নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভাবের সুযোগে কিডনি নিয়েও দালালি সরকারি সহয়তা প্রয়োজন

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯


জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা এক গুচ্ছ গ্রামের তায়রন বেগমের স্বামী নজরুল শারীরিক দূরবলতার কারণে তেমন একটা উপার্জন করতে পারেন না । তিন মেয়েসহ পাঁচ সদস্যের পরিবারের যাবতীয় খরচ শ্ত্রী তায়রনকেই জোগার করতে হয় । সংসারের ঘানি টানতে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে তারায়ন । ঋণের টাকা পরিশোধ করতে একপর্যায়ে কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তায়রন বেগম । এসব তথ্য জানিয়ে মঙ্গলবার যুগান্তরের কাছে আঞ্চলিক ভাষায় বললেন সংসার ( চালাতে হামার অনেক দেনা হয় । এজন্য হামি এনজিও আশা থেকে ২০ হাজার, আইআরডিপি থেকে ৪০ হাজার, ব্যুরো বাংলা থেকে ২০ হাজার, ব্র্যাক থেকে ২০ হাজার, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ১০ হাজারসহ স্থানীয় একজনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টেকা হফ্কা লিচোনো । সে জন্যে ওই লোকক প্রতি ৬ মাসে হাজারপ্রতি দেড় হাজার টেকায় সুদে দেয়া লাগত । দিন দিন ঋণের বোজা ভারি হতে থাকে । চাপ আসতে থাকে পাওনাদারদের কাছ থেকে । বাদ্য হয়ে গত বছর ২০১৪ সালত ঈদুল ফিতরের শেষে কিডনি বিক্রির উদ্দেশ্যে হামি ঢাকাত যাই । কিন্তু কয়েকদিন ঘোরাঘুরির পর কিডনি বেছা পারোনা। তখন কাজ লেই এডা গার্মেছে । সেখানে এক দালালের সাথে হামার পরিচয় হয় । হামার অভাবের কথা শুনে সেই লোক হামাক সচিবালয়ের বড় এক কর্মকর্তার সাথে পরিচয় করে দেয় । সবাই তাকে স্যার বলেই ডাকে । পরিচয়ের পর ওই স্যার হামাক আলাদা এডা বাড়িত লিয়ে যায়ে রাখে । আর হামার সাথে মোবাইলে কিডনি বেচার জন্যে নানা কথাবার্তা হয় । )
তায়রন বেগম আরও জানালেন ( সব পরীক্ষা শেষে ওই সারের ছেলে নাফিজের সাথে হামার কিডনি সেট ম্যাচিং হওয়ায় হামার স্বামীক হামি কিডনি বেচার সিদ্ধান্তের কতা মোবাইলে জানাই । কিন্তু হামার স্বামী তাতে অমত দেয় । তাই ওইদিন রাতেই হামার স্বামী ঢাকায় আসে হামাক ওই বাসা থেকে পালে গেরামের বাড়িত লিয়ে যায় । এ জন্যে ওই স্যার হামাগের উপর বেজার হয় । আগের মাথায় ওই স্যার হামাক আর হামার স্বামীর নামে গত বছর গুলশান থানায় নগদ ২ লাখ টাকা ও ১০ ভড়ি সোনা চুরির অভিযোগে মামলা করে । তারপর হামার সব শেষ হয় । ) এসব ঘটনা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তায়রন ।
তার কাছ থেকে আরও জানা গেল মামলা হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ওয়ারেন্ট আদেশসহ কালাই থানা পুলিশের সহায়তায় তায়রন ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় । এরপর ওই কর্মকর্তার ছেলেকে কিডনি দিতে বাধ্য করা হয় । শর্ত দেয়া হয় কিডনি দিলে মামলা তুলে নেয়া হবে । সে শর্তে রাজি হলে সাত দিনের মধ্যেই মামলা তুলে নিয়ে আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে ব্যাঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে ওই কর্মকর্তার ছেলের সঙ্গে খালাতো বোনের সম্পর্ক দেখিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
অভাবের তাড়নায় দালালদের ফাঁদে পড়ে তায়রন বেগমের মতো অসংখ্য ব্যক্তি কিডনি বিক্রি করে চলেছেন জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে । প্রায় ১০ বছর আগে জয়পুরহাটের কালাইতে কিডনি বিক্রির ঘটনা ফাঁস হলেও অদ্যাবধি সেটি বন্ধ হয়নি । বরং দিন দিন বেড়ে চলেছে নতুন দালাল এবং বিক্রেতার সংখ্যা । কোনো কোনো ক্ষেত্রে নতুন বিক্রেতারাই হচ্ছেন নতুন দালাল । বিগত ৮ মাসে বিভিন্ন কারণে কিডনি বিক্রিতে বাধ্য হয়েছেন অন্তত ৩৮ জন । বিক্রি বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয় । কিন্তু দালাল চক্র এই আইনকে পাশ কাটিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে কিডনি স্থানান্তর করার ব্যবস্থা করছেন । এক্ষেত্রে আইন শৃংখলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে কিডনি বিক্রি বন্ধ করা অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ।


একই সাথে এইসব ঋৃন ক্ষতিগ্রষ্ঠ পরিবারগুলোর প্রতি সরকারি বিশেষ সহয়তা আসা করছি

তথ্যসূত্রঃ যুগান্তর

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আসলে ভাই এখন গরিব হওয়াটা এদেশের জন্য একটা অভিসাপ ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ সহমত ।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২১

প্রামানিক বলেছেন: গরীবের জন্য বিপদ। ধন্যবাদ মিন্টু ভাই।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

আমি মিন্টু বলেছেন: গরীবদের বেঁচে থাকার কুন রাস্তাই দেখছি না প্রামানিক ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.