নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন ভাল করে জেনে নেই আসলে নাস্তিক্যবাদ কাকে বলে ?

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

নাস্তিক্যবাদ যার ইংরেজি অর্থ হচ্ছে Atheism এর অন্যান্য নাম হলোঃ নিরীশ্বরবাদ, নাস্তিকতাবাদ একটি দর্শনের নাম । আর যারা এর পক্ষ বাদী তারা ঈশ্বর বা স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করেন না এবং সম্পূর্ণ ভৌত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রকৃতির ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন । আস্তিক্যবাদ এর বর্জন কেই নাস্তিক্যবাদ বলা হয় । নাস্তিক্যবাদ বিশ্বাস নয় বরং অবিশ্বাস এবং যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত । বিশ্বাসকে খণ্ডন নয় বরং বিশ্বাসের অনুপস্থিতিই এখানে মুখ্য বিষয় ।
ইংরেজি একটি বাক্য এইথিজম Atheism যার অর্থ হলো নাস্তিকক্য অথবা নিরীশ্বরবাদ । এইথিজম শব্দটির ব্যবহার করা হয়েছে গ্রিক এথোস ἄθεος শব্দ থেকে । শব্দটি সেই সকল মানুষকে নির্দেশ করে যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই বলে মনে করেন এবং প্রচলিত ধর্মগুলোর প্রতি অন্ধবিশ্বাস কে যুক্তি দ্বারা ভ্রান্ত বলে প্রমাণ করেন । দিনদিন মুক্ত চিন্তা সংশয়বাদী চিন্তাধারা এবং ধর্মসমূহের সমালোচনা বৃদ্ধির সাথে সাথে নাস্তিক্যবাদেরও প্রসার ঘটার ঘটনা বেড়েই চলছে । অষ্টাদশ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম কিছু মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন । আর সেই থেকে পৃথিবীতে নাস্তিক্যবাদ শুরু হয় । এখন বিশ্বের অনেক মানুষ আছেন যারা নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয় দেন এবং অনেক মানুষ আছেন যারা কোন ধর্মেই বিশ্বাস করে না ।
জাপানের ৬৪% থেকে ৬৫% নাস্তিক অথবা ধর্মে অবিশ্বাসী । রাশিয়াতে এই সংখ্যা প্রায় ৪৮% এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর সংখ্যা ৬% ইতালী থেকে শুরু করে সুইডেন পর্যন্ত এর সংখ্যা ৮৫% । পশ্চিমের দেশগুলোতে নাস্তিকদের সাধারণ ভাবে ধর্মহীন বা পরলৌকিক বিষয় সমূহে অবিশ্বাসী হিসেবে গণ্য করা হয় । কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মের মত যেসব ধর্মে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় না সেসব ধর্মালম্বীদেরকেও নাস্তিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় । কিছু নাস্তিক ব্যক্তিগত ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা হিন্দু ধর্মের দর্শন, যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ এবং প্রকৃতিবাদে বিশ্বাস করেন । নাস্তিকরা কোন বিশেষ মতাদর্শের অনুসারী নয় এবং তারা সকলে বিশেষ কোন আচার অনুষ্ঠানও পালন করে না । অর্থাৎ ব্যক্তিগত ভাবে যে কেউ যে কোন মতাদর্শে সমর্থক হতে পারে নাস্তিকদের মিল শুধুমাত্র এক জায়গাতেই আর তা হলো তারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব কে অবিশ্বাস করেন ।
একবিংশ শতাব্দীতে কয়েকজন নাস্তিক গবেষক এবং সাংবাদিকরা অনেক চেষ্টা করে নাস্তিক্যবাদের একটি ধারা খুজে পান যাকে নব নাস্তিক্যবাদ আর ইংরেজীতে নাম দেন New Atheism ।
২০০৪ সালে স্যাম হ্যারিসের দি ইন্ড অব ফেইথ রিলিজান, টেরর, এন্ড দ্যা ফিউচার অব রিজন বইয়ের মাধ্যমে নব নাস্তিক্যবাদের যাত্রা শুরু হয়েছে বলে মনে করেন আরেক প্রখ্যাত নব নাস্তিক ভিক্টর স্টেংগার । প্রকৃতপক্ষে স্যাম হ্যারিসের বই প্রকাশের পর এই ধারায় আরও ছয়টি বই প্রকাশিত হয় যার প্রায় সবগুলোই নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলারে স্থান করে নিতে সমর্থ হয় । সব মিলিয়ে নিচের বইগুলোকেই নব নাস্তিক্যবাদী সাহিত্যের প্রধান উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় ।
বইগুলো হলোঃ
১। দি ইন্ড অব ফেইথ রিলিজান, টেরর, এন্ড দ্যা ফিউচার অব রিজন ২০০৪ = স্যাম হ্যারিস
২। লেটার টু এ কৃশ্চিয়ান নেশন ২০০৬ = স্যাম হ্যারিস
৩। দ্যা গড ডিলিউশন ২০০৬ = রিচার্ড ডকিন্স
৪। ব্রেকিং দ্যা স্পেল রিলিজান এ্যাজ এ ন্যাচারাল ফেনোমেনন ২০০৬ = ড্যানিয়েল ডেনেট
৫। গড দ্যা ফেইলড হাইপোথিসিস হাউ সাইন্স সোজ দ্যাট গড ডাজ নট এক্সিস্ট ২০০৭ = ভিক্টর স্টেংগার
৬। গড ইজ নট গ্রেট হাউ রিলিজান পয়জনস এভরিথিং ২০০৭ = ক্রিস্টোফার হিচেন্স
৭। দ্যা নিউ এইথিজম ২০০৯ = ভিক্টর স্টেংগার

শেষোক্ত বইয়ে ভিক্টর স্টেংগার এই ব্যক্তিদেরকেই নতুন নাস্তিক্যবাদের প্রধান লেখক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন । উল্লেখ্য নতুন নাস্তিকেরা ধর্মের সরাসরি বিরোধিতা করেন । তারা ধর্মকে প্রমাণবিহীন বিশ্বাস বলে আখ্যায়িত করেন এবং এ ধরনের বিশ্বাসকে সমাজে যে ধরনের মর্যাদা দেয়া হয় সেটার কঠোর বিরোধিতা করে থাকেন ।


কৃতজ্ঞতা এবং তথ্যসংগ্রহঃ
Nielsen, Kai (২০০৯)। "Atheism"। Encyclopædia Britannica। সংগৃহীত ২০০৯-০৮-২৩। "Atheism, in general, the critique and denial of metaphysical beliefs in God or spiritual beings.... Instead of saying that an atheist is someone who believes that it is false or probably false that there is a God, a more adequate characterization of atheism consists in the more complex claim that to be an atheist is to be someone who rejects belief in God for the following reasons (which reason is stressed depends on how God is being conceived)..."

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২১

আমি মিন্টু বলেছেন: যারা ব্লগার নীল বাদী তাদেরকে বলি ব্লগার নীলও এইসব নাস্তিকদের কাটারেই পড়েন ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ মিন্টু ভাই আপনাকে আপনার সহৃদয়বান বক্তব্যের জন্য ।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে আমি নাস্তিক দেখিনি এখনো;।
সব ব্লগারদের নামের সামনে নাস্তিক লাগায়ে দিয়েছে মোল্লা শফি, খালেদা জিয়া ও মাহমুদুর রহমান।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

আমি মিন্টু বলেছেন: গাজী ভাই শুধু তারাই না তাদের কাঁটারে শেখ সাহেবের বেটিও পড়ে । :)

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

তপ্ত সীসা বলেছেন: মন্তু ভায়া দেহি নিজের পোস্টে নিজেই কমেন্ট মারে। ভালো তো, ভালো না? কি কও মনতু ভায়া?

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭

আমি মিন্টু বলেছেন: @তপ্ত সীসা রেডী হয়ে থাকেন যখন তখন আপনাগো মত ব্লগারগো ব্লগ ছেড়ে দৌড়ের প্রতিযোগীতায় নাম লেখাতে হবে ।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:৩৭

সজিব্90 বলেছেন: ভাই বাংলাদেশে আমি কোন নাস্তিক দেখিনা , দেখি শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে একটি চক্র।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৫৮

আমি মিন্টু বলেছেন: এদেশে নাস্তিক বলে কোন শব্দ নেই ।

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

তপ্ত সীসা বলেছেন: থিকাতে মন্তু বাইয়া। তুমারে আংটায় বাঝাইয়া দৌর দিমু। তুমারে আমার কুব পচন্দ ;)

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

আমি মিন্টু বলেছেন: আমার ধারে কাছে আইতে হইলে পুরো বাহিনী নিয়ে সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে আসতে হবে বোনটি :)

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: জানলাম কিছু জানা কথা। ভালা কইরা জানা তো হইল না। :( :( :(

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া জানা কথা জানার জন্য ।
আর কেমনে জানামু আমার কাছে আর তথ্য নাই ।যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে শেয়ার করুন
আমি তা সবার মাঝে বিতরন করে দিমু । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.