নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাঈম তখন কেবল লেখা পড়া শেষ করেছে । নাঈম ভেবেছিল তার লেখা পড়া শেষ তো আর কি এখন সে পুরো মুক্ত । ঘাস ফরিংয়ের মত সারা বেলা শুধু উড়ে বেড়াবে । সময়ের হাত ধরে প্রিয় বান্ধবী কে সঙ্গে নিয়ে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুঁটে বেড়াবে । সময় সুযোগ বুঝে বাবা মা ভাই বোনদের সাথে প্রিয় বান্ধবীকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাকে নিয়ে স্বপ্নের ঘর বাঁধবে । কিন্তু ভাগ্য নাইমের সামনে এসে এমন ভাবে আটকে গেল বলতে গেলে ভাগ্য নাঈমের সাথে পুরোই জুয়া খেলেছে । নয়ত এমন হবে কেন ? সকালে নাঈম তার বাবার সাথে এক টেবিলে বসে নাষ্টা শেষ করেছে । অথচ দুপুরে নাঈমের বাবার অফিস থেকে একটি ফোনই যেন তার পুরো পৃথিবীতা পাল্টে গেল । নাঈমের সব স্বপ্নগুলো পথ হারা দিগন্ত ছুঁটে যাওয়া পাখিদের মত উড়ে গেলো ।
নাঈমের বাবার সাথে থাকা কলিকের ফোনটি রিসিভ করতেই ওপার থেকে বলে ওঠলো হ্যালো কে নাইম ? নাইম জি আঙ্কেল ।
শোন নাঈম তোমাদের জন্য একটি দূর সংবাদ আছে । জি আঙ্কেল দূর সংবাদ মানে ? ইয়ে মানে নাঈম দূপর সাড়ে বারোটার দিকে হঠাৎ করে হামিদ ভাই স্টক করেছে । তুমি যত তারাতারি সম্ভব ঢাকা মেডিকেল ৫০৫ নম্বার ওয়ার্ডের সামনে চলে এসো । নাঈম ফোন রেখে আর এক মুহুর্ত সময় নষ্ট না করে চলে যান হাসপাতাল । নাঈমকে দেখেই তার বাবার বন্ধু মিজু সাহেব নাঈম সব শেষ বলে একটি চিৎকার দিয়ে এসে নাঈমের গলা জরিয়ে কান্নার রোল শুরু করে দিল ।
নাঈম তার বাবার লাশের সামনে যেয়ে তার বাবাকে প্রশ্ন করতে লাগলো বাবা আমি কি এমন অপরাধ করেছি তোমার সাথে যে কারনে তুমি আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়ে আমায় এতিম করে চলে গেলে । বাবার কাছ থেকে কিছু উত্তরের আশায় একের পর এক প্রশ্ন করে চলছে নাঈম তার বাবাকে । কিন্তু নাঈমের বাবা কি নাঈমকে কোন উত্তর দিতে পারবে ।
নাঈমের প্রিয় বান্ধবিকে নিয়ে দেখা সকল স্বপ্নগুলো স্বপ্ন হয়ে উড়ে পালাতে থাকলো । কারন নাঈম হল সংসারে চার ভাই বোনের ভিতরে বড় ছেলে ।সংসারে নাঈমের মা আর নাঈমের ছোট দুই বোন তাদের ছোট এক ভাই পুরো সংসারের দায়ত্ব ও এদেরকে মানুষ করতে এখন এই দুনিয়ার জীবন যুদ্ধে নাঈমকে অনেক লড়াই করতে হবে । তাই নাঈম তার সকল স্বপ্নকে নিজের বুকে মাঝে চাপা কবর দিয়ে লেগে গেলেন জীবন যুদ্ধে ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রাদার আপনার কথাগুলো মনে রাখার চেষ্টা করবো ।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: গেম চেঞ্জারের সাথে একমত।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কষ্ট করে সময় নষ্ট করে পড়ার জন্য । আমার জন্য দোআ করবেন ।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০
লেখোয়াড়. বলেছেন:
নাইম তখন ক্যবল লেখা পড়া শেষ করেছে।
ঘাস ফরিংয়ের মত সারা বেলা শুধু উড়ে বেরাবে ।
টেবিলে বসে নাস্টা শেষ করেছে
..................... সব বানান বা টাইপোগুলো ঠিক করে দিন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ লেখোয়াড় ভাইয়া । ভুলগুলো নজরে আনার জন্য ধন্যবাদ । ঠিক করে দিয়েছি ।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭
এস কাজী বলেছেন: হবে হবে। আমিও আপনার মত চেষ্টায় আছি। একসময় আমাদের দুজনেরই হয়ে যাবে আশা করি। লিখতে থাকেন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রাদার যা শিখছেন ভালই শিখছেন এ দিয়ৈই করে খেতে পারবেন । তবে আরো বেশি শিখলেও ক্ষতি নাই ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: লিখে যান । আরো ভালো করুন । হাল ছাড়তে নেই । ঘুরুন । ব্লগের গল্পগুলো দেখুন । আরো ভালো চাই । বৈচিত্রতা চাই ।