নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিলেট পর্ব ১
সিলেট বা শ্রীহট্টের উক্ত উচ্চাংশ সহ ত্রিপুরা ইত্যাদি অঞ্চল ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা অথবা শ্রীহট্ট উত্তর পূর্ব বঙ্গ ইত্যাদি নামে পরিচিত হতো । ভূ-তত্ববিদ বম্কিমচন্দ্র এবং রমেশচন্দ্র গংদের বরাতে শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক গ্রন্থে আরও লিখিত আছে প্রাগৈতিহাসিক যুগে সিলেট সভ্য জাতির আবাসভূমি ছিল। ইহা প্রাচীন গ্রন্থাদি সহ বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া যায় । বরাক বা বরবক্র সুরমা, কুশিয়ারা এই বিভাগের প্রধান নদী । মণু এবং ক্ষমা খোয়াই ইত্যাদি ক্ষীন নদী বরবক্রে মিশে প্রবাহিত হয় । প্রাচীন শাস্ত্রে আছে বরবক্র নদী পাপ নাশক। শাস্ত্র গ্রন্থের বরাতে বলা হয়েছে সত্যের যুগে মণু নামের ভগবান মণু নদীর তীরে কুমারী বা শিব পূজা করতেন বলে এই নদীর নাম মণু নদী হয়েছে । শাস্ত্রে বিশ্বাসী হিন্দুগণ বরবক্র এবং মণু নদীতে তীর্থযাত্রায় আসতো । বরবক্র ও মণু এবং ক্ষমা খোয়াই নদীগুলো এ অঞ্চলের ভূমি বিস্তার এবং উক্ত নদী গুলোকে ঘিরে তীর্থযাত্রীদের আসার মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের জনবসতি বিস্তারের প্রধান কারণ হিসেবে অনুমান করা হয়েছে । রামায়ণে উল্লেখিত চন্দ্রবংশীয় রাজা অমুর্ত্তরাজা পণ্ড্রভূমী অতিক্রম করে যখন কামরুপে প্রাগজ্যোতিষ রাজ্য স্থাপন করেন, তখন বিম্রামিত্রের পুত্রগণ পিতার অভিশাপে অনার্য্যত্ব প্রাপ্ত হইয়া পণ্ড্র ভূমিতে বাস করতো । রামায়ণে অয্যোধ্যাকাণ্ডে সূত্রে লিখা হয়েছে দশরথ রাজা যখন কৈকেয়িকে তার দশরত রাজার অধিকৃত দেশগুলোর কথা বলেছেন । তার মধ্যে বিশেষ দশটি জনপদের উল্লেখ আছে সেগুলো হল দ্রাবিড়, সিন্ধু, সৌরাষ্ট, সৌবির, দক্ষিণাপথ ও অঙ্গ, বঙ্গ, মগদ, মৎস এবং কোশাল রাজ্য । উক্ত দশটি রাজ্যের মধ্যে যে বঙ্গের উল্লেখ রয়েছে, টা মূলত ছিল ব্রহ্মপুত্র নদের প্রশ্চিমে অবস্থিত । বর্তমান যা ভাগলপুর অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে বলা হয়ে থাকে যে প্রাচীন কালে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদী বাংলাদেশকে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে পৃথক করে রেখেছিল । পূর্ব বঙ্গের বাংলাদেশের সিলেট, ঢাকা ও রংপুর নবঘটিত এবং চট্টগ্রাম বিভাগ ও ভুটান এবং আসাম তখন কার সময়ে কামরুপ রাজ্যের অধীনে গণ্য ছিল । পুর্ব বঙ্গের উল্লেখিত অঞ্চল গুলোর মধ্যে সিলেটই সর্ব প্রাচীন হিসেবে বিবেচিত হয়ে উঠে ।
প্রাচীন Ancient ইন্ডিয়া গ্রন্থে দেখা যায় প্রাচীন কালে কামরুপ রাজ্য প্রাচীন নদী করতোয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এবং On the Early 6th century A.D. Kamarupa became a powerful kingdom. It included the whole of the brahmaputra vally and sylhet, and extended to west as far as Karatoya riverwhich continued to be the traditional boundary of kamarupa for a long time ।
মহাস্থানগড়ের নিকটে করতোয়া নদী । প্রাচীন গ্রন্থ সমুহ স্থাপত্য, জনশ্রুতি এবং পুরাকীর্তি সূত্রে ধারনা করা হয় মহাভারত সমরে নিহত কামরুপ রাজা ভগদত্তের পরে তার ভগদত্ত রাজার বংশীয় ১৯ জন নৃপতি শ্রীহট্ট অঞ্চলে রাজত্ব করেছেন ।
তথ্যসূত্র গুগল সার্চ ইঞ্জিন ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫
আমি মিন্টু বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।
ধীরে ধীরে আরো জানতে থাকুন শতশ্র ইতিহাস ।
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"ঐতিহাসিক গ্রন্থে আরও লিখিত আছে প্রাগৈতিহাসিক যুগে সিলেট সভ্য জাতির আবাসভূমি ছিল। ইহা প্রাচীন গ্রন্থাদি সহ বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া যায় । "
-প্রাগৈতিহাসিক যুগে সিলেট সভ্য জাতির আবাসভূমি ছিল? থাকলে ভালো; তখন বোধ হয়, সাইফুর রহমান, কিবরিয়া ও মুহিত ছিলেন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬
আমি মিন্টু বলেছেন: ভাই আসুন আমলীঃ আর বি ও জা বাদ দিয়ে ইতিহাসের রাজনীতি নিয়ে কিছু গাটাগাটি করি
আর মানুষের মধ্যে জ্ঞানের কিছু আলো ছড়িয়ে দেই । টা এ বছর কত দিলো কেমন কি পেলেন বকশিছ
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
"প্রগৈহাসিক যুগে" সিলেটে বাঘ ও বানর ছিল হয়তো
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৯
আমি মিন্টু বলেছেন: তাগে ষনায় তেমটাই আইডিয়া করা যায় ভাই ।
৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
নিমগ্ন বলেছেন: . ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০ ০
চাঁদগাজী বলেছেন:
"প্রগৈহাসিক যুগে" সিলেটে বাঘ ও বানর ছিল হয়তো
এই লোকটা জেলাসী টাইপের দেখছি। কোনরকম লজ্জাবোধও নাই নিজের সংকোচবোধের ও নিম্নবর্ণীয় দৃষ্টিভঙির কি বাস্তব উদাহরণ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৭
আমি মিন্টু বলেছেন: হুম আমি আবার কুন প্যাচগুজ বুঝিনাগো ভাই
৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
নিমগ্ন বলেছেন: সিরিজ ভাল হচ্ছে চালিয়ে যান।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৮
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া পাশে থেকে লেখার প্রতি আনন্দ দেওয়ায় ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩
প্রামানিক বলেছেন: পূর্ব বঙ্গের বাংলাদেশের সিলেট, ঢাকা ও রংপুর নবঘটিত এবং চট্টগ্রাম বিভাগ ও ভুটান এবং আসাম তখন কার সময়ে কামরুপ রাজ্যের অধীনে গণ্য ছিল ।
ইতিহাসের অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ