নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান সময় পরিপেক্ষিতে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় একটি কাজের মেয়ের আত্মহর্তার জন্য বাড়ির লোক এবং দেশের সরকারই দায় । এখানে অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে কি করে মেয়েটির আত্নহর্তার জন্য বাড়ির লোক এবং সরকার দায় ? হ্যা এরকম প্রশ্ন মনে আসাতাই স্বাভাবিক আর হ্যা এই বিষয় নিয়েই এখানে মূল আলোচনার বিষয় ।
ধরে নেয়া যাক একটি বাসায়, স্বামী, শ্ত্রী,ছেলে,মেয়ে,দুইজন সাথে, শশুর, শাশুরী, দুইজন এবং দেবর ননদ দুইজন। তাহলে একটি পরিবারে কাজের মেয়েটি সহ নয়জন সদস্য হল । এখন দেখা যায় স্বামী শ্ত্রী সকালে ছেলে মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে তারাও অফিসের কাজে চলে যান থাকেন বাকি পাঁচজন এর ভিতরে দেবর ননদ তারা দুইজনও সকালের নাষ্টা শেষ করে যার যার মত করে কলেজ বা অন্য কোন কর্মস্থলে চলে যান । বাকি থাকে তিনজন এর ভিতরে শশুর শাশুড়ী বয়স্ক তাই তাদের বাহিরে কোন কাজ থাকেনা ।আর শশুর শাশুড়ীর তেমন কোন কাজ না থাকায় শশুর চলে যান মনিং ওয়ার্কে মানে জগীং বা বাংলায় যাকে বলে ব্যায়াম সেই ব্যায়াম করতে । আর শাশুড়ী ব্যচারা কি আর করবেন হয়ত আল্লাবিলা করেন আর নয়ত কিছুক্ষন সময় টিভি দেখে সময় পাড় করেন ।
এবার আসুন কাজের মহিলা বা বুয়া সে হতে পারে ৪০ থেকে ৫০ বছর বা তারও বেশি বয়স্ক অথবা এমনও হতে পারে ১৩ এর নিচে বা ১৩ থেকে কুড়ি কিং বা ২০ ২২ ২৬ ৩০ বছরের যাই হোক সেই কাজের মহিলা বা ছুরি যদি ছোটা হয় মানে টাইম মাপা যেমন হতে পারে সকাল ৬টা থেকে ১২টা অথবা সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা অথবা ৮টা থেকে দুপুর ২টা পযন্ত তার কাজের সময় । আচ্ছা এবার আসা যাক তার কাজের ধরন কি কি দেখা যায় সেই কাজের মহিলা বা মেয়েটি সকালে এসেই প্রথমে হয়ত সেই বাড়ির শশুর শাশুড়ির ফজরের নামাজের সময় থাকলে শীতের সময় হলে হয়ত অজুর জন্য পানি গরম করে দেন । তার পর একে একে সকলের জন্য বেড চা অথবা কফি বানান।তার পর শুরু করেন ডে ফাস্ট ফুট মানে দিনের প্রথম ও সকালের নাষ্টা ।শেষ হয় খাওয়া দাওয়া । এর পর খাওয়া দাওয়া শেষে ওগুলো ধোয়ার বা পরিস্কারের কাজও সেই কাজের মেয়েটিই বা বুয়াটিই শেষ করেন এরপর ঘর মুছা ঘর পরিস্কার তার পর নোংরা কাপড় চোপর যা আছে সব ওয়াস করেন । এগুলো করতে করতে তার অবস্থা কাহিল হয়ে যায় তার উপর সময় হয়ে যায় আবার দুপুরের রান্নার সময় । এ থেকেই আমাদের বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় যে যারা বান্ধা কাজের বুয়া তাদের অবস্থা তাহলে কি হয় । আসলে প্রতিটি মানুষেরই প্রতেকদইন পরিশ্রমের একটি নিদিষ্ট সময় সীমা থাকা উচিৎ তাছাড়াও বয়সের সীমারেখা অবশ্যয়ই থাকা উচিৎ ।এছাড়াও যারা বাসাবাড়ির কর্তা তারা আপনার বাসার কাজের বুয়াকে একবার নিজের মা বোন বা মেয়ের স্থানে বসিয়ে দেখুনতো যদি আপনার মা বা বোন অথবা আপনার মেয়েকে যদি অন্যের বাসা বাড়িতে শ্রম দেয়া লাগতো আর তাকে দিয়ে যদি তারা অমানবীক পরিশ্রম করাতো তখন আপনার কাছে কেমন লাগতো ।তাই আপনার বাসা বাড়ির কাজের মেয়েকে বা বুয়াকে নিজ পরিবারের একজন সদস্যের চোখে দেখুন । এখানে সরকারকে এই জন্যই দায় দেয়া হয়েছে কারন আমাদের দেশে কাজের মানুষদের আমরা কোন মূললায়ন করি না । তাদের উপরে সব সময় করি অমানবীক নির্যাতন । এমন কি অনেক বাসাবাড়িতে কাজের মেয়েদের উপরে শাররীক ও যৌন নির্যাতনও করা হয় যার কোন প্রতিবাদ হয় না । অনেক ক্ষেত্রেই এইসব নির্যাতনের ঘটনাগুলো এড়িয়ে যায় । কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সরকারী ভাবে এসব বিষয়ের উপরে কোন পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত তাহলে অবশ্যয়ই এই সব নির্যাতনের ঘটনাগুলো অনেকটা কমে আসার সম্ভবনা থাকতো । হাজার লেখলে হাজার বললেও ওই সকল দুঃখী গরীব কষ্ট করে রোজি রোজগার করে খাওয়া মানুষ বা কাজের বুয়াদের কষ্টের কথা লেখে শেষ করা যাবে না । তাই সকলের একটু সচেতনতা হওয়া প্রয়োজন । একজন কাজের মানুষকে বেতন দিবেন বলেই আপনার মন মত পরিশ্রম তাকে দিয়ে না করিয়ে তার শরীর কতটুক পরিশ্রম করতে পারবে অতটুকই করান ।আর কাজের মানুষগুলোকে আপন ভাবতে শিখুন ।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: ভাল একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০২
☺ বলেছেন: কাজের মানুষদের আপন ভাবুন। আর নিজেদের মানবিকতা ভাল করুন। সুর্য হাসবেই। আলো আসবেই।
শুভকামনা....
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাই সকলের একটু সচেতনতা হওয়া প্রয়োজন । একজন কাজের মানুষকে বেতন দিবেন বলেই আপনার মন মত পরিশ্রম তাকে দিয়ে না করিয়ে তার শরীর কতটুক পরিশ্রম করতে পারবে অতটুকই করান ।আর কাজের মানুষগুলোকে আপন ভাবতে শিখুন ।
+++++
এই দেশে ৯০ ভাগ মুসলমান দাবী করে!!!
অথচ ইসলাম বারবার বলেছে তোমরা যা খাও তাদের তাই খেতে দাও। যা পড় তাই পড়তে দাও। এমন কিছূ দিওনা যা তোমরা নিজেরা চোখ বন্ধ করে নিজের জন্য পছন্দ না করবে!
ঘাম শুকানোর আগে মজুরী দিয়ে দাও। ..
হায় ! এই গুলান অবহেলা কারীরাই আবার মসজিদে বেশি ভীর করে! সমাবেশে মঞ্চে ইসলামের জন্য ইসলামের নামে কুমির কান্না কেঁদে মরে!!!
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এমন কি অনেক বাসাবাড়িতে কাজের মেয়েদের উপরে শাররীক ও যৌন নির্যাতনও করা হয় যার কোন প্রতিবাদ হয় না । অনেক ক্ষেত্রেই এইসব নির্যাতনের ঘটনাগুলো এড়িয়ে যায় । কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সরকারী ভাবে এসব বিষয়ের উপরে কোন পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত তাহলে অবশ্যয়ই এই সব নির্যাতনের ঘটনাগুলো অনেকটা কমে আসার সম্ভবনা থাকতো ।
এটাই আসল পয়েন্ট।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০১
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ আপু সহমত ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৭
ঝাপসা বালক বলেছেন: ভাল লাগলো ।