![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাহাঙ্গীর ১৫৬৯সালের৩০শে আগস্ট থেকে ১৬২৭সালের২৮শে অক্টোবর পযন্ত ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের চতুর্থ সম্রাট । তিনি ১৬০৫ সাল থেকে তার মৃত্যু অবধি ১৬২৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছেন ।
জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট আকবর এর পুত্র । তিনি ১৫৯৯ সালে তার পিতা আকবর এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন । সেই সময় আকবর দক্ষিণ ভারত এ ব্যস্ত ছিলেন । তিনি হেরে গেলেও পরবর্তী কালে তার সৎমা রুকাইয়া সুলতান বেগম এবং সেলিমা সুলতান বেগম এর সমর্থনে ১৬০৫ সালে রাজা হতে সমর্থ হন । প্রথম বছরেই তাকে তার বড় ছেলে খসরুর বিদ্রহের মোকাবিলা করতে হয় এবং তিনি তাতে সফল হন । তিনি খসরু সমর্থিত ২০০০ লোককে মৃত্যুদণ্ড দেন ও খসরুকে অন্ধ করে দেন । বাবার মত চমৎকার প্রশাসন ছাড়াও জাহাঙ্গীর এর শাষনামলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা শক্তিশালী অর্থনীতি এবং চিত্তাকর্ষক সাংস্কৃতিক সাফল্য বিদ্যমান ছিল । তাছাড়া সার্বভৌম সীমানা অগ্রসরও অব্যাহত ছিল বঙ্গ মেওয়ার, আহমেদনগর ও দক্ষিণ ভারত পর্যন্ত তার রাজ্য বিস্তৃত ছিল ।
এই সাম্রাজ্য বৃদ্ধির একমাত্র বাঁধা আসে যখন প্যারস্য অঞ্চলের সাফারীদ রাজবংশের শাহেনশাহ আব্বাস কান্দাহার আক্রমন করেন । তা ঘটে যখন ভারতে তিনি খসরুর বিদ্রহ দমন করছিলেন । তিনি রাজপুতানা রাজাদের সাথে সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনায় বসেন এবং তারা সকলেই মুঘল আধিপত্য মেনে নেন ও তার বদলে তাদের মুঘল সাম্রাজ্যে উঁচু পদ দেওয়া হয় । জাহাঙ্গীর শিল্প বিজ্ঞান এবং স্থাপত্য সঙ্গে মুগ্ধ হয়ে তরুণ বয়স থেকেই চিত্রকলার প্রতি ঝোঁক দেখিয়েছেন এবং তার নিজের একটি কর্মশালায় ছিল । মুঘল চিত্রকলা শিল্প, জাহাঙ্গীর এর রাজত্বের অধীনে মহান উচ্চতায় পৌঁছেছিল । তার সময় উস্তাদ মনসুর পশু পাখির ছবি একে বিখ্যাত হয়েছেন । জাহাঙ্গীরের একটি বিশাল পক্ষিশালা এবং পশুশালা ছিল । জাহাঙ্গীর ইউরোপীয় এবং ফার্সি শিল্পকলাকেও ভালবাসতেন । তিনি ফার্সি রানী নুর জাহান দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তার সাম্রাজ্য জুড়ে ফার্সি সংস্কৃতি প্রচার করেন । তার সময়েই শালিমার গার্ডেন তৈরি হয় । জাহাঙ্গীর তার বাবার মত একজন কঠোর সুন্নি মুসলমান ছিলেন না । তিনি সার্বজনীন বিতর্কে বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের অংশগ্রহণ করতে দিতেন । জাহাঙ্গীর তার লোকদের কাউকে জোড়পূর্বক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বারণ করতেন । তিনি সকল প্রকার ধর্মের লোকেদের থেকে সমান খাজনা নিতেন । থমাস রো এডওয়ার্ড টেরি সহ অনেকেই তার এইপ্রকার আচরণের প্রশংসা করেন । থমাস রোর মতে জাহাঙ্গীর নাস্তিকতায় বিশ্বাসী ছিলেন ।
তার অনেক ভাল গুন থাকা সত্ত্বেও মদ্যপান এবং নারী এই দুই আসক্তির জন্য জাহাঙ্গীর সমালোচিত হয়েছেন । তিনি এক সময় তার স্ত্রী নুর জাহান কে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়ে ফেলেন এবং নুর জাহান বিভিন্ন বিতর্কিত চক্রান্তের সাথে জড়িয়ে পড়েন । ১৬২২ সালে তার পুত্র ক্ষুরাম প্রথম বিদ্রোহ করেন । কিন্তু ১৬২৬ সালে জাহাঙ্গীরের বিশাল সেনাবাহিনীর কাছে কোণঠাসা হয়ে তিনি নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করেন । কিন্তু ১৬২৭ সালে তার মৃত্যুর পর ক্ষুরামই নিজেকে শাহ জাহান উপাধিতে ভূষিত করে সিংহাসন দখল করেন । জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর বিভিন্ন গল্প সিনেমা এবং সাহিত্যে তার ও আনারকলির রহস্যে ভরা সম্পর্ক স্থান পায় ।
রাজকুমার সেলিম ৩৬ বছর বয়েসে তার বাবার মৃত্যুর ৮ দিন পর ৩০ নভেম্বর ১৬০৫ সালে ক্ষমতায় এসে নিজেকে নুরুদ্দিন মহম্মদ জাহাঙ্গীর বাদশাহ গাজী উপাধিতে ভূষিত করেন । সেখান থেকেই তার ২২ বছরের রাজত্বের শুরু হয় । তিনি প্রথমেই তার ছেলে খসরু মিরজার বিদ্রোহের মুখে পড়েন । খসরু কে তিনি অন্ধ করে দেন এবং তাকে আর্থিক সাহায্য করায় পঞ্চম শিখ গুরু অর্জন দেব কে পাঁচ দিন ধরে অত্যাচার করা হয় । পরে তিনি নদীতে স্নান করার সময় উধাও হয়ে যান । জাহাঙ্গীর তার ছোট ছেলে খুরাম ও পরবর্তী কালে শাহ জাহানকে উত্তরাধিকার এর বিষয় সমর্থন করতেন । উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে শাহ জাহান ১৬২২ সালে তার বড় ভাই খসরু কে খুন করেন । মেয়ার এর রানা এবং শাহ জাহান এর মধ্যে একটি সফল চুক্তি হয় । শাহ জাহান বঙ্গ ও বিহার ব্যস্ত থাকার সময় জাহাঙ্গীর তার জেতা রাজ্য কে নিজের বলে দাবি করেন । নিজেদের মধ্যে বিবাদের সাহায্য নিয়ে ফার্সি ভাষা রা কান্দাহার জয় করেন । এর ফলে মুঘল রা আফগানিস্তান এবং প্যারস্য এর মুল্যবান বাণিজ্যিক রুট গুলি নিজেদের অধীন থেকে হারিয়ে ফেলেন ।
নূর জাহান তিনি একজন মুঘল সম্রাজ্ঞী যার পিতৃদত্ত নাম ছিল মেহের উন নিসা । তিনি মুঘল সম্রাজ্ঞী এবং সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রধানা মহিষী ছিলেন । একজন বলিষ্ঠ সম্মোহনী ও উচ্চশিক্ষিত নারী হওয়ায় তাকে ১৭শ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী ভাবা হয়ে থাকে । তিনি সম্রাট জাহাঙ্গীরের বিশতম এবং সর্বাপেক্ষা প্রিয়া স্ত্রী ছিলেন যিনি মুঘল সাম্রাজ্যের সর্বোৎকৃষ্ট পর্যায়ে রাজত্ব করেন । তাদের ভালোবাসা অনেক কিংবদন্তীর প্রায়শঃ প্রশ্নসাপেক্ষ জন্ম দিয়েছে । তার দ্বিতীয় স্বামী সম্রাট জাহাঙ্গীরের মদ্য এবং আফিমের প্রতি তীব্র আসক্তি থাকায় নূর জাহান একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজকীয় ভূমিকা পালন করেন যাকে সিংহাসনের পেছনের মূল শক্তি ধরা হয় । তিনি শুধু ঐতিহাসিকভাবে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারিণীই ছিলেন না সেই সাথে ভারতীয় সংস্কৃতি, দাতব্য কাজ, বৈদেশিক বাণিজ্য এবং লৌহমানবীর ন্যায় ক্ষমতা পালনের জন্য বিখ্যাত ছিলেন । তিনি সম্রাজ্ঞী মমতাজ মহলের মাসি ছিলেন যার জন্য সম্রাট শাহজাহান তাজমহল তৈরি করেন । এছাড়াও তিনিই একমাত্র মুঘল সম্রাজ্ঞী যার নাম রৌপ্যমুদ্রায় অঙ্কিত আছে ।
অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৮
আমি বন্দি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া নতুনতো তাই অত বুঝে উঠতে পারি নাই ।
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৯
মিন্টুর নগর সংবাদ বলেছেন: মনে হচ্ছে মুসলীমরাই মুসলীম জাতির বড় শত্রু ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৮
আমি বন্দি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৭
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: জাহাঙ্গীর তার বাবার মত একজন কঠোর সুন্নি মুসলমান ছিলেন না !!!!!!!!!!!!
টপিকস্টা ইন্টারেস্টিং তবে আরো গুছিয়ে লেখা যেতো।
ধন্যবাদ।