নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একদিন সবকিছু গল্প হয়ে যায়...

আহমাদ মোস্তফা কামাল

জন্ম : ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৯; মানিকগঞ্জ। পৌষের কোনো এক বৃষ্টিভেজা মধ্যরাতে এদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম হয়েছিলো আমার, মায়ের কাছে শুনেছি। হঠাৎ বৃষ্টির সেই শীতের রাতে আঁতুর ঘরে মার পাশে দাইমা নামক আমার অ-দেখা এক মহিলা ছাড়া আর কেউ ছিলো না। উঠোনে রেখে দেয়া প্রয়োজনীয় সাংসারিক অনুষঙ্গ বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে দাইমা বাইরে গেলে প্রায়ান্ধকার ঘরে জন্ম হয়েছিলো আমার। জন্মেই দেখেছিলাম, আমার চারপাশে কেউ নেই- মা ছাড়া। আজ, এই এতদিন পর- আমার চারপাশে সহস্র মানুষের ভিড়- তবু মার কাছে ফিরতেই ভালো লাগে আমার। যোগাযোগ : [email protected] [email protected]

আহমাদ মোস্তফা কামাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যবিত্তের পরিচয়চিহ্ন ০৬ (শেষ পর্ব)

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৫৫

[এই সিরিজের অন্যান্য পর্বের লিংক লেখার শেষে দেয়া হলো।]



মধ্যবিত্তের চিন্তাশীল অংশটি অর্থাৎ বুদ্ধিজীবীরা যুগ যুগ ধরে সততা, সত্যবাদিতা, ন্যয়পরায়নতা, দেশপ্রেম, মানবকল্যাণ ইত্যাদি মূল্যবোধ সৃষ্টি ও তা রক্ষা করার উপায় নিয়ে কথা বলে আসছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এসব নীতিবাক্য প্রায়ই মাঠে মারা যাচ্ছে। যারা এগুলো বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, স্বয়ং তাদের সন্তানরাই এগুলোর থোড়াই কেয়ার করে। তারা সত্যবাদিতাকে নিয়ে হাসাহাসি করে, সততাকে মনে করে বোকামী, ন্যায়পরায়নতাকে মনে করে দুর্বলতা আর দেশপ্রেমকে মনে করে কুপমণ্ডকতা। এর কারণ কি? কারণ হচ্ছে - মধ্যবিত্তের প্রথম জেনারেশনে এসব নীতিবাক্য বেশ কাজ দিলেও, দ্বিতীয় প্রজন্মই এর মধ্যেকার ফাঁকফোকরগুলো ধরে ফেলে এবং আবিষ্কার করে যে, একটু চালাকচতুর হলে আর এসব মূল্যবোধকে খানিকটা সরিয়ে রাখতে পারলেই মধ্যবিত্তের সীমানা ডিঙ্গিয়ে উচ্চবিত্তের উজ্জ্বল জগতে প্রবেশ করা যায়। অর্থাৎ 'ওপরে' ওঠা যায়। (দেখা যাচ্ছে, যারা ওপরে উঠতে চায় তারাই এসব মূল্যবোধকে বুড়ো আঙুল দেখায়। মধ্যবিত্তের এই অংশটিই স্বাধীনতার পর নীতিহীন লুটতরাজে অংশ নিয়েছিলো।) ওপরে ওঠার সিঁড়িটি যে খুবই সরু, একসঙ্গে একজনের বেশি ওই সিঁড়ি দিয়ে ওঠা যায় না, সে অচিরেই সেটাও আবিষ্কার করে ফেলে। ফলে প্রথমেই তাকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হয়। ওঠার সময় পেছন থেকে কেউ তার পাশে আসার চেষ্টা করলে সে তাকে কনুই মারে, ধাক্কা মারে; সামনে থাকা লোকটিকে ল্যাং মারে আর পেছনে উঠতে থাকা লোকটিকে মারে পিছ-লাথি। এতসব কনুই, ধাক্কা, ল্যাং, পিছলাথি মারতে গেলে প্রথম তার জন্য যেটা বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেটা হচ্ছে এতকাল ধরে শিখে আসা মধ্যবিত্ত মূল্যবোধ। ফলে ওপরে ওঠার জন্য তাকে অনিবার্যভাবেই এসব মূল্যবোধ ঝেড়ে ফেলতে হয় - আর এভাবেই জন্ম নেয় (সামাজিক ভাষ্যমতে) নীতিবিবর্জিত, লুটেরা, আদর্শহীন (এই নীতি ও আদর্শের মানদণ্ডটি কিন্তু মধ্যবিত্তের তৈরি করা) উচ্চবিত্ত সমপ্রদায়। এর ফলে কি মধ্যবিত্তের মূল্যবোধগুলো সমাজ থেকে উধাও হয়ে যায়? না, যায় না। নীতিবাগিশ অনড় পুরনো চিন্তাবিদদের পাশাপাশি নতুন নতুন চিন্তাবিদদের উদ্ভব হয় মধ্যবিত্তদের ভেতর থেকেই। এদের কথাবার্তা তার নিজ শ্রেণীকে প্রভাবিত করুক আর নাই করুক, নিম্নবিত্ত থেকে যারা মধ্যবিত্ত হতে চাইছে তাদের কাছে এগুলো খুবই মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে - কারণ তার সমাজে এগুলো নেই, সে মনে করে এগুলো শিখলেই সে তার স্বপ্নের মধ্যবিত্তে পরিণত হতে পারবে। ফলে এসব নীতিবাক্য, মূল্যবোধ কিংবা আদর্শের আবেদন সহসা ফুরিয়ে যায় না। অতএব বলা যায় - মধ্যবিত্ত হচ্ছে একটা ট্র্যানজিশন পিরিয়ড। নিম্নবিত্তরা স্বপ্ন দেখে মধ্যবিত্ত হবার, আবার মধ্যবিত্ত হয়েই বড়জোর এক বা দুই প্রজন্ম - তারপর উচ্চবিত্ত হবার জন্য তোড়জোর শুরু করে সে - অর্থাৎ মধ্যবিত্ত অবস্থানটিতে কেউ দীর্ঘদিন থাকতে চায় না।



মধ্যবিত্তদের নিয়ে কথা বলতে গেলে সবচেয়ে সাধারণ যে প্রশ্নটি ওঠে তা হলো - এই শ্রেণীর ভবিষ্যৎ কি? মার্কসবাদী চিন্তাবিদরা মধ্যবিত্তকে কোনো শ্রেণী হিসেবেই মানতে নারাজ। কেউ যদি মানেনও তাহলে সঙ্গে সঙ্গে গলার রগ ফুলিয়ে উচ্চকণ্ঠে এ কথাও বলতে ভোলেন না যে, এই শ্রেণীর অবস্থা মুমূর্ষু এবং অচিরেই এরা মৃতু্যবরণ করবে। যুগের পর যুগ ধরে তারা এই কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে দেখা যাচ্ছে - মধ্যবিত্ত তো মরছেই না বরং তাদের আকার ও আয়তন দিন দিন বেড়েই চলেছে। তারা শুধু বেঁচে আছে তাই নয়, বরং বেশ দাপটের সঙ্গে বেঁচে আছে। অবশ্য বিশ বছর আগের মধ্যবিত্ত সমাজের সদস্যরা যে এখনো মধ্যবিত্তই আছে তা বলা যায় না। কেউ চেষ্টাচরিত্র করে উচ্চবিত্তের জগতে চলে গেছে, কেউ বা যুদ্ধে টিকতে না পেরে নিম্নবিত্ত হয়ে গেছে। এই নিম্নবিত্তকেই মূলত নিম্ন-মধ্যবিত্ত বলা হচ্ছে। বিত্তের বিচারে এরা নিম্নবিত্তই, কিন্তু যেহেতু মধ্যবিত্ত সমাজের মূল্যবোধগুলো তারা বেশ শক্তভাবেই আঁকড়ে ধরে থাকে তাই তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিতে গেলে অমন একটি সমাসবদ্ধ নামে ডাকতে হয়। অন্যদিকে যারা উচ্চবিত্ত হবার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে - অর্থাৎ যথেষ্ট বিত্তবান হলেও যারা মধ্যবিত্ত সমাজের মূল্যবোধগুলো এখনও পুরোপুরি বিসর্জন দিতে পারেনি তাদেরকে বলা হচ্ছে উচ্চ-মধ্যবিত্ত। আর দু-তিন প্রজন্ম ধরে যারা স্রেফ মধ্যবিত্তই রয়ে গেছে তারাই আসলে মধ্যবিত্ত বলে পরিচিতি পাচ্ছে। মধ্যবিত্তের চরিত্র বুঝতে হলে বুঝতে হবে এদেরকেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এতসব রূপান্তর প্রক্রিয়ার ভেতরে থেকে তারা কতদিন তাদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারবে? বলা বাহুল্য মধ্যবিত্ত অবস্থাটি বজায় রাখা বেশ কষ্টসাধ্য - যে কোনো সময় নিম্নবিত্তের কাতারে চলে যাবার একটি ভয় থাকে। অনেক সময় দেখা যায় মাত্র এক প্রজন্মের ব্যবধানে একটি মধ্যবিত্ত পরিবার নিম্নবিত্তে পরিণত হয়েছে। এরকম দু-একটি উদাহরণ দেখে অবশ্য - এই শ্রেণী মৃত্যুমুখে পতিত - এমনটি ভাবার কোনো মানে হয় না। কারণ, যতদিন পর্যন্ত সমাজে নিম্নবিত্তরা থাকবে এবং তাদের জন্য শিক্ষার দ্বার স্থায়ীভবে বন্ধ করে দেয়া না হবে - ততদিন পর্যন্ত নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে রূপান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না। আর বন্ধ হবে না বলেই নতুন করে মধ্যবিত্ত সমাজের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাবে - অর্থাৎ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আকার আয়তন বাড়তে থাকবে। এ-দিক থেকে দেখলে বলতেই হয় - মধ্যবিত্তরা অমর ও অক্ষয় - কোনোদিনই এদের মৃত্যু হবে না।



মধ্যবিত্তের পরিচয়চিহ্ন ০৫

Click This Link



মধ্যবিত্তের পরিচয়চিহ্ন ০৪

Click This Link



মধ্যবিত্তের পরিচয়চিহ্ন ০৩

Click This Link



মধ্যবিত্তের পরিচয়চিহ্ন ০২

Click This Link



মধ্যবিত্তের পরিচয়চিহ্ন ০১

Click This Link



যারা সম্পূর্ণ লেখাটি একসঙ্গে পড়তে চান, তাঁরা এই লিংক থেকে (আমার ওয়েবসাইটের) পড়তে পারেন।



লিংক : Click This Link

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এই দীর্ঘ লেখাটির বিভিন্ন পর্বে যারা মন্তব্য করে উৎসাহ যুগিয়েছেন এবং যারা পড়েছেন সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সিরিজ শেষ হলে সবগুলো পর্ব একত্র করে একটি পোস্ট দেয়ার অনুরোধ করেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু সেটি অনেক দীর্ঘ পোস্ট হয়ে যাবে বলে দিলাম না। তবে এই পর্বের সঙ্গেই যেহেতু সবগুলো পর্বের লিংক এবং পূর্ণাঙ্গ লেখাটিরও একটা লিংক দেয়া হলো, তাই এটিকেই পূর্ণাঙ্গ পোস্ট হিসেবে বিবেচনা করবেন বলে আশা করি।

আবারও ধন্যবাদ।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৬

সামী মিয়াদাদ বলেছেন: ধীরে সুস্তে পড়বো পরে

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আগে বলেন, এতদিন আপনি কোথায় ছিলেন? আমার প্রথম পোস্টেই আপনি মন্তব্য করেছিলেন, বাংলা লেখার জন্য লিংক দিয়েছিলেন - মনে আছে। তারপর কোনো খবরই নেই। বহুবার আপনার ব্লগে গিয়েছি, নতুন পোস্টও দেখিনি বহুদিন। খুব মিস করেছি আপনাকে। কোনো সমস্যায় ছিলেন? নাকি ইচ্ছে করেই দূরে সরে ছিলেন ব্লগ থেকে?

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৮

সিহাব চৌধুরী বলেছেন:
খুব ভালো একটা সিরিজ শেষ হলো ।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৯

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আগাগোড়া সঙ্গে থাকবার জন্য।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৬

শাহবাজ বলেছেন: সবগুলি এইমাত্র পড়লাম । ভালো লাগলো স্যার

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সবগুলো পর্ব ধৈর্য ধরে এবং কষ্ট করে পড়ার জন্য।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৫

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: অর্থাৎ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আকার আয়তন বাড়তে থাকবে। এ-দিক থেকে দেখলে বলতেই হয় - মধ্যবিত্তরা অমর ও অক্ষয় - কোনোদিনই এদের মৃত্যু হবে না।

সঠিক বক্তব্য।

শুভেচ্ছা রইলো।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ সবগুলো পর্ব পড়ার জন্য।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৪

একরামুল হক শামীম বলেছেন:
মধ্যবিত্ত হচ্ছে একটা ট্র্যানজিশন পিরিয়ড। নিম্নবিত্তরা স্বপ্ন দেখে মধ্যবিত্ত হবার, আবার মধ্যবিত্ত হয়েই বড়জোর এক বা দুই প্রজন্ম - তারপর উচ্চবিত্ত হবার জন্য তোড়জোর শুরু করে সে - অর্থাৎ মধ্যবিত্ত অবস্থানটিতে কেউ দীর্ঘদিন থাকতে চায় না।

দারুন পর্যবেক্ষণ। একমত।

মধ্যবিত্তরা অমর ও অক্ষয় - কোনোদিনই এদের মৃত্যু হবে না।


হুমমম

সবগুলো পর্বই পড়লাম। অনেক ভালো লেগেছে। যদিও একটা পর্বে আপনার পর্যবেক্ষণের সাথে আমার কিছুটা দ্বিমত ছিল। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটার জন্য :)

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৪

একরামুল হক শামীম বলেছেন:
মধ্যবিত্ত হচ্ছে একটা ট্র্যানজিশন পিরিয়ড। নিম্নবিত্তরা স্বপ্ন দেখে মধ্যবিত্ত হবার, আবার মধ্যবিত্ত হয়েই বড়জোর এক বা দুই প্রজন্ম - তারপর উচ্চবিত্ত হবার জন্য তোড়জোর শুরু করে সে - অর্থাৎ মধ্যবিত্ত অবস্থানটিতে কেউ দীর্ঘদিন থাকতে চায় না।

দারুন পর্যবেক্ষণ। একমত।

মধ্যবিত্তরা অমর ও অক্ষয় - কোনোদিনই এদের মৃত্যু হবে না।


হুমমম

সবগুলো পর্বই পড়লাম। অনেক ভালো লেগেছে। যদিও একটা পর্বে আপনার পর্যবেক্ষণের সাথে আমার কিছুটা দ্বিমত ছিল। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটার জন্য :)

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সবগুলো পর্ব পড়েছেন, দীর্ঘ সময় ধরে সঙ্গে ছিলেন, এ জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। দ্বিমত তো থাকতেই পারে, সেটা জানতে দিয়েছেন বলে আমিও আমার কথাগুলো বলতে পেরেছি।

[জীবনানন্দকে নিয়ে নতুন পোস্ট দিচ্ছেন কবে?]

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৯

একরামুল হক শামীম বলেছেন: হায় হায়!! টাইগার মামা দেখি আমার সাথে সখ্যতা করে এক কমেন্টকে দুইটা বানায়া দিছে! ;)

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ;) ;) :) :)

থাকুক দুটোই। দেখতে ভালোই লাগছে! ;)

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৭

রণদীপম বসু বলেছেন: অনেকদিন পর এসে আপনাকে পেয়ে গেলাম। পড়ে ফেললাম এই পর্বটা। তক্কে তক্কে ছিলাম লেখার শেষে এসে একটা দ্বিমত প্রকাশ করবো। ওমা, সে সুযোগটাই নষ্ট করে দিলেন, এই বলে যে,
মধ্যবিত্তরা অমর ও অক্ষয় - কোনোদিনই এদের মৃত্যু হবে না।

খুব ভালো লাগলো। আশা করছি বাকি পর্বগুলোও পড়ে নেবো। প্রিয়তে রাখলাম।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২১

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম। ঘটনা কি? ভালো আছেন তো?

বাকি পর্বগুলো পড়লে প্রতিক্রিয়া জানাতে ভুলবেন না!

ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৭

রণদীপম বসু বলেছেন: আপনার ওয়েব-সাইটের লিংক সেভ করে নিলাম। রসিয়ে রসিয়ে পড়বো। লিংক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ওই লিংকে ক্লিক করলে কিন্তু সরাসরি প্রবন্ধটা দেখাবে। সেখান থেকে 'প্রথম পাতা' ক্লিক করলে মূল ওয়েব সাইট দেখা যাবে। ঝামেলা এড়াতে সরাসরি ওয়েবসাইটের লিংকটা দিয়ে দিচ্ছি।

লিংক :
http://www.amkamalbd.com/

রসিয়ে রসিয়ে পড়েন, কিন্তু জানতে দিয়েন, একা একা রসাস্বাদন করে কী লাভ? ;)

১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০২

মেঘ বলেছেন: কামাল ভাই আপনি তো একজন লেখক এবং শিক্ষক। আপনি কি কোন একটা পত্রিকায় নীচের লিংক দেকে একটা বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্টিং এর ব্যবস্থা করতে পারেন?
Click This Link

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৯

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার দেয়া লিংক ধরে আপনার পোস্টে ঘুরে এলাম। হ্যাঁ, পত্রিকায় রিপোর্ট করানো যায়। কিন্তু এখানে যেটুকু লিখেছেন এতটুকু তথ্যের ভিত্তিতে পত্রিকাগুলো রিপোর্ট করা সম্ভব হবে না বোধ হয়। সম্ভব হলে আরো কোনো তথ্য থাকলে জানান। আপনার বান্ধবীর ই-মেইল এ্যাড্রেস আছে? থাকলে সেটার প্রয়োজন হতে পারে, না থাকলে জোগাড় করার চেষ্টা করুন। তবে এখনই লাগবে না। আমি দু-একদিন পরে আপনাকে জানাবো।

আপনার লেখার লিংক এবং আরো কোনো তথ্য যদি থাকে তাহলে আমাকে এই ঠিকানায় মেইল করতে পারেন :

[email protected]

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৪৮

ফারহান দাউদ বলেছেন: ব্যাপারটা অনেকটা প্রবাহের মতই,একমত। আসে,থাকে,চলে যায়,সেজন্যই এই শ্রেণীটা কখনোই শেষ হবেনা। দারুণ একটা শেষ হলো।

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সবগুলো পর্ব পড়া এবং আগাগোড়া সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:২১

ফারুক আহসান বলেছেন: সততা, সত্যবাদিতা, ন্যয়পরায়নতা, দেশপ্রেম, মানবকল্যাণ ইত্যাদি মূল্যবোধ সৃষ্টি ও তা রক্ষা করার উপায় নিয়ে কথা বলে আসছেন।

আমার কিন্তু মনে হয়, সদগুনের এই বিভাজন মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠি বা বুদ্ধিজীবি যেই বলুন না কেন তৈরী করে তার দ্বিমুখী নীতিকে কিছুটা গ্রাউন্ড দেয়ার জন্য, খুবেকটা ভালো উদ্দেশ্য নিয়া নয় । কিভাবে ?

খেয়াল করে দেখুন, কেবলমাত্র ন্যায়পরায়নতা বা ন্যায়-অন্যায় বোধের মাধ্যমেই সব ভালো কাজ এবং খারাপ কাজ চিহ্নিত করা সম্ভব । তাহলে ভালো গুনের বা ভালো কাজের এত ভিন্ন ভিন্ন নাম কেন? একটা ব্যাতিক্রম বা অপ্রযোজ্যতার সীমান তৈরি করার জন্য না কি ? মানবকল্যানের দোহাই দিয়ে অন্যায়ভাবে ঘুষ খাওয়া, সেই ঘুষের টাকায় মানবকল্যান করা , সাথে সাথে নিজেরও কিঞ্চিৎ কল্যান করা । ন্যায়বোধ অতিক্রম করে যাবে যে দেশপ্রেম , সেটা তো ভালো জিনিস না । আবার ন্যায়বোধ থাকলে দেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু তো করার কথা না, তাইলে দেশপ্রেম নামক একটা আলাদা শব্দের আমদানি কেন?

এগুলার আমদানি আমার মনে হয়, মধ্যবিত্তের সুবিধাবাদী অবস্থানকে পুরাপুরি যৌক্তিক বৈধতা না দিতে পেরে শেষ পর্যন্ত একটা ঘোলাটে অবস্থা তৈরী করার চেষ্টা যেখানে ন্যায় থেকে অন্যায়কে আলাদা করাটা দুরুহ হয়ে পড়ে । কারন তার মাপকাঠি তখন এত বেশী যে, কেউ জানে না কোনটা রেখে কোনটা দিয়ে মাপা ঠিক হবে ।

মার্কসবাদি ঘরানার চিন্তাবিদরা মধ্যবিত্ত গোষ্ঠিটির অস্তিত্ত স্বীকার করতে না চাওয়ার পিছনের কারনটা ভেবে দেখেছেন । আমার মনে হয় এই একটি গোষ্ঠিই, মার্কসের ভবিষ্যৎবাণীকে সঠিক হতে দেবে না কোনোদিন। এরা হচ্ছে পুঁজিবাদের বাফার সিস্টেম । শোষিত শ্রমিক যখনই একটু মধ্যবিত্ততার নাগাল পায় তখনই তার ভিতরের বিদ্রোহের আগুন নিভে যায় । তখনই সে এস্টাবলিশমেন্টে পক্ষে চলে যায় । এবং আধুনিক পুঁজিবাদ, পণ্যের যে বিশাল একটি নেটওয়ার্ক তৈরী করেছে, তার মধ্যে মধ্যসত্বভোগ করার সুযোগ অনেক অনেক পরিমানে বিদ্যমান । যে মধ্যসত্বভোগী অন্যের উৎপাদিত পণ্যের মধ্যসত্ব ভোগ করছে সেই আবার অন্য আরেকজনের কাছ থেকে ভোক্তা হিসাবে মধ্যসত্ব সহ বেশি দাম দিয়ে পণ্য কিনে বেঁচে আছে । অর্থাৎ শোষক একইসাথে আবার শোষিতও হচ্ছে । মার্কসীয় দৃষ্টিকোন থেকে মধ্যবিত্তকে বোধহয় এইভাবে শ্রেণীবিন্যস্ত করা যায় ।পুঁজিবাদ যত পরিণত হবে এই শ্রেনীটিও তত বড় হবে বলে আমার মনে হয় । অনেকটা শোষন বিলুপ্ত না হলেও, তা এত বেশী পরিমানে বিভাজিত হয়ে যাবে সবার মধ্যে যে, এক একজন করে দেখলে শোষনের পরিমানটা তখন আর কারো গায়ে লাগবে না ।

আবারও ব্যাপক পাকনামি কইরা ফেল্লাম । লিখা চমৎকার হয়েছে । ভালো থাকবেন ।

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৫৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণের সঙ্গে দ্বিমত নেই আমার। শুধু এইটুকু বলি, মার্কসবাদ আমি এখন পর্যন্ত মানুষের বৈষয়িক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে প্রণীত সবচেয়ে কার্যকর তত্ত্ব বলে মনে করি। কিন্তু মার্কসবাদ আর বাংলাদেশের মার্কসবাদী এক ব্যাপার নয়। এ দেশে মার্কসবাদীদের কোনো সমালোচনা করা যায় না, করলে তারা এটাকে মার্কসবাদের সমালোচনা হিসেবে গণ্য করে (মার্কসবাদও সমালোচনার উর্ধ্বে নয়, আসলে কোনো 'বাদ'ই সমালোচনার উর্ধ্বে নয়)। এ দেশের মার্কসবাদীরা দেশের মানুষকে খুব ভালো বোঝেন বলে আমার মনে হয়নি। বুঝলে তারা হয়তো তাদের কর্মকৌশল নিয়ে নতুন করে ভাবতেন, তত্ত্বকে দেশের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতেন! মধ্যবিত্তকে মার্কসবাদের আওতায় এনে আপনি যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, তারা কেন এভাবে ভাবতে পারে না? কেন 'মধ্যবিত্তের অবস্থা মৃতপ্রায়, এই শ্রেণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে' ধরনের কেতাবি কথাবার্তা যুগ যুগ ধরে বলে আসছে? তাদের কথার সত্যতা যেহেতু পাওয়া যাচ্ছে না, তাহলে তারা কি নতুন করে ভাবতে পারে না? এসব কথা আমরা কাকেই বা বলবো বলুন!

আপনার 'পাকনামি'তে ব্যাপক খুশি হইছি। :) ;) ধন্যবাদ লন।

১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২৪

অরণ্যচারী বলেছেন: যেহেতু শেষ পর্ব, তাই তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলতে চাই নি। একটু ধীরে এবং আগের পর্বগুলো রিপিট করে তারপর পড়লাম।

শেষ পর্বে এসেই চূড়ান্ত মন্তব্য করা যেতে পারে।

মার্কসবাদীরা যা বলেন তার সাথে আমি পুরোপুরি একমত নই, কিন্তু বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় যে বিষয়টি প্রতিনিয়ত বিবেককে আঘাত দেয় তা হল - নিম্নবিত্তের বঞ্চনার হার বেড়ে যাওয়া। পুঁজিবাদ এমন একটি বিষয় যার সৃষ্টিই হয়েছে বঞ্চিতদের শোষণের মাধ্যমে শাসক শ্রেণীকে আরো উঁচুতে তোলার লক্ষ্যে। ১০০ ভাগ পুঁজিবাদ পৃথিবীর কোথাও নেই, খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বয়স্ক এবং বেকারদের ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে যা কিন্তু কমিউনিজম থেকে পাওয়া ধারণা।

আমাদের মত দরিদ্র একটি দেশে অসৎ নেতৃত্বের কারণে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। সমাজের সবচেয়ে নিম্নস্তরে (অবশ্যই অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে) যাদের অবস্থান তারাই মূলত শাসক শ্রেণীর দুর্নীতির প্রধান শিকারে পরিণত হয়। ভিজিএফ, ত্রাণের টিন কিংবা গমসংক্রান্ত দুর্নীতির বিষয়গুলো এখনও আমাদের স্মৃতি থেকে বিলীন হয়ে যায় নি। এর সামগ্রিক প্রভাব হল, নিম্নবিত্তের মধ্যবিত্তের সীমানায় ঢোকার আশা সুদূরপরাহত হওয়া কিংবা মধ্যবিত্তের তথাকথিত নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীতে প্রবেশের আশঙ্কা শক্তিশালী হওয়া।

আমিও মনে করি মধ্যবিত্ত শ্রেণী খুব সহজে বিলীন হয়ে যাবে না। কিন্তু বিদ্যমান ব্যবস্থায় একটু আশঙ্কা কিন্তু রয়েই যাচ্ছে।

=======================================

ধন্যবাদ জানাই অত্যন্ত সুখপাঠ্য একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০৯

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আশংকার কিছু নেই। মধ্যবিত্ত আপনার/আমার জীবদ্দশায় বিলীন হবে না!
বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে জনগণের জন্য রাষ্ট্রের তরফ থেকেই জনগণের জন্য কল্যাণকামী কিছু ব্যবস্থা নেয়া দরকার। বহুদেশই (যেমন সুইডেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি) সরাসরি কমিউনিজম গ্রহণ না করে কল্যাণরাষ্ট্রের ধারণা গ্রহণ করেছে। এই রাষ্ট্রগুলো জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের দায়িত্ব নেয়, বিনিময়ে নাগরিকদের কাছ থেকে উচ্চহারে ট্যাক্স নেয়। যেমন ধরুন, একটা শিশুর জন্মের পর থেকে তার পড়াশোনা বা চিকিৎসার খরচ রাষ্ট্রই বহন করে। পড়াশোনা শেষে একটা কাজ না পাওয়া পর্যন্ত বেকার ভাতাও দেয়। কিন্তু কাজ পেলে আয়ের অর্ধেকটাই রাষ্ট্র ট্যাক্স হিসেবে নিয়ে নেয়। এতে ওই নাগরিকের কোনো আপত্তিও থাকে না। কারণ সে বেড়ে উঠেছে রাষ্ট্রের টাকায়, তার সন্তানও বেড়ে উঠবে রাষ্ট্রেরই ছায়ায়। আমাদের দেশে সমাজতন্ত্র/কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করা সুদূরপরাহত হলেও এরকম কল্যাণধর্মী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা যে কোনো সময় যে কোনো সরকারই শুরু করতে পারে।

আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই সবগুলো পর্ব পড়ার জন্য।

১৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৯

বিবর্তনবাদী বলেছেন:

মধ্যবিত্তের যে মূল্যবোধ আমরা দেখি তা যে বেশিদিন টিকে না তা বুঝবার জন্যপরবর্তি জেনারেশনে খুব একটা যাওয়া দরকার পড়ে না। সত্তরের দশকের একজন তরুণের মূল্যবোধ ২০০৮ এ এসে সম্পূর্ণই পরিবর্তিত।

আমার মতে কারন একটাই, সেই মূল্যবোধের কোন ভিত্তি নেই। কতগুলো অবাস্তব, আবেগধর্মী নীতির উপর প্রতিষ্টিত সেই সব মূল্যবোধ যে কোন সমাজে, যে কোন সময়েই অচল।কিন্তু প্রত্যেক সমাজে ভাঙে গড়ে, অথচ এই মূল্যবোধের বাহকরা কিভাবে যেন টিকে থাকে বিভিন্ন রূপে।


অবশেষে পড়লাম এবং প্লাস। অনেক ধন্যবাদ। আপনার চিন্তা জানলাম, নিজেদের চিন্তাধারা ঝালাই করলাম। অনেক কিছু লিখবার আছে, হয়ত সময় করে নিজের চিন্তাধারাও লিখব। ভাল থাকুন।

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার চিন্তাগুলোও জানার আগ্রহ রইলো। নতুন পোস্ট দিলে নিশ্চয়ই পড়বো। সবগুলো পর্ব পড়া এবং আগাগোড়া সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৭

তারার হাসি বলেছেন: অল্প কথায় লিখছি, আপনি খুব সুক্ষ দক্ষতার সাথে এই পর্ব শেষ করে দিলেন.................. আরও লিখতে পারতেন।
শুভেচ্ছা।

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৪

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আরও লিখতে পারতাম! আর কতো ভাই?!? টায়ার্ড হয়ে গেছি। :(

অনেক ধন্যবাদ সবসময় পাশে থাকার জন্য। :)

১৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৪

মনজুরুল হক বলেছেন: এটাকে কি সংকলন করবেন?
শ্যামল দা কি নেমন্তন্ন করেছিল?
ফেস বুকে কি আছেন?
কামাল উদ্দিন কবিরের সাথে কি যোগাযোহ আছে?


তিন তিনটা প্রশ্ন করে ফেললাম ! মার্জনা।

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৬

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সংকলন? না...।

শ্যামলদা? কিসের নেমন্তন্ন? কিছুই জানি না। :( :(

ফেসবুকে আছি। গুগুল সার্চে নাম লিখে সার্চ দেন। :)

কবীর ভাইয়ের সঙ্গে কালেভাদ্রে দেখা হয়। নিয়মিত যোগাযোগ নেই,

কিন্তু যে কোনো সময় দেখা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তিনটা প্রশ্নের উত্তরই দিলাম। এবার বলেন, প্রশ্নগুলোর উদ্দেশ্য কি?

১৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৫

মনজুরুল হক বলেছেন: ***যোগাযোহ= যোগাযোগ।

১৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:১৩

মনজুরুল হক বলেছেন:

তেমন কিছু না।
সর্বশেষ অলক,পরাগ,টিপু চলে যাওয়ার পর পুরোনো কেউতো আর রইল না। সে কারণেই বোধহয় 'প্রতিনিধি সম্মেলন' আর 'গুণিজন' সম্বর্ধনায় আমরা কেউ আমন্ত্রণ পেলাম না ! ফেস বুকে কবির ভাই দুঃখ করলেন ! আমি কোথাও দুঃখ করার স্পেস পেলাম না ! কাকে বলব ?
অথচ পর দিন সাত সকালেই ফোন করে জানানো হলো....."আপনার নির্ধারিত দিনে জেল হত্যা'র উপর লেখা দেবেন"....!! কষ্টটা শেয়ার করলাম আর কি .....

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০৫

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এবার বুঝলাম।
এমনই হয়, এমনই হবার কথা। 'প্রতিনিধি' বা 'গুণিজন' কোনো তালিকায় যারা পড়েন না তারা আমন্ত্রণ পাবেন কেন? এ নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। কিন্তু কেবল 'সম্পর্কের দোহাই' দিয়ে যখন লেখা আদায় করে নেন (আজ পর্যন্ত আমার কোনো লেখার সম্মানী দেয়নি ওরা), তখন কেন কেবল আমাদেরকেই মনে পড়ে, কে জানে! আমি টাকার জন্য লিখি না, কিন্তু সম্মান ও মর্যাদাটুকু পুরোমাত্রায় প্রত্যাশা করি। তারা সেটা দিতে জানে না। এমনকি যে সংখ্যায় আমার লেখা থাকে তার একটি সৌজন্য কপিও পাঠায় না তারা। বাংলাদেশের আর কোনো পত্রিকায় আমার এমন বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়নি।

আমিও আমি ক্ষোভের কথা বললাম, আপনি বললেন বলে।

২০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৪

নরাধম বলেছেন: পড়লাম। দ্বিমত করার কোন কারন নেই। সবগুলো পর্বই ভাল লেগেছে। তবে "দ্যা ফিনালে" হয়েছে খুবই জব্বর।




তবে মধ্যবিত্ত শ্রেণীটাকে আমি পছন্দ করিনা একদম। কেন জানিনা, মনে হয় নিজে নিম্নবৃত্ত বলে। অথবা একসময় কমিউনিজমের প্রতি ঝোঁক ছিল বলে হয়ত। আপনি যেভাবে লিখেছেন মধ্যবিত্তকে নিয়ে এত ভালভাবে আর কারও লেখা পড়িনি। যদি সবগুলো লেখা একটা পোস্ট দিতেন, তাহলে সেটাকে প্রিয়তে রাখতাম। কিন্তু আপনি যা বলেছেন অনেক বড় হয়ে যাবে সেটাও সত্যি। তাই এটাকেই প্রিয়তে রাখলাম। অনেক ধন্যবাদ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:০১

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সবগুলো পর্ব কেউ পড়বেন কীনা, এই আশংকা ছিলো। আশংকা ভুল প্রমাণ করার জন্যও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।

২১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:১৪

রবিউলকরিম বলেছেন: তোরে বলেছিলাম, সবকটি পড়ে মন্তব্য করব। পড়লাম কিন্তু যে বিষয়টা তুই এড়িয়ে গেলি তাহলো-ধর্ম। ধর্ম আমাদের মধ্যবিত্ত হতে কতটুকু প্রভাবিত করে বা ইন্ধন জোগায়, সেটা তুই বললি না। আর উত্তম অধমের সাথে চলে নিশ্চিতে, যিনি মধ্যম তিনি চলেন তফাতে, এই আত্মগরিমাটুকু কেন শুধু মধ্যবিত্তের কাছে থাকে।
যাই হোক এটা থিসিস নাকি(নজরুল...) হাঃ হাঃ হাঃ
ভালো থাকিস। নতুন করে তোর লেখার প্রশংসা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:১৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধর্ম কাউকে মধ্যবিত্ত হতে প্রভাবিত করে না বা ইন্ধন জোগায় না। বরং মধ্যবিত্তে পরিণত হবার পরে নিজেরা শেকড়-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে, এই শ্রেণীটিই ধর্মের ভেতরে নিজের শেকড় খোঁজে। সব অর্থেই শ্রেণীটি শেকড়হীন। ধর্মে তো আর সত্যিই শেকড় খুঁজে পাওয়া যায় না, আবার নিজের আসল শেকড় সে অস্বীকার করার তালে থাকে! কঠিন ফাঁদ!

একটু প্রশংসা করতি! প্রশংসা শুনতে তো ভাল্লাগে! ;)

২২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৪০

মুক্ত মানব বলেছেন: "উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে,
তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে।"-মধ্যবিত্তের এই সংগাটা আমার খুব ভালো লাগে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এটা মধ্যবিত্তের সংজ্ঞা? :(
মধ্যবিত্ত কি 'তফাতে' চলে?

২৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৩৮

তপন বাগচী বলেছেন: কামাল, আপনি দেখছি দিনদিন দার্শনিক হয়ে যাচ্ছেন!!! গল্পের ক্ষতি হবে না তো!

১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১১

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: koekdin dhore ekhane banglay likhte parchi na! shomossha ta ki tao bujhte parchi na! pore uttor debo...

২৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫৮

নাফে মোহাম্মদ এনাম বলেছেন: আপনার মোবাইল নম্বরটা চাচ্ছিলাম...

১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এখানে মোবাইল নম্বর দেয়া যায় নাকি? ইমেইল করতে পারেন।

২৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪২

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: বাংলায় লিখতে পারছেন এখন?

১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৯

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আজকে পারছি। তবে একটানা পারছি না, মাঝে মাঝেই সমস্যা হচ্ছে। :(

আপনি এমন অনিয়মিত হয়ে গেলেন কেন? ব্লগিং-এর নেশা কেটে গেছে?

২৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৪

একরামুল হক শামীম বলেছেন: নতুন পোস্ট চাই।

১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১১

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এতদিন তো বাংলাই লিখতে পারলাম না! নতুন পোস্ট দেবো কিভাবে?? X( X( X(

২৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:০১

লীনা ফেরদৌস বলেছেন: মধ্যবিত্তের প্রথম জেনারেশনে এসব নীতিবাক্য বেশ কাজ দিলেও, দ্বিতীয় প্রজন্মই এর মধ্যেকার ফাঁকফোকরগুলো ধরে ফেলে এবং আবিষ্কার করে যে, একটু চালাকচতুর হলে আর এসব মূল্যবোধকে খানিকটা সরিয়ে রাখতে পারলেই মধ্যবিত্তের সীমানা ডিঙ্গিয়ে উচ্চবিত্তের উজ্জ্বল জগতে প্রবেশ করা যায়। অর্থাৎ 'ওপরে' ওঠা যায়।

উপলদ্ধি গুলি ভীষণ ভাবে সত্য। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় সমাজের যত আদর্শ, রীতি নীতিগুলি মেনে চলার দায়ভার শুধুই মধ্যবিত্তের ।এর জন্য আমরা মধ্যবিত্তেরাই দায়ী।

১৩ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৫৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: রীতি-নীতিগুলো যে তাদেরই তৈরি করা, দায় তো তাদের থাকবেই। নিজের তৈরি করা ফাঁদে নিজেই পা দেয়ার মতো ব্যাপার আর কী!

২৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৫

অরণ্যচারী বলেছেন: নতুন লেখা চাই... (অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট, চাইলে মুছে দিতে পারেন)।

১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: নতুন লেখা দিয়েছি।

২৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০০

ঘোর-কলিযুগ বলেছেন: মাশাল্লা আফনে বেবাক গবেষণা করছেন...

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২০

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: তো? কোনো আপত্তি?

৩০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৫১

বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: নির্মম সত্যকথন। ভালো লাগলো পড়ে কামাল ভাই ।
অনেক খেঁটে খুটে লিখেছেন বোঝা যায়।
লেখাটার জন্য ধন্যবাদ

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪১

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার পদচারণায় (!) মুখর হলো আমার ব্লগবাড়ি। অনেক ধন্যবাদ বিমা।

৩১| ১৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৪৭

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: মধ্যবিত্তকে আরেকভাবে দেখার বিষয় আছে। আপনি যেমনটি লিখেছেন মহাজন বা এই গোত্রই পরবর্তীতে মধ্যবিত্ত হয়ে উঠেছে। ঠিকই আছে। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতিতে একটা সময়ে যারা পাঠশালর পন্ডিত ছিল-হুজুর ছিল। পার্সি বা সংস্কৃতি পড়াতো। আয়োজন করে পুজা করতো। লিখতে জানতো। কাব্য কি মহাকাব্য লিখতো। আর্থিকভাবে না হোক সামাজিকভাবে তারা মধ্যবিত্তই ছিল। প্রতিপত্তির দিক থেকে তারা মধ্যবিত্তই ছিলো। চর্যাপদ রচনা করেছেন যারা-তাদের আমরা মধ্যবিত্ত ধরে নিতে পারি। সেই সময়কার এবং এখনকার মধ্যবিত্তের সম্পর্কসূত্রও পাওয়া যাবে সেখানে-আমি মনে করি। খেয়াল করুন, শহর শুরু হয়েছে কারাখানাকে দিয়েই। কিন্তু শহরের এতো স্কুল-কলেজ মসজিদ-মন্দির প্রয়োজন হলো কেন। কারণ মধ্যবিত্তকে গ্রাম ছাড়া না করলে নিম্ন বিত্ত শহরে আসবে না। আজো মধ্যবিত্তই নিম্নের সবচেয়ে কাছের বন্ধু।

মধ্যবিত্তের মধ্যে যাদের বেয়েস পঞ্চাশ কিংবা অধিকাংশই চল্লিশই গ্রাম থেকে উঠে এসছে বেশিদিন হয় না। এরা এখনও গ্রামের টান অনুভব করে। কিন্ত টাকা তাকে গ্রামে থাকতে দেয় না। এটা সংস্কৃতির সাথে পুঁজির দ্বন্দ। হ্যাঁ এই সংস্কৃতির কৃতিত্ব নিম্নেরই বেশি। কিন্তু তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে মধ্যবিত্তকে অবশ্যই প্রয়োজন হবে। মধ্যবিত্ত থেকে এজন্যেই বুদ্ধিজীবি উঠে এসছে-কারণ সে গ্রাম এবং নিম্নবিত্ত ঘনিষ্ঠ।

আপনার পোষ্টের জন্যে ধন্যবাদ। তবে আরো আলোচনার অভাব বোধ করছি।

১৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ২:১৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার কথাগুলোও যৌক্তিক বলে মনে হলো। তবে চর্যাপদের কবিরা বোধহয় মধ্যবিত্ত ছিলে না, তাদের অবস্থান নিম্নবিত্তীয় পরিমণ্ডলেই ছিলো বলে ধারণা করি।

আমি তো ছয় পর্বে অনেক কথাই বললাম। সহব্লগাররাও অনেক কথা বললেন। তবে 'আরো আলোচনা'র অভাব পূরণ করার দায়িত্ব কিন্তু সহব্লগারদেরই, লেখকের নয়! আর এখানেই ব্লগের বিশিষ্টতা, লেখক-পাঠক মিলে এখানে একটি সমম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নির্মাণ করা যায়।

আপনাকেও ধন্যবাদ নিয়মিত আমার পোস্টগুলো পড়ার জন্য।

৩২| ১৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ২:২৩

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: এই জায়গায় আমি একটু আলাপ করতে চাই। চর্যাপদের কবিরা-সেই সময়কার রাজাদের সভাসদ ছিলো। রাজা পরিবর্তনে তাদের অবস্থান পাল্টে যায়। কিন্তু সামাজিক অবস্থানে তাদের যে প্রভাব ছিল তা ওই মধ্যবিত্তের বলেই আমি মনে করছি। তারাও রাজার প্রতিনিধি ছিল প্রজার কাছে আবার প্রজার প্রতিনিধি ছিলো রাজার কাছে। এমন আরো আছে-চণ্ক্যকে কি বলবেন। পদ্মাবতী যিনি লিখেছেন তাকে। সেই সময়ে ধর্ম কিংবা ধর্ম সম্পর্কিত উৎসব অথবা এই যে কাব্য চর্চা তাদের অবস্থান তখন মধ্যবিত্তেরই ছিল বলে আমি বলছি। তাছাড়া আপনার আলোচনায় মধ্যবিত্তকে মুসলমান হিসেবে দেখানো হয়নি। আমাদের বেশিরভাগ মধ্যবিত্তই মুসলমান। তারা কোনভাবেই কোরআন শরিফের মুসলমান নয়।

ব্লগ সম্পর্কিত আমার ভাবনাগুলোও একই।

১৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৩:৩২

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, আপনার যুক্তিগুলো বুঝতে পারলাম। দ্বিমত নেই।

মুসলমান মধ্যবিত্তের কথা অন্য পর্বে বলেছি তো! হ্যাঁ, তারা কোনভাবেই কোরআন শরিফের মুসলমান নয়। আপনার সঙ্গে একমত আমি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.