নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহুল প্রতীক্ষিত অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় প্রাণ নেই কর্মচারীদের মাঝে। এর আগে পে-স্কেলগুলো প্রকাশিত হলে সচিবালয়জুড়ে মিষ্টি বিতরণের ধুম পড়ে যেত, কিন্তু এবারকার চিত্র ভিন্ন। সচিবালয়সহ সারাদেশের কর্মচারী অঙ্গনে চলছে সমালোচনার ঝড়। তাদের বক্তব্য, বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা বহাল রেখেও আরো ভালো কিছু রাখার নির্দেশনা সরাসরি উপেক্ষিত হয়েছে।
কর্মচারীদের সকল স্তরে কিছু না কিছু সুবিধা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হলেও সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১০ম গ্রেডভুক্ত (দ্বিতীয় শ্রেণী) কর্মচারীরা। এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় পার্সোনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্টিনে অনুষ্ঠিত সভায় এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আব্দুল কুদ্দুস খান। এতে আরও বলা হয়, নতুন পে-স্কেলে ধারা ৭ (১) থেকে (৪) পর্যন্ত সাধারণ কর্মচারীদের চার বছরের আপ-গ্রেডেশনের সুযোগ (সিলেকশন গ্রেড) কমিয়ে ১০ বছরে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা যথারীতি পদোন্নতি বলে প্রচার করা হয়েছে। অন্যদিকে ৯ম গ্রেড থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মচারীদের ৪, ৫, ১০, ১২, ১৪, ১৭ ও ২০ বছরে আপগ্রেডেশন ও পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়েছে। একশ্রেণীর কর্মচারীদের সুযোগ বৃদ্ধি করে অন্য একশ্রেণীর অনুকূলে প্রদত্ত ৩টি সুবিধার স্থলে ২টি সুবিধা প্রদানের ফলে ধারা ৭ (৪) বলে ৮ম গ্রেড থেকে তাদের ৭ম গ্রেডে আপ-গ্রেডেশনের সুবিধা ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সরাসরি লঙ্ঘন করা হয়েছে। অন্যদিকে ২৬টি বিসিএস ক্যাডারের সংগঠন এবং প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও চিকিৎসকদের সংগঠন প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি এ বেতন স্কেলে সন্তুষ্ট নয়। তাদের মতে, এ নতুন বেতন কাঠামোতে তাদের মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা দুটোই ক্ষুণœ হয়েছে। নতুন বেতন কাঠামোয় বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রবেশ পদ অষ্টম গ্রেড আর নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের নবম গ্রেড নির্ধারণের মাধ্যমে বৈষম্যের সৃষ্টি করা হয়েছে। বেতন স্কেলে ক্যাডার, নন-ক্যাডার বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। যারা উন্নয়ন প্রকল্পে জড়িত তারা অধিকাংশই নন-ক্যাডার পদে নিয়োজিত আছেন। প্রায় ৫০ হাজার প্রকৌশলী নন-ক্যাডার পদে চাকরি করছেন।
তাছাড়া হাজার হাজার চিকিৎসক রয়েছেন, যারা নন-ক্যাডার পদে চাকরি করছেন। তারা সবাই বঞ্চিত হবেন। প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির স্টিয়ারিং কমিটির একজন নেতা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমাদের কোনো দাবিই মানা হয়নি। যদিও আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মানার জন্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, আজ শুক্রবার সমন্বয় কমিটির স্টিয়ারিং কমিটি বৈঠকে বসবে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর সমাবেশ ডেকে কর্মসূচি দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সমন্বয় কমিটি। সমন্বয় কমিটির মতে, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দিয়ে চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যে দুটি গ্রেড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাতে সরকারি চাকরিজীবীরা আগের চেয়ে আর্থিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এদিকে প্রবেশ পদে বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের অষ্টম গ্রেড ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের নবম গ্রেড রাখার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। গতকাল সচিবালয় পাসোনার্ল অ্যাসোসিয়েশনের সভায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা (সাবেক দ্বিতীয় শ্রেণীভুক্ত) ১০ম গ্রেডধারী। পদোন্নতি না পেয়ে এসব কর্মকর্তা একটি সিলেকশন গ্রেড এবং দুটি টাইমস্কেল পেয়ে ৭ম গ্রেডে রয়েছেন। ৮ম পে-স্কেলে তাদের ৭ম গ্রেডে পৌঁছানোর কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। অথচ নন-ক্যাডার ১ম ও ২য় শ্রেণীর পদে (১০ম গ্রেডভুক্ত) সম্প্রতি বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে পোস্টিংয়ের সুপারিশ করা হয়েছে। যেখানে সরকারের মহৎ পরিকল্পনা, সেখানে ষড়যন্ত্রকারীদের নীলনকশা। সভায় বলা হয়, আমরা সাধারণ কর্মচারীদের যৌক্তিক ও দৃশ্যমান দাবিগুলো সংগঠনের মাধ্যমে চোখে আঙুল দিয়ে ৮ম জাতীয় পে-স্কেলে সমন্বয়ের জন্য সরকারের কাছে তুলে ধরেছিলাম। চক্রান্তকারীরা সেসব দাবি পাশ কাটিয়ে পে-স্কেলে নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে। একদিকে অধ্যাপকসহ বিভিন্ন সার্ভিসে সিনিয়র সচিব পদ সৃষ্টি, ক্যাডারে ১০০-এর বেশি সদস্য হলে ১ম গ্রেডের পদ সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ সচিবালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদধারী সাধারণ কর্মকর্তাদের তাচ্ছিল্য, অবজ্ঞা আর অবমূল্যায়ন করে ১০ম গ্রেড থেকে ৭ম গ্রেডে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। সভায় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি নিজামুল ইসলাম ভূইয়া মিলন, অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতিদের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মোঃ কবির উদ্দিন হাওলাদার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মোঃ কাওছার-ই-আলম, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আইন মন্ত্রণালয়ের এস এম ফরিদ আহম্মেদসহ অন্যান্য নেতার মধ্যে মোঃ আজিজুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মোঃ মনির হোসেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের মোঃ মোশফেক শাহ্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মোঃ খোরশেদ আলম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মোঃ জাকির হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোঃ মিজানুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মোঃ আবদুল মান্নান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের মোঃ শামসুদ্দীন মোল্লা, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইনকিলাব
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
আমি মিন্টু বলেছেন: আমার কুন সমস্যা নাই।
২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: চাওয়ার কুনু শেষ নাই! এর নাম বাঙালী!
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪১
আমি মিন্টু বলেছেন: ঠিক বলছেন আঙ্কেল যেমন কোন পদের শেষ নাই তেমন অনেক চাহিদারও শেষ নাই ।
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ওয়েট করতেছি সামনে আরও কি কি হয় তা দেখার জন্য।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৩
আমি মিন্টু বলেছেন: হা হা ভাই সামনের দিনগুলো যে শুধু দেখারই পালা ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
প্রামানিক বলেছেন: এত বেতন বৃদ্ধির পরও অনেক সমস্যা।