নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প উর্মি ও আমার প্রেম কথা ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

সে এক মহা ঘটনা অনেক আগের একটি পাথর পুরীর গল্প ।
সেটা ছিল আমার ক্লাস সেবেন পাস করার সাফল্যের বছর ।
আমি যখন লেখা পড়ার জন্য তৈরি হই নাই অর্থাৎ আমি যখন চার কি পাঁচ বছরের শিশু তখন থেকেই আমার খুব ইচ্ছে ছিল শুধু ইচ্ছে বললে ভুল হবে । আমার অনেক স্বপ্ন্যও ছিল আমি একজন
সমু্দ্রগামী জাহাজের ক্যাপ্টেন নয়ত আকাশে উড়ো জাহাজের পাইল্ট হয়ে উড়ে বেড়াব । কিন্তু যখন আমি ক্লাস ফাইভে উঠলাম
তখনই সব ঝামেলা পাকালো উর্মি নামে সেই পাথর পুরীর কন্যা ।
এখানে আগেই একটি কথা বলে নেওয়া ভালো, উর্মি দেখতে অনেকটা সুন্দরী থাকলেও,সে ছিল পাথরের মত কঠিন । মাঝে মাঝে সে আমার সামনে দাড়ালে আমি ভুলেই যেতাম,যে কেও একজন আমার সামনে দাঁড়িয়ে ছে, আমি ভাবতাম মিশর থেকে ভুল করে হয়ত একটি পাথরের মূর্তি নয়ত কারো মমি হাঁটতে হাঁটতে পথ ভুলে বাংলাদেশে এসে আমার মত কপাল কুন্ডলার
সামনে হাজির হয়েছে । সে যাই হোক বেচারা উর্মি যখনই তাকে দেখতাম এত সুন্দর ছিল অথচ মুখটাকে কালো বানিয়ে রাখতো ।
মনে হত মেঘের দেশের সকল কালো মেঘগুলো এসে আমার প্রাণ প্রিয় উর্মির চেহারায় বাসা বেঁধেছে । যাক তাকে যে আমি কখন নিজের মনের অজান্তে ভালো বেসে ফেলেছি তা আমি নিজেও জানতাম না । সে কি ভালোবাসার গভীরতা মনে হয় সে সমুদ্রকেও ছেড়ে আরো গভীরে চলে যাবে ।

আমকে প্রতিদিন টিফিন খাওয়ার জন্য যে টাকা দিত সে টাকা দিয়ে আমি উর্মির জন্য বাদাম বুট তা ছাড়াও মাঝে মাঝে কয়েকদিনের টাকা এক জায়গায় রেখে উর্মির জন্য পুতুল কিনে নিতাম । এখন আমার উড়োজাহাজে উড়ার স্বপ্নের শেষ হওয়ার দিকে,তবে নতুন করে উর্মিকে নিয়ে খোলা আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখার শুরু ।

বাহ! আমাদের দুজনের মনের কত মিলন । আমি দেখছি ওকে নিয়ে খোলা আকাশে ওর কালো মেঘের মুখখানাকে নিয়ে সাদা মেঘের দেশে উড়ার স্বপ্ন উর্মিও স্বপ্ন দেখছে নতুন বউ সেঁজে পালকিতে দোলাদুলি করতে করতে শশুরবাড়ি যাওয়ার ।
তবে এখানেই সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো আমি উর্মিকে বললাম
এত বিয়ের জন্য পাগল হয়েছ কেন আমি সবে মাত্র সেবেনে উঠেছি । অন্তত মেট্রিক পরিক্ষাটা দিই তার পরে বেশি বড় লেবেলের চাকুরিতো আর পাবো না এই লেখা পড়ায় । অন্তত কোন গার্মেন্স বা কোন অফিসে একটি পিয়ন টিয়নের চাকুরি নেব ।
তার পর তোমায় সঙ্গে নিয়ে ঐ আকাশ ছেড়ে তার উপরের সাদা মেঘের যে দেশ আছে সে দেশে বেড়াতে যাবো । উর্মি আমার কথা শুনে সে কি ভিষন খুশি হাসা শুরু করলো । যাক বাঁচা গেল আমিতো ভেবে ছিলাম হয়ত জীবনে কোন দিন তোর মুখে হাসি দেখা আমার কপালে নাই ।

এবার আসুন দেখি প্রেমের সমপ্তির পালা । শেষে উর্মি আমায় বললো আরে বাদর তোকে আমায় বিয়ে করতে হলে যে আমি বুড়ি হবরে । আচ্ছা উর্মি বুড়ি মানে কি আর তুই বা কেন উর্মি বুড়ি হবি । ওরে বোকা ছেলে তুই এখনো বুড়ো বুড়ি কি তাই জানোছ না । আর জানবিই বা কেমনে তোরত মোসই ওঠে নাই । এটা তোর বুঝার কথাও না ।

শোন বুড়া বুড়ি হলো মানুষের যখন অনেক বয়স হয় যেমন তার চামড়া নরম বা যখন কুচিমুচি হয়ে যায় তখন তাকে পুরুষ হলে বুড়ো আর নারী হলে বুড়ি বলে । ওহ আচ্ছা আচ্ছা তাই বল ।
আর তুই মাত্র ক্লাস সেবেনে পড়িছ আর আমি সেই কবে ইন্টার দিয়েছি এখন আমি অনার্সে দৃত্বিয় বর্ষের ছাত্রী । তাই তোর সাথে আমার বিয়ে হলে লোকে বলবে বারো দিনের রহিম আর বারো বছরের রুপবানের কাহিনী । দেখতে দেখতে কয়েকদিন পরে উর্বির বিয়ে হয়ে গেল । আর আমিও সেই থেকে ওর সাথে প্রায়
পাঁচ বছর কোন যোগাযোগ রাখী নাই । একদিন হঠাৎ সকালে
দেখি উর্বি আমাদের বাসায় । আমার সে যে খুশি । মনে মনে ভাবলাম ও হয়ত আমার ভালোবাসার টানে ওর স্বামীকে ছেড়ে চলে এসেছে । কিন্তু নাহ এটা কি দেখছি ওর সাথে ওর স্বামী বেটা এবং ওর তিন বছরের ছেলেও এসেছে বেড়াতে । আমায় দিখিয়ে উর্মি বললো এটা তোমার সেই আঙ্কেল । আমি উর্মিকে বললাম আমি আবার তোর ছেলের কুন আঙ্কেল । সে কি উর্মির ছেলে ও উর্মির স্বামী এ কথা শুনে সে কি হাসা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.