নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিরপুরের শাহ আলীর বাংলাদেশে আগমন

২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ৭:৩১



ছৈয়দ শাহ আলী বোগদাদী ছিলেন তৎকালীন পাক-ভারত উপমহাদেশে সুদূর আরবাঞ্চল হতে ধর্ম প্রচারার্থে আসা অন্যতম উল্লেখযোগ্য ছুফি ব্যক্তিত্ব । তিনি একশত সঙ্গী নিয়ে এতদাঞ্চলে আগমন করেন । তার নামানুসারে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অদূরে মিরপুর এক নম্বর নামক স্থানে শাহ আলীর মাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । সেখানে জাতি-ধর্ম র্নিবিশেষে পূণ্যার্থে প্রতিদিন শতশত নারী-পুরুষের সমাবেশ ঘটে । শাহ আলীর জন্ম, দিল্লী ও বাংলাদেশ আগমন এবং মৃত্যু নিয়ে ঐতিহাসিকগণের মধ্যে রয়েছে মতভেদ । তবে সকলের ঐক্যমত্যের বিষয়টি হল: শাহ আলীর জন্ম বাগদাদের ফোরাত নদীর তীরবর্তী একটি কসবাতে ।


তিনি ছিলেন হযরত আলী (রঃ) র বংশধর । হযরত ইমাম হোসাইন হতে ইমাম আলী নকীর পিতা পর্যন্ত তার পূর্বপুরুষগনের মধ্যে সকলেই বসবাস করতেন মদিনায় । তার বংশ হতে শাহ ছৈয়দ সুলতান আলী সর্বপ্রথম বাগদাদে আসেন যিনি ছিলেন ইমাম আলী নকীর ছোট ভাই । পরবর্তীতে তিনি দিল্লীর সুলতাদের আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন । বাগদাদের বাদশাহ সৈয়দ ফখরুদ্দিন রাজির জ্যেষ্ঠপুত্র ছিলেন ছৈয়দ শাহ্ আলী বোগদাদী ।
পূর্ব হতে তিনি কাদেরীয়া তরীকা অনুসরণ করে থাকলেও সমসাময়িককালে ঢাকা এবং তারসংলগ্ন এলাকার প্রসিদ্ধ চিস্তিয়া ছুফি শাহ মোহাম্মদ বাহারের আস্তানায় গিয়ে তার নিকট চিশতিয়া তরিকা মোতাবেক বায়াত গ্রহণ করেন । অতপর তিনি পীরের নির্দেশে ঢাকায় ইসলাম প্রচারকালে মিরপুরের এক স্থানে একটি জরাজীর্ণ মসজিদের সন্ধান পান সে মসজিদ সংলগ্ন স্থানটিকে তার ইবাদত বন্দেগীর স্থান হিসাবে গ্রহণ করেন ।

পরবর্তীকালে ফার্সি ভাষায় খোদাই করা একটি শিলালিপি উক্ত মাসজিদে পাওয়া যায় । ঐতিহাসিক গুরুত্ববাহী ঐ শিলালিপিতে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ধারনা করা হয় শাহ আলী বোগদাদী ১৫৭৭ সালে মোগল আমলে মৃত্যুবরণ করেন । সন্ধান পাওয়া ঐ ধ্বংস প্রায় জরাজীর্ণ সমজিদে চর্তুদিকে বন্ধ অবস্থায় চল্লিশদিনের চিল্লা ব্রত পালন কালে তিনি নিহত হন ।
শিয়া এবং সুন্নীদের ধর্ম বিরোধের সময় তিনি বাগদাদ নগরী হতে প্রস্থান করেন । অন্যদিকে দিল্লীর শাসকদের মধ্যে যখন ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চরমাকার ধারণ করে তখন দিল্লীও ত্যাগ করেন । তিনি বাগদাদ হতে আসার পথে শেষ নবী মোহাম্মদ (সঃ) এর মুই মোবারক পবিত্র কেশধাম হযরত হোসাইনের জুলফ, আবদুল কাদির জিলানীর পিরহান বংশগত উত্তরাধিকার হিসাবে সাথে এনেছিলেন ।

১৪৮৯ সালে শাহ আলী বোগদাদী বাংলায় পর্দাপন করেন । তিনি দিল্লী হতে প্রথমে ফরিদপুরের গেদ্দায় নামক স্থানে আসেন । তারপর ঢাকার আশে পাশে ইসলাম প্রচার শুরু করেন । এমতাবস্থায় শাহ আলী বোগদাদী যখন মিরপুরাঞ্চলে এসে উপস্থিত হন তখন সেখানে ঐ জরার্জীর্ন অবস্থায় প্রায় ধংসোন্মুখ মসজিদটি দেখতে পান । বাহিরে তার অনুসারীগণ অবস্থান করলেও তিনি মসজিদের দরজা বন্ধ করে ভিতরে একা ৪০ দিনের মেয়াদে চিল্লায় বসেন ।তিনি চিল্লায় বসার আগে ভিতরে যতকিছুই হোক না কেন তার মুরীদগণকে চিল্লার চল্লিশ দিন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোন অবস্থায়ই ভিতরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছিলেন । চিল্লার শেষ পর্যায়ে ৩৯ তম দিনে ভিতর হতে ভয়ংকর অওয়াজ ভেসে আসতে থাকে। যাতে মনে হচ্ছিল ভিতরে দুইট সত্ত্বার মধ্যে তুমুল লড়াই হচ্ছে । একা পক্ষ আর্তচিৎকার করছে । ফলে অসহায় হয়ে তার অনুসারীগণ দরজা ভেঙ্গে ফেলেন । দরজা ভাঙ্গার সাথে সাথে ভিতরের আওয়াজও বন্ধ হয়ে যায় । অথচ সেখানে তারা তার রক্তাক্ত ছিন্ন বিচ্ছ্নি দেহ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাননি । সে সাথে একটি দৈববানী শুনতে পান যাতে বলা হয় যেখানে পড়ে আছে সেখানেই দাফন কর । অতপর তাকে উক্ত মসজিদের ভিতরেই দাফন করা হয় । তখন হতে এ মসজিদটি তার দরগা শরীফে পরিণত হয় । সাধারণত আর কোন ছুফি দরবেশের এরুপ মাজার কোথাও চোখে পড়েনা । বাদশাহ নাসিরুল মুলক এর আমলে হিজরী ১২২১ সালে প্রায় ১৮০৭ ইংরেজী মুহম্মদী শাহ নামক অপর এক ছুফি ব্যক্তিত্ব উক্ত দরগা শরীফকে তৃতীয় বারের মত পূণ নির্মাণ করেন ।
তথ্যসূত্র
মিরপুরঃ আনন্দ বেদনার সাতকাহন, লেখকঃ সাজজাদ হোসাইন খান ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

রাঘব বোয়াল বলেছেন: ইতিহাস জানতে বরাবরি ভালো লাগে।

২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:১২

আমি মিন্টু বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

২| ২৮ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

কালের সময় বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ভালো লাগলো ইতিহাস জেনে ।

২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:১২

আমি মিন্টু বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই কালের সময় ।

৩| ২৮ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

কালের সময় বলেছেন: অসাধারণ ভাললাগা রইল ।

৪| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: এই দরগা সম্পর্কে ধারনা ছিল না আপনার লেখায় অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ

২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

আমি মিন্টু বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রামািনক ভাই ।

৫| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উনাদের আগমনেই আলোকিত হয়েছিল এতদঞ্চল! ইসলামের মহান বাণী প্রেম আর সূফি তত্ত্বে মুগদ্ধ হয়ে দল দলে ইসলাম কবুল করত!

উনাদের ফায়েজ ও বরকত থেকে যেন বঞ্চিত না হই।

৬| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কাহিনী পড়তে ভালো লাগলো। গিয়েছি এখানে, বাসা থেকে খুব দূরে ছিলোনা, এক বন্ধুর বাসার কাছে।

তবে গাজার এক আখড়া হয়ে গেছে, ব্যাপারটা দুঃখজনক।

৭| ২৯ শে মে, ২০১৫ ভোর ৬:২৮

হেলাল উদ্দীন বলেছেন: খুবই ভাল লেগেছে , মহান আওলিয়া কেরামদের সম্পর্কে কিছু জানতে পারলাম ।

খুবই ভাল লেগেছে , মহান আওলিয়া কেরামদের সম্পর্কে কিছু জানতে পারলাম ।

৮| ২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:১৪

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: খুবই ভাল লেগেছে

৯| ২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

***মহারাজ*** বলেছেন: হুম ভাল ইতিহাস জানানোর জন্য ধন্যবাদ ।

২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:১০

আমি মিন্টু বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ ।

১০| ৩০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:০৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার +++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.