নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যাসাগরের সেতু

১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ২:২৪


বিদ্যাসাগর সেতু এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতু এই দুই নামেই পরিচিত । ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে হুগলি নদীর উপর অবস্থিত একটি সেতু। এর মাধ্যমে হাওড়া এবং কলকাতা শহরদুটির মধ্যে যোগাযোগের একটি ব্যবস্থা। সেতুটি সব রকম যানবাহনের ক্ষেত্রেই টোল দিতে হয়। এর মোট দৈর্ঘ্য আয়তন ৮২২.৯৬ মিটার। এটি ভারতের দীর্ঘতম ঝুলন্ত কেবল-স্টেইড সেতু এবং এশিয়ার দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতুগুলির মধ্যে একটি। সেতুটি নির্মাণ করতে মোট ৩৮৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। ১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর সেতুটির উদ্বোধন করা হয়েছিল । হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনের অধীনে সরকারি এবং বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এই সেতুটি নির্মাণ করেছিল।
১৯৪৩ সালে নির্মিত রবীন্দ্র সেতুর হাওড়া ব্রিজ ১২ কিলোমিটার ৭.৫ মা দক্ষিণে অবস্থিত বিদ্যাসাগর সেতু হুগলি নদীর উপর নির্মিত দ্বিতীয় সেতু। উনিশ শতকের বাঙালি শিক্ষাবিদ এবং সমাজ সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নামানুসারে সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে এই সেতু কলকাতা-সন্নিকটস্থ গঙ্গাবক্ষে স্থিত অপর দুই সেতু রবীন্দ্র সেতু এবং বিবেকানন্দ সেতুর সহযোগী সেতু হিসাবে নির্মান করা হয়েছিল। বিদ্যাসাগর সেতু একটি কেবল-স্টেইড বা ঝুলন্ত সেতু। এর প্রধান বিস্তার ৪৫৭ মিটারের কিছু বেশি এবং ডেকের প্রস্থ ৩৫ মিটার। এ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে এবং সেতুটির উদ্বোধন হয় ১০ অক্টোবর, ১৯৯২, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রয়াণশতবর্ষে। সেতুর তদারককারী সংস্থা হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন এইচআরবিসি। তবে সেতু নির্মাণ করেছিল বিবিজি নামে ব্রেইথওয়েইট ও বার্ণ এবং জেশপ নামক তিন সংস্থার যৌথ একটি দল।



১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশের বাণিজ্যিক কার্যকলাপ এবং জনসংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি হতে থাকে। হাওড়া এবং কলকাতা শহরদুটির মধ্যে হুগলি নদীর উপর তখনকার সময় একটি মাত্র সেতু ছিল আর তা হলো হাওড়া ব্রিজ। এই সেতুর উপর যানবাহনের চাপ ক্রমাগত বাড়তে থাকলে নদীর উপর আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা মনে করা হয়। এমন একটি সেতুর পরিকল্পনা করা হয় যে সেতুটি নিকটস্থ জাতীয় সড়কের মাধ্যমে মুম্বই ও দিল্লি এবং চেন্নাই শহর তিনটিকে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত করতে পারবে। আর তাই ১৯৭২ সালের ২০ মে ইন্দিরা গান্ধী এই সেতুর শিলান্যাস করেন। যদিও এই ঝুলন্ত সেতু তখনকার সময়ে এই সেতুটি একই ধরনের সেতুগুলির মধ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম স্প্যান ব্রিজ ছিল । সেতুটির নির্মাণের কাজ শুরু হয় ১৯৭৯ সালের ৩ জুলাই কলকাতার নদীতীরে একটি কূপখননের মাধ্যমে। সেতুটি সম্পূর্ণ হতে মোট ২০ বছর লাগে অবশ্য তার মধ্যে সাত বছর কোনো নির্মাণকাজ হয়নি। ১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর সেতুটি উদ্বোধন করেন।

বিদ্যাসাগর সেতুটি একটি মাল্টি কেবল স্টেইড ১২১টি কেবল দিয়ে নির্মিত সেতু। ১২৭.৬২ মিটার এবং ৪১৮.৭ ফুট লম্বা দুটি ইস্পাত নির্মিত পাইলন কেবলগুলিকে ধরে আছে। সেতুটিতে দুটি ইস্পাতের কাঠামোযুক্ত কনক্রিট ডেক আছে। ডেকের দুটি ক্যারেজওয়ের মোট প্রস্থ ৩৫ মিটার ১১৫ ফুট। সেতুটিতে মোট তিনটি লেন এবং দুই পাশে ১.২ মিটার ৩ ফুট ১১ ইঞ্চি প্রস্থবিশিষ্ট ফুটপাথ রয়েছে। ডেকটি মূল ৪৫৭.২০ মিটার ১,৫০০.০ ফুট দীর্ঘ বিস্তার এবং দুই পাশের প্রতিপাশের ১৮২.৮৮ মিটার ৬০০.০ ফুট বিস্তারের উপর রয়েছে। এটিকে ধরে আছে সমান্তরাল তারের কেবল। সেতুটির নকশা করেছিল শ্লেইচ বার্গারম্যান অ্যান্ড পার্টনার ও নকশা পরীক্ষা করে ফ্রিম্যান ফক্স অ্যান্ড পার্টনার এবং বৃহৎ শিল্প নিগম লিমিটেড। সেতুটি নির্মাণ করে গ্যামন ইন্ডিয়া লিমিটেড।
তথ্য সূত্র
Kolkatta India City Guide Vidyasagar Setu। Kolkatta Clickindia.com
P. Dayaratnam; Indian Institution of Bridge Engineers ২০০০ ও Cable stayed, supported, and suspension bridges। Universities Press

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেতু করতে ২০ বছর?

শালার ভারতও তো বেশ অপদারথ!

১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:২১

আমি মিন্টু বলেছেন: ধুর ভাই কি কন ওরা আমাগো আত্নীয় না ।

২| ১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:১৮

আমি মিন্টু বলেছেন: ধুর ভাই কি কন ওরা আমাগো আত্নীয় না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.