিধ রূপ। অথচ সম্পত্তি থেকে বোনকে বঞ্চিত করা বা এই নারীকূলকে নিজের ঘরের লোক দ্বারাই নানা প্রকারে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। কারণ জীবনের সরল সত্যটা সবাই ভুলে গেছে - পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয় / পথের দু' ধারে আমার দেবালয়।

ঈশ্বর সাত যোজন দূরের কোনো স্বর্গে বাস করেন না, নীড় পাতেন বিশ্বাসীর হৃদকমলে, কারণ - ভালোবাসাই ঈশ্বর। আর যে ঘরের ঈশ্বর ফেলে, চিন্ময়ী স্বত্তাকে অবহেলা করে, তার জীবনেও সিদ্ধিলাভ হবে না - জাস্ট টেক মায় ওয়র্ড ফর ইট!

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:৫৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'যে ঘরের ঈশ্বর ফেলে, চিন্ময়ী স্বত্তাকে অবহেলা করে, তার জীবনেও সিদ্ধিলাভ হবে না' - হয়তো তাই। ঈশ্বর-বিতর্কের অবসান হয়তো কোনোদিনই হবার নয়। কিন্তু মারকুটে ভঙ্গিতে বিতর্কেরও কোনো মানে হয় না!

১২| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:১৮

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: লেখাটা খুব চমৎকার। পড়ার সময় কোন ক্লান্তিবোধ হয়নি, অথচ পড়ার পর দেখলাম রীতিমত বিশাল।

আমি কবিও নয়, বিজ্ঞানীও নয়, নয় কোন মহাপুরুষ। তবুও আপনার বলা সংশয়ী তত্ত্বের সাথে আমার নিজেরও অনেক মিল খুজে পেলাম। নিজেকে দেখে তত্ত্বের একটা এক্সটেনশন টানার চেষ্টা করছি। সংশয়ী সম্ভবত সব সময় নিজের ঈশ্বর নুতন করে গড়ে তোলে না। কখনও কখনও প্রচলিত ঈশ্বরকেই প্রচলিত ফ্রেমটাকে ভেঙ্গে বিশ্বাস করার চেষ্টা করে। এমন নয় যে চাপিয়ে দেয়া বিশ্বাসই মেনে নিতে হবে। কে এবং কি চাপিয়ে দিচ্ছে সেটা যারা জানতে চায়, জানার পর বিশ্বাস করে (যদি মনে হয় ঠিক), তাদেরও কি সংশয়ী বলা যায়? সম্ভবত যায়, কিম্বা বিশ্বাস, অবিশ্বাস এবং সংশয়ের পরও কিছু থেকে যায়।

চমৎকার লেখার জন্য প্লাস।

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:০৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'কে এবং কি চাপিয়ে দিচ্ছে সেটা যারা জানতে চায়, জানার পর বিশ্বাস করে (যদি মনে হয় ঠিক), তাদেরও কি সংশয়ী বলা যায়?'

হ্যাঁ, যায়। মতামতটি যেহেতু তিনি বিনা প্রশ্নে মেনে নিচ্ছেন না, তার মানেই হলো- তার ভেতরে এ বিষয়ে সংশয় এবং প্রশ্ন আছে। কিন্তু যে মুহূর্ত থেকে তিনি বিশ্বাসী হয়ে গেলেন সেই মুহূর্ত থেকে আর তাকে সংশয়ী বলা যাবে না।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:১৪

সায়েম হক বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন। দীর্ঘ সময় নিয়ে ভাবার মত।

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ২:৫৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:১৮

মুকুল বলেছেন: চমৎকার লেখা। খুব ভালো লাগলো কামাল ভাই।

*****

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ২:৫৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মুকুল।

১৫| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:২৮

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: ঈশ্বর মানুষের মধ্যে থাকেন। হয়তো তাই সত্য। হয়তো সত্য নয়। আস্তিকেরা ভাবেন ঈশ্বর থাকেন সাত আসমান উপরে। আর নাস্তিকেরা বিভিন্ন ব্যাখ্যা তৈরী করেন। আরজ আলী মাতুব্বর পড়েছেন নিশ্চই। তাকে কোন কাতারে ফেলা যেতে পারে? তার একটি মন্তব্য আমাকে প্রতিটি ব্যাখ্যা আমাকে ভাবিয়েছে। তিনি একটি জায়গায় বলেছেন, বিশেষত সকল ধর্মই একেশ্বরবাদি। তাই যদি হয়, অর্থাৎ জগতের সকল লোকই যদি একেশ্বরবাদি হয়, তবে সকলের মধ্যে ভাতৃভাব থাকা উচিত। কিন্তু তা আছে কি?
এ ধরনের প্রশ্ন যখন ভাবাতে শুরু করে তখন কি আস্তিক থাকা যায়! পৃথিবীর সকল কিছু পরিবর্তনশীল কিন্তু ধর্ম কিংবা ধর্মীয় গ্রন্থ পরিবর্তনশীল নয়। যুগ যুগ ধরে একই জিনিস বয়ে বেড়াতে হচ্ছে মানুষকে। কেউ এসবের বিরুদ্ধে বলতে পারবে না। বলতে গেলেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে। ধর্ম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ১৬০০ সালে ব্রুনেকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে কিন্তু আজও খ্রিষ্টান পক্ষ থেকে তা অন্যায় বলে স্বীকার করা হয় নি।
তাই বলি, ঈশ্বর কোথায়? যদি তিনি থেকেই থাকেন তবে কেনো এই পৃথিবীতে এত রক্তের খেলা? কেনো মানুষে মানুষে এত ব্যবধান?
বাংলাদেশের মতো জায়গায় ধর্ম ব্যাপারটা খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। তাই এসব বিষয় আমি সবসময় এড়িয়ে যেতে চাই। কিন্তু কেউ যখন এসব বিষয় তুলে ধরেন তখন নিজের মনে হাজারো প্রশ্নগুলো বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু সাজিয়ে কিছুই বলতে পারি না।
আজ পৃথিবীর যতটুকু উন্নতি সাধন হয়েছে তাদের দিকে যদি একটু লক্ষ করেন তবে দেখবেন, প্রত্যেকেই নিজের মধ্যে একজন ঈশ্বর তৈরী করেছেন।

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ২:৩৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ঈশ্বর যে কোথায় থাকেন সেটা আমি কি করে বলবো বলো! তবে, যেটুকু বলা যায়- পৃথিবীর এই সমস্ত অনাচার-অবিচার ঈশ্বরের সৃষ্টি নয়, মানুষেরই তৈরি। 'ঈশ্বর' হয়তো সত্যিই তাঁর তৈরি নিয়ম-কানুনে হস্তক্ষেপ করেন না। অবশ্য ঈশ্বর যদি আদৌ থেকে থাকেন, সেক্ষেত্রে এই কথাগুলো খাটে। না থাকলে তো নেই-ই। তাঁর সম্বন্ধে আর কি বলা যায়?

বিশ্বাসীরা যেভাবেই ভাবুন না কেন, আমার মনে হয়- ঈশ্বর বলে কেউ থাকলেও, তিনি মানুষ ও প্রাণীজগতের অন্যান্য সদস্যকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। চিন্তা ও কাজের স্বাধীনতা। ভালো-মন্দ দুই ধরনের কাজের দায়ভার তাই এই প্রাণীজগতেরই, ঈশ্বরের নয়!!

১৬| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:৩৬

মাহবুব সুমন বলেছেন: দারুন।

ব্লগের যারা ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করে তাদের মাঝে কিছু মিল খুঁজে পাবেন।

১)জামাতীরা মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বিকৃত লেখা লেখে এবং ইসলামকে ব্যবহার করে ভদ্র সাজতে চায়।
আর যারা নাস্তিকতা নিয়ে লেখে তারা নাস্তিকতার প্রমান না দিয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে নোংরা ভাবে লেখে, ধর্ম বলতে ইসলামকেই বুঝে ( যদিও পৃথিবীতে অনেক ধর্ম আছে ), এবং মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে ভদ্র সাজতে চায়।

২) দুদলের পড়াশুনা ও লেখার মান অনেক নীচু কিন্তু আচরনে এরকমটি প্রকাশ করবে যে তারা অনেক জানে।

৩) আচরনে দুদলও অনেক ঔধ্যত ও অভদ্র।

৪) দু দলই নিজের নামে লেখার সাহস রাখে না।

আপাত এতটুকুই। এজন্য আমি বলি, আবালের সাথে, খচ্চরের পেছনে ও কুকুরের সামনে চলতে নাই। বুঝে নেন ;)

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:০৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: বুঝে নিলাম। আমি কি তা চলেছি?

১৭| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:৩২

আছহাবুল ইয়ামিন বলেছেন: অনেক বড় লেখা। পরে পড়ে নিব। আপাতত মৈথুদা'র কমেন্টে +

১৮| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:৩৫

একরামুল হক শামীম বলেছেন: লেখাটা দারুন ভালো লেগেছে। যুক্তির উপস্থাপন ভালো হয়েছে।

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ২:৫৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শামীম ভাই।

১৯| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:৩৯

রাঙা মীয়া বলেছেন: সত্য বলেছেন। বুঝলেও সবার প্রকাশ বিপরীতমুখী হয়। এখানেই মানুষের সীমাবদ্ধতা

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ২:৩৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'বুঝলেও সবার প্রকাশ বিপরীতমুখী হয়। এখানেই মানুষের সীমাবদ্ধতা' আপনার এই কথার মানে বুঝিনি।

২০| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:৪১

রাঙা মীয়া বলেছেন: মাহবুব সুমনের সাথে পুরোপুরি একমত

২১| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:৪৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: ব্লগে একটা ব্যাপার দেখি,সবাই শুধু ছোট লেখা পড়তে চায়,দিতে চায়,তাই লেখা পড়ার আগেই হুট করে ফুরিয়ে যায়,বিশেষ চিন্তা করার কিছু থাকে না,২ টাকার ঝালমুড়ি। এমন বড় লেখা পেলে আরাম করে পড়াও যায় ভাবাও যায়। লেখা নিয়ে আলোচনায় যাবার উপযুক্ত মনে করছি না নিজেকে,তবে ভাবতে হবে।

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ৩:০১

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আলোচনার যাবার উপযুক্ত মনে না করার কারণ কি? যা মনে আসে সেটা বললেই তো চলে।

২২| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:৪৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: আর হ্যাঁ,মাহবুব সুমন ভাইয়ের মন্তব্যটার সাথে একমত,একটু বিবেচনায় রাখতে অনুরোধ করি,অল্প বিদ্যা ভয়ংকরীদের বিষয়ে সাবধান।

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১:০০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সাবধান হওয়ার কি আছে? কেউ কিছু বলতে চাইলে তাকে বলতে দেয়াই ভালো। তবে গালাগালি-মার্কা মন্তব্য আমি নিজেও পছন্দ করি না। গালাগালি করে আর যাই হোক, কিছু প্রতিষ্ঠা করা যায় না।

২৩| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১১:০০

অপ বাক বলেছেন: পড়লাম মনোযোগ দিয়ে, কিছু প্রশ্ন জন্মালো মনের ভেতরে।

লেখাটা অস্তিত্ববাদীতার সাফাই মনে হলো। সংশয়ীদের বিষয়ে শ্রদ্ধাবোধ চমৎকার তবে সেটা এক ধরণের সুবিধাবাদী অবস্থান। বৃষ্টি আসলেই ছাতার নীচে চলে যাবো ধাঁচের।

নাস্তিকতা ইশ্বরের অনস্তিত্বের প্রকাশ। ইশ্বরের প্রকৃতিহীনতা, ইশ্বরের অনাবশ্যকতা কিংবা মানুষের বস্তুবাদীতার প্রকাশ। ধর্মনিষ্ঠতা কিংবা বস্তুনিষ্ঠতার বাইরে যখন কেউ ধরেই নিচ্ছে কোথাও না কোথাও আশ্রয়ের জন্য মানুষ ব্যকুল[ বর্তমান লেখাটার ভেতরে এই সুরটা আছে] তখন সেটা সমর্পনের ব্যকুলতাই।

রবীন্দ্রনাথ কিংবা লালনের অস্তিত্ববাদ কিংবা আস্তিকতার প্রশ্নে কোনো সংশয় কি আছে? বিশেষত রবীন্দ্রনাথের বিষয়ে এমন অহেতুক একটা গান তুলে এনে তাকে হেনেস্তা করবার কারণটা বুঝি নি। ব্রাহ্ম ধর্ম কি ইশ্বরবিহীন, কোনো সর্বশক্তিমান মহান অস্তিত্বের স্বীকৃতি কি নেই ব্রাহ্ম ধর্মে? জন্মসূত্রে সেই ধর্মের অনুসারীদের অভিভাবক হয়ে উঠা রবীন্দ্রনাথের আস্তিকতা নিয়ে টানা টানি কেন যেনো তার আলখাল্লা খুলে ফেলবার অপচেষ্টা মনে হলো।

লালন সেই অর্থে বস্তুবাদী নন, মানবতাবাদী বলা যায় তাকে। সেখানেও অদৃশ্য অনিষ্ঠ ইশ্বর, ইশ্বরের মুখ। ইশ্বরের চরিত্র এবং গুনাবলী কল্পনা এবং তাকে সৃজন করা কোনোভাবেই নাস্তিকতা নয়।

আমার প্রথম এবং দ্বীতিয় পাঠে এই অবস্থানটাই বুঝে উঠতে পারলাম না আমি। নাস্তিকতা ইশ্বর নামক কোনো অস্তিতের উপস্থিতি এবং ক্ষমতাকে অস্বীকার করা। সেখানে যখন কেউ কোনো একটা অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে দেয়, সেটা কোনো ভাবেই নাস্তিকতা নয়। বড়জোর বলা যায় নতুন একটা ইশ্বরের আগমন।

শেষ পর্যন্ত পুরোনো একটা কথা মনে হলো, বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে বিশেষত পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র এবং শিক্ষক হিসেবে যেই বিশ্বসের কথা আপনি বলবেন সেটার প্রামণিক ভিত্তি আপনার বিভিন্ন দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার সাপেক্ষে পরীক্ষণ নির্ধারিত বিশ্বাস।

কথা হলো এই বিশ্বাস কিংবা বিশ্বে একটা নির্দিষ্ট শক্তি রূপান্তরের বিধি বিদ্যমান, পৃথিবীর সকল বস্তুকণা পরস্পরের সাথে যে কয়টি বিধিতে যোগাযোগ করে কিংবা পরস্পরকে প্রভাবিত করে তার সসীমতাতে বিশ্বাস করা কিংবা প্রকৃতি নির্দিষ্ট কয়েকটা নিয়মের উপর ভিত্তি করে চলে, এখানে এমন কোনো বিধি কিংবা নিয়ম উপস্থিত করা সম্ভব নয় যা পূর্ববতী স্বীকৃত নিয়মকে সরাসরি অস্বীকার করে- এই অবস্থানে বিশ্বাস করা কোনোভাবে আস্তিকতা?

আইন্সটাইনের ঝাকড়া চুল ধরে টেনে এনে তাকে এই বিতর্কের অংশীদার বানানোর কাজটা নেহায়েত না জায়েজ হয়ে গেছে।

তবে সমস্ত লেখা পড়ে যেটুকু বুঝলাম, মানুষ হিসেবে আপনি আস্তিক এবং প্রেমময় ইশ্বরের ফ্যান্টাসি এবং তার শুভ ও কল্যানকর বোধের প্রতি আপনার আস্থা প্রবল। তবে তায়েফবাসীদের জন্য করুণার সুরটাও লুকিয়ে থাকে নি।

সংশয়বাদীরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ইশ্বর সৃষ্টির প্রকল্প নিয়ে নিতে পারে এই অবস্থানটা নিয়ে সবচেয়ে বেশী প্রশ্ন করা যায়। তবে এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবো না। আমাদের মনোজগতে বস্তুর উপস্থিতি এবং তার ব্যবহার সম্পর্কিত ধারণা আমাদের ইশ্বরকল্পনায় সহায়তা করে- কিন্তু চুড়ান্ত বিচারে আমরা কয়েকটা পদের ইশ্বরকেই আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারি। অন্তত নাম- ঠিকানার অদলবদল হলেও তাদের গুনবাচকতার ভিত্তিতে বলা যায় আমাদের মনোজগতে ইশ্বরকল্পনা সসীম। অন্য যেকোনো নতুন ইশ্বর পূর্বতন ইশ্বরের নতুন খোলস। সেখানেই মুল প্রশ্ন- আদতেই কি সংশয়বাদীরা নতুন কোনো ইশ্বরের জন্ম দেন?

২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১১:৫০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: দীর্ঘ এবং সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার ভিন্ন মতগুলোকে আমি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করছি।

প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবার চেষ্টা করি।

আপনি বলেছেন- 'লেখাটা অস্তিত্ববাদীতার সাফাই মনে হলো। সংশয়ীদের বিষয়ে শ্রদ্ধাবোধ চমৎকার তবে সেটা এক ধরণের সুবিধাবাদী অবস্থান। বৃষ্টি আসলেই ছাতার নীচে চলে যাবো ধাঁচের।'

অস্তিত্ববাদিতার সাফাই এটা নয়। আর সংশয়ীদের অবস্থানটি হয়তো সুবিধাবাদিই। আমার মূল প্রবন্ধে (সংশয়ীদের ঈশ্বর প্রবন্ধে) আমি লিখেছিলাম- 'সংশয়ীদের নিয়ে একটি বড় সমস্যাও আছে। সেটি হচ্ছে- দার্শনিকভাবে তাঁদের ওপর কোনো আস্থা রাখা যায় না। তাঁরা যে কখন কোন দলে যাবেন সে ব্যাপারে আগাম কিছুই বলা যায় না। আপনি আস্তিকদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন, পারেন নাস্তিকদের ওপরেও- কারণ তাদের সুনির্দিষ্ট বিশ্বাস আছে। আপনি ধর্মপন্থিদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন, পারেন ধর্মহীনদের ওপরেও- কারণ তাদের মনোজগতের প্যাটার্নটি আপনার মোটামুটিভাবে জানা। কিন্তু সংশয়ীরা কোনদিকে যাবে তা আপনি বুঝবেন কীভাবে? না, বোঝার উপায় নেই। অতএব আপনি যদি কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান তাহলে ভুলেও সংশয়বাদীদের কথা শুনতে যাবেন না। লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে সংশয়বাদী দর্শন এক বিরাট প্রতিবন্ধক।'

কিন্তু তারপরও সংশয়ীদের প্রশ্নমুখর থাকার বিষয়টিকে আমি পছন্দ করি। যে সমাজে প্রশ্ন নেই সেই সমাজ অনড়-অচল। সংশয়ীরা সমস্ত প্রতিষ্ঠিত ধারণাগুলো নিয়ে প্রশ্ন করেন। আর সেটিই তাদের শক্তি।

বলেছেন- 'রবীন্দ্রনাথের বিষয়ে এমন অহেতুক একটা গান তুলে এনে তাকে হেনেস্তা করবার কারণটা বুঝি নি'

এই গানটাকে অহেতুক বললেন কেন সেটাও আমি বুঝিনি। এমন আরো অনেক গানের উদাহরণই তো দেয়া যায়। সেগুলোও কি অহেতুক বলে বিবেচিত হবে? আর তাঁকে আমি হেনস্তা করতে চাইনি। যেটি বলতে চেয়েছি- যে সমাজে যে ধর্মীয় পরিবেশে তিনি জন্মেছিলেন এবং বড় হয়ে উঠেছিলেন, সেই সমাজ ও ধর্মের সব ধারণা তিনি বিনা প্রশ্নে মেনে নেননি। প্রশ্ন করেছেন এবং নতুন ধরনের ঈশ্বর চেতনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন।

এবার আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। প্রকৃতির নিয়ম-কানুন-সূত্র-বিধি এইসব নিয়ে অনেক কথা বলা যায়, কিন্তু 'প্রকৃতি' জিনিসটি কি?

আইনস্টাইনকে এই বিতর্কে টেনে আনা নাজায়েজ হয়ে গেছে! কি অর্থে নাজায়েজ হলো ভাই? আর তাছাড়া এই 'নাজায়েজ' কাজটি আমিই প্রথম করিনি, বহুকাল ধরে আইনস্টাইনের এই পংক্তিটি নিয়ে বিতর্ক চলছে।

'তবে সমস্ত লেখা পড়ে যেটুকু বুঝলাম, মানুষ হিসেবে আপনি আস্তিক '

নো কমেন্ট।

'আমাদের মনোজগতে ইশ্বরকল্পনা সসীম।'

একমত। আমাদের মনোজগতে সমস্ত কল্পনাই সসীম।

'অন্য যেকোনো নতুন ইশ্বর পূর্বতন ইশ্বরের নতুন খোলস।'

আবারও সহমত।

'সেখানেই মুল প্রশ্ন- আদতেই কি সংশয়বাদীরা নতুন কোনো ইশ্বরের জন্ম দেন?'

যদি 'নতুন' শব্দটিকে আক্ষরিক বা অ্যাবসলিউট অর্থে ধরে নেন, তাহলে উত্তর হচ্ছে- না। কিন্তু প্রতীকি অর্থে ধরে নিলে- হ্যাঁ। সম্পূর্ণ 'নতুন' ঈশ্বরের জন্ম হয়তো দেন না তাঁরা, কিন্তু যে প্রকল্পটি দাঁড় করান, সেটি প্রচলিত ধারণা কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসার প্রমাণ বহন করে। এ প্রসঙ্গে সুফিবাদের ঈশ্বর সম্বন্ধে আপনার মতামত জানার ইচ্ছে রইলো।

২৪| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১১:০৯

কানু বলেছেন: নাস্তিক সেই যে কোন ধরনের ইশ্বরে বিশ্বাস করেনা। অথচ আপনার মতে
"যিনি অনস্তিত্বে বিশ্বাস করেন তিনি আবার ঈশ্বরের পরিবর্তে প্রকৃতি বা এই ধরনের অন্য কোনোকিছুতে বিশ্বাস করেন"
প্রকৃতি বা এই ধরনের অন্য কোনোকিছুকে অনেক ধর্মেই সর্বশক্তিমান বলে ধরা হয়। তার মানে তারা সবাই নাস্তিক?

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:২৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কোনো ধর্মে কি প্রকৃতিকে সর্বশক্তিমান বলে ধরা হয়? আমার জানামতে হয় না। সব ধর্মেই ঈশ্বরকে (তাঁকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন!) সর্বশক্তিমান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ঈশ্বর বিশ্বাসীরা নাস্তিক হন কিভাবে?

২৫| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১১:২৩

মহাজাগতিক বলেছেন:
নাস্তিক = ন+অস্তি+ইক।
ন = নঞর্থক, নাই, প্রয়োজন হয় নাই।
অস্তি = অস্তিত্ব, ভৌত জগত, প্রকৃতি ইত্যাদি।
ইক = মতবাদী, মতবাদ পোষণকারী।

একেবারে শাব্দিক অর্থের বিশ্লেষণে নাস্তিক বলতে এমন মতবাদে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের বুঝায় যার মনে করেন এই ভৌত জগত বা প্রকৃতিকে 'অস্তিতে' আসবার 'প্রয়োজনই' হয় নাই।
ভৌত জগতের অস্তিত্ব অনাদিভাবেই ছিল। অস্তিত্বর কোনো সূত্রপাত হয় নাই। অস্তিত্বই সংয়ম্ভূ। ইত্যাদি ইত্যাদি ..
সহজে বুঝলে সহজ। না বুঝলে অনেক কথা মনে আসবে। মনোযোগ দিলে অনেক কিছুই পরিস্কার হবে।

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ৩:০৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সহজে বুঝিনি। অনেক জটিল মনে হলো।

২৬| ২৭ শে জুন, ২০০৮ রাত ১১:২১

চিকনমিয়া বলেছেন: পড়চি

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ২:৩৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ। মাইনাচ দেন নাই?!!?

২৭| ২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:০৮

আরিফুর রহমান বলেছেন: মাহবুব সুমন, আপনের এই অতিসরলীকরনে হাসিনা খালেদারে এক পাল্লায় মাপার চেষ্টার ছায়া দেখলাম! খুবই হাস্যকর বাট বাঙলাদেশে কার্যকর।

অবশ্য আপনের মতো 'আস্তিকের' কাছ থেকে এর বেশি কেউ আশাও করে না।


পয়েন্টে আসি.. 'নাস্তিকতার প্রমান' মানে কি?

প্রমান তো করবেন আপনে যে 'আছে'... খালি ধমকা ধমকি কৈরা বললেই হবে?

আমার পেত্যয় যায় না, তাতে আপনের সমস্যাটা কি?

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ২:৪৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আরিফুর রহমান ভাই, আপনিই সম্ভবত ব্লগের একমাত্র ঘোষিত নাস্তিক। এবং আমাদের দেশে নাস্তিকরা সবসময়ই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি- একজন মানুষের বিশ্বাস করার অধিকার যেমন আছে, তেমনি আরেকজনের বিশ্বাস না করার অধিকার আছে। কেউ অবিশ্বাস করলে তাঁকে কেন সবাই আক্রমণ করতে চায়, বুঝতে পারি না।

কিন্তু উল্টোও তো সত্য। অর্থাৎ একজন মানুষের বিশ্বাস না করার অধিকার যেমন আছে, তেমনি আরেকজনের বিশ্বাস করার অধিকার আছে। সেক্ষেত্রে যারা বিশ্বাসী, তারাই বা আক্রমণের শিকার হবে?

২৮| ২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:০৬

আরণ্যক যাযাবর বলেছেন:
এইসব পোস্ট কি আর আমাদের ব্লগের ধর্মীয় ছাগলেরা বুঝবে?

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ২:৪০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ?!

২৯| ২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:১৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: 'তুমি' সম্বোধনে চমকিয়ে উঠলাম। বহু পুরনো 'গুরু-শিষ্য' সম্পর্ক আছে বলে মনে হচ্ছে এতে, অথবা ঘনিষ্ঠ-বয়ঃজ্যেষ্ঠ আপনজনের সুর।

নাকি আমার 'মন্তব্যে' বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যতা দেখে সম্বোধনের মাত্রা এক ধাপ নামিয়ে আনলেন? ইতিপূর্বে আপনার সাথে আমার বাইরে দূরে থাক, ব্লগেও কোন প্রকার পরিচিতি বা প্রকাশ মূলক মন্তব্য বিনিময় হয়েছে বলে মনে পড়েনা। তবে আপনি 'স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ে' শিক্ষকতা করেন, এটা জানি।

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:২০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমি দুঃখিত সাঈফ শেরিফ। আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি অন্য শেরিফ বলে ভুল করেছিলাম। ক্ষমা প্রার্থনা করছি এই ভুলের জন্য।

'আমার 'মন্তব্যে' বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যতা দেখে সম্বোধনের মাত্রা এক ধাপ নামিয়ে আনলেন?' - আপনার এই বাক্য আমাকে গভীরভাবে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। এরকমটি মোটেই ছিলো না। নিছকই ভুল। আবার দুঃখ প্রকাশ করছি।

৩০| ২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:২০

অপ বাক বলেছেন: পূজার গান , স্বামী প্রাননাথ- এইসব শব্দ কিংবা উচ্চারণ দিয়ে কি তার ব্যক্তি অবস্থান চিহ্নিত করা যায়। রবীন্দ্রনাথ অনেক আগে থেকেই ব্রাহ্ম সমাজের পূজার গান লিখছেন। প্রশ্নটা বোধ হয় স্পষ্ট হয় নি- তাকে ঠিক কোন অর্থে নাস্তিকঘনিষ্ট মনে হলো আপনার? নাস্তিকতার চর্চা করেছেন রবীন্দ্রনাথ?
আইনস্টাইনের ইশ্বর জুয়া খেলেন না বিষয়টার সাথে আইনস্টাইনের ধর্ম বিষয়ক বক্তব্য এক সাথে পাঠ করলে একটু বুঝা যায় যে প্রচলিত অর্থে যে ইশ্বরের ধারণা নির্দিষ্ট করা হয়েছে সেই ইশ্বরে আইনস্টাইন বিশ্বাসী নয়, তবে তার গভীর বিশ্বাস পৃথিবীতে একটা নির্দিষ্ট ধরণের আইন কিংবা বিধি কাঠামো রয়েছে।

এই বিধি কাঠামোকে বিশ্বাস করাটা কি আস্তিকতা? বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে এই প্রশ্নটাই উত্থাপন করতে চেয়েছিলাম। প্রতিটা মানুষ হয়তো নিজস্ব বিবেচনায় নিজস্ব ধরণের ইশ্বরে বিশ্বাস স্থাপন করে। প্রত্যেকের সতন্ত্র ইশ্বর বিদ্যমান। অন্তত আমার নিজস্ব ধারণা এমনই যে প্রতিটা মানুষই নিজের মতো করে ইশ্বরের অনুভুতি ধারণ করে।

সবার ইশ্বর সব সময় কঠোর, রাগী, প্রতিহিংসা পরায়ন নয়। প্রেমময় ইশ্বর বিদ্যমান- মানুষের মানবীয় অনুভুতিগুলোর চরমপন্থী অবস্থানে ইশ্বর-

মানবীয় আবেগের অসীম সীমাই বোধ হয় ইশ্বরের গুনাবলীতে প্রকাশিত। তাই তিনি একই সাথে চরম প্রতিহিংসা পরায়ন এবং একই সাথে অনন্ত ক্ষমার সাগর। একই অঙ্গে নানবিধ মানবিক মানসিক চাহিদা পুরণ করে চলেছেন।

মানুষের অনিশ্চয়তা এবং সৃজনশীলতার চরমপ্রকাশ। মানুষের সমাধান খুঁজবার প্রয়াসের দুর্বল উদাহরণও ইশ্বর। তবে সব শেষে ইশ্বর মানুষের জিগীষার অবসান। সেখানে গিয়ে মানুষ প্রশ্নবিহীন, সমর্পিত এবং এরপরে আর কোনো অনুসন্ধিৎসা নেই মানুষের।

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:৩৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: রবীন্দ্রনাথকে নাস্তিকঘনিষ্ট বলে মনে করিনি তো! আপনার এমনটি মনে হলো কেন? তিনি নাস্তিকতার চর্চা করেননি, আবার প্রচলিত ধারণাগুলোকে বিনা প্রশ্নে মেনেও নেননি। তিনি নাস্তিক ছিলেন না কখনো, তাঁর প্রশ্নমুখর পরিচয়টিকে আমি সংশয়ী হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এটাকে আপনার ভুল মনে হলে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিরুত্তর থাকাটাই হবে আমার জন্য শ্রেয়।

'আইনস্টাইনের ইশ্বর জুয়া খেলেন না বিষয়টার সাথে আইনস্টাইনের ধর্ম বিষয়ক বক্তব্য এক সাথে পাঠ করলে একটু বুঝা যায় যে প্রচলিত অর্থে যে ইশ্বরের ধারণা নির্দিষ্ট করা হয়েছে সেই ইশ্বরে আইনস্টাইন বিশ্বাসী নয়, তবে তার গভীর বিশ্বাস পৃথিবীতে একটা নির্দিষ্ট ধরণের আইন কিংবা বিধি কাঠামো রয়েছে।'

আমিও তো সেই কথাটিই বলেছি। আপনার সঙ্গে তো আমার দ্বিমত হয়নি।

'এই বিধি কাঠামোকে বিশ্বাস করাটা কি আস্তিকতা?'-

না, প্রচলিত অর্থে আস্তিকতা নয়। সেটি আগেই বলেছি। কিন্তু আইনস্টাইনের অবস্থানকে আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? তিনি নিজে নিজেকে 'নন বিলিভার' বলে দাবি করেছেন, আবার নিজেই 'গড ক্যান নট গ্যাম্বলিং' বলেছেন- এই ধরনের অবস্থান তাঁর সংশয়কেই মূর্ত করে তোলে বলে আমার ধারণা।

ঈশ্বর সম্বন্ধে আপনার অন্যান্য কথাগুলোর সঙ্গেও আমি সহমত পোষণ করছি। অসাধারণ লেগেছে এই কথাগুলো। আমার শুভেচ্ছা নিন।

৩১| ২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:৫৬

আক্রমণ বলেছেন: প্রশ্ন করে আপনিও পাল্টা প্রশ্নের বন্যা ঝরালেন দেখছি।
বিজ্ঞানের মতে- এই সিস্টেম আপনাআপনিই তৈরি হয়েছে। কোনো কিছু আপনা-আপনি তৈরী কি হয়? যেমন, ডিম আগে নাকি মুরগি আগে। এমন প্রশ্নের মতো।

যাই-হোক। লেখাটি ভালো লেগেছে। কিছুটা মজাও লাগলো একটি বিষয়। আপনার সাথে সাঈফ শেরিফ ভাইয়ের কনফিউশান নিয়ে। আপনি লজ্জা পেয়েছেন বুঝতে পারছি। তারপরও ব্যাপার খুব মজা লাগলো। শেরিফ আল সায়ার এবং সাঈফ শেরিফ। মনে হয় দুটিতে আপনি তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলেন। তবে দু'জন শেরিফের কাছেই আমার প্রশ্ন শেরিফ শব্দটির আভিধানিক অর্থ কি? শরিফ নামের সাথে আমরা পরিচিত তবে শেরিফ!!

ভালো থাকবেন।

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ৩:১১

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'কোনো কিছু আপনা-আপনি তৈরী কি হয়?' - যদি না-ই হয়, তাহলে ঈশ্বর আপনাআপনি তৈরি হলেন কিভাবে? বিশ্বাসীরা তো সেইরকমই ভেবে থাকেন। ঈশ্বর অনাদি-অসীম, তার শুরু বা শেষ নেই ইত্যাদি। ঈশ্বরের অস্তিত্ব যদি আপনাআপনিই হয়ে থাকে তাহলে প্রকৃতি বা এই 'সিস্টেম' কেন আপনাআপনি তৈরি হতে পারবে না?

আসলে বিষয়টিই এমন যে, প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন করা ছাড়া উপায় থাকেনা। সঠিক উত্তরটা কি কেউ জানে? আমরা শুধূ নিজের মতামতগুলো প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু সেগুলো সঠিক কী না কে জানে।

সাঈফ শেরিফের ব্যাপারটি নিয়ে আমি আসলেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। আপনি ঠিকই ধরেছেন- এই দুই শেরিফকে আমি খেয়াল করে উঠতে পারিনি।কী লজ্জার কাণ্ড বলুন তো!

যাই হোক- ভালো থাকবেন আপনিও। শুভেচ্ছা।

৩২| ২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ৩:৫৭

মাহবুব সুমন বলেছেন: মাছ টোপ দিলে গিলবোই আর সে মাছ যদি হয় ভোদাই টাইপের মাছ তাইলেতো সোনায় সোহাগা ;)। যা চাইছিলাম সেইটাই হইছে।

আমি কাউরে মাপতে চাই নাই। আজেবাজে নোংরা আবর্জনা কি মাপন যায় ? কি বলতে চাই সেইটা বুইঝা লন। আপনে তো আবার সব কিছু বেশী বুঝেন। "কা" কইত "কাউয়া" বুঝেন, এতোই বুদ্ধি আপনের ;)

আমার কাছে কিছু আশা না করাই ভালো, আমি আপনের দুলাভাই লাগি না ;)

প্রমান আছে কি নাই সেই প্যাচাল পারতে আমি ব্লগে আসি না। কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে অগ্নিউপাসক আর কে নাস্তিক আর সেইটা বিচার করনের লাইগা ব্লগ না। কোন ধর্ম কয়টা বিয়া করতে কইছে, কোন ধর্ম খারাপ, কোন ধর্ম জংলির ধর্ম সেইটা না দেইখা আমি মানব ধর্ম দেখী। আপনেও আপনারটা দেখেন।
আপনে নাস্তিক হইলে সেইটা নিয়া থাকেন, আপনার কাজে বাগরা দিমু না/ দেই ও না। আপনেও দিয়েন না আস্তিকগো লগে।
ও, আপনে তো আস্তিক কইতে শুধু মুসলমানদের বুঝেন।!এতো বুদ্ধি নিয়া রাস্তায় হাঁটেন ক্যামনে?

আমার কুনো সমস্যা নাই।
ব্লগে কি আমি আমারটা লিখতে পারুম না ? আপনের কথায় হুমকির সুর পাইলাম মনে হইতাছে ??????????????

আরকটা কথা, নিজের পাতে ঝোল টাইনা নিবেন না। ব্লগে আমার লেখাট স্বাধীনতা আছে। সেইটা থেইকাই আমি লিখছি। নাকি লিখতেও পারুম না আস্তিক বইলা ????? হাহাহহাহাহা

গুরুজনে কয়, যে কুত্তা বেশী ফাল পারে সেই কুত্তা নাকি কামড়ায় না। আপনারে কিছু কইনাই কিন্তু ;)

৩৩| ২৮ শে জুন, ২০০৮ সকাল ৭:১০

অ্যামাটার বলেছেন: বুঝতে পারছি, যথেষ্ট খাটা-খাটনি করতে হয়েচে আপনাকে এই পোষ্টা টা রেডি করতে।
পুরোটা ধৈর্যধরে পড়তে পারলাম না,
শুধু এইটুক বলব, নাস্তিকদের মত নির্বোধ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিরাও নয়।

০১ লা জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৪৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'নাস্তিকদের মত নির্বোধ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিরাও নয়' এই ধরনের এক্সট্রিম মন্তব্য না করাই ভালো, অ্যামাটার ভাই।

৩৪| ২৮ শে জুন, ২০০৮ সকাল ৮:৩৬

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, এ অনাচার মানুষেরই সৃষ্টি। তবে ঈশ্বর চাইলে কি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না? অবশ্য আপনি তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, মানুষকে সব কিছু নিয়ে ভাববার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। তার দায়ভারও মানুষের! তাহলে স্বর্গ-নরক কেন? মানুষের ভাগ্য নাকি ঈশ্বরই নির্ধারণ করে রাখেন। তাহলে? মন্দ কাজও তো তাহলে ঈশ্বর করান। তার দেয়া জীবন এবং রুটিনইতো মানুষ করে যাচ্ছে। তাই না?
মোট কথা ধর্ম একটি বলয়ের মতো মানুষকে ঘিরে রেখেছে। যা অদৃশ্যমান। যা শুধু টিকতে থাকতে পারে অন্ধ বিশ্বাস দিয়ে। ব্যাখ্যা করতে গেলেই ধর্ম ধ্বসে পড়বে। আমরা মানুষরা, এই পুরনো বিশ্বাস যে করেই হোক টিকিয়ে রাখতে চাই। সন্দেহ কিংবা অবিশ্বাস যাই থাকুক না কেন। কোথায় যেন ধর্মের প্রতি এক দূর্বলতা সবারই আছে।
ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা।

@আক্রমণ, হা হা হা হা হা। শেরিফ শব্দের অর্থ হচ্ছে, হেড অফ দা স্টেট। শরিফের সাথে আপনি অভ্যস্ত কিন্তু শেরিফের সাথে নয়। উত্তরে আমার বলতে হয়, uncommon নামটাতো এই জন্যই আমার পিতার দেয়া।

০১ লা জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৪৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: যদি তুমি ঈশ্বরের অস্তিত্ব মেনে নাও তাহলে তার কর্মকান্ড নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না!!!

ধর্মের সবচেয়ে দূর্বল দিক হলো স্বর্গ-নরকের কনসেপ্ট। এটা আমার ধারণা। লোভ বা ভয় দেখিয়ে মানুষকে 'ভালো' বানাবার চেষ্টটা হাস্যকর।

৩৫| ২৮ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১০:২১

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গে আলোচনা শুনতে শুনতে তাঁর লেখা 'রবিবার' ছোটগল্পটার কথা মনে পড়ল। ওই গল্পের নায়ক অভিক নিজের সম্বন্ধে বলছে- 'আমি যে নাস্তিক!' অথচ আচরনে সে একজন সংশয়বাদী এক তরুন। আমার কাছে মনে হয়, প্রচলিত নাস্তিক্যবাদিতা সংশয়বাদের অমিশ্র-যৌগে রূপান্তরিত। সংশয়বাদ যদি যুক্তি মেনে চলে তার ফলাফল সাধারনত কোনটিতে ওজন বাড়ায়- আস্তিক্যবাদে না নাস্তিক্যবাদে?

ঈশ্বর প্রসঙ্গে আপনার ব্যাখ্যাগুলো আমার ভাল লেগেছে। লেখা, মন্তব্য সবকিছু মিলিয়ে চমৎকার একটি পোষ্ট। ব্লগে আমার পড়া সেরা পোষ্টগুলোর একটি।

০১ লা জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৩৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'সংশয়বাদ যদি যুক্তি মেনে চলে তার ফলাফল সাধারনত কোনটিতে ওজন বাড়ায়- আস্তিক্যবাদে না নাস্তিক্যবাদে?'

যদি যুক্তি মেনে চলে তাহলে আস্তিক্যবাদ বা নাস্তিক্যবাদ কোনোটিতেই ওজন বাড়াবে না সংশয়বাদ। সংশয়বাদ সংশয়ই তৈরি করে, প্রশ্ন উত্থাপন করে। যদি সেইসব প্রশ্ন-উত্তর আস্তিক বা নাস্তিকরা যদি কোনোভাবে নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করে, তার দায় তো সংশয়ীদের নয়!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৩৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৫

স্বাধীন_০৮ বলেছেন: একটা আফটপিক প্রশ্ন

*****তারা তখন পবিত্রতা রক্ষা করছিলো****

লেখাটা পরে মেজাজ পুরা খারাপ হয়ে গেছে।


আপনার এটা কি শুধুই গল্প নাকি বাস্তব ঘটনা।

আচ্ছা আপনি কোথায় এই ঘঠনা দেখেছেন?

আপনি যেভাবে মেয়েটার বর্ননা দিয়েছেন তাতে আপত দৃস্টি তে একে গল্প মনে হচ্ছে।।আশা করি উত্তর দিবেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৫৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: মেজাজ খারাপ হওয়ার কারণ কি? কার ওপর মেজাজ খারাপ হলো? আমার ওপর, নাকি যেসব লোক এই ঘটনা ঘটালো তাদের ওপর?

গল্পকে গল্প হিসেবে নেয়াই ভালো। একজন গল্পকারের কাজ হলো, তার 'গল্প'টিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা। সেটি আদতেই ঘটেছিলো কী না, সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়। তবে, এ কথা তো মানবেন যে, গল্পকাররা হাওয়া থেকে গল্প থেকে পান না, বাস্তব জীবন থেকেই পান!

এটুকু বলে থামলেই ভালো হতো, কিন্তু আপনি যেহেতু বাস্তবটিই জানতে চেয়েছেন সেজন্য বলছি- হ্যাঁ, এই ঘটনা আমি নিজ চোখেই ঘটতে দেখেছি। এই ঢাকা শহরেই। আশা করি দিন-তারিখ-স্থান-কাল-পাত্রও জানতে চাইবেন না। চাইলেও আমি বলবো না। তবে গল্পের শেষে যেমনটি লেখা আছে (সময় হবার এক ঘণ্টা আগেই সূর্য ডুবে গেল-- ইত্যাদি, বা মেয়েটি নগ্ন হয়ে ঘন অন্ধকারে দাঁড়িয়ে রইলো, ইত্যাদি,) এগুলো ঘটেনি। এগুলো হচ্ছে গল্পকারের ইঙ্গিত, যে, যখন ধর্মের নামে সো কলড 'পবিত্রতাবাদীরা' এইসব কাজ করে, তখন স্বয়ং ঈশ্বরও ক্ষুব্ধ হয়ে পৃথিবীতে অন্ধকার নামিয়ে আনেন, আর ঈশ্বরই নগ্ন মেয়েটির লজ্জা নিবারণের জন্য সমস্ত আলো নিভিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

উত্তর পেলেন তো! এবার, যে পোস্টে এই লিংক পেয়েছেন ওখানে গিয়ে আমার পরবর্তী মন্তব্যগুলো দেখেন।

৩৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৬

স্বাধীন_০৮ বলেছেন: ভাল লিখেছেন।++++

৩৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:০১

আরিফুর রহমান বলেছেন: হম!

৩৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১:৪১

বাকী বিল্লাহ বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগ খুলে যতদুর পারা যায় পড়ে নিচ্ছিলাম। এটা নেহাতই কাকতালীয় যে ফাহমিদুল হকের এক্টিভিজম আলোচনা পড়ার পরপরই আপনার এ লেখা পড়তে শুরু করলাম।
এক্টিভিজম এবং সংশয়বাদী এ দুটোর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, তবে তা ঐক্যের নয় বিরোধিতার। আপনার লেখাটা মূল্যবান যে কোন অর্থেই, এর মধ্যে আপনার কোন পক্ষ এ প্রশ্ন ধর্তব্যে না এনেও সে মূল্যটা অনুভব করা যায়। তবে উপসংহারে এসে এই লেখাটি যে অনেকটা সংশয়বাদের গুণগানের সামিল হয়ে গেল তাতে কিছুটা আপত্তি আছে।
দর্শনের ইতিহাসে সংশয়বাদের উজ্জ্বল অবদান আছে। তবে সময়টা যেহেতু পড়ে থাকে না সামনে এগোয় সুতরাং কিছু কিছু ফয়সালা দর্শন প্রশ্নে নিস্পন্ন হয়ে যায়। পুরোপুরি না হলেও আমরা ধরে নেই যে এটি মিমাংসিত। কারণ তা নাহলে সামনে এগোনো যায় না। একই চক্রে ঘুরপাক খেতে হয়। মূলধারার দর্শন একসময় বস্তুবাদ-ভাববাদ বিতর্কে বহুসময় পার করে দিয়েছে। সিদ্ধান্ত দেয়া যায় যে সে বাহাসে বস্তুবাদ জয়ী হয়েছে। আজকের পৃথিবী বস্তুবাদের পৃথিবী। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান বস্তুবাদের ভিত্তির ওপরেই দাড়িয়ে আছে। এখন যদি নতুন করে সংশয়বাদ এই প্রশ্নে গজিয়ে উঠতে শুরু করে তাহলে তাহলে ইতিহাসকে কয়েকশ বছর পিছিয়ে নিয়ে যেতে হবে ( সে প্রক্রিয়া মাঝে মাঝে দৃশ্যমান হয় বৈকি)। এতে করে লাভবান হবে কারা? ধর্মীয় ফ্যাসিস্টরা বা জর্জ বুশের নয়া ক্রুসেড!
রাজনৈতিক সংগ্রামের ক্ষেত্রে গত কয়েক শতকের অভিজ্ঞতায় মোটা দাগে কিছু সিদ্ধান্তে আসা যায়। পৃথিবীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রেণী অল্প কিছু মানুষের হাতে শাসিত হচ্ছে। এর বিপরীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাসই হচ্ছে এ সময়ের মিমাংসিত রাজনৈতিক দর্শন। এই মিমাংসা ঠিক কোন শ্রণীর নয়। বোধসম্পন্ন সকল মানুষের। এখন দেখা যাচ্ছে, এক প্রবল দার্শনিক মতামত এই সংগ্রামকে বিভিন্ন তত্বায়নের মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। অনেকে এই দর্শনকে বলেন উত্তর আধুনিকতা, এটাকে বলা যায় নয়া সংশয়বাদ।
এই বিষয় নিয়ে স্বতন্ত্র বিস্তারিত আলোচনা হতো পারে। এই কমেন্টের উপসংহার হচ্ছে, নতুন কোন বিষয় নিয়ে সংশয়বাদের উত্থান কাম্য কিন্তু অনেক ঝড় ঝঞ্ঝা পেরিয়ে ইতিহাসে মিমাংসিত বিষয়কে সংশয়াচ্ছন্ন করা কাম্য নয়।

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৩০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: দীর্ঘ এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি শুরুতেই। এতদিন পরও কেউ আবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন - ভাবিনি।

একটা বিষয় পরিষ্কার করে বলা দরকার যে, আমি আদৌ দর্শনশাস্ত্রের 'সংশয়বাদ' নিয়ে এই লেখাটি লিখিনি, যদিও 'সংশয়ী' শব্দটি এই বিভ্রান্তি জন্ম দিতে পারে যে, এটা 'সংশয়বাদী দর্শন' নিয়ে লেখা। মনীষিদের ঈশ্বর-ভাবনা সম্বন্ধে মজার মজার সব ধারণার পরিচয় পেয়ে একসময় আমার এই কৌতূহল জন্মেছিলো যে, এঁরা এই ধারণাগুলো পান কোথায় বা এগুলোর উৎস কোথায়? (এখানকার লেখাটিতে অবশ্য তার বিস্তারিত বিবরণ নেই, তবে মূল লেখাটিতে আছে।) এই মানুষগুলোকে আমার কাছে ঠিক বিশ্বাসী বলে মনে হয়নি, আবার তাঁদেরকে অবিশ্বাসী বলাও কঠিন, এই দুই শব্দের মাঝামাঝি একটি শব্দ হিসেবে 'সংশয়ী' বেছে নিয়েছি, এবং দেখতে চেয়েছি তাদের ঈশ্বর-ভাবনার স্বরূপ। আপনি যতোটা গুরুত্ব দিয়ে লেখাটিকে দেখেছেন, সম্ভবত এটি ততোটা গুরুত্ব বহন করে না। কোনো 'মৃত(!)' দর্শনের পূণঃজাগরণের আকাঙ্ক্ষা থেকেও এটি লেখা হয়নি!

তবে দর্শনের প্রশ্নে আপনি যেমন 'মীমাংসিত' অবস্থানে পৌঁছে গেছেন, আমি সেটা পারিনি। একজন ব্যক্তির পক্ষে কোনো একটি বিষয়ে মীমাংসায় পৌঁছানো সম্ভব হয়তো, কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে, ওই বিষয়টি নিয়ে জগতের সবাই-ই মীমাংসায় পৌঁছে গেছে! নিজের মীমাংসাটাকে সকালের মীমাংসা হিসেবে ধরে নিলে তো মুশকিল, ভাই। আমি মনে করি না, যে, কোনো বিষয় চিরকালের জন্য মীমাংসিত হয়ে যায়।

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৪০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৩৪

বিবর্তনবাদী বলেছেন: এই পোস্টটা মিস হল কিভাবে। আপাততঃ শোকেসে রাখলাম, পড়ে তারপর কথা বলব।

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৫৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন:
কথা তো আর বললেন না!

৪১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৫

বিবর্তনবাদী বলেছেন: সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে বের করবার উদ্দেশ্যে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, সময় পেলে দেখবেন। ভেবেছিলাম যুক্তিবাদী গোষ্টির থেকে কিছু উত্তর পাব। এক অপবাক ছাড়া এতক্ষণে কারোরই পদধূলি পেলাম না। নাস্তিকেরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই সেটা প্রমানে প্রচলিত ধর্মমত গুলোকে টেনে আনেন। ধর্মীয় প্যাকেটের বাইরেও যে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব থাকার বিন্দুমাত্র সম্ভবনা আছে সে দিকে কাউকেই নজর দিতে দেখি নি। এই ব্যাপারটা আপনি সুন্দর করে তুলে ধরলেন, তাই ধন্যবাদ।


আপাত দৃষ্টিতে নাস্তিক বলতে আমি বুঝি প্রচলিত ধর্মের বিরুদ্ধতাকারীগন। যদিও তারা সেটা স্বীকার করবেন না। সেই মিশরের পুরোহিতরা, রোমের পন্ডিতবর্গ, চার্চের প্রধানকর্তারা, ইসলামের হাদিস বর্ণনাকারিরা, ব্রাক্ষ্মন সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে ধর্মকে তাদের পার্থিব উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার করেছেন। সেইসব লোকের কর্মকান্ডের জন্য যারা ক্ষতিগ্রস্থ তাদের হাতেই উদ্ভব নাস্তিকতার। বিধায় নাস্তিকের আক্রমনের লক্ষ্যবস্তু, সে যেই সমাজের প্রতিনিধিত্বকারি সেই সমাজে প্রচলিত ধর্ম। নাস্তিকদের দুটি গ্রুপে ভাগ করা যায়। এক, নির্যাতিত সম্প্রদায়ের শিক্ষিত ব্যক্তিদের একটি অংশ, দুই, নির্যাতিত মানুষের সমব্যাথি কিছু মানুষের দল। যেমন ইউরোপের দার্শনিকদের মাঝে একটা গ্রুপ ইহুদী সম্প্রদায় ভুক্ত, অন্য অনেকেরই ধর্মের প্রতি বিতৃষ্ণা এসেছে যুগ যুগ ধরে ইউরোপে ইহুদীদের নির্যাতনের কাহিনী শুনে। ঠিক যেমনটা আমাদের এখানে দেখা যায় একাত্তরে জামাতের কর্মকান্ডের জন্য অনেকের ইসলামের প্রতি বিতৃষ্ণা, যেটার প্রকাশ তারা করেন নাস্তিকতার গান গেয়ে।


রোমান এক দার্শনিকের একটা লাইন পড়েছিলাম, Religion is regarded by the common people as true, by the wise as false and by the rulers as useful। পৃথিবীতে শাসক শ্রেণী যেমন ধর্মের বিস্তারে ভূমিকা রেখেছেন, তেমনি নাস্তিকতার বিস্তারেও ভূমিকা রেখেছেন। কারন ধর্ম সম্পর্কিত ব্যাপারগুলো তাদের কাছে Is Always useful। একটা সময় নানা সমাজে মানুষকে নির্যাতনে, ঠকাতে তাদের ধর্ম বিশ্বাসের ব্যবহার করা হয়েছে পুরোহিত, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যাদানকারি, ব্রাক্ষ্মনদের দ্বারা। তেমনি আজকের যুগে সম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রতিপক্ষ যখন একটা ধর্ম তখন, তাদের কাছে অস্ত্র নাস্তিকতার প্রচার। অথচ সম্রাজ্যবাদী নিজেই তার ধর্মের প্রতি নিবেদিত প্রান। যেহেতু নাস্তিকতা সৃষ্টিকর্তা বিরোধীতার নামে শুধুই নির্দিষ্ট ধর্ম বিরোধিতা, বিধায় সম্রাজ্যবাদী গোষ্টির প্রতিপক্ষ ধর্মাবলম্বীরা যেই সমাজের সেখানে নাস্তিকতার মোড়কে ধর্মের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা জাগিয়ে তুলতে নেমে পড়ে।

আজকের যুগে এরাই বুক ফুলিয়ে নিজেসের সংশয়ী হিসেবে প্রচার করে থাকে। সম্রাজ্যবাদী গোষ্টির শিখানো বুলি বার বার আউড়িয়ে অর্ধশিক্ষিত মানুষের বাহবা নেয়। এই ভন্ডরাতো আসল সংশয়ী নন। কারন আসল সংশয়ীদের আপনি চিহ্নিত করেছেন এভাবে, "সংশয়ীদের কৌতূহলের শেষ নেই, প্রশ্নেরও শেষ নেই- আর তাই অনুসন্ধানেরও শেষ নেই। শেষ নেই বলেই সংশয়ীরা কোথাও দাঁড়ান না, অবিশ্রান্তভাবে এগিয়ে চলেন"। অবিশ্রান্ত ভাবে এগিয়ে চলাই সংশয়ীদের বৈশিষ্ট, কারন জগৎ সম্পর্কে absolute সিদ্ধান্তে আসা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। কি করেই বা হবে, কারন The term absolute itself is not absolute।


যা বলতে চেয়েছি, আপনার মত গুছিয়ে বলতে পারলাম কিনা জানি না। আপনাকে পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।



ভন্ডদের চরিত্র উদ্ঘাটনে দুইটি পোস্টদিয়েছিলাম। সময় পেলে দেখবেন।

Click this link
Click this link

২০ শে অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: দীর্ঘ-সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ।

আস্তিক-নাস্তিক বা সংশয়ীদের যেভাবেই সংজ্ঞায়িত করা হোক না কেন, একটা ব্যাপারে আমি সহনশীলতা ধরে রাখতে আগ্রহী। সেটা হলো - যে যার মত-পথ নিয়ে থাকুক, সেটা যদি অন্য একজনকে সরাসরি ক্ষতি না করে, তাহলে এ নিয়ে বিরুদ্ধ পক্ষের কিছু না বলাই উত্তম। পৃথিবীতে এই ব্যাপারটাই মানা হয় না। অর্থাৎ যার যার মত-পথ অনুযায়ী জীবন-যাপন করার ব্যাপারে বিরুদ্ধবাদীরা সবসময়ই আপত্তি উত্থাপন করে থাকে। নাস্তিকরা আস্তিকদের, আস্তিকরা নাস্তিকদের, দুই পক্ষই সংশয়ীদের সহ্য করতে পারে না। এটা যদি পারস্পরিক সমালোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে সমস্যা হতো না, কিন্তু গালাগালি, মারামারি পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছালে তখন অসহনশীলতার মাত্রাটা বোঝা যায়। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকায় পৃথিবীতে কতো যে রক্তপাত হলো, তারও তো কোনো হিসাব-নিকাশ নেই। যাহোক, এসব নিয়ে বিতর্কের আসলে শেষ নেই, কথা বলারও শেষ নেই।

আপনার পোস্ট দুটো পড়িনি, পরে পড়ে মন্তব্য করবো।

ভালো থাকুন।

৪২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:০৭

প্রণব আচার্য্য বলেছেন:






দেরীতে হলেও পড়লাম +
প্রিয়তে

২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: দেরীতে হলেও পড়লেন বলে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালাম।

৪৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:১২

অবনীল্‌ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও।

৪৪| ১৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৫৬

তরু বলেছেন: @লেখক, @ বিবর্তনবাদী

দুইজনেই নিজস্ব পয়েন্ট থেকে একটু বলবেন, আল্লাহ আছেন কি নেই, এটা কি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ??

০৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:০০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: দুঃখিত তরু, আপনার প্রশ্নটার উত্তর দিতে অনেক দেরি করে ফেললাম!

আল্লাহ/ঈশ্বর/ভগবান/প্রভু/খোদা আছেন কি নেই সেই বিতর্কটা হয়তো গুরুত্বপূর্ণ নয়! কিন্তু এই কনসেপ্টটিকে যেহেতু মানুষ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে, যেহেতু এটা মানুষের দৈনন্দিন জীবনাচরণের একটা অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অতএব- এটা যে মানুষের কাছে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাতে তো কোনো সন্দেহ নেই! যারা বিশ্বাসী, তারা যদি হঠাৎ উপলব্ধি করে-- ঈশ্বর বলতে কিছু নেই, তাহলে সেটি তার জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়কর ব্যাপার হয়ে উঠতে পারে, কারণ সেক্ষেত্রে তারা তাদের বৃহত্তম আশ্রয়টি হারিয়ে ফেলবে। তেমনি অবিশ্বাসীরা যদি হঠাৎ ঈশ্বরের অস্তিতে বিশ্বাস করার কারণ খুঁজে পায় তাহলেও একই ঘটনা ঘটবে!।তার ফেলে আসা পুরো জীবনটাকে মনে হবে ব্যর্থ এবং ভুলে ভরা! এইসব দিক বিবেচনা করলে মনে হয়-- ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্বন্ধে না ভাবা ছাড়া উপায় নেই তাদের!

মানুষ এক অপরিসীম সম্ভাবনাময় প্রাণী, কিন্তু একইসঙ্গে দারুণ অসহায়ও! একথাটি ভুলে গেলে বোধহয় ভুল করা হবে...

৪৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:০৮

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: মোস্তফা কামাল ভাই .. এই পোষ্টটা ব্লগে পড়া আমার সেরা পোষ্ট

ঠিক এই কথা গুলো আমি গুছিয়ে নিতে চেয়েছিলাম নিজের মনে
আজ ব্লগে ঘুরতে ঘুরতে পেয়ে গেলাম ।
সংশয়ীদের নিজস্ব ঈশ্বর সৃষ্টি ব্যাখাটা দারুন লাগলো
আর প্রশ্ন করা স্বাধীনতার ব্যাপারে আমার চেয়ে সোচ্চার আর কাউকে পাবেন না
প্রতিভা রবীন্দ্রনাথের চে মানুষ রবীন্দ্রনাথ ই আমাকে ভাবায় বেশী
আর আইনষ্টাইন ও মানুষ ই ছিলেন

ব্লগে থাকলে নাস্তিকদের বিরুদ্ধচারন করা ছাড়া কোন গতি নেই ; আর তাদের সাথে যুক্তিতে বসতে গেলে শেষে সেটা অশ্রাব্য গালি গালাজে টার্ন নেয়
নাস্তিকদের একটা ব্যাপারে আমার খুব অবাক লাগে এরা জানার চেষ্টা করার করার বিরোধীতা করে কিভাবে
অথচ এরা নিজেদের ভাবে আলোকিত মানুষ
কেউ যদি ঈশ্বর খুজতে চায় তাহলে তাদের গা কেন জ্বলে উঠে ;
নিজেরা ভুল প্রমানিত হওয়ার আশংকায় ?

ধর্মের অনেক শুভ দিক এরা কিভাবে অস্বীকার করে ?

আর আস্তিকরা আছে তাদের বদ্ধ জগতে পড়ে;চরমপন্থী যার একটা উৎকট রুপ
কিন্তু আবার দুই পক্ষেই অনেক আলোকিত মানুষ আছে
আসলে আলোকিত মানুষের রকমটাই এমন যে এদের কোন গন্ডির ভিতরে আনা যায় না

নাস্তিকদের আরেকটা প্রশ্ন খুব করতে ইচ্ছে করে
"আমি জানি ঈশ্বর নেই , আমি জানি মানুষ ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছে"

হওয়া উচিত ছিল "আমার সীমিত জ্ঞান এটা বলে যে ঈশ্বর নেই "

এই দিক দিয়ে সংশয়বাদীরা অনেক এগিয়ে ;

তবে আস্তিকরা অনেক ভাগ্যবান .. এইসব ব্যাপারে তাদের তেমন একটা চিন্তা করতে হয় না

আর চিন্তা করলেও তারা এর উত্তর জানে


আজকে এক নাস্তিক তর্কে দেখলাম রেফারেন্স দিয়ে
স্রষ্টার স্রষ্টা কে ??
এই বিষয়ে নাস্তিক তার যুক্তি দিয়েছে
মহাবিশ্ব ছিল আর আছে ; এর জন্য স্রষ্টা বা বিগ ব্যাং এর দরকার নাই
হাহাহাহ

আস্তিকতা তো অনেক আগে খেলো হয়েছে এখন দিন দিন
নাস্তিকতা খেলো হচ্ছে ; আর নাস্তিকতা অশুভ দিক গুলো চোখের সামনে আসছে

বিজ্ঞানের অন্ধ ভক্তিও এক প্রকার আস্তিকতাই

আর বিজ্ঞানের সব জিনিষ ও শুভ নয়


মানুষের শুভবোধের জয় হোক

আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল -
অসাধারন এই পোষ্টটা পড়ার সুযোগ দেয়ার জন্য

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

Click This Link

Click This Link


০৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:০৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য...

ব্লগে আস্তিক-নাস্তিক ঝগড়াঝাটি, বাড়াবাড়ি, মারামরি বিষয়ে আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করেছি ওপরে বিবর্তনবাদীর ৪১ নং কমেন্টের উত্তরে এবং আরিফুর রহমানের ২৮ নং মন্তব্যের উত্তরে... দেখে নিতে পারেন। দুপক্ষই মাঝে মাঝে বাড়াবাড়ি করেন, ভালো লাগে না সবসময়...

লিংক দুটোর জন্য ধন্যবাদ। মজা পেলাম খুব।

৪৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রথম কথা হচ্ছে- আমাদের দেশে আস্তিকতা-নাস্তিকতার ধারণাটি খুবই অদ্ভুত। বিষয়টি আর ঈশ্বরের অস্তিত্ব-অনস্তিত্বে বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে নেই; দাঁড়িয়ে গেছে ধর্মে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ওপর। অর্থাৎ যিনি ধর্মে বিশ্বাস করেন তিনি আস্তিক, যিনি করেন না তিনি নাস্তিক। এই কনসেপ্টটিকে পরিপূর্ণ বলা যায় না। ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বরের প্রতি যার বিশ্বাস নেই অথচ অন্য কোনো মহামহিম ক্ষমতাবান অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস আছে, আমাদের দেশে তাকে নিশ্চয়ই কেউ আস্তিক বলতে চাইবেন না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি তো আস্তিকই। ধর্মগ্রন্থে বিশ্বাস আছে কি নেই সেটা তো কোনো প্রশ্নই নয়। অন্যদিকে ঈশ্বর সম্বন্ধে একেবারেই কোনো ভাবনা-চিন্তা নেই অথচ ধর্ম-প্রণীত আচার-আচরণ মহা সাড়ম্বরে পালন করেন এমন সব ব্যক্তিকে সবাই আস্তিক বলবেন, যদিও তার আস্তিক্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট কারণ আছে।

প্রশ্ন উঠতে পারে- ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বরে আস্থা নেই এমন লোককে আস্তিক বলা যায় কীভাবে? প্রচলিত দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁকে আস্তিক বলা যায় না বটে, কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে- ধর্ম মেনে চলা বা ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত মোটামুটি নিষ্ঠুর এবং ভয়ংকর একজন ঈশ্বরে বিশ্বাস করার পরিবর্তে একজন মানুষ তার নিজের মতো করে একজন ঈশ্বরের কল্পনা করতে পারেন এবং সেক্ষেত্রে তাঁকে আস্তিক বললে খুব বেশি ভুল করা হবে না।"


এই কথাগুলো মনের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। কিভাবে বলব ভেবে কূল পাচ্ছিলামনা। সাম্প্রতিক মন্তব্যের পথ ধরে এই পোস্টে এসে লেখাটা পড়ে বিস্মিত হলাম। এর চেয়ে ভালোভাবে মনেহয় কথাগুলো বলা সম্ভব ছিলোনা। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আরো অনেক বেড়ে গেল।

অবশ্যই শোকেসে এই পোস্ট।

০৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:০৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ হাসান মাহবুব।

৪৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:১১

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: অসাধারণ বিশ্লেষণ। আশ্চর্য এতোদিন পরে আমার চোখে পড়ল!
আমি আপাতত কোন ধরণের তর্কে নাই। বড়গাড়ির উদ্দেশ্যে যেমন ছোটগাড়ির পেছনে লেখা থাকে 'ভাইয়া আমি ছোট আমাকে মেরো না'। ঠিক তেমনি খুবই সাধারণ ছোট মানুষ। এখন পর্যন্ত ধর্মে বিশ্বাসী। তবে, নাস্তিকতা নিয়ে অনেক বই পড়েছি কয়েকটা এখনো পড়ছি। ভোলতেয়ার এর কথা মত আমার মতের সাথে মিলতে হবে এমনতো কথা নেই। তাই আমি পড়ার ব্যাপারে সর্বভুক বলতে পারেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৩৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার এই অবস্থানটিই সমর্থন করি আমি। যে কোনো মত থাকতে পারে আমাদের, তাই বলে অন্যদের মতামত জানবো না কেন, কেনই বা বিরুদ্ধমত প্রকাশে বাধা দেবো?

অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে!

৪৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:১৬

তনুজা বলেছেন:
কামাল ভাই একটা ভাবগম্ভীর মন্তব্য অনেকদূর লিখবার পর হারিয়ে
:( , গেল আন্তর্জালিক গন্ডগোলে

লেখা পড়েছি , আপনাকে ভাল হয়েছে বলার কিছু নেই
ভাল তো হবেই । এই বিষয়ে আরও গভীরে যে আপনার নিজস্ব যে উপলব্ধি আছে তা নিশ্চয়ই লেখায় পুরোপুরি ফুটবে না। পোস্টে যদি আরও গভীরে ডুবতেন তাও অবাক হতাম না

কারণ, বিশ্বপ্রকৃতির সাথে মানুষের সমাহিত যোগের এই উপলব্ধি কেবলই উপলব্ধি , তা ভাষার অগোচর।

"ওদের কথায় ধাঁধা লাগে তোমার কথা আমি বুঝি
তোমার আকাশ তোমার বাতাস তোমার সবই সোজাসুজি
হৃদয়কুসুম আপনি ফোটে জীবন আমার ভরে ওঠে
আলোর জোয়ার ভরে তোমার তরী আসে আমার ঘাটে "



প্রসংগত ইমন ভাই এর অতিন্দ্রীয়বাদের উপর একটা লেখা আছে ব্লগে , পড়েছেন কি?

০৯ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৪৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া অসাধারণ একটা মন্তব্যের জন্য ঠিক কি বলে কৃতজ্ঞতা জানাবো বুঝে উঠতে পারছি না...

নীরবতাই উত্তম বোধহয়, এক্ষেত্রে...

--------------------
আমার 'সংশয়ীদের ঈশ্বর' বইটা আপনাকে দিলাম.. সময় পেলে প্রথম তিনটে প্রবন্ধ (সংশয়ীদর ঈশ্বর, ধ্যানের জগৎ জ্ঞানের জগৎ, মানুষের মৃত্যু হলে) পড়ে দেখতে পারেন।

http://www.amkamalbd.com/shonshoyee.html

--------------

ইমনের লেখাটা পড়িনি, লিংক দিতে পারবেন?

৪৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:২৭

দেশী পোলা বলেছেন: এটা প্রিয়তে রাখলাম

০৯ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৪৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: থ্যাংকস।

৫০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৪০

নরাধম বলেছেন:
কি সৌভাগ্য বলেন তো?? ব্লগে আসার মত সময় পাচ্ছিনা, একটু আগে ব্লগ ওপেন করেই আপনার লেখাটা পেলাম। কত লেখা যে মিস করি! প্রিয় পোস্টে নিলাম।


আমার ধারণা শুধুমাত্র যুক্তির মাধ্যমে কেউ কোনদিন নাস্তিক বা আস্তিক হতে পারেনা, শুধুমাত্র যুক্তি তাকে সংশয়বাদী(এগনস্টিক) করবে। আপনার সাথে একমত যে দার্শনিক বিচারে সংশয়বাদীরা সবচেয়ে এগিয়ে। সমস্যা হচ্ছে আস্তিকরা যখন সাধারণত স্বীকার করে তাদেরটা শুধুই বিশ্বাস নাস্তিকরা সেটা স্বীকার করেনা, বরং আস্তিকদের যুক্তিহীনতাকে তারা তাদের যুক্তির জয় মনে করে, আরেকটু এগিয়ে চিন্তা করলে যে নাস্তিক না হয়ে সংশয়বাদী হতে হবে সেটা মানতে তারা রাজিনা যদিও ডকিনস তার গড ডেলুশন বইতে নিজেকে এবসলিউট নাস্তিক মনে করেননি আবার তিনিই এগনস্টিকদেরকে সুবিধাবাদী মনে করেন। যেখানে সাদা-কালো স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান সেখানে কোন পজিশন না নেওয়া অবশ্যই সুবিধাবাদিতার লক্ষণ কিন্তু যেখানে গ্রে-এরিয়াটাই প্রধাণ এবং কনভিন্সিং সেখানে সংশয়বাদীতা কখনও সুবিধাবাদিতা না, সেটা বুঝা মনে হয় সবার পক্ষে সম্ভব না। অনেকে অবশ্য উত্তরাধুনিকতাকেও সুবিধাবাদিতা মনে করেন।

ধাত্তারি, লম্বা এবং কিছুটা অপ্রাসংগিক কমেন্ট করে ফেললাম। ভাল থাকুন অনেক।

৫১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৫২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'লম্বা' কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নারু!

আপনার মতামতের সঙ্গে নিজের মতের মিল খুঁজে পাচ্ছি, সেজন্য আরো ভালো লাগছে...

আপনি ব্লগে একটু অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন মনে হয়, না?
অবশ্য আমিও তাই...
----------------------------------

এই লেখা এখনো ব্লগাররা পড়ছেন, এটাই এক বিস্ময় আমার কাছে!

৫২| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫১

নরাধম বলেছেন: আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'লম্বা' কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নারু!

আপনার মতামতের সঙ্গে নিজের মতের মিল খুঁজে পাচ্ছি, সেজন্য আরো ভালো লাগছে...

আপনি ব্লগে একটু অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন মনে হয়, না?
অবশ্য আমিও তাই...
----------------------------------

এই লেখা এখনো ব্লগাররা পড়ছেন, এটাই এক বিস্ময় আমার কাছে!




হ্যাঁ ভাইজান, সময় পাইনা। সামনে আরো একদমই সময় পাবনা। ব্লগিং ইতিহাস হয়ে যাবে খুব শীঘ্রই!!

১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:১৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'ব্লগিং ইতিহাস হয়ে যাবে খুব শীঘ্রই!!'

আহারে! :(

৫৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:২৮

তনুজা বলেছেন: কামাল ভাই ল্যাব থেকে কমেন্ট করলাম , বাংলা দেখিনা ম্যাক এ

Click This Link

আপনার লিংকের জন্য কৃতজ্ঙতা

১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৩২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ।

৫৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:৩৬

নাজিম উদদীন বলেছেন: "অন্য সব দর্শন যেখানে হেরে যায়, থেমে যায়- সংশয়ীরা তখনও থাকেন চলমান। এই একটি জায়গায় সংশয়ীরা অন্য সবার থেকে শ্রেষ্ঠ। "


এ পোস্ট কেমনে যে চোখ এড়ায়ে গেল।

১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৩৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কে জানে! :( :(

৫৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৩১

অরণ্যচারী বলেছেন: প্রস্তুতি নিয়ে ব্লগের কোন পোস্ট আমি কোন দিন পড়ি নি। লেখাটা এক নজর দেখেছিলাম দিন তিনেক আগে। হুট করে মন্তব্য করার মত পোস্ট এটি নয়, সেটা বুঝেছিলাম। তাই আজ একেবারে প্রিন্ট আউট বের করে তার পরে পড়লাম। কম্পিউটারের মনিটরের চেয়ে কাগজে পড়তেই বেশি ভালো লাগে।

সংশয়ী টার্মটা আমার কাছে অনেকটাই নতুন,সুফিবাদের কথা শুনলেও পরিষ্কার ধারণা ছিল না। এই পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

বাস্তব জীবনে সংশয়বাদীরা আস্তিক এবং নাস্তিক উভয়েরই রোষানলে পড়েন, আমার অন্তত তাই মনে হয়। এই পোস্টেই আস্তিক একজন বললেন, সংশয়বাদীরা আসলে উদারপন্থী নাস্তিক। অন্যদিকে নাস্তিক একজন বললেন, সংশয়বাদ আসলে সুবিধাবাদী অবস্থান - বৃষ্টি আসলেই ছাতার নীচে চলে যাবো ধাঁচের। সংশয়বাদীদের হ্যাপা যে অনেক বেশি এতেই তা পরিষ্কার।

সংশয়বাদ আসলে এক ধরনের সুবিধাবাদ - এ বক্তব্যের কড়া বিরোধীতা করছি আমি। আমি মনে করি না সংশয়বাদীরা পরকালে ঈশ্বরের কাছে জবাবদিহিতা করার ভয়ে ভীত থেকে এ অবস্থানে এসেছেন।

আমি মনে করি একজন মানুষ নিজেকে যতই শক্তিশালী মনে করুন না কেন শেষ পর্যন্ত কোন না কোন অস্তিত্বের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেন। এটা তার দুর্বলতা নয়, এটাই মানুষের চরিত্রের একটা দিক। সবার ক্ষেত্রেই তাই দেখা যায়। সেই অস্তিত্বকে যে প্রচলিত ঈশ্বরই হতে হবে এমন কোন কথা নেই।

লেখককে অনেক ধন্যবাদ।

(অফটপিক: লেখা প্রিন্ট করে কি কপিরাইট ভেঙেছি?)

১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৫৯

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য।সংশয়ীদের অবস্থা সম্বন্ধে আপনার পর্যবেক্ষণ দারুণ ভালো লাগলো এবং আপনার অবস্থানটিও পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করার জন্য পর্যবেক্ষণটি আরো বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠলো!

অট: না কপিরাইট ভঙ্গ করেননি। পুরো বইটির লিংক দিয়ে দিচ্ছি, চাইলে পুরোটাই প্রিন্ট করে নেবেন, কপিরাইট ভঙ্গ হবে না! পাঠকদের জন্য আমি এতটুকু উদার হতে চাই।

http://www.amkamalbd.com/shonshoyee.html

৫৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:১৬

নুশেরা বলেছেন: আস্তিক-নাস্তিক-সংশয়ী--- এর বাইরেও কারো অবস্থান সম্ভব। নিরপেক্ষ বা ইনডিফারেন্ট-- ঠিক সে অর্থে না। একেবারে "not bothered" বা "untroubled" সেই অর্থে। আপনার কি মনে হয়?

১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৩৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সম্ভব, তবে সংখ্যাটি অতি নগন্য। পৃথিবীতে এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে যারা জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে 'ঈশ্বর' নিয়ে চিন্তা করেননি এবং কোনো একটা পক্ষ নেননি। আপনার "not bothered" বা "untroubled" কিন্তু একটা পক্ষই, এবং এই পক্ষটি নেবার আগে তাকে অবশ্যই ঈশ্বর-চিন্তার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে!

৫৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৪৪

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: সুন্দর উপভোগ্য লেখা ... পড়ে ভালো লাগলো ...

কয়েকটা পয়েন্টে দ্বিমত থাকায় মন্তব্য করছি:

১। আপনি বলছেন,
"আমার তো মনে হয়- বিশ্বাসীরা কোনোদিনই আপাদমস্তক সমর্পিত হতে পারেন না, তাদের ঈশ্বর ধারণা সুনির্দিষ্ট এবং সংজ্ঞায়িত বলেই ঈশ্বর সম্বন্ধে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করার সময় তাদের নেই, তারা তাই ধর্মের কতগুলো আচার মেনেই সন্তুষ্ট থাকেন। ফলে তাদের নিয়মিত ধর্মচর্চা নিছক আচারসর্বস্বতায় পরিণত হয়।"

আমার কাছে বরং উল্টো মনে হয়, কারণ, বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখি, সে কোন প্রস্তাবনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বা মানসিক সমর্পন বাড়তে থাকবে তখনই, যখন এর রূপরেখাটা তার কাছে পরিস্কার হতে থাকবে ... যে জিনিসটা মানুষের কাছে ধোঁয়াটে তাতে পূর্ণ সমর্পণ করা তারপক্ষে সম্ভবনা বলেই মনে করি ... বরং বলা যায় যে সেরকম ক্ষেত্রে সমর্পণের প্রয়োজনই নেই ...
খুব সোজা উদাহরণ দিলে বলা যায়, তিন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন ... আপনি মনে করলেন যে এদের একটি নিশ্চিতভাবে আপনাকে বাসায় পৌঁছে দেবে ... অন্য দুটি দেবে কিনা নিশ্চিত না ... কি করবেন? ... কোন রাস্তাটির উপর নিজেকে ছেড়ে দেবেন?


২।
আপনি বলছেন যে আইনস্টাইনের ঈশ্বর সমিটিক ঈশ্বর না কারণ সেমিটিক ঈশ্বর জুয়া খেলেন ... এটা মানা গেলোনা ... সেমিটিক ধর্মে বস্তুর ধর্ম আর মানুষের ভাগ্য -- এদুটোকে কোনভাবেই এক করে দেখার উপায় নেই ... আইনস্টাইন জুয়োর প্রসঙ্গ এনেছিলেন বস্তুর ধর্মের প্রসঙ্গে ...

অবশ্য এটা মানি যে হয়তো অন্যান্য প্রমাণ আছে যেটা দিয়ে বলা যায় আইনস্টাইন নিজে "ইহুদী" ছিলেননা ... তবে তিনি নিজের ইহুদী পরিচয়কে কখনও ডিনাই করেননি বলেই জানি

৩। আপনি মনসুর হাল্লাজের কাহিনীটি বিবৃত করেছেন।

প্রশ্ন: আপনি কি বিশ্বাস করেন আসলেই শরীরের কাটা অংশ, পোড়া মাংসের ছাই -- এসব থেকে "আনাল হক" শোনা গেছে, নাকি এগুলো কল্পিত গল্প?

পোস্টের জন্য আবারও ধন্যবাদ

১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:০৯

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কয়েকদিন ব্লগে আসিনি, আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হলো, দুঃখিত।
-----------------------------------------
দ্বিমতটাও আসলে একটা মত। এ বিষয়ে যে যার মত পোষণ ও প্রকাশ করতে পারে। সমর্পিত হওয়া প্রসঙ্গে আপনার সঙ্গে আমার দ্বিমত ঘটে গেল। আপনার যেমনটি মনে হয়, আমার তেমনটি মনে হয় না! কোনটা সঠিক সে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো তো কঠিন, তাই না?
আপনি যে উদাহরণটি দিয়েছেন, সেটি কি এই প্রসঙ্গে খাঁটে? বলেছেন-
'খুব সোজা উদাহরণ দিলে বলা যায়, তিন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন ... আপনি মনে করলেন যে এদের একটি নিশ্চিতভাবে আপনাকে বাসায় পৌঁছে দেবে ... অন্য দুটি দেবে কিনা নিশ্চিত না ... কি করবেন? ... কোন রাস্তাটির উপর নিজেকে ছেড়ে দেবেন?'


সমস্যাটা ওখানেই, ওই 'রাস্তা' আর 'ঘর' নিয়েই। যদি আমি জানি যে 'একটি পথ' নিশ্চিতভাবেই আমাকে 'গন্তব্যে' পৌঁছে দেবে, তাহলে না হয় সেই পথের ওপর নিজেকে ছেড়ে দেয়া যায়, কিন্তু যদি সেই পথটি জানা না থাকে? যদি পথটি নিয়ে কারো সংশয় থাকে? কিংবা যদি কারো তেমন সুনির্দিষ্ট গন্তব্যই না থাকে? বিশ্বাসীদের গন্তব্য থাকে, তাদের একটা 'রাস্তা'ও থাকে, যদিও সেই রাস্তাটি অন্য কোনো মানুষের দেখিয়ে দেয়া। কিন্তু অবিশ্বাসীদের তো সেটা থাকে না। সংশয়ীদেরও থাকে না। তো সেই না থাকা মানুষগুলো যদি কখনো সমর্পিত হয়, তাহলে সেটি কি নিত্যনৈমত্তিক সমর্পিতদের সমর্পনের চেয়ে মহত্তর হবে না?
------------------------------------

'আইনস্টাইন জুয়োর প্রসঙ্গ এনেছিলেন বস্তুর ধর্মের প্রসঙ্গে ... '

এটা কোথায় পেলেন? একটু রেফারেন্স দিয়ে সহায়তা করা যায়? আমি এমনটি পাইনি কোথাও!

--------------------------------

আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাসে-অবিশ্বাসে কিছু যায় না। পৃথিবীর লাখ লাখ সুফিবাদীরা এটা বিশ্বাস করে! আমি তো বলেছিই- 'কথিত আছে'! মনসুর হেল্লাজ ঐতিহাসিক চরিত্র, বানানো নয়, এই কাহিনী কল্পিত কী না, তা আমি বলবো কিভাবে ভাই?

----------------------------------
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

৫৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৪৫

ভাবারূ বলেছেন: "যিনি অনস্তিত্বে বিশ্বাস করেন তিনি আবার ঈশ্বরের পরিবর্তে প্রকৃতি বা এই ধরনের অন্য কোনোকিছুতে বিশ্বাস করেন" - এই উক্তির সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারিনি। এরকম আরও কিছু লাইন আছে যেগুলো পুরোপুরি ঠিক নয়।

তবে লেখাটা চমৎকার।এবং শেরিফের মন্তব্যর সাথে আমি একমত।

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৪৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: মন্তব্যটা অনেকদিন পর চোখে পড়লো। সত্যিই দুঃখিত।

দ্বিমত তো থাকবেই ভাই, সবাই একমত হয়ে গেলে তো পৃথিবীটা বৈচিত্রহীন হয়ে যাবে!

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৫৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৪৮

ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: অনেক আগের পোস্ট মনে হচ্ছে। লেখা শোকেসস্থ এবং প্লাস। একইসাথে কয়েকটি কথা না বললেই নয়।

সংশয়ী (ধারণা করি অজ্ঞেয়বাদী/অ্যাগনোস্টিক অর্থে) এবং নাস্তিক সম্পর্কে লেখক বেশ রিগোরাস একটি আলোচনা করেছেন। কিন্তু প্রায়োগিক দিক থেকে আমি এখনো একজন রিজিড নাস্তিক দেখিনি। অনস্তিত্ব অপ্রমেয়। বার্ট্রান্ড রাসেলের একটা কথা মনে পড়ে গেল: "আমি অজ্ঞেয়বাদী, কিন্তু রাস্তায় কেউ যখন জিজ্ঞাসা করে আমার বিশ্বাস সম্পর্কে, আমি বলি আমি নাস্তিক।"

যা বলতে চাচ্ছি, তা হলোঃ কেউ যদি আমাকে প্রমাণ করে দিতে পারে, আমি আস্তিক হতে রাজি আছি। প্রমাণ যেহেতু নেই, সেহেতু আমি বিশ্বাস করি না, এবং পরিসংখ্যানের পরিভাষায় যাকে বলে ডিগ্রি অভ কনফিডেন্স, তা খুব কম। আমি অজ্ঞেয়বাদী স্রষ্টা সম্পর্কে এবং ইউনিকর্ন সম্পর্কে, পরী সম্পর্কে, দানো সম্পর্কে। এখন কেউ যদি বলে, "দানোয় বিশ্বাস আছে?" আমি ছোট করে বলব, "না"।

লেখকের মন্তব্যের প্রত্যাশায়।

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:০২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'সংশয়ী' শব্দটা আমি ঠিক অজ্ঞেয়বাদী/অ্যাগনোস্টিক অর্থে ব্যবহার করিনি। তবে তাতে আপনার কথার অর্থ পরিবর্তন হয় না!


আপনি আপনার অবস্থানে পুরোপুরিই ঠিক আছেন। যেহেতু প্রমাণ করা যাচ্ছে না, অতএব বিশ্বাস করছি না-- এইটি সবচেয়ে চমৎকার যুক্তি অবিশ্বাস করার। কিন্তু যিনি অনেককিছুই প্রমাণ ছাড়াই বিশ্বাস করতে অভ্যস্ত, তিনি তো তা করতেই পারেন। মানুষের পক্ষে সম্ভবত শতভাগ যুক্তিবাদী হওয়া সম্ভব নয়!

বিশ্বাস-অবিশ্বাস বা সংশয় যা-ই থাকুক না কেন, আমি শুধু একটি বিষয় দেখতে চাই এদেশে- সবাই সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা পাক। মত প্রকাশের 'অপরাধে' হুমায়ুন আজাদের মতো কাউকে যেন চলে যেতে না হয়!

৬০| ২৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ৮:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রিয় পোস্ট।

৬১| ২৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:১৫

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: স্যরি, কামাল ভাই, অনেকদিন পর দেখলাম আপনার জবাবটা ...

আগে ধারণা ছিলো পদার্থবিদ্যার বা বস্তুসম্পর্কিত ন্যাচারাল ল' গুলো খুব স্ট্রিক্টলি কাজ করে ... ১০০% ভাগ ডিটারমিনিস্টিক ... কোয়ান্টাম ফিজিক্স যখন বলল যে না, কোন ল'ই ডিটারমিনিস্টিক না, সবই একটা পরিসংখ্যানগত গড় ... আইনস্টাইন সেটা মানেননি বা মানতে চাননি, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন স্রষ্টা পাশা খেলেননা ...

এখানে সহজ করে লেখা আছে
Click This Link

৬২| ২৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:৫১

'লেনিন' বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো... এবং লেখকের মন্তব্যও।

৬৩| ০৭ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৭:৫৯

ইমন সরওয়ার বলেছেন: আস্তিক-নাস্তিক-সংশয়ী এবং তাদের ঈশ্বর : লেখাটি পড়া হলো। আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য আরো একটু ভাবতে হবে। তবে মূল বিষয়ের সাথে আমি কোনো দ্বিমত পাচ্ছি না। কেবল শব্দব্যবহার যেমন ঈশ্বর এবং প্রভু একই অর্থবহন করে না। যে কোনো ভাবনার অস্তিত্বের মধ্যেও যে রূপ তৈরি করে সুফীচিন্তকরা সেই রূপ নিয়ে কাজ করেছেন। অভয় দিলে এ প্রসঙ্গে কথা বলার সাহস করবো।

৬৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:১১

আনোয়ারুল আলম বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় গৌতম বুদ্ধ এই সমস্যার সমাধান ২৫০০ বছর আগেই দিয়ে গেছেন ।

আমরা যদি দেখেও না দেখার ভান করি, তাহলে কি আর করা যায়।

যাইহোক, গৌতম বুদ্ধকে আপনি কোন ক্যাটেগরিতে ফেলবেন? আস্তিক, নাস্তিক না সংশয়বাদী ?

আর , আমি যে অনিশ্চয়তাবাদী, আমার তাহলে কি হবে ?

৬৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:১৫

রোবোট বলেছেন: ভালো পোস্ট। আমার থিওরী হৈলো কেউই ১০০% আস্তিক না, কেউই ১০০% নাস্তিক না।

৬৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০০

সাইফ বাঙ্‌গালী বলেছেন: প্রিয়তে..

ঈশ্বরকে যদি কেউ সৃষ্টি করে থাকে, অথবা তার অবস্থান থাকে , আদি অন্ত থাকে তবে তিনি যেমন স্রষ্ঠা হতে পারবেননা, তেমনি সকল সসীম সৃষ্টির অভাবও পূরন করতে পারবেননা। এই জন্য অবশ্যই একজন অসীম স্রষ্ঠা থাকতে হবে... ইসলামে স্রষ্ঠার ধারনা অনেকটাই এমন।

:-)

৬৭| ০২ রা মে, ২০১০ বিকাল ৪:৪৩

এস এম সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: লেখাটা খুব মন দিয়ে পড়লাম , চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে লেখাটা লিখেছেন কামাল ভাই!

আপনাকে (+) দিলাম । আমি সংশয়বাদ এর পক্ষে , তথা সংশয়বাদী।

এমন কোন নাস্তিক এর সাথে আমি কথা বলিনি আজো যিনি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে , আরোপিত , অনারোপিত বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের দোষ ধরা ছাড়া আর বিশেষ কিছু বলতে সক্ষম হয়েছেন ।

আস্তিকগণ ও যেন তর্কের বেলায় ধর্মগ্র্ন্থের ভেতর দিয়ে ইশ্বর এর সন্ধান করেন ।

আদৌ সত্য জানা সহজ নয় , সহজ কি ?

কামাল ভাই কে ধন্যবাদ , ভাল থাকবেন।

৬৮| ২১ শে মে, ২০১০ ভোর ৬:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠেলা!

৬৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৫

হাম্বা বলেছেন: পরে পড়ব।

৭০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণতম

৭১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:১৩

আঃ রাজ্জাক রাজু বলেছেন: এই পোস্টে নাস্তিক, আস্তিক ও মধ্যমপন্থীদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নাস্তিক, ও মধ্যমপন্থীদের কাছে আমার একটি প্রশ্ন-

সব ধর্মেই মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কিভাবে চলবে তার আলোচনা আছে। এমনকি মরার পর কিভাবে কবর দিবে তার আলোচনাও আছে। যারা নাস্তিক, ও মধ্যমপন্থী তারা নামাযও পড়েনা, পূজাও করেনা। তার মানে তারা(নাস্তিক ও মধ্যমপন্থী) ধর্মীয় নীতি মানেনা। তাহলে তারা মরলে কোন ধর্মের রীতি অনুযায়ী কবর দিবে? তা কিন্তু তারা বলে যান না।
অতএব, নাস্তিক, ও মধ্যমপন্থীরা জীবনের শেষ সময়ে কোন না কোন ধর্মের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে যায়।

এ থেকে বোঝা যায়, ধর্ম আছে। এবং ধর্ম আছে মানেই ঈশ্বর আছে-
তা নাস্তিক ও মধ্যমপন্থীরা মানুক আর না মানুক.

৭২| ০৮ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নিয়ম ভাঙার কারিগর বলেছেন: ভাল লাগল।

পোস্ট প্রিয়তে নিলাম। !:#P

৭৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:৪২

আলফা-কণা বলেছেন: arom ekkkhan lekha e khujte cilam mamma,,,,,,paya gelam,,,,,,sai rokom laglo,,,,but pura pora hoy nai,,,kalke sradin exam er jonno porte hoybo,,,,,,,but pore porbo must,,,,,Einstein saheb re niya aro kichu post diyen lekhok saheb,,,,,ami abar ay loktar blind fan, ay loktare chorom lage amar ---------

৭৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:০৮

অনাহূত বলেছেন:
যে যেভাবেই নিক না কেন এই লেখাটা, আমি আমার মত করে বুঝেছি। ঠিক আপনি যে ম্যাসেজটা দিতে চেয়েছেন। লেখাটা সম্পর্কে আমি কোন মতামত দিতে গেলে তা হবে 'সহমত'। আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণরূপে 'সহমত'।

অসাধারণ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.