নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বন্দি কারাগারে

আমি বন্দি কারাগারে

আমি বন্দি

আমি বন্দি কারাগারে

আমি বন্দি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যগল্পঃ পোনের হাজার টাকার ঈদ শপিং

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৯

সিমা টাকা চাইলো তার বাবার কাছে ! আব্বু টাকা দাও! বাবা বললো কিসের টাকা ? সিমা বললো ! ঈদের শপিং করবো তার জন্য টাকা ।
বাবা বললো ও আচ্ছা সেই টাকা ! সিমা হুম-বাবা বললো তুই দাড়া
আমি টাকা দিচ্ছি বলে বাবা সিমাকে কিছুক্ষণ পর চারহাজার টাকা দিল । সিমা বাবা কে বললো কত দিলে এতে আমার হবেনা । বাবা বললো মানে ?
তাহলে তোর কত লাগবে ? সিমা বললো আমার পোনের হাজার টাকা লাগবে । বাবার আবার প্রশ্ন মা তুই এত টাকা দিয়ে কি করবি ? সিমার একই উত্তর বাবা আমি ঈদের কেনাকাঁটা করবো । বাবার ফের প্রশ্ন তোর একাই ঈদের কেনাকাঁটা করতে পোনের হাজার টাকা লাগবে ? মেয়ে সিমা হ্যা লাগবে বাবা ।
বাবা সিমাকে বললো চল আমার সাথে । সিমা বললো কোথায় ?
বাবা বললো চল গেলেই দেখতে পারবি ।
সিমা চলো বলে বাবার সাথে ঘরের বাহির হলো ।
ঘরের বাহিরে এসে একটি রিক্সায় উঠে বাবা রিক্সাওয়ালাকে বললো ষ্টেশনে যাওয়ার জন্য ।
রিক্সাওয়ালা সিমা ও বাবাকে একটারেল ষ্টেশনের কাছে
নিয়ে গেলেন সেখানে বাবা সিমাকে কিছু অনাথ ছেলেমেয়েদের
দিকে তাকাতেবললেন । সিমা তাদের দিকে তাকালো
বাবা সিমাকে বললো কিরে কিছু বুঝলি ? সিমা বাবাকে বললো
না বাবা । বাবা বললো তুই যে পোনেরহাজার
টাকা চাইলি তোর একার ঈদের কেনাকাঁটার জন্য
অথচ দেখ এদেরকে দুইশত টাকা থেকে তিনশত টাকা দিয়ে একটাজামা কিনার মত টাকা নেই । বাবারকথায় কিছুই
সিমা কিছুই বললো না । সিমা ও বাবা ওখান থেকে বাসায় চলে গেলেন । বাবা বুঝতে পেরেছেন সিমা রাগ করেছে । তাই বাবাও বাসায় চলে গেলেন এবং বাসা থেকে সিমাকে পোনের হাজার টাকা দিলেন ।
টাকাটা বাবার হাত থেকে নেওয়ার সময় সিমা বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে লক্ষ করলে বাবার মুখটা অন্যরকম হয়ে গেছে । তাই সিমা বেশিক্ষণ বাবার সামনে দাড়াতেপারেনি ।
সিমা বাসা থেকে বাহির হয়ে গেলো । বিকাল বেলা সিমা তার বাবার নাম্বারে ফোন দিল
বাবা তুমি কোথায় ? বাবা বললেন আমি বাসায় ।
কেনো ? সিমা বললো দরকার আছে । এই বলে সিমা লাইনটা
কেটেদিলো । সিমা বাবার সাথে কথা বলে বুঝতে পারলো বাবার মনটা অনেক খারাপ । তাই সিমা বাসায় যেয়ে তার বাবাকে বললো চলো । বাবার প্রশ্ন কোথায় ? সিমা বললো আমি
যেখানে নিয়ে যাবো সেখানে যাবে ।তারপর বাবা সাথে বাহিরে যেয়ে একটি রিক্সায় উঠলেন । সিমা তার বাবাকে নিয়ে একটা এতিমখানার সামনে গেলাম ।
সেখানে সিমার আরো অন্যসব বন্ধুরাও ছিল ।
সিমা তার বাবাকে বললো বাবা কিছুবুঝতে পারলে ?
সিমার বাবা বললো না । তখন সিমা বললো এইযে এখানে ছেলে
মেয়েগুলোকে দেখছো এরা সবাই হলো এতিম ।
এদের মা বাবা কেউ নেই তোমার কাছ থেকে
আমি যে পোনের হাজার টাকা নিয়েছি সেই টাকাগুলো ও আমার অন্য সব বন্ধুরাও আরো কিছু টাকা দিয়েছে সবগুলো টাকা এক সাথে মিলিয়ে এই এতিম শিশুগুলোর জন্য এবারের ঈদের জামা কাপড় কিনে দিছি । একই সাথে তোমার দেখানো রেল ষ্টেশনের ছেলে মেয়েদের জন্যও কিছু জামা কাপড়কিনে দিছি ।
আর এই যে এতিমখানাটা বাবা এটাও আমরা ৪/৫ জন বন্ধু
মিলে চালাই । সবখরচ আমরাই দেই বাবা । সিমার কথা শুনে তার বাবার চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল । সিমার বাবা সিমাকে বললো মারে বুকটা আমার গর্বে ভরে গেলো । আর বাবা তখন সিমাদের দোআ করলো এই বলে সিমা আমি দোয়া করি মা তোরা যেন
ভালোভাবে এইসব গরীব এতিম ছেলেমেয়েদের পাশে থেকে সবসময় এবাবে সাহায্যকরতে পারিছ ।

উসর্গঃ আমার ফেসবুকের একজন বন্ধুকে

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০১

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ভালো হয়েছে :)

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২১

আমি বন্দি বলেছেন: ধন্যবাদ বাপ্পা ভাই । শুভ মাঝ রাত

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সুন্দর মন ভালো করার গল্প। +++

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৬

আমি বন্দি বলেছেন: ধন্যবাদ বোকা ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন ।
আচ্ছা বোকা ভাই আপনি চালাক হবেন কবে । :)

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: রম্য হিসেবে মোটেও ভাল হযনি তবে গল্পের মোরালটা ভাল। যতি চিহ্নের ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করুন একটু

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

আমি বন্দি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল থাকবেন । শুভকামনা থাকল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.