![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম : ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৯; মানিকগঞ্জ। পৌষের কোনো এক বৃষ্টিভেজা মধ্যরাতে এদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম হয়েছিলো আমার, মায়ের কাছে শুনেছি। হঠাৎ বৃষ্টির সেই শীতের রাতে আঁতুর ঘরে মার পাশে দাইমা নামক আমার অ-দেখা এক মহিলা ছাড়া আর কেউ ছিলো না। উঠোনে রেখে দেয়া প্রয়োজনীয় সাংসারিক অনুষঙ্গ বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে দাইমা বাইরে গেলে প্রায়ান্ধকার ঘরে জন্ম হয়েছিলো আমার। জন্মেই দেখেছিলাম, আমার চারপাশে কেউ নেই- মা ছাড়া। আজ, এই এতদিন পর- আমার চারপাশে সহস্র মানুষের ভিড়- তবু মার কাছে ফিরতেই ভালো লাগে আমার। যোগাযোগ : [email protected] [email protected]
[আবার জীবনানন্দ, আবার কবিতা। এবার 'বনলতা সেন'। এই কবির হাত থেকে আমার মুক্তি নেই!]
কবিতা কি ব্যাখার মতো বিষয়, নাকি অনুভবের? ব্যাখ্যায় কি কবিতা হারিয়ে যায় না, নাকি সহায়তা করে বুঝে ওঠার জন্য? এইসব প্রশ্ন প্রায়ই মনে জাগে, আর কেবলি মনে হয় - এটি ব্যাখ্যাযোগ্য কোনো বিষয় নয়! তবে পাঠক নিজের মতো করে একটা ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই দাঁড় করায়, নিজের মতো করে গ্রহণ করে একটা কবিতাকে। আর সেটিই কবিতার শক্তি। একটা কবিতা একেকজন পাঠকের কাছে একেক মাত্রায় ধরা দেয়। ব্যক্তিভেদে একটা কবিতার ব্যাখ্যা পাল্টে যায়, হয়ে ওঠে বহুমাত্রিক। এদিক থেকে দেখতে গেলে কবিতার ব্যাখ্যা একইসঙ্গে বিপদজনক এবং আনন্দদায়ক। বিপদজনক, কারণ - যে কেউ বলতে পারেন, এই ব্যাখ্যা ঠিক নয়, ব্যাখ্যাটা আসলে এইরকম। তিনি ভুল বলেন না, কারণ তার কাছে কবিতাটি ওভাবেই ধরা দিয়েছে। অন্যদিকে আননন্দদায়ক, কারণ এই তর্ক-বিতর্কে একটা কবিতার বহুমাত্রিক রূপটিও ধরা পড়ে।
এই লেখায় আমি জীবনানন্দ দাশের 'বনলতা সেন' সম্বন্ধে নিজের অনুভুতির কথা বলার চেষ্টা করবো।
কবিতার শুরুটা এরকম :
'হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।'
হাজার বছর ধরে আসলে কে পথ হাঁটে? এটাকে কি আক্ষরিক বলে ধরে নেব আমরা? সেক্ষেত্রে তো প্রশ্ন জাগেই - একজন মানুষ 'হাজার বছর ধরে' পথ হাঁটে কীভাবে? সেটি যেহেতু সম্ভব নয়, তাই কথাটিকে আক্ষরিক বলে ধরে নেবারও সুযোগ নেই। তাহলে কি দীর্ঘ ভ্রমণের ইমেজ আনার জন্য কথাগুলো বলা হয়েছে? হাজার বছর ধরে পথ হাঁটা, বা সমুদ্রে ঘোরা, বা সুদূর অতীতে বাস করার এই ভাষ্যগুলো কি নিছক একজন পথিকের পথচলার বিবরণ আর পথচলাজনিত কারণে তৈরি হওয়া ক্লান্তির অনুভূতি পাঠকের মনে ছড়িয়ে দেবার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে? নাকি অন্য কোনো মানে আছে এর? আমার কাছে মনে হয়েছে, এটা নিছক একজনমাত্র পথিকের পথচলার বিবরণ নয়। বরং হাজার বছর ধরে যারা এই পথে হেঁটে গেছে, যারা সাগর-সমুদ্রে ঘুরে বেড়িয়েছে, এমনকি 'বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে' যারা ছিলো বা ছিলো 'আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে' - এই বর্ণনাটি তাদের সবার। আর এই সব মানুষই দীর্ঘপথ পেরিয়ে যখন ক্লান্তপ্রাণ হয়ে গেছে, যখন তাদের 'চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন' তখন তাদেরকে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছে 'বনলতা সেন'।
এখানে পথিক যেমন কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি নয়, 'বনলতা সেন'ও তেমনই নির্দিষ্ট কেউ নয়। এটি কেবলই একটি নাম, যেটি বহন করছে ক্লান্ত মানুষের মোহন আশ্রয়ের প্রতীক। এইভাবে দেখলে আমার সুবিধা হয়, নিজেকেও ওই হাজার বছর ধরে পথচলা পথিকদের একজন বলে ধরে নিতে পারি। ভাবতে পারি, আমারও একজন 'বনলতা সেন' থাকলে চমৎকার হতো, আমার সমস্ত ক্লান্তি, সকল বেদনা ও হাহাকার আমি তাকেই সমর্পণ করে দুদণ্ড শান্তি পেতাম!
কিন্তু এইরকম ধরে নিয়ে পরের প্যারায় গিয়ে
'চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য ; ...
পঙক্তি দুটো পড়লে মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে- মুখটি কি শ্রাবস্তীর কারুকার্য হওয়া বা চুলগুলো 'অন্ধকার বিদিশার নিশা' হওয়া কি আবশ্যক? না হলে ক্ষতি কি? না, আশ্যক নয় মোটেই, না হলেও ক্ষতি নেই কোনো, আপনার 'বনলতা সেন' আপনার মনের মতো হলেই হলো! কিন্তু এই প্রশ্নও হারিয়ে যাবে পরের পঙক্তিগুলো পড়লে-
'...অতি দূর সমুদ্রের পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি দ্বীপের ভিতর..'
কী অসাধারণ চিত্রকল্প! 'অতিদূর সমুদ্রের পর' হাল ভেঙে যে নাবিক 'দিশা' হারিয়েছে, তার তো অনিশ্চয়তার শেষ নেই। সে তখন আছে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে - সে কী কোনোদিন ফিরতে পারবে মানুষের পৃথিবীতে, নাকি ওই সমুদ্রেই শেষ হয়ে যাবে তার জীবন - এরকম একটা দোলাচলে। আর তখন যদি হঠাৎ চোখে পড়ে - 'সবুজ ঘাসের দেশ .. দারুচিনি দ্বীপের ভিতর' - কেমন লাগবে তার? জীবন ফিরে পাবার আনন্দ, বেঁচে থাকার আনন্দ কী অসামান্য হয়ে উঠবে না তার কাছে? এরকম একটি ভয়াবহ চিত্রকল্প তৈরি করে, তারপর বলা হচ্ছে -
'তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে ; বলেছে সে, 'এতদিন কোথায় ছিলেন?'
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।'
মানে- বনলতা এমনই একজন, যে জীবন ফিরে পাবার আনন্দ দেয়!
অবশ্য 'পাখির নীড়ের মতো চোখ' নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে কারো কারো। অসুবিধা নেই, আগেই বলেছি, আপনার বনলতা আপনার মনের মতো হলেই হলো। তারচেয়ে বড়ো কথা, এটাকে আক্ষরিকভাবে নেয়ারও কোনো দরকার নেই। 'পাখির নীড়' হয়তো আশ্রয়েরই প্রতীক।
এই কবিতার সবচেয়ে রহস্যময় কথাগুলো আছে শেষ প্যারায়।
'সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে'
শিশিরের শব্দ? কেমন সেটা? বোঝা যায়, নাকি বোঝানো যায়? নাকি কেবলই অনুভব করে নিতে হয়?
'ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল'
রৌদ্রের গন্ধ? সেটা কিরকম? নিজেই কি বুঝলাম কিছু, যে বোঝাবো অন্য কাউকে?
'পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জেনাকীর রঙে ঝিলমিল'
এটা মোটামুটি বোঝা গেল। পৃথিবীর সব রঙ মুছে গিয়ে জীবন এখন বর্ণহীন, সাদাকালো। পাণ্ডুলিপির আয়োজন শেষ, তখন সবই 'গল্প' হয়ে গেছে। একদিন তো সবকিছুই 'গল্প' হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত!
এই পঙক্তি দুটোকে আরো বেশি সাপোর্ট দেয় শেষের দুই পঙক্তি -
'সব পাখী ঘরে আসে - সব নদী - ফুরায় এ-জীবনের সব লেন দেন ;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।'
জীবনের সব লেনদেন ফুরিয়ে গেছে, আর কিছু নেই কোথাও। আছে শুধু অন্ধকার, আর এই বিপুল অন্ধকারের মধ্যে মায়াময় আলোর মতো বনলতা সেন!
আহা, আমাদের সবার জীবনে যদি অমন একজন করে 'বনলতা সেন' থাকতো!
[কৃতজ্ঞতা : প্রিয় ব্লগার একরামুল হক শামীম। এই কবিতাটিও আমি তার লেখা থেকে তাকে না বলেই ধার নিয়েছি!]
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৩
ফকির ইলিয়াস বলেছেন: কবিতার জয় হোক , কবির জয় হোক।
খুবই নান্দনিক লেখা ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইলিয়াস ভাই।
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৪
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: একটা কবিতা ভুলভাবে পড়লে কী বিপত্তি ঘটে তার একটা উদাহরণ দিয়েছিলাম আমার অন্য একটি লেখা - 'না এলেই ভালো হতো' - এ। প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় সেটি তুলে দিলাম :
"সৈয়দ শামসুল হক আমাদের প্রবীণ কবিদের একজন। তাঁর পাঠ অভিজ্ঞতা বা বোঝাপড়া নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। কিন্তু 'বনলতা সেন'-এর প্রথম কয়েকটি পংক্তি পড়ে তিনিও যে মারাত্নক বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন, সেটি বোঝা গেছে তাঁর ' জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন : কিমিয়ার সন্ধানে' লেখাটি পড়ে। (কিমিয়া বলতে তিনি বুঝিয়েছেন কেমিস্ট্রি বা রসায়ন।)
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।
এই হচ্ছে প্রথম কয়েকটি পংক্তি। সৈয়দ হক লিখেছেন_ 'কবিতাটি যখন আমরা শুনি, অথবা মনে মনে আওড়াই, তখন কি একবারও আমাদের মনে হয়_ হাঁটিতেছি কথাটা সমুদ্রের সঙ্গে কীই না অসঙ্গত! হাজার বছর ধরে আমি জল ভ্রমিতেছি পৃথিবীর বুকে_ কেন নয়? কেন হলো 'হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে' যখন তার পরেপরেই আসছে সমুদ্রের কথা? জল ভ্রমিতেছি, জল ভাঙিতেছি_ এমন লেখাটাই তো 'স্বাভাবিক' ছিলো! কবি তা লেখেন নি, আর আমরাও অবলীলায় ওই গৃহস্থ-সুলভ সদযুক্তি ও স্বাভাবিকতাটি উপেক্ষা করে অগ্রসর হই। কবিতার কিমিয়া এভাবেই আমাদের গার্হস্থ্য অভ্যস্ত মনটিকে নাড়িয়ে দেয়, ভেঙে দেয় আমাদের সকল 'স্বাভাবিকতা', শব্দের সকল প্রত্যাশিততা, এবং অনুভবের নীলিমায়।'
শেষের কথাটি খুব সত্যি বলেছেন তিনি। কবিতা আমাদের গার্হস্থ্য অভ্যস্ত মনটিকে নাড়িয়ে দেয়, ভেঙে দেয় আমাদের সকল 'স্বাভাবিকতা'। কিন্তু কবিতাটি বুঝতে ভুল করেছেন তিনি। কেন পথ হাঁটিতেছি, কেন জল ভ্রমিতেছি নয়_ এইসব প্রশ্ন ওই না বোঝার ফল। কিন্তু ভুলটা কোথায়? ভুলটা হচ্ছে পড়ার ধরনে। তিনি কবিতার প্রথম দুই লাইন পড়েছেন এভাবে_
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
ফলে তার মনে হয়েছে যে, কবি সাগরেও হাঁটার কথা বলছেন! আসলে পড়তে হবে এভাবে_
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি;
অর্থাৎ পথে তিনি হাঁটেনই, আর সাগরে ঘোরেন। একটি কবিতার ভুল পাঠ একজন প্রবীণ কবিকেও কিভাবে বিভ্রান্তিতে ফেলে এটি তার প্রমাণ দেয়। যাহোক, সৈয়দ হকের প্রসঙ্গ টানা হয়েছে তাঁকে অসম্মান করার উদ্দেশ্যে নয়, একটি উদাহরণ হিসেবে। এই লেখাটি স্রেফ জীবনানন্দের কবিতার ব্যাপারে আমার নিজের মুগ্ধতা প্রকাশের জন্য লেখা, অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই এর।"
৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৬
জিনাত বলেছেন: 'বনলতা সেন'। এই কবির হাত থেকে আমার মুক্তি নেই ...এমন কবিতা থক্ষকে মুক্তির প্রয়োজন হয়না
১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৪
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: শুধু এই কবিতা তো নয়, এই কবির কথাও বলেছি। সারাক্ষণ যদি জীবনানন্দ আপনাকে দখল করে রাখে, আপনি 'স্বাভাবিক' জীবন-যাপন করতে পারবেন, বলুন!?
৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৮
রাশেদ বলেছেন: হুমম...
১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কি হইলো????!!!!???
৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫২
রাঙা মীয়া বলেছেন: অসাধারন লেখা। আপনার লেখা পড়তে ভালো লাগে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৭
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৭
নাজিম উদদীন বলেছেন: কবিতার ব্যবচ্ছেদ করে পাঠকের কতটুকু লাভ হয়?
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৪
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: লাভ হয় না বোধ হয়। আমি নিজে কখনো 'কবিতার আলোচনা' পড়ে কবিতা পড়ি না। বরং আগে কবিতা পড়ে, যদি মন চায় তাহলে, কোনো একটা লেখা পড়ি - নিজের বোঝাপড়ার সঙ্গে আলোচকের বোঝাপড়াটা মিলিয়ে দেখার জন্য!
লাভ হয় না জেনেও কখনো কখনো লিখি, যতোটা না পাঠকের কথা ভেবে, তারচেয়ে বেশি নিজের অনুভূতিটা শেয়ার করার জন্য।
৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৩
নীল কাক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ...আপনি দারুনভাবে এই চিরচেনা কিন্তু অসামান্য কবিতাটির শিরায় শিরায় 'পথ হেটেছেন' - আপনি একা কেন- এ কবির হাত থেকে আমাদের অনেকেরই মুক্তি নেই ...আর মুক্তি চাইও না। লিখতে থাকুন...অপেক্ষায় থাকলাম।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, মুক্তি নেই। বিপদজনকভাবে তিনি আমাদেরকে দখল করে রাখেন!
পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ অনেক।
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৫
আনোয়ার সাদী বলেছেন: কেমন আছেন কামাল ভাই। ভালো লাগলো আপনার ব্যাখ্যা...
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো-মন্দ মিলিয়ে আছি, তবে মন্দের পরিমাণটাই বেশি।
তুমি কেমন আছ?
ভালো লাগা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১১
তারার হাসি বলেছেন: প্রতিটা শব্দ উপভোগ করলাম, এত ভাবতে গিয়ে কি চিন্তা এলোমেলো হয়ে যায় ?
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: চিন্তায় ফেলে দিলেন! এলোমেলো হতে পারে! এই লেখায় তেমন কোনো চিহ্ন আছে নাকি? ভেবে পাচ্ছি না...
১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১২
হমপগ্র বলেছেন: আপনার বর্ণনা ভাল লাগল।
"হাজার বছর ধরে আমি পথ হাটিতেছি পৃথিবীর পথে"-এই লাইনটার ব্যাখ্যা আমার কাছে একটু অন্যরকম। আমার মনে হয় কালের দীর্ঘতাকে বুঝিয়েছেন তিনি। এটা একান্তই আমার ব্যাক্তিগত মত। এরকম বলছি কারণ কবিতাটা বার বার পড়লে এবং বার বার পড়লে যে জিনিসটা মনে হয় যে মানুষের যে চিরন্তন ক্লান্তি সেটার সামনে যেন এক বনলতা সেন দাঁড়িয়ে আছে। যাকে দেখে আমরা সমস্তই ভুলে যাই। এই ক্লান্তিকে বুঝানোর জন্য সময়ের ব্যাপ্তি টেনেছেন "হাজার বছর" কথাটা এনে। একজন মানুষ ঠিক ততটুকুই ক্লান্ত যত টুকু ক্লান্ত সে হাজার বছর ধরে হাটলে হবে।
কবিতাটা অত্যন্ত শক্তিশালী। জানি না এর ভেতর কী আছে যে যখনই বইটা খুলি ঐ পাতায় ঐ কবিতায় আমার যেতেই হবে। মাঝে মাঝে শুধু শেষের দুইটা লাইন-এর জন্য বইটা হাতরে মরি। একি সম্মোহন!
আর আপনার একটা কথা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। সেটা হলো, আপনার বনলতা সেন আপনার মত। আসলেই আমার বনলতা সেন আমার মত করে গড়া। যার কাছে হাজার বছরের ক্লান্তি আমি ঢেলে দিতে পারব!
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার ব্যাখাটিও গ্রহণযোগ্য, বলাইবাহুল্য। এবং চমৎকারও বটে। এই কবিতা তো একমাত্রিক ব্যাখ্যার অনেক ঊর্ধ্বে! ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো পড়ে।
অনেক ধন্যবাদ।
১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: কবিতার ব্যাখ্যা করতে পারি না সেটা আমার নিজের বুঝার অক্ষমতা বলেই মনে হয়েছে সবসময়,সহজ পথ যেটা,যা মোহময়তা সৃষ্টি করবে সেটাকে নিজের মত ধরে নেয়া,ঐ রাস্তাটাই ধরি সবসময়। কাজেই "'সব পাখী ঘরে আসে - সব নদী - ফুরায় এ-জীবনের সব লেন দেন ;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।' এ ২ লাইন পড়ে আর বাকি কিছুর ব্যাখ্যা খুঁজতে যাইনি কখনো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: নিজের মতো করে ব্যাখ্যা তো থাকেই। সেটা অন্য কাউকে বলতেই হবে, এমন কোনো কথাও নেই। আবার কেউ যদি ব্যাখ্যা না খুঁজেও উপভোগ করতে পারে, তাতেও অসুবিধা নেই। বরং সেটাই ভালো। ঘোর বলি বা মোহময়তা বলি, কবিতা সেটা তৈরি করে বলেই মাধ্যমটি এত শক্তিশালী।
ধন্যবাদ অনেক, নিয়মিত আমার লেখা পড়বার জন্য। ভালো থাকুন।
১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২১
একরামুল হক শামীম বলেছেন: কবিতাটার ইংরেজি অনুবাদ
Long I have been a wanderer of this world.
Many a night
My route lay across the sea of Ceylon somewhere winding to
The ocean of malay.
I was in the dim world of Vimvisar and Asok, and further off
In the mistiness of Vidarbha
At moments when life was too much a sea of sounds-
I had Banalata Sen of Natore and her wisdom.
I remember her hair dark as nights at Vidisha,
Her face : image of Sravasti; the pilot
Undone in the blue milieu of the sea
Never twice sees the earth of grass before him.
I have also seen her Banalata Sen of Natore.
When day is done, no fall somewhere but of dews
Dips into the dusk: the smell of the sun is gone
Off the kestrel's wings. Light is your wit now
Fanning fireflies that pitch the wide things around.
For Banalata Sen of Natore.
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এইসব আপনে পান কই?
[অনেক ধন্যবাদ অনুবাদটি দেয়ার জন্য। কার অনুবাদ এটা?
আপনার অংশগ্রহণে জীবনানন্দ বিষয়ক পোস্টগুলো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।]
১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৫
আনোয়ার সাদী বলেছেন: ভালো। সিডর আক্রান্ত জনপদ এবং আসন্ন নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে এখন খুলনায়।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: বহুকাল ঢাকার বাইরে যাওয়া হয়নি।তুমি এখনো বন্দি হয়ে পড়োনি বলে তোমাকে ঈর্ষা হচ্ছে।
১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৯
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: চমৎকার লেখা।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩২
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৬
রাতের বৃষ্টির শব্দ বলেছেন: আপনি বলেছেন"আবার জীবনানন্দ, আবার কবিতা। এবার 'বনলতা সেন'। এই কবির হাত থেকে আমার মুক্তি নেই!]
আমার ক্ষেত্রেও একি অবস্তা। এটা নিয়ে লেখা দিয়েছিলাম "জীবনের আনন্দ"। ইচ্ছা হলে ঘুরে আসতে পারেন।
"বনলতা সেন" জীবনানন্দ অসহ্য সুন্দর সৃষ্টি।
পাঠক যেভাবে ই এর ব্যাখা অথবা অনুভবের করুক না কেন প্রতিবারে এর সৌন্দর্য্য বেড়েই চলে... বাড়তেই থাকে।
আর আপনার লেখা সব সময়ই পড়তে ভালো লাগে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: তুমিও জীবনানন্দ-ফাঁদে পড়েছ? সর্বনাশ!
তোমার 'জীবনের আনন্দ'র একটা পর্ব পড়েছিলাম। অন্যগুলোও পড়ে নেব।
ধন্যবাদ তোমাকে।
১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৬
একরামুল হক শামীম বলেছেন: বেশ সময় নিয়ে পুরো লেখাটা পড়লাম।
কবিতার বিশ্লেষণ বেশ ভালো লেগেছে।
তবে বনলতা সেনের বিষয়টা একেকজনের কাছে একেকরকম। একেকজনের বনলতা সেন একেকরকম। সুতরাং কবিতাটির দৃশ্যকল্পের গ্রহণযোগ্যতা একেকজনের কাছে একেকরকম।
মাঝেমধ্যে আমি খুব করেই ভাবি- "আমারও একজন 'বনলতা সেন' থাকলে চমৎকার হতো, আমার সমস্ত ক্লান্তি, সকল বেদনা ও হাহাকার আমি তাকেই সমর্পণ করে দুদণ্ড শান্তি পেতাম! "
এই ভাবনাটা কি শুধুই আমার? এই ভাবনাটা কি কোন পরিসরে চিরন্তন নয়? অনেকেই এমন একজন বনলতার দেখা পেতে চান এক জীবনে।
আমারও তাই অমন কথা -
"আহা, আমাদের সবার জীবনে যদি অমন একজন করে 'বনলতা সেন' থাকতো! "
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, ভাবানাটা চিরন্তন। এবং শুধুই 'আমার' নয়, সকলের। আমিও সেই কথাই বলতে চেয়েছি। সবারই ওরকম একজন 'বনলতা সেন' আছে, বা না থাকলেও ওরকম কাউকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আছে। আর সেখানেই কবিতাটা স্পর্শ করে।
১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০০
তারার হাসি বলেছেন: নাহ, আমি ভাবছিলাম ... মানুষ এত গুছিয়ে কিভাবে ভাবতে পারে !
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ওহ! ওটা যে প্রশংসা ছিলো, তা-ও বুঝিনি! এবার বুঝলাম এবং আননন্দচিত্তে গ্রহণ করলাম।
অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৩
সোহেল হাসান গালিব বলেছেন: পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন---এই কথাটা একটু ব্যাখ্যা করবেন? তাহলে একটু তর্ক করতাম। সবাই এদিকটা হাল্কা চালে এড়িয়ে যায়। কিন্তু আমার মনে হয় পুরো কবিতায় পাণ্ডুলিপি শব্দটার ডেপত সব থেকে বেশি। এবং কিছুটা অনালোকিতও বটে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনি আপনারটা বলেন, শুনি। আমি কিন্তু ইঙ্গিত দিয়েছি। আপনার মতটা শোনার পর প্রয়োজন হলে আরেকটু পরিষ্কার করবো।
২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৪৪
মনজুরুল হক বলেছেন:
প্রশংসা করে খাট করলাম না।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: প্রশংসা করে খাটো করা! হা হা হা। ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ।
২১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৪৫
একরামুল হক শামীম বলেছেন: যতোদুর জানি এই অনুবাদটা জীবনানন্দ দাশের নিজের করা।
তবে আমি নিশ্চিত না।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এইভাবে যদি 'জীবনানন্দ সমগ্র'কে অনলাইনে নিয়ে আসা যেত!
২২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৫২
সোহেল হাসান গালিব বলেছেন: আপনি বলেছেন `পাণ্ডুলিপির আয়োজন শেষ, তখন গল্পের শুরু।' কিন্তু কবি মনে হয় উল্টো কথা বলছেন। রঙ নিভে যাবার পরই সে আয়োজন শুরু হলো। কবিতার শেষেও আছে এক অন্ধকারের কথা, যেখানে ভেসে উঠছে বা জ্বলে উঠছে বনলতার মুখ।
তাহলে পাণ্ডুলিপি কি পাণ্ডুবর্ণ লিপি কোনো? জোনাকির মতো ম্লান বিভা নিয়ে অন্ধকারের অবকাশেই যা জ্বলে ওঠে?
এবার আপনি কিছু বলেন। ততক্ষণে আমি টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নটা শেষ করে নেই।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: তোমার ব্যাখ্যাও ঠিক হতে পারে। তবে আমার ব্যাখ্যাটি এবার পরিষ্কার করি।
আমি কিন্তু বলিনি : 'পাণ্ডুলিপির আয়োজন শেষ, তখন গল্পের শুরু।' তুমি ভুল উদ্ধৃতি দিয়েছো। আমি বলেছি :
'পাণ্ডুলিপির আয়োজন শেষ, তখন সবই 'গল্প' হয়ে গেছে। একদিন তো সবকিছুই 'গল্প' হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত!'
'গল্প শুরু' হওয়া আর 'সবকিছু গল্প হয়ে যাওয়া' এক ব্যাপার নয়। শুরু হওয়া মানে জীবনের গল্প নতুনভাবে শুরু হওয়া, আর যখন বলছি সবকিছু 'গল্প' হয়ে যায় বা গেছে, তখন বোঝাতে চাইছি - কিছুই আর নতুন করে ঘটছে না জীবনে, বা ঘটার সম্ভাবনা থাকছে না। যা কিছু ঘটে গেছে, তা হয়ে গেছে গল্পের মতো। এমন তো প্রায়ই ঘটে আমাদের জীবনে। যেমন আমরা বলে থাকি : শামীম নামে আমাদের এক বন্ধু ছিলো, সান্ধ্যভাষায় কথা বলতো! এখন আমেরিকায় থাকে। ... ইত্যাদি। মানে, শামীম এখন 'গল্প' হয়ে গেছে, যদিও একসময় সে নিত্য সহচর ছিলো।
এবার ওই লাইনদুটোতে আসি :
'পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জেনাকীর রঙে ঝিলমিল'
আমার কাছে লাইনদুটো ধরা দেয় এইভাবে : রঙ মুছে যাবার পর আয়োজন শুরু নয়, শেষ হয়ে যায়। তবে আয়োজন শেষ হলেই যে গল্প শেষ হয়ে যাবে তা কিন্তু নয় (যেমন একজন মানুষের মৃত্যুর পরও তাকে নিয়ে 'গল্প' থাকে)। আর তাই 'তখন গল্পের তরে জেনাকীর রঙে ঝিলমিল'... সেই গল্পের মধ্যে, অন্ধকারের মধ্যে থাকে বনলতা, যেন এক আলোকশিখা।
এটা আমার ব্যাখ্যা। চূড়ান্ত কিছু নয়, বলাইবাহুল্য। তাছাড়া, তুমি কবি -আমার চেয়ে কবিতা তুমিই ভালো বুঝবে। এবার তোমার কথা শুনি।
[আজকে আর বেশিক্ষণ থাকবোনা, দেরি হলে কালকেও আলোচনা চলতে পারে।]
২৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৫৬
নরাধম বলেছেন: কোবতে বুঝিনা। তবুও পিলাস। কারন লোকজন এই জীবনানন্দ ব্যাটারে দেখি ভালা পাই।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৯
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হা হা হা। পিলাসটা আমারে দিলেন, না জীবনানন্দরে?
২৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২৮
সোহেল হাসান গালিব বলেছেন: উদ্ধৃতিটা সত্যিই ভুল করেছি। আমার কপি-পেস্ট করা উচিত ছিলো। অথবা গল্পের অংশটা বাদ দেয়াই ছিলো ভালো। কারণ ওই ব্যাপারে আপনি যা বলেছেন, তার সঙ্গে দ্বিমত নেই তেমন।
আমার বক্তব্যটা ছিলো পাণ্ডুলিপি নিয়ে।
এবারে পুরো বিষয়টা নিয়েই আবার শুরু করা যাক। আমার কিন্তু বেশ তীব্রভাবেই মনে হচ্ছে, সমস্ত দিনের শেষেই, যখন সব রঙ নিভে যাচ্ছে, পাণ্ডুলিপির আয়োজন শুরু। গল্পেরও শুরু এক অর্থে, কেননা তখনই তো গল্প হয়ে ধরা দিচ্ছে সব। লক্ষণীয় যে, দিনের আলোয় কবির সঙ্গে নারীটির (আপাতত তাকে নারীরূপেই কল্পনা করা যাক) দেখা হয় নি, হয়েছে অন্ধকারে। অন্ধকারের রঙ কালো, কালো দূরত্বেরও প্রতীক। কবি মনের বহু দূর থেকে তাই মৃদু স্বরে এক নারীকণ্ঠ শোনা গেল : এতদিন কোথায় ছিলেন। এই আপনি সম্বোধন যদিও মিল দেয়ার স্বার্থেই এসেছে, কিন্তু এসে যে দূরত্ব ঘটালো, তাকে তো অস্বীকার করা যায় না। তুমি বললে কিন্তু এ বিপত্তি ঘটতো না। আর সম্পর্কটা সামান্য কদিনের---এমনও মনে হতো না। তার মানে এই নারীকে ঠিক পেয়েও যেন পাওয়া গেল না। এ যেন সেই শঙ্খমালা---এ পৃথিবী একবার পায় তারে, পায় নাকো আর।
তাকে যে হারিয়েছি কিংবা পাই নি যে, সে কিন্তু কবির কাছে দিনের বাস্তবতা। যখন কর্মের প্রহার এসে গায়ে লাগে, যেন রৌদ্রতাপে জ্বলে ওঠে আকাশে উড়াল-দেবার ডানা। সন্ধ্যা এসে এসব মুছে দেয়---শিশিরের শীতলস্পর্শ দিয়ে উত্তাপ---শিশিরের শব্দ মানে প্রায় নৈঃশব্দ্য দিয়ে শব্দের ডামাডোল।
এভাবেই রাত্রির আগমন ও অন্ধকারের আবির্ভাব। আর অন্ধকারেই অবচেতন অর্গলমুক্ত হয়। অপ্রকাশ্য প্রকাশিত হয়ে পড়ে নিজের কাছে। বেরিয়ে পড়ে পাণ্ডুলিপি। কেননা সমস্ত লেখা বা চিন্তাই মুদ্রিত হয় না বা মুদ্রণযোগ্য নয়। সেই অমুদ্রিত জগৎ তাই বলে মিথ্যা নয়। সেইখানে জোনাকির আলো জ্বলে ওঠে। দিনের আলোয় এই সত্য ধরা পড়ে না। রাতের অন্ধকারেই তাকে প্রত্যক্ষরূপে আমরা পাই।
অনন্ত অন্ধকারে তাই কবি বসে থাকেন বনলতা সেনের মুখোমুখি। সেটা হয়তো মিথ্যা কবিরও কাছে, দিবালোকে, মানুষের শাদা চোখের বিচারসাপেক্ষে। কিন্তু আশলেই কি মিথ্যা! তাহলে তো মানুষ কখনোই এই স্বপ্ন আর আশা নিয়ে চলতে পারতো না---
দেখেছি যা হলো হবে মানুষের যা হবার নয়...
আমার বক্তব্য এটুকুই। খুব বেশি কিছু মতদ্বৈততা নেই বোধ হয় আমাদের। আর কবিতা লিখে বলেই কবিতা ভালো বুঝবো এমন কিন্তু কথা নেই। অন্য কেউ ভিন্ন মত নিয়েও হাজির হতে পারে।
আচ্ছা, সব পাখি ঘরে ফের---সব নদী---
নদী কীভাবে ঘরে ফেরে বলে মনে হয় আপনার?
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৯
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: তোমার ব্যাখ্যাটি অবশ্যই নতুনভাবে কবিতাটিকে ভেবে দেখতে উদ্বুদ্ধ করবে। যদিও আমার কাছে মনে হয় - জীবনের সব লেনদেন ফুরিয়ে যাবার পর নতুন করে আর গল্প শুরু হয় না। আমি সেই ভাবনা থেকেই কবিতাটিকে গ্রহণ করেছি। নতুন গল্প না থাকলেও কোথাও না কোথাও হয়তো বেঁচে থাকবার উপকরণ থাকে, বনলতা সেনও হয়তো তেমনই এক প্রতীকের নাম।
এ নিয়ে আরো কথা বলা যাবে। রাতে আবার ফিরবো। কঠিন ব্যস্ততার মধ্যে এইটুকুই বলা গেল শুধূ।
২৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৪৩
ফারুক আহসান বলেছেন: দৌড়ের উপ্রে আছি ভাই এখন, সারারাত পড়ানেকা কল্লাম । পরে সময় নিয়ে পড়ব । অনেকদিন পর কিছু লিখলেন ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমিও দৌড়ের উপ্রেই আছি! লেখার সময়টা পর্যন্ত বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে!
'পরে' পড়লে জানায়েন কিন্তু।
২৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:২৮
সূর্য বলেছেন: উদ্ধৃতি: "'পাখির নীড়' হয়তো আশ্রয়েরই প্রতীক। "
একমত।
আমার মনে হয় চূড়ান্ত বিচারে কবি মৃত্যুর কথাই বলে গেছেন এখানে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৯
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, এক হিসেবে তাই-ই।
২৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৩৭
মুকুল বলেছেন: বনলতা সেন কি বারবণিতার প্রতীক! হতে পারে না?
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৪
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এরকম একটা কথা আগেও শুনেছি। এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক পদত্যাগি উপদেষ্টা ও প্রাক্তন ডাকসাইটে আমলা এই কথাটি বলেছিলেন। তার মতে - 'দুদণ্ড শান্তি' কেবল বারবণিতারাই দিতে পারে! আমি অবশ্য তার সঙ্গে একমত হতে পারিনি। কবিতাটি তো আর ওই লাইনেই শেষ হয়ে যায়নি! আরো এগিয়ে গেলেই বোঝা যায়, বনলতা সেন কেবল দুদণ্ড শান্তিই দেয় না, এই নামটি আসলে একজন ক্লান্ত-বিপন্ন মানুষের মোহন আশ্রয়ের প্রতীক।
২৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১০
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আবার জীবন বাবু?
আপনার হইছে কি?
এই বয়সে প্রেমে পড়ছেন?
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৯
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কী যে কন!
২৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৩৪
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: আমি জীবনানন্দ নিয়ে যা ভাবি, সেই চিন্তাগুলো গুছিয়ে বলতে পারি না। তাঁর কবিতা নিয়ে সেই মোহের জায়গাটা এখনও কাটেনি। কখনও কাটবে না বলেই মনে হচ্ছে! যদি কাটে তাহলে হয়তো কথা বলতে পারবো।
আপনি যেভাবে একটা কবিতা পড়েন, বা সেটা নিয়ে আলোচনা করেন, তাতে একজন মুগ্ধ পাঠকের (সাথে কিছুটা বিস্মিতও) পরিচয় পাই। সেখানে আপনি যত না সমালোচক, বিশ্লেষক, তার চেয়েও বেশি কবিতাপ্রেমী। এজন্যেই আপনার সাথে একাত্ম হতে বাধে না!
আলোচনাও বরাবরের মতোই প্রাণবন্ত হচ্ছে। শামীমের অবদানটুক (ইংরেজী অনুবাদ আগে পড়ি নাই) আরো ভালো লাগলো। জীবনানন্দ বেঁচে থাকুক চিরকাল!
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫৪
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কবিতার সমালোচনা করবো আমি? পাগল হয়েছেন!! কবিরা আমাকে আস্ত রাখবে??? তারচেয়ে এই ধরনের ব্যক্তিগত লেখাই ভালো। এখানে অকপটে মুগ্ধতা প্রকাশ করা যায়, না-বোঝা বা ভুল-বোঝার কথা বলা যায়, কিংবা বলা যায় খারাপ লাগার কথাও। এরকম লেখা খুব বেশি লিখবো না হয়তো, যে কয়টা লিখবো সেগুলোতে এই ধরনটিই রাখতে চাই।
৩০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪৯
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: কবিতা তেমন একটা পড়া হয় না। তবে এই জীবনানন্দ কেনো আমাকে আটকে ফেলে তার ভিতর। কিছুই হয়তো বুঝি না কিন্তু তাও কেমন একটা নেশা চলে আসে ভেতরে। ভেতরের গভীরত্ব আবিষ্কারের একটা নেশা নিজেকে পেয়ে বসে।
বনলতা সেন কবিতাটিতে কেমন যেনো একটা মগ্নতা আছে। শুরুটাই আটকে ফেলে কবিতাটির সাথে।
"হাজার বছর ধ'রে আমি পথ হাটিতাছি পৃথিবীর পথে"
আর শেষটাও কেমন যেনো। মনে হয় এখানেই তো শেষ নয়। কবি যেনো আরও কিছু বলতে চেয়েছেন। কিন্তু বনলতা সেন তাকে বলতে দেননি।
"থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।"
আর আমার কাছে তখন মনে হয়, হাজার বছর ধরে এমন একজনকে আমরা খুজে বেড়াই যাকে পেলে পৃথিবীর সব কিছু অন্ধকার হলেও সে জলজল করে জলবে বনলতা সেনের মতো।
কবির এসব মগ্নতায় হারিয়ে যাই।
জীবনানন্দ.... না জানি কি আছে তার কবিতায়!
জীবনানন্দকে নিয়ে আপনার আগের পোষ্টগুলোও পড়েছি কিন্তু মন্তব্য দেইনি। কারণ তাঁর কবিতার ব্যাখ্যায় যাওয়ার কিংবা তাকে নিয়ে কোনো লেখার মন্তব্য করবার সাহস পাইনা। তবে এবার নিজেকে আটকে রাখতে পারলাম। কারণ, বনলতা সেন। কারণ, আমারে দু-দন্ড শান্তি দেয় জীবনানন্দের বনলতা সেন।
ভালো থাকবেন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১২
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: জীবনানন্দের 'বনলতা সেন'কে ছেড়ে এবার নিজের জন্য একজন 'বনলতা সেন' খোঁজো!
৩১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২২
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অদ্ভুত বিশ্লেষণ.......।
মনে হলো একটা ক্লাসরুমে বসে আছি....
ডায়াসে দাঁড়িয়ে কেউ এভাবে বলছে...।
জানালার বাইরে ধূসর পৃথিবী.........।
জীবনানন্দ কে এভাবে আপনার চোখে দেখতে ভালোই লাগলো।
একটা কবিতা মানুষকে যে কতভাবে ভাবাতে পারে......
দুইটা লাইন যে কিংবদন্তী হতে পারে........
এই কবিতাই তার প্রমান......।
খুব একা সময়ের হাত ধরে জীবনানন্দ জীবনে এসেছিলো....এখনো খুব একা বোধ হলেই পাতা উল্টাই.....
বিস্মিত হই বারবার..........
কি করে সম্ভব?
এত বিশালতা।
এমন করে লেখা?
"'হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।'
যতদিন জীবন থাকবে.......নানা ভাবে ,নানা বোধে এই অন্বেষণ
চলবেই।
এই খুঁজে ফেরা কভু শেষ হবার না।
ভালো থাকবেন।
শুভকামনা থাকলো।
১৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: দীর্ঘ এবং আবেগময় মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। জীবনানন্দ এভাবেই আমাদের দখল করে রাখেন, ঘোরগ্রস্থ করে রাখেন। অসামান্য কবি তিনি, সন্দেহ নেই। হয়তো পৃথিবী-সেরা কবি। বিশ্বজোড়া খ্যাতি বা স্বীকৃতি পাননি বটে, তবে যতোই দিন যাচ্ছে তিনি ততোই বাংলা ভাষাভাষিদের কাছে অনিবার্য হয়ে উঠছেন। আমাদের সৌভাগ্য - জীবনানন্দ বাংলা ভাষার কবি।
৩২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪১
সাইফুর বলেছেন: ্আপনার লেখা সবসময়ই একটু অন্যধাচের..ভালো লাগে
১৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ সাইফুর। ভালো থাকবেন।
৩৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:১৬
রবিন৭৫৭ বলেছেন: স্যার, লেখাটা খুব ভালো লাগলো।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৭
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৬
হরিণ বলেছেন: কামাল ভাই, সালাম নিবেন। অনেকদিন দেখছিনা আপনাকে, বেশ মিস করেছি।
আমার অত্যন্ত প্রিয় দুটি কবিতা, সুনীলের কেউ কথা রাখেনি
আর জীবনানন্দের বনলতা সেন।
আমি সারাদিন গুণ গুণ করে এই দুটি কবিতা আবৃত্তি করতে থাকি। ভালো লাগে, মাঝে মাঝে এক রুম পুনরায় আবৃত্তির অনুরোধও করে।
তো আপনার চমৎকার বিশ্লেষণ আভিভূত করেছে। আর কামাল ভাই
তেত্রিশ বছর কাটল আমার ফোন আজো বাজল না !
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমি তো নিয়মিতভাবেই অনিয়মিত, এ আর নতুন কি?
লেখা ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।
আমার ফোন-ফোবিয়া আছে রে ভাই! এই কারণে ফোন করা হয় না।
৩৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৫৪
রাগ ইমন বলেছেন: ভাইয়া , আরেকটি চমৎকার বিশ্লেষন , আরেক বার মুগ্ধতা ।
মুক্তি নাই জীবনের আনন্দ থেকে যে কিনা রেখেছে আমাদের দাশ করে ।
এই লেখা গুলো কলেযে পড়তে পড়তে পেলে ভালো হত , ইন্টারেও বাংলায় আশি পেতাম হয়ত ।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেকদিন পর আপনি আমার ব্লগে এলেন। ধন্যবাদ!
এইরকম লেখা লিখে আশি পাওয়া! গোল্লা পেতেন !
মাস্টাররা এইসব বাকোয়াজি পছন্দ করে না!
৩৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৫১
শিমুল সালাহ্উদ্দিন বলেছেন: আহমাদ মোস্তফা কামালকে অশেষ ধন্যবাদ। চমৎকার লেখাচিন্তাটির জন্যই নয় শুধু এমন প্রাঞ্জল একটা আলোচনার সূত্রপাত করবার জন্যও। শুভকামনা।
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
উত্তর দিতে দেরি হলো বলে দুঃখিত। বেশ কদিন পরে ব্লগে এলাম।
শুভেচ্ছা।
৩৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২৫
রবিন৭৫৭ বলেছেন: স্যার মনে হয় চিন্তে পারেন নাই। আমি রবিন,এল এ ফি ২০০৫, বার্ড কুমিল্লা।
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৯
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: রবিনের সঙ্গে ৭৫৭ লাগালে চেনার উপায় আছে? ছবিতেও তো চেনা যাচ্ছে না!
যাহোক, আছো কেমন? কোথায় আছো এখন, কি করছো?
৩৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩২
তীর্থঙ্কর বলেছেন: bhalo, khubi bhalo...kamal bhai. tobe apnar lekhar thekeo...poroborti alochona ar motamot gulo aro beshi pranobonto chhilo. raag korlen nato!!
amar kaache Bonolota k shudhu akta asroy o mone hoy na...mone hoy sheshhinotar okul pathare ashar alotuku...ja manob jonome kokhono phuray na. tai amader shobar ashole Bonolota achhei, thakei, er haat theke kono mukti nei....jemon mukti nei Jibonanondo theke. Tobe Bonolotar shathe onek shomoy amader dekha hoy na...karon amra taake kothay khujte hoy ta jani na....ekebarei baktigoto abol tabol hoye galo...
Roman alphabet er jonno dukkhito...Department er computer e Bijoy ba Unijoy upload korar kono upay nai. Oxford er colonial heritage....
Bhalo thakben ar Pandulipi bishoyok alochonatai shera.
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৯
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ব্লগের এই আলোচনা, মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য আমাকেও ভীষণ আনন্দ দেয়। অনেক সময়ই দেখা যায়, মূল লেখার চেয়ে মন্তব্যগুলোই অধিকতর আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
কবিতা নিয়ে কথা বলার সময় আমি সবসময়ই আলোচনাটি ওপেন এন্ডেড রাখি। মনে রাখতে চাই, কবিতা সম্বন্ধে কোনো কথাই শেষ কথা নয়। এ নিয়ে রিজিডিটিরও কোনো মানে নেই। এখানেও সেটিই ঘটেছে। আমি আমার মতামত দিয়েছি, পাঠকরা তাদেরটা দিয়েছে - সবটা মিলিয়েই একটা লেখা এটি। হয়তো আরো অনেক পাঠক অন্যভাবে এটিকে দেখে, সেই মতামতগুলো পেলেও এখানে যুক্ত করে দেয়া যায়! আর, হয়তো এভাবেই, আমরা একটা কবিতার পূর্ণাঙ্গ অর্থ খুঁজে বের করতে পারি।
আপনার মন্তব্যও এই লেখাটির সঙ্গেই যুক্ত হয়ে রইলো।
তীর্থঙ্কর নামের আড়ালে যে নাট্যকর্মীটি লুকিয়ে আছে তিনি কি জানেন, তিনি আমার কতোটা প্রিয়? বুঝতে কি পারবেন, তার এই মন্তব্য আমাকে কতোটা আনন্দিত করেছে?
ভালো থাকুন।
[আপনার চলে যাওয়াটাকে এখনো মেনে নিতে পারিনি কিন্তু!]
৩৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৫
বক্ররেখা বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। ডঃ আলী আকবর খান তাঁর একটি লেখায় খুবই চমৎকার ভাবে এই কবিতাটির ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। আমার স্মৃতি যদি প্রতারণা না করে থাকে তবে ব্যাখ্যাটা (অতি সংক্ষেপে) ছিল এরকম:
বনলতা সেন ছিলেন মূলত বারবণিতা বা পতিতা। যার কাছে ক্লান্ত মানুষ দুদন্ড শান্তির আশায় যায়। সাধারণত মানুষ তার মানস প্রতিমার নিকট দুদন্ড শান্তি কামনা করে না। তাদের চাওয়া পাওয়া থাকে অনেক বেশী। অন্য দিকে উক্ত বারবণিতাটি হতে পারে কবির পূর্ব পরিচিত যার দরুন বহুদিন পর কবিকে দেখে তার প্রশ্ন "এতদিন কোথায় ছিলেন" ? আবার দেখা যায় দিনের শেষে যখন মানুষ ঘরে ফেরে তখন অন্ধকারে মুখোমুখি বসে বনলতা সেন। একসময় অবশ্য নাটোর বারবণিতাদের জন্য বিখ্যাত ছিল।
এ বিষয়ে একটু আলোচনা করবেন কি?
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৪৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আকবর আলী খানের ব্যাখ্যাকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়নি আমার কাছে। অনুগ্রহ করে ওপরে মুকুলের মন্তব্যের উত্তরে আমার কথাগুলো পড়ে দেখুন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৪০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৬
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: বনলতার বারবনিতা পরিচয়টা আমার পছন্দ নয়। সেখানে খুব বেশি একচোখো দৃষ্টি পড়ে বলে মনে হয়। আপনার ব্যাখ্যার সাথেও সেজন্যে সহমত কামাল ভাই। ভালো থাকুন। আমি এসেছিলাম নতুন লেখার আশায়। কখন পাচ্ছি?
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৪৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: বনলতার বারবনিতা পরিচয়টা আমার কাছে গ্রহণযোগ্যই মনে হয় না। অবশ্য কেউ যদি দুদণ্ড শান্তি' পর্যন্ত এসে আর না পড়েন, কিংবা শুধুই ওই একটি পঙক্তির ওপর ফোকাস করেন, তাহলে কিছু বলার নেই!
নতুন লেখা যে কবে দিতে পারবো, বলতে পারছি না ভাই। কঠিন ব্যস্ততায় দিন কাটছে। লিখতে পারছি না, পড়তেও পারছি না। ব্লগেও এলাম কয়েকদিন পর। আপনি কেমন আছেন?
৪১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৫২
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: আমার বেশ আরামদায়ক ব্যস্ততায় দিন কাটছে! লেখালেখিও চলছে খুব!
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ঈর্ষায় নীল হয়ে গেলাম!
৪২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:০৫
তীর্থঙ্কর বলেছেন: teenbaar banglay lekhar cheshta kore haal chhaarlam.
jai likhi kothay jani haray jay.
1. ami amon kothao jai ni jaake 'chole jawa' bola jay.
2. ami chole gale, apnar blog e comment korlo k?
3. biswashobhar nagorik amra; bhugoler sheema perolei ki chole jawar khatay naam likhe phelben?
4. somewhere e dhukle ar apnader eishomosto lekha lekhi dekhle amio eershay neel , beguni shob hote thaki.
5. prolubdho hoye ak khana post diye felsi...shomoy noshto korte chaile pore deikhen ar jodi bastota thake tahole to bechei gelam....
6. post ta kamne pathate hoy ta kintu jani na
7. bhalo thakben ar likhte thakben jate aro beshi neel, beguni abong prolubdhotay utteerno hote pari :-)
Poonoshcho: Teerthangkar amar prothom natok, prothom shontaner moto beshi prio ar ditiota alor mukh dekheni bidhay amio taake aloy anini. ar tritio o shorboshesh j natok khana akbar dekhe abong ditiyo bar na dekhte paray apni ato raag kore achhen, shei naamta ektu beshi Obvious hoye jawar bhoye amar prothom shontan kei shathi kore nilam.
Bhalo laaglo. BHalo thakben
২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০৭
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: যা ভেবেছিলাম! আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা হবে বলে আশংকা করেছিলাম, তাই-ই হয়েছে।
আপনার ক্ষেত্রে 'চলে যাওয়া' বলতে আমি বরাবরই মঞ্চ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেছি। 'বিশ্বনাগরিক' 'ভুগোলের সীমানা পেরুনো' এইসব বহু-ব্যবহারে জীর্ণ শব্দগুলো এখানে ব্যবহার না করলেও চলতো। আপনি যদি ওখানে গিয়ে ওখানকার মঞ্চে বিশ্ব-কাঁপানো কাজ করেন, আমি তাতে খুশি হবো বটে, একইসঙ্গে কষ্টও হবে এই কথা ভেবে যে, এ দেশে ব্যাপারটা ঘটতে পারতো। দেশের প্রতিভাবানরা বাইরে চলে গেলে খারাপ লাগে, মনে হয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো সম্পদ হারিয়ে ফেললাম।
আপনার বাস্তবতা বুঝি। জানি এও যে, ফিরে আসবেন আপনি, আবার কাজ করবেন। কিন্তু এই সাময়িক বিরতিটাও ভালো লাগছে না আমার। সেটাই বোঝাতে চেয়েছি।
একজন শিল্পীর জন্য শিল্পের চেয়ে বড়ো কিছু নেই, বৈষয়িকতার ব্যাপারে তাকে কিছু না কিছু ছাড় দিতে হয়। আর মঞ্চ হচ্ছে এমন এক মাধ্যম যেটি নিয়মিত উপস্থিতি কামনা করে। এটা তো কবিতার মতো নয়, যে, কবি না থাকলেও চলবে!
যাহোক, এই বিষয়টি নিয়ে আপনাকে অনেক বেশি বলে ফেলেছি, আপনি সম্ভবত ক্লান্ত, এবার ক্ষান্ত দিই।
[আপনার লেখাটি পড়তে দারুণ কষ্ট হয়েছে। রোমান হরফে বাংলা পড়া যায় বটে, তবে বেশিক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে অসুবিধা হয়। তবে আপনার লেখাটি চমৎকার। পড়ার পর কষ্টটুকু দূর হয়ে যায়।]
৪৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৫৪
বৃষ্টি ভেজা সকাল বলেছেন: এখানে ভালই সাহিত্য চর্চা চলতাছে
২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ! তাইতো মনে হইতাছে!
৪৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৫
রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: কী অবস্থা?
আমার বিবাহিত অবস্থা।
২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: বিবাহিত অবস্থা!!! উত্তম, অতি উত্তম!
৪৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:২৭
ইয়াহু নিয়াজ বলেছেন: স্যার ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটার লিংক ফেসবুকে দেয়ার জন্য... না হলে হয়তো এত সুন্দর লেখাটা পড়তেই পারতাম না..... আমরা যারা আপনাকে আইইউবি থেকে...আপনার লেখার ভক্ত....
২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৪
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'ইয়াহু নিয়াজ' আবার কেমন নাম? চিনতে পারিনি! তবু ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।
৪৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১১
একরামুল হক শামীম বলেছেন: নতুন লেখা পড়তে পারবো কবে?
২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কিছুই বলা যাচ্ছে না শামীম! ভয়াবহ ব্যস্ততা। তবে দু-চারদিনের মধ্যেই আবার ব্লগে নিয়মিত হবো।
৪৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩১
মহাকালর্ষি বলেছেন: "নামটা শুনেছি পড়িনি আমি, জীবনানন্দ দাশ, লাশকাটা এই শহরে, আমি জীবন্ত লাশ"- অঞ্জনের গানটির সূত্র ধরেই বলছি, আমার অতি প্রিয় এ কবির খুব বেশি কবিতা এখনো পড়তে পারিনি।
তবে আপনার বিশ্লেষণটা ভালো লাগলো।
'আমি যদি বনহংস হতাম, বনহংসী হতে যদি তুমি'- আমার খুব ভালো লাগা এ কবিতাটির আপনার মত একটা বিশ্লেষণ দিবেন প্লিজ? {যদি কখনো আপনার সময় হয়}
ভালো থাকবেন।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সময়-সুযোগ মতো আপনার প্রিয় কবিতাটি নিয়ে কিছু কথা বলার ইচ্ছে রইলো।
৪৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৫৩
তীর্থঙ্কর বলেছেন: কামাল ভাই,
মঞ্চের মানুষদের এরচেয়ে কষ্ট কিছু নেই। তবে নাট্যকার না থাকলেও চলে।
'ওখানকার মঞ্চে বিশ্ব-কাঁপানো কাজ ' করতে পারলেতো ভালোই লাগতো, কিন্তু 'বৈষয়িক' পিএইচডির কি হইতো। এই ভ্যাজালের ফঁাকে একটা খবর দেই -- সেমিসটার শেষ হলেই নতুন নাটক ধরতেছি। নাইলে নাট্যকার হইতে হইতে মরার সময় হয়ে যাবে।
ভালো থাকবেন আর ভদ্রতাসূচক প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ দেওয়া থেকে বিরত থাকলাম।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভদ্রতাসূচক প্রশংসা!! নো কমেন্টস!
নাটক লেখার খবর পেয়ে ভালো লাগলো। তবে আমি আপনাকে আবারও মঞ্চে দেখার অপেক্ষায় থাকবো।
৪৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৪১
সাইফুর বলেছেন: জীবনানন্দ নিয়ে বিশাল অবস্থা...
কেমন আছেন ভাইয়া?
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৫৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, বিশাল অবস্থাই তৈরি হওয়ার মতো কবি জীবনানন্দ।
আমি আছি ভালো-মন্দ মিলিয়ে। আপনি কেমন আছেন?
৫০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: বনলতার বারবনিতা পরিচয়টা আমার কাছে গ্রহণযোগ্যই মনে হয় না। অবশ্য কেউ যদি দুদণ্ড শান্তি' পর্যন্ত এসে আর না পড়েন, কিংবা শুধুই ওই একটি পঙক্তির ওপর ফোকাস করেন, তাহলে কিছু বলার নেই!...
সহমত!
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, কবি।
৫১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৫৯
তারার হাসি বলেছেন: আপনি দেখছি সত্যি সত্যি একজন অলস লেখক ...
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনি তো আমার চেয়ে বেশি অলস!
৫২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩২
মিশু মিলন বলেছেন: আমার প্রিয় কবি, প্রিয় কবিতা নিয়ে লিখেছেন। সুতরাং লেখা নিয়ে আর কিছু বলবো না। আপনার নতুন লেখা কবে পাচ্ছি? আমার ব্লগে আমন্ত্রণ। ভালো থাকুন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৫৭
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: লেখা নিয়ে বলবেন না কেন? ভালো না লাগলেও তো বলা যায়!
আমন্ত্রণ রক্ষা করা হবে।
৫৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৩২
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: আপনার সমীপে একটা অনুরোধ রাখছি:
জীবনানন্দের 'অন্ধকার' কবিতাটি নিয়ে একটা পোষ্ট দেয়া যায় না?
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৫৪
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার অনুরোধ রাখবো প্রণবদা, কথা দিচ্ছি। তবে কবে যে পারবো তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ভীষণ ব্যস্ততা যাচ্ছে। আশা করি তাড়াতাড়িই কাটিয়ে উঠতে পারবো।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।
৫৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:০৪
আকাশচুরি বলেছেন: মুক্তি নাইরে ক্ষ্যাপা, মুক্তি নাই!! কেবা চাই এমন মধুর বিভ্রান্তির আল ভাংতে??
কেমন আছেন?
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৫৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: তা তো বুঝলাম কিন্তু আপনি এতদিন ছিলেন কোথায়???
৫৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫০
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন:
৫৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৩
রাশেদ বলেছেন: ঈদ মোবারক!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩২
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ঈদ মোবারক, আপনাকেও!
৫৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:১৫
মৈথুনানন্দ বলেছেন: নতুন কিছু দাও গ্রু!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৬
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: কেন এটা কি পুরনো জিনিস বলে মনে হলো তোমার?!?
'নতুন কিছু'র জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। পাণ্ডুলিপি নিয়ে ব্যস্ত, তাই এই বিরতি।
৫৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৩৩
আকাশচুরি বলেছেন: ঈদ মোবারক!
ভার্চুয়াল কোলাকুলি কবুল কইরেন কামাল ভাই
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমার আগের প্রশ্নের উত্তর দেন নাই। কোলাকুলি গ্রহণ করা হইলো না!
৫৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৩
তপন বাগচী বলেছেন: কামাল, তোমার বনলতা নেই, মনলতা তো আছেই! আমাদের সকলেরই একএকজন মনলতা সেন আছেন। তাঁকে নিয়ে তো সারাজীবন কাটিয়ে দেয়ার স্বপ্ন দেখছি।
ধন্যবাদ, একটা চিরকালীন কবিতা নিয়ে আপনার সাম্প্রতিক অনুভব প্রকাশের জন্য।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ তপনদা। উত্তর দিতে দেরি করে ফেললাম। ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পাচ্ছি না! আপনি কেমন আছেন?
৬০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৯
রাতমজুর বলেছেন: তমা, ঝুমী আর কামাল ভাইকে অনেক শুভেচ্ছা।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২১
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৯
সাইফুর বলেছেন:
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: থ্যাংকস ফর দা কালারফুল উইশ!
৬২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০০
একরামুল হক শামীম বলেছেন: শুভ জন্মদিন
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৬৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৭
মৈথুনানন্দ বলেছেন: বড়ো আশা করে তোমায় একটা জিনিস পাঠিয়েছিলুম গুরু - তড়িত ডাকবাক্স হাঁটকানেকো মাঙতা।
৬৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৫৪
বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: প্রিয় কবিতার দূর্দান্ত পোস্ট-মর্টেম
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:১৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: থ্যাংকস।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: সম্পূর্ণ কবিতাটি একবার পড়ে নেয়া যাক :
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি ; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি ; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে ;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারি দিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য ; অতি দূর সমুদ্রের পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে ; বলেছে সে, 'এতদিন কোথায় ছিলেন?'
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে ; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল ;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জেনাকীর রঙে ঝিলমিল ;
সব পাখী ঘরে আসে - সব নদী - ফুরায় এ-জীবনের সব লেন দেন ;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।