নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নানা রং বেরং এর পাখী নিয়ে কথামালা :)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮


করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছিল পুলিশ৷ ডিএনএ পরীক্ষা, গোয়েন্দাগিরি কিছুই কাজে দিচ্ছিল না ৷ শেষে পোষা পাখিই দিল খুনির সন্ধান৷
ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২০১৪সাল এর ২০ ফেব্রুয়ারি আগ্রার বালকেশ্বর কলোনিতে ৷সেদিন খুন হয়েছিলেন স্থানীয় হিন্দি পত্রিকার সম্পাদক বিজয় শর্মার স্ত্রী নিলম শর্মা ৷ ওই বাড়িতে দুটি পোষা প্রাণী ছিল৷ একটি হল কুকুর এবং অন্যটি হল এই তোতা পাখি৷ নিলম শর্মার সঙ্গে খুন হয় ভাগ্যক্রমে পোষা কুকুরটিও৷
প্রথমে কেউই তোতা পাখীটির আচরণ লক্ষ্য করেননি ৷ প্রথম লক্ষ্য করেন বিজয় শর্মা নিজেই৷ তিনি দেখেন বাড়িতে যখনই তার ভাতিজা আশুতোষ ঢোকে তখনই তোতাটির আচরণ অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে৷ বিজয় শর্মার ভাই অজয় শর্মাও জানান, যখনই আশুতোষ পাখিটির খাঁচার পাশ দিয়ে যায় তখনই এটি চিৎকার করতে থাকে৷ এই থেকেই তাদের মনে সন্দেহ হয়৷ তারপর তারা একটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন৷ পরিবারের সদস্যরা পাখিটির সামনে সন্দেহভাজন কয়েকজনের নাম উচ্চারণ করেন৷ অজয় জানান যখন আশুতোষের নাম উচ্চারণ করা হয় তখনয়ই পাখিটি হিন্দিতে বলে ওঠে উসনে মারা উসনে মারা আর এ থেকেই বেরিয়ে আছে ঘটনার রহস্য অর্থাৎ সেই মেরেছে ৷ তারপর পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে বিষয়টি জানান ৷ তারা আশুতোষকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদে আশুতোষ তার অপরাধ স্বীকার করে৷

একজন ব্যবসায়ী একরাম সেলিম বিদেশ থেকে কিনে আনা ম্যাকাও প্রজাতির একটি পাখিকে তার খুব কাছের এক বন্ধুর হেফাজতে দেন কয়েক বছর পরে তিনি আবার সেই পাখীটি ফেরত চাইতে গেলে এক দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
ঘটনাটি বাংলাদেশেই ঘটেছিল ২০১৩ সালে।যার কাছে পাখীটি রেখেছিলেন সেই বন্ধু ডঃ আবদুল ওয়াদুদ যিনি পাখিটির দেখাশোনা করছিলেন তিনি আরেকটি ম্যাকাও পাখি কিনে বন্ধুর দেয়া সেই পাখীটির সঙ্গী বানান এবং এই পাখী জোড়াটির একটি বাচ্চাও হয়েছিল।
ডঃ ওয়াদুদ বলছেন জোড়া ভাঙলে দুটি পাখিই চরম একাকীত্বের সঙ্কটে পড়বে যা হবে নির্যাতনের সামিল।
অবশেষে তিনি পাখি দুটোকে একসাথে রাখার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।
আর কিছু রঙ্গিন পাখির ছবি শেয়ার করলাম যদিও এদের মধ্যে অনেক পাখীই আমাদের দেশের পাখি নয়।


এটা হল আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় পাখী দোয়েল

এটা হল আমাদের বাংলাদেশের একজোড়া শালিক পাখী কেউ কেউ একে চিল শালিকও বলে

এটা হল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য Mauritius Kestrel নামের পাখী যা সব চেয়ে বেশি মরিশাস দ্বীপপুঞ্জে দেখা যায়।

এটাও একটা শালিক পাখীর ছবি ।

এটি একটি পুরুষ ককাটেল পাখী
এইককাটেল পাখী এর আদি বসবাস হল অষ্ট্রেলিয়ায়। এরা সাধারনত প্যারাফিট অথবা টিয়া প্রজাতিরই একটি পাখি। এদের সৌন্দর্য্য আলাদা এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয়। বণ্য ককাটেল দেখতে ধুসর রং এর হয়। কিন্তু পাখি পালকদের অক্লান্ত পরিশ্রম এর ফলে এখন এদের অনেক মিউটেশন বা রং এর সৃষ্টি করা হয়েছে। এর মধ্যে লুটিনো, সিলভার, ফন, গ্র্রে, রুবিনো, হোয়াইট ফেইস উল্লেখযোগ্য। এ পাখিগুলো দেখতে বিভিন্ন রং ও বর্ণের, মাথায় মুকুটাকৃতির ঝুটি থাকে, আকৃতিতে কবুতরের সমান প্রায় কিন্তু তাদের লেজ বেশ লম্বা হয়। এদের সুরেলা আওয়াজ মন মাতিয়ে দেয়। ককাটেল এর মেইল ও ফিমেইল পাখি দেখতে প্রায় একই রকম। অভিজ্ঞ ব্রিডার ছাড়া এদের সনাক্ত করা অসম্ভব। তাই ককাটেল পালন এর পূর্বে আমাদের অভিজ্ঞ ব্রিডার এর পরামর্শ নেয়া উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

খুব সুন্দর পাখী ।

বাহ বাহ কত সুন্দর মনটায় কয় এদের সাথেই সংসার শুরু করে দেই :)

বাহ বাহ কত সুন্দর


বাহ বাহ কি মায়বী কি উজালা চেহারা একে দেখেই যেন মনে প্রেম এসে জাগা দেয় ।
একে কাছে পেলে কিছু সময় কথা বলে কাটিয়ে দেওয়া যেত । B-)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

পারভেজ উদ্দিন হৃদয় বলেছেন: খুব ভাল লাগল, ধন্যবাদ

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

আমি মিন্টু বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর পাখির ছবি গুলো ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

ইকবালবিডি০৯ বলেছেন: চমৎকার লেখা

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাল লাগেছে পোস্ট :)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

আমি মিন্টু বলেছেন: ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপুনি । :)

৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২০

প্রামানিক বলেছেন: পরিবারের সদস্যরা পাখিটির সামনে সন্দেহভাজন কয়েকজনের নাম উচ্চারণ করেন৷ অজয় জানান যখন আশুতোষের নাম উচ্চারণ করা হয় তখনয়ই পাখিটি হিন্দিতে বলে ওঠে উসনে মারা উসনে মারা আর এ থেকেই বেরিয়ে আছে ঘটনার রহস্য অর্থাৎ সেই মেরেছে ৷

উপরে পাখির কাহিনী পড়ে আশ্চার্য হলাম, পাখি অপরাধীর নাম বলে দিয়েছে। পাখির ছবিও সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

আমি মিন্টু বলেছেন: ভাই আমিও আজকাল অনেক সময় আশ্চার্য হয়ে যাই ;)

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

টোকাই রাজা বলেছেন: ভাল লাগল পাখির সমাচার।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ভালো লাগল পাখি আর প্রথম ঘটনা পড়ে

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৬

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ জাহেদ ভাই ।শুভ রাত্রী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.