নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলন যা সংক্ষেপে ইউএনএফসিসিসি বা এফসিসিসি UNFCCC বা FCCC জাতিসংঘের পরিবেশ সংক্রান্ত একটি বৈশ্বিক চুক্তি যা ১৯৯২ সালের ৩রা জুন থেকে ১৪ জুন তারিখে রিও ডি জেনেরিও তে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ এবং উন্নয়ন UNCED শীর্ষক সম্মেলনে যে সম্মেলন আর্থ সামিট নামে সাধারলোকদের কাছে পরিচিত । সেই চুক্তির মূল লক্ষ্য ছিল বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের হার এমন অবস্থায় স্থিতিশীল রাখা যাতে জলবায়ুগত মানবিক পরিবেশের জন্য তা বিপত্তিকর না হয়।ইউএনএফসিসিসি'র পক্ষগুলোকে বিভক্ত করা হলঃ
১।পরিশিষ্ট ১-এর দেশসমূহ – এমন শিল্পমুখী দেশগুলো ও অর্থনীতি, যারা উন্নয়নের পথে রয়েছে।
২।পরিশিষ্ট ১-এর দেশসমূহ – এমন উন্নত দেশগুলো, যারা উন্নয়নশীল দেশগুলোর ব্যয় বহন করছে।
৩।অপরিশিষ্ট ১-এর দেশসমূহ - উন্নয়নশীল দেশসমূহ।
পরিশিষ্ট ১-এতে ৪১টি দেশ অন্তর্ভুক্ত আছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর এক সদস্য। এই দেশগুলোকে শিল্পমুখী দেশ হিসেবে ধরা হয়েছে এবং এদের অর্থনীতি উন্নয়নের পথে রয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়েছে: অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রিয়া, বেলারুস, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, লাটভিয়া, Liechtenstein, লিথুনিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, রাশিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরষ্ক, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র।
পরিশিষ্ট ২-এর দেশসমূহঃ
পরিশিষ্ট ২-এর ২৩টি দেশ অন্তর্ভুক্ত আছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও এর এক সদস্য। ২০০১ সালে তুরষ্ককে পরিশিষ্ট ২ থেকে সরিয়ে পরিশিষ্ট ১-এ নেয়া হয়েছে কেননা দেশটি অনুরোধ করেছিল তাদের অর্থনীতিকে যেন উদীয়মান অর্থনীতি হিসেবে বিবেচনা করা হয় । অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র । ইউএনএফসিসিসি'র সদস্য দেশসমূহ ।
সমুদ্রস্তরের উচ্চতাবৃদ্ধিঃ
সমুদ্রস্তরের উচ্চতাবৃদ্ধি (SLR) দ্বারা বোঝানো হচ্ছে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে সমুদ্রের পানির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে স্থলভাগ গ্রাস করে ফেলা সংক্রান্ত দুর্যোগকে। এই দুর্যোগ একটি বৈশ্বিক সমস্যা যা প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট কারণসমূহের সম্মিলিত ফলাফল। প্রগতিপন্থি অনেকেই মনে করে থাকেন যে সমুদ্রস্তরের উচ্চতাবৃদ্ধি একটি গালগল্প কিন্তু বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত এর সত্যতা প্রমাণ করে বিভিন্ন ভিডিওচিত্র ভূ উপগ্রহচিত্র ও আলোকচিত্র এবং বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণ হাজির করছেন। পত্রপত্রিকায়ও প্রায় প্রতিদিনই এন্টার্কটিকায় বরফ গলার দৃশ্য ছাপা হচ্ছে। তাছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যেই এর স্পষ্ট প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এতদদৃষ্টে এই দুর্যোগকে আর শ্রেফ ভুল ব্যাখ্যা কিংবা গালগল্প বলে চালিয়ে দেবার মতো অবকাশ নেই। যদিও বিতর্ক চলছেই। ভারত মহাসাগরের উপসাগর বঙ্গোপসাগরের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলভাগ। দিনে দিনে এন্টার্কটিকার বরফ গলার ফলে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধিতে Sea Level Rise: SLR ডুবে যাবার আশংকায় রয়েছে বাংলাদেশ। UNFCCC'র দেওয়া তথ্যমতে বিংশ শতাব্দিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় উচ্চতা ১০-২০ সেন্টিমিটার বেড়েছে । জাতিসংঘের আন্তসরকার জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেল বা IPCC ২০০৭ সালে জানিয়েছিলেন যে ২০৫০ সালে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের অন্তত ১৭% ভূমি সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যায় অন্যদিকে ২০০৯ সালে ডিসেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে 'দ্যা সায়ন্টিফিক কমিটি অন এন্টার্কটিক রিসার্চ' (SCAIR) জানিয়েছে যে হারে এন্টার্কটিকার বরফ গলছে তাতে ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে ৫ ফুট। বিগত দিনের পরিসংখ্যানের প্রায় দ্বিগুণ সেই হিসাবের প্রেক্ষিতে ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা DFDI-এর অভিমত দিয়েছেন সেপরিমাণ উচ্চতাবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের প্রায় এক পঞ্চমাংশ সমুদ্রে তলিয়ে যাবে। বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত তালিকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম ১০ম স্থান। এরকম অকষ্মাৎ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের প্রায় ৮%-এরও বেশি নিম্নাঞ্চল ও প্লাবনভূমি আংশিক এবং স্থায়ীভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়বে। তাছাড়া বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১ মিটার উঁচুতে অবস্থান করছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাজনিত কারণে ঢাকাও আক্রান্ত হতে পারে বলে ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড বা WWF-এর অভিমত। এইসব ভবিষ্যত সংশ্লিষ্টতার প্রেক্ষিত পেরিয়ে ২০০৯ সালে সুন্দরবনে সর্বপ্রথম সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অনুভূত হয়। কারণ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞানীদের দেওয়া তথ্যমতে ২০০০ সালের আগ পর্যন্ত সমুদ্র প্রতি বছর ৩ মিলিমিটার ০.১২ ইঞ্চি করে বাড়ছিলো কিন্তু পরবর্তি দশকেই প্রতি বছর ৫ মিলিমিটার ০.২ ইঞ্চি করে বাড়া শুরু হয়েছে। এবং ২০০৩ সালে সার্কেরআবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্র SMRC এর একটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে বাংলাদেশের হিরণ পয়েন্ট চর চাঙ্গা, এবং কক্সবাজারে জোয়ারের পানির স্তর প্রতি বছর যথাক্রমে ৪.০ মিলিমিটার, ৬.০ মিলিমিটার এবং ৭.৮ মিলিমিটার বেড়েছে।
অন্যদিকে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির হারের চেয়েও আরো বেশি হারে ডুবে যাচ্ছে। কারণ প্রতি বছর বঙ্গোপসাগর উপকূলের এলাকাসমূহের মাটি দেবে বসে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই একটি গবেষণা থেকে ভারতের কলকাতা শহরে মাটি বসে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। তাছাড়া আরো দুটি গবেষণায় ভবিষ্যতে লখনৌ এবং পাটনার ভূমি বসে যাবার সম্ভাব্যতা দেখানো হয়েছে। যদিও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে ভূমি প্রতি বছর ৫মিলিমিটার বসে গেলেও পলি জমে আরো ৭মিলিমিটার উঁচু হয়ে যায় ভূত্বক। কিন্তু মানবসৃষ্ট বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে নদীর পানি বা বন্যার পানি সর্বত্র পৌঁছাতে পারে না ফলে পলি পৌঁছতে পারছে না সেসব স্থানে। আর তাই ভূমি বসে যাবার তুলনায় সব স্থানে ভূমি উঁচু হচ্ছে না। গবেষকদের এই গবেষণা সঠিক হলে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির হারের চেয়ে অতিরিক্ত হারে বাংলাদেশ ডুবে যাচ্ছে আর এতে যেমন মানুষের হস্তক্ষেপ আছে তেমনি আছে প্রকৃতির রূপ পরিবর্তন।
২০০৭ সালে ইউনেস্কো'র প্রতিবেদন মতে সমুদ্রস্তরের ৪৫ সেন্টিমিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে সুন্দরবনের ৭৫% ডুবে যেতে পারে।ইতোমধ্যেই ২০০৯ সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের সবচেয়ে গহীন অরণ্যে বঙ্গোপসাগর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্প সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে গেছে ৷ ক্যাম্পের কাছে মিঠা পানির একটি পুকুর ছিলো যা প্রচুর জেলে বাওয়ালির সুপেয় পানির একমাত্র উৎস ছিলো ৷ মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্পসহ ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার এলাকার ভূমি সমুদ্রগর্ভে হারিয়ে গেছে ৷ নদীভাঙনের ফলে পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে জঙ্গলের ভেতরে ছোট ছোট খাল এবং নদী ৷ ফলে জোয়ারের পানি একবার উঠলে আর নামতে পারছে না পরবর্তী জোয়ারে আরও ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে পানি৷ ফলে সেসব এলাকার গাছপালার বৃদ্ধি কমে যাচ্ছে ।
পুরোপুরি গরম আসার আগেই জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে কোন ব্যবস্থা হাতে নেয়া জরুরী ।এখনো গরম আসেনি অথচ গত দুই তিনদিন থেকেই কলে পানি তেমন পাওয়া যাচ্ছে না । মনে হচ্ছে দিনে ২৪ ঘন্টার ভিতরে ১৮ ঘন্টাই পানি থাকে না
পানি পাওয়া যায় মাত্র ৫ কি ৬ঘন্টা । তাঐ পানির পেশার খুবই কম থাকে ।তাই আসছে গরম মৌসুমে জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ মোকাবিলার বিষয়টি মাথায় রেখে টেকসই কোন উন্নয়নের পরিকল্পনা করা উচিৎ । আর এসব পরিকল্পনা করার আগে অবশ্যয়ই সাধারণ মানুষদের চাহিদা এবং প্রয়োজনের কথা মাথায় রাখতে হবে । যতটা দ্রুত সম্ভব সরকারকে এ বিষয়টা বাস্তবায়নের প্রোকল্প বা উদ্যোগ নেয়া উচিৎ । একই সাথে সরকারের পাশাপাশি আমাদের সাধারণ মানুষদেরও কিছু সতর্কমূলক উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন । আর এসব সতর্ক বিষয়গুলো হলো যেমন ঢাকা সিটিতে সধারণ কোন প্রতিষ্ঠানে ডিপকল বসানো নিষেধ ।কিন্তু অনেক এলাকায় পানি বোতল জাত করন প্রতিষ্ঠানগুলতো আছেই তার পাশাপাশি অনেক বড় বড় মার্কেট বা শপিং কমপ্লেকস গুলোতেও ডিপকল বসানো হয়েছে । যা মোটেও উচিৎ নয় ।
বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ তাপমাত্রার দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও বিগত কয়েক বছরে তাপমাত্রার অস্বাভাবিক আচরণ সেই পরিচিতি ম্লান হয়ে যাচ্ছে। ১৯৬০ সালে বঙ্গীয় এলাকায় সর্বোচ্চ ৪২.৩° সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিভুক্ত করা হয়। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ৩০শে মে রাজশাহীতে তাপমাত্রা নথিভুক্ত করা হয় ৪৫.১° সেলসিয়াস । ১৯৯৫ সালে এসে নথিভুক্ত করা হয় ৪৩° সেলসিয়াস। ২০০৯ সালের ২৬শে এপ্রিল যশোরে নথিভুক্ত করা হয় বিগত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২° সেলসিয়াস । তাপমাত্রার এই পরিসংখ্যানে আপাতদৃষ্টিতে যদিও মনে হচ্ছে তাপমাত্রা কমছে কিন্তু বস্তুত অতীতের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ছিলো কম অথচ বর্তমানে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা অত্যধিক বেশি। কেননা ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড বা WWF-এর গবেষণায় দেখাগেছে শুধু ঢাকা শহরেই মে মাসের গড় তাপমাত্রা ১৯৯৫ সালের ওই মাসের তুলনায় বেড়েছে ১° সেলসিয়াস ২০০৯ সালে প্রেক্ষিত ৷ নভেম্বর মাসে এই তাপমাত্রা ১৪ বছর আগের তুলনায় বেড়েছে ০.৫° সেলসিয়াস৷ আবহাওয়া অধিদপ্তরসূত্রে জানা যায় গত ৫০ বছরে দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ০.৫%। এমনকি ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের তাপমাত্রা গড়ে ১.৪° সেলসিয়াস এবং ২১০০ সাল নাগাদ ২.৪° সেলসিয়াস বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাপমাত্রা বাড়ার ঘটনাটি অনেকটা সম্পুরক হারে ঘটবে। কেননা বাড়তি তাপমাত্রার কারণে পানির বাষ্পীভবন বেড়ে যাবে এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়িয়ে দিবে।বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়া মানে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়া। আর্দ্র বাতাসের প্রভাবে প্রকৃত তাপমাত্রা না বাড়ালেও অনুভূত তাপমাত্রা feels like বেড়ে যাবে। ফলে তাপমাত্রার তুলনায়ও বেশি গরম অনুভূত হবে। ইতোমধ্যেই একটি জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশের আর্দ্রতার মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়াও ২০৩০ সাল নাগাদ বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১০থেকে১৫ ভাগ এবং ২০৭৫ সাল নাগাদ তা প্রায় ২৭ ভাগ বেড়ে যাবে। ফলে বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে যাবে চরম হারে। এই আর্দ্রতা গরম বাড়িয়ে দিবে। উল্লেখ্য আছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা WMO এর মতে ২০১০ সালে ছিল ২৫০ বছরের মধ্যে বিশ্বের উষ্ণতম বছর আর ২০০১সাল থেকে ২০১০সাল সময়টুকু ছিল বিশ্বের উষ্ণতম কাল।
গ্রীষ্মকালে যেখানে তাপমাত্রা বাড়বে শীতকালে ঠিক একইভাবে তাপমাত্রা মারাত্মকভাবে কমবে। ২০০৩ সালের পর ২০১১ সালে প্রচণ্ড শ্বৈতপ্রবাহের কবলে পড়ে বাংলাদেশ। শ্রীমঙ্গলে নথিভুক্ত করা হয় ৬.৪° সেলসিয়াস। পরিবেশ এবং জলবায়ুবিদদের মতে সেসময় অনুভূত তাপমাত্রা হয়েছিল আরো কম।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বলতে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যে অস্থায়ী কিংবা স্থায়ী নেতিবাচক এবং ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে তার যাবতীয় চুলচেরা বিশ্লেষণকে বোঝাচ্ছে। UNFCCC বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে মানুষের কারণে সৃষ্ট আর জলবায়ুর বিভিন্নতাকে অন্য কারণে সৃষ্ট জলবায়ুর পরিবর্তন বোঝাতে ব্যবহার করে। কিছু কিছু সংগঠন মানুষের কারণে সৃষ্ট পরিবর্তনসমূহকে মনুষ্যসৃষ্ট anthropogenic জলবায়ুর পরিবর্তন বলে। তবে একথা অনস্বীকার্য যে বিশ্বব্যাপি জলবায়ুর পরিবর্তন শুধুমাত্র প্রাকৃতিক কারণেই নয় এর মধ্যে মানবসৃষ্ট কারণও সামিল। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বলতে শ্রেফ প্রাকৃতিক কারণে জলবায়ু পরিবর্তনকে বোঝানো হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশের বিপর্যয়ের এই ঘটনাকে বাংলাদেশ সরকারের বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নব্বইয়ের দশকে প্রণীত ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট এ্যাকশন প্ল্যান NEMAP এ দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।কোনো দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সত্যিই পড়ছে কিনা তা চারটি মানদন্ডে বিবেচনা করা হয় যেমনঃ
১। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ
২। কোথায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেশি হচ্ছে
৩। সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা কোথায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে
৪। ক্ষতিগ্রস্থ দেশটি ক্ষতি মোকাবিলায় বা অভিযোজনের জন্য এরই মধ্যে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাংলাদেশে একাধারে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা সমস্যা, হিমালয়ের বরফ গলার কারণে নদীর দিক পরিবর্তন, বন্যা ইত্যাদি সবগুলো দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রাও অনেক অনেক বেশি। মালদ্বীপ, টুভ্যালু, টোবাগো এদের সবার ক্ষেত্রেই এই সবগুলো মানদন্ডই কার্যকর নয়। তাছাড়া মালদ্বীপের মোট জনসংখ্যা বাংলাদেশের অনেক জেলার জনসংখ্যার চেয়েও কম । তাই এই চারটি মানদন্ডেই বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকায় শীর্ষে।আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জার্মান ওয়াচ এর ২০১০ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স CRI অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতির বিচারে শীর্ষ ১০টি ক্ষতিগ্রস্থ দেশের মধ্যে প্রথমেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এই সমীক্ষা চালানো হয় ১৯৯০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ১৯৩টি দেশের উপর। উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রকাশিত ২০০৭ এবং ২০০৮ সালের প্রতিবেদনেও বাংলাদেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্থতার বিচারে বিশ্বব্যাপী গবেষকগণ বাংলাদেশকে পোস্টার চাইল্ড Poster Child হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও পরিবেশ
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ যা ২৬° ৩৮ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২০° ৩৪ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮° ০১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯২° ৪১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই দেশটির পশ্চিম উত্তর আর পূর্ব সীমান্ত জুড়ে রয়েছে ভারত। পশ্চিমে রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ আসাম, মেঘালয় রাজ্য। পূবে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম। তবে পূর্বদিকে ভারত ছাড়াও মিয়ানমারের বার্মা সাথে সীমান্ত রয়েছে। দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। ভূতাত্ত্বিকভাবে দেশটি থেকে উত্তর দিকে রয়েছে সুউচ্চ হিমালয় পার্বত্যাঞ্চল যেখান থেকে বরফগলা পানির প্রবাহে সৃষ্ট বড় বড় নদী গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ইত্যাদি বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে প্রবহমান এবং নদীগুলো গিয়ে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে পড়ছে। বর্ষাকালে নদীবাহিত পানির প্রবাহ বেড়ে গেলে নদী উপচে পানি লোকালয়ে পৌঁছে যায় এবং দেশটি এভাবে প্রায় প্রতি বছরই বন্যায় আক্রান্ত হয়। এই দেশটির প্রায় মাঝখান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে এবং এর আবহাওয়াতে নিরক্ষীয় প্রভাব লক্ষ করা যায়। বছরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা ১৫০০-২৫০০মিলিমিটার ৬০-১০০ইঞ্চি পূর্ব সীমান্তে এই মাত্রা ৩৭৫০ মিলিমিটার ১৫০ইঞ্চির বেশি। স্বাভাবিক অবস্থায় গড় তাপমাত্রা ২৫° সেলসিয়াস। আবহমান কাল থেকে এদেশে ঋতুবৈচিত্র্য ছিল। বর্তমান ছয়টি ঋতুর বৈশিষ্ট্য আলাদা আলাদাভাবে এই দেশে উপলব্ধ হয় গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরৎ-হেমন্ত-শীত-বসন্ত -এই ছয় ঋতুর কারণে আমরা দেশটিকে ষড়ঋতুর দেশও বল থাকি। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত হালকা শীত অনুভূত হয়। মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল চলে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এদেশে মৌসুমী বায়ু সক্রীয় থাকে তাই জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চলে বর্ষা মৌসুম। এসময় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় যা অনেক সময়ই বন্যায় ভাসিয়ে দেয়। তাছাড়াও মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের আগমুহূর্তে কিংবা বিদায়ের পরপরই স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, কিংবা সাগরে নিম্নচাপ, জল ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হয় যার আঘাতে বাংলাদেশ প্রায় নিয়মিতই আক্রান্ত হয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাবে বাংলাদেশের এই স্বাভাবিক চিত্রটি এখন অনেকখানি বদলে গেছে। তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্তর সর্বদিক দিয়ে সংঘটিত এসকল পরিবর্তন বাংলাদেশে জলবায়ুগত স্থূল পরিবর্তন সৃষ্টি করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাব
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশে যে বিবিধ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এবং ইতোমধ্যে পড়েছে, তার বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
বৃষ্টিপাত হ্রাস ও ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের ১৯৫১ থেকে ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের সংগৃহীত উপাত্তের ভিত্তিতে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির সেন্টার ফর থেকে সংগ্রহ
বৈশ্বিক উষ্ণতার ঝুঁকিতে থাকা পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ১২টি দেশের তালিকা। আর এর সূত্র হলো বিশ্ব ব্যাংক।
১।মরুকরণ ২।বন্যা ৩।ঝড় ৪।সমুদ্রপৃষ্ঠেরউচ্চতা বৃদ্ধি ৫। কৃষিতে অনিশ্চয়তা
মালাউয়ি বাংলাদেশ বাংলাদেশ সব নিচু দ্বীপদেশ জিম্বাবুয়ে
ইথিওপিয়া ভারত ফিলিপাইন মিসর মালি
জিম্বাবুয়ে চীন মাদাগাস্কার ভিয়েতনাম জাম্বিয়া
ভারত কম্বোডিয়া ভিয়েতনাম তিউনিশিয়া মরক্কো
মোজাম্বিক মোজাম্বিক মঙ্গোলিয়া ইন্দোনেশিয়া নাইজার
নাইজার লাওস মলদোভা মৌরিতানিয়া ভারত
মৌরিতানিয়া শ্রীলঙ্কা হাইতি চীন সুদান
ইরিত্রিয়া পাকিস্তান সামোয়া মিয়ানমার মালাউয়ি
সুদান ভিয়েতনাম টোঙ্গা মেক্সিকো আলজেরিয়া
শাদ (চাদ) থাইল্যান্ড চীন সেনেগাল সেনেগাল
ইরান বেনিন ফিজি বাংলাদেশ ইথিওপিয়া
কেনিয়া রুয়ান্ডা হন্ডুরাস লিবিয়া পাকিস্তান
অ্যাটমোসফেরিক সায়েন্সেস বিভাগের উদ্যোগে বৃষ্টিপাতের ব্যাপ্তি, বর্ষা মৌসুমের ব্যাপ্তি ও বৃষ্টির পরিমাপ ইত্যাদি উপাত্ত যাচাই করে দেখা গেছে যে ভারতীয় উপমহাদেশে বৃষ্টিপাত কমছে। দেখা গেছে চারদিনের বেশি সময় ধরে কমপক্ষে ২.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের ঘটনা কমে গেছে। যদিও স্বল্প সময়ের জন্য বৃষ্টিপাত বেড়েছে। কিন্তু এতে মৌসুমী বৃষ্টিপাতের চক্র দূর্বল হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি এজন্য আশংকাজনক যে এই উপমহাদেশের কৃষিকাজ দীর্ঘমেয়াদি বৃষ্টির উপযোগী। ইতোমধ্যেই ২০০৯সালে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ধানের ফুল আসার সময় থেকে বীজ বের হওয়ার মাঝখানের সময়টুকুতে প্রয়োজনের তুলনায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় টি-আমন জাতের ধানের উৎপাদন কমে ছিল।এমনকি ২০১০সালে ভরা বর্ষায় জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় অনাবৃষ্টিতে আমন ধানের বিশাল খেত রোদে পুড়ছে । যেখানে আমন ধান রোপনের অন্তত ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত পানি ধরে রাখা নিশ্চিত করতে হয় নাহলে কুশি বাড়ে না সেখানে পানির অভাবে জমিতে ফাটল দেখা দিয়েছিল।বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে ২০১০সালে ৪৭,৪৪৭ মিলিমিটার বিগত ১৫ বছরের তুলনায় ১৯৯৪ সালের পরে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে । এমনকি এই পরিমাণ শ্রেফ ২০০৯ সালের তুলনায়ই ৯,০০০ মিলিমিটার কম ছিল।
লবণাক্ততা বৃদ্ধি
বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় নদ-নদীর পানিপ্রবাহ শুকনো মৌসুমে স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে না। ফলে নদীর পানির বিপুল চাপের কারণে সমুদ্রের লোনাপানি যতটুকু এলাকাজুড়ে আটকে থাকার কথা ততটুকু থাকে না পানির প্রবাহ কম থাকার কারণে সমুদ্রের লোনাপানি স্থলভাগের কাছাকাছি চলে আসে। ফলে লবণাক্ততা বেড়ে যায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের বিপুল এলাকায়। দক্ষিণ পশ্চিম যশোরে এমনটা দেখতে পাওয়া যায় সেখানে শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গার পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি পায়। সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে বলা যায় যায় দেশের দাকোপসহ দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্র ভূভাগের অনেক ভিতর পর্যন্ত লোনাপানি ইতোমধ্যেই ২০০৯সালে ঢুকে পড়েছেিল। ২০১০সালে এই সমস্যা উপকূলীয় অঞ্চল থেকে যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর এবং কুমিল্লা পর্যন্ত উত্তর দিকে বিস্তৃত হয়েছে এবং আরো উত্তরে বিস্তৃত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।১৯৯০ সালে দেশে লবণাক্ত ভূমির পরিমাণ ছিল ৮,৩০,০০০ হেক্টর, আর ২০০১ সালে তা হয়েছে ৩০,৫০,০০০ হেক্টর। কম বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার সমস্যা দিনে দিনে আরো প্রকট হয়ে উঠবে বলে বিশেষজ্ঞদের জানিয়েছেন।
২০০৯ সালে বরিশাল ও পটুয়াখালীতে লবণাক্ততার পরিমাণ ২ পিপিটি লবণাক্ততা পরিমাপক মাত্রা থেকে বেড়ে ৭ পিপিটি হয়ে গেছে । একই বছর চট্টগ্রাম শহর সন্নিকটের হালদা নদীর পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে ৮ পিপিটি হয়ে গেছে।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৯
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ মিজান ভাই ।
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪১
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ মিন্টু ভাই।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৭
আমি মিন্টু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০১
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ মিন্টু ভাই।