নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হতে পারে ঘুমের ঘরে খেয়াল দেখা । আজ ক দিন প্রায় মাঝে মাঝে মাঝ রাতে কে একজন যেন দেখতে অশরীরীর দানবের মত আমার বিছানায় আমার মাথার পাশে বসে আমায় যেন কোথায় নিয়ে যাবে বলে ? ও যখন আছে কেন যেন ওকে দেখলে ভয়ে আমার পুরো শরীর কাটরে ওঠে । কখনো কখনো গলা শুকিয়ে শুকনো কাঠ হয়ে যায় ।
আজ রাতেও একবার এসেছিল তবে আজ কেন যেন ওকে আমার সব থেকে আপন ও পরিচিত মনে হল । ওকে আজ একটু অন্যরকম মনে হল ওর সাথে যেন আমার বাকিটা জীবন হেঁসে খেলে চলতে হবে ।কে জানে ওর সাথে আমার কি সম্পর্ক ?
আজ ক দিন শুধু মনটা অস্থির থাকে ফেলে আসা পিছনের বহু সৃত্বি মনে পড়ে । মন বলে যদি সেই পিছনের দিন গুলোয়ই ফিরে
যেতে পারতাম তাহলে হয়ত আবার নতুন করে জীবনতাকে গুছিয়ে নিতে পারতাম ।সেই দিনগুলো যে দিনগুলোতে কখন মায়ের মুখে বকনি কড়া শাসন আবার কখন মিষ্টি মায়াবী আদর ।
বাবার সাথে স্কুলে যাওয়া । আর কত সৃত্বি জরিত পিছনে ফেলে আসা ।
ট্রিং ট্রিং করে মোবাইলের এলাম বেজে ওঠলো চেয়ে দেখি সকাল
আটটা বাজে । বিছানা ছেড়ে অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুটি নিতে হলো ।
অফিসে ডুকে দেখি টেবিলে বেশ কিছু কাজ জমে গেছে তাই এক কাপ কপি মেরে দিয়ে চট করে কিছু কাজ ছেড়ে নিলাম ।
শুনেছি আজ অফিসের বড় কর্তা নাকি অফিস পরিদর্শনে আসবেন ।তা বড় কর্তা বলে কথা । এর মধ্যে রফিক সাহেব তার একটি ইমপডেন্ট কাজ নিয়ে টেবিলে হাজির ।
রফিক সাহেব তিনি আমার জীবনের বলা চলে ইম্পডেন্ট একজন ব্যক্তি যিনি না হলে গত কয়েক বছরের ভেতরে আমার চাকুরী থেকে শুরু করে আজ যে আমি অনেক টাকার মালিক হয়েছি তা
হতে পারতাম না । তাই রফিক সাহেবকে সবসময় আমি বড় ভাইয়ের মতই দেখি । আর রফিক সাহেবও আমায় ছোট ভাইয়ের মতয়ই আদর সমীহ করেন ।
সে দিন বৃতিকে কথা দিয়েছিলাম এবার বৈশাখের আগে বাড়িতে যাব ।বৈশাখের আর মাত্র কয়েকদিন বাকী তাই আজ বৈশাখের জন্য কিছু কেনাকাঁটার কথা ছিল কিন্তু রফিক সাহেবের কাজ ছেড়ে অফিসের বড় কর্তাকে বিদায় জানিয়ে আজ বাসায় ফিরতে একটু লেট হয়েগেল । তাই আজ আর কেনা হলো না ।
রফিক সাহেব সহ এবার অনেককেই আমি আগে থেকে পৈহেলা বৈশাখে আমাদের গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাব বলে রেখেছি ।
উনারাও এবার বৈশাখের সকালে পান্তা ইলিশ আমার বাড়িতে খাবেন বলে কথা দিয়েছেন ।
দেখতে দেখতে সময়ের কাঁটা আর দিনের বেলা কোথায় দিয়ে পার হয়ে যায় বলতেও পারি না । এইত দেখতে দেখতে দিন শেষ
পৈহেলা বৈশাখের আর মাত্র তিন দিন বাকি আছে । না আজ যে ভাবেই হোক অফিস থেকে একটু আগে বেড়িয়ে যেতে হবে বৈশাখের কিছু কেনাকাঁটা করতে হবে ।
এ ভাবতে ও ভাবতে হঠাৎ মাথাতা ভীষন ব্যথা শুরু করলো । বমী হলো কয়েক বার । আমার এ অবস্থা দেখে রফিক সাহেব আমাকে অফিস থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন । ওখানে ডাক্তাগুলা আমায় একটা রুমে নিয়ে গেলেন । যে রুমটা থান্ডা বরফের মত থাকে সে রুমটায় আমায় শুয়িয়ে দিলেন । আমি তখন পুরপুরি অজ্ঞান হই নাই দেখলাম ঐ ঘরে আমি ছাড়া আর কেও নেই
আমি একা শুয়ে আছি হঠাৎ আমার চোখ পড়ল আমার পাশে একটি চেয়ারের ওপর । সে চেয়ারটিতে উল্টো দিকে ফিরে একটি কালো বোরখার মত পড়ে বসে আছে । সে একটু পর পর তার হাতের ঘরির দিকে তাকাচ্ছে । যতয়ই সময় যাচ্ছে ততয়ই যেন আমার শরীর শক্তিহিন হয়ে আসছে । কিছুক্ষন সে শেষ ঘরি দেখে আমার দিকে ফিরে আমার হাত ধরে কোথায় এক অজানা অচেনা আগে কখন এজায়গায় এসেছি বলেও মনে হয়না সেখানে নিয়ে যাওয়ার
পরে দেখি ওখানে তার মত পোশাক পড়া আরো কয়েক জন আমাকে ঘিরে নানান ধরনের পরীক্ষা নিচ্ছেন । আর তারা আমায় বলছেন এখন থেকে আর কোথাও তোর যাওয়া হবে না । আমারো আর বুঝতে বাকি রইল না যে এখান থেকে আর আমার ফিরে যাওয়া হবে না ।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৪৫
আমি মিন্টু বলেছেন: ঠিক আছে ভাইয়া সময় করে ঠিক করে নিমুনি ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: মৃত্যুর কথা ভাল তবে কয়েকটি টাইপো আছে পারলে সময় করে ঠিক করে দিবেন ।
থিক হবে ঠিক এধরনে ছোট কয়েটি ভুল ঠিক করে নিন । আর পারলে এখন
থেকে একটু ভালভাবে ব্লগিং করার চেষ্টা করুন ।