নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিলখানা বিডিয়ার হত্যা ছিল কালো অধ্যায়ের আরেকটি নরপিশাশ মূলক ষড়যন্ত্র

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

পিলখানা বিডিয়ার হত্যা ছিল কালো অধ্যায়ের আরেকটি নরপিশাশ মূলক ষড়যন্ত্র
(১)২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি সেদিন ছিল পিলখানা ট্র্যাজেডির সপ্তম বর্ষপূর্তি। ঠিক সেই দিন বিদ্রোহের নাম দিয়ে গণহত্যা করা হয়েছিল ৫৭ সেনাকর্মকর্তাসহ দেশের আরো ৭৪ জনকে। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ছয় বছরে অসংখ্য মামলা করা হয়েছে। বিচার করে সাজাও দেয়া হয়েছে অনেককে। আবার খালাসও পেয়েছেন বহুসংখ্যক আসামি। জেলখানায় মারাও গেছেন বেশ কয়েকজন । কিন্তু শুধু সেনাবাহিনীর সদস্য হওয়ার কারণে পরিকল্পিতভাবে করা সেই হত্যাযজ্ঞটি সাধারণ কোনো ফৌজদারি নরহত্যার অপরাধের সংজ্ঞাভুক্ত হতে পারে না। বরং এটা সুস্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইনের জেনোসাইড বা গণহত্যার অপরাধ। অথচ আমরা সে গণহত্যাকে শুধু বিডিআর আইন এবং প্রচলিত ফৌজদারি আইনে বিচার করেছি। আর সেটা করতে গিয়ে ন্যায়বিচারকেই যেন বন্দী হয়ে গেছেন বিলম্বিত বিচারপ্রক্রিয়া এবং বিচারিক সীমাবদ্ধতার আইনির বেড়াজালে।
অথচ ১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত রেজ্যুলেশন ২৬০ ‘৩’ বলা হয়েছে কোনো গোষ্ঠীকে সম্পূর্র্ণ বা আংশিকভাবে নিশ্চিহ্ন করার প্রয়াসের নামই হচ্ছে কিন্তু গণহত্যা। সেই অনুচ্ছেদে পরিকল্পিতভাবে কোনো গোষ্ঠীকে নির্মূল করার জন্য তাদের সদস্যদের হত্যা কিংবা শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিসাধন করাকেও গণহত্যা বলা অর্থায়িত করা হয়েছে। তাই শুধু সেনাবাহিনীর সদস্য হওয়ার অপরাধে তাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য সংঘটিত সেই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি গণহত্যা কনভেনশন মতে সুস্পষ্টভাবে গণহত্যার অপরাধ। আর এ জন্যই ন্যায়বিচারের স্বার্থে পিলখানার বর্বরোচিত গণহত্যাকে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদলে রেকট্রোস্পেকটিভ এফেক্ট অথবা আইনের ভূতাপেক্ষা বলবৎকরণের মাধ্যমে গণহত্যা ট্রাইব্যুনাল গঠন করে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন । আর সে ক্ষেত্রে এ ধরনের আইন আমাদের সংবিধান পরিপন্থী হবে না বলে সংবিধানের ৪৭ ‘৩’ অনুচ্ছেদে নিশ্চয়তা দেওয়া আছে। সেই সাথে আমাদের সংবিধানের ৪৭ক অনুচ্ছেদ মোতাবেক এই আইনে আগের যেকোনো সময়ের সংঘটিত অপরাধের বিচার রেকট্রোস্পেকটিভ এফেক্টে করা যাবে। এমনকি এসব ঘাতক সংবিধানের অধীনে কোনো প্রতিকারের জন্য উচ্চ আদালতে কোনো ধরনের আবেদন করার যোগ্যতাও হারাবে বলে সংবিধানের ৪৭ক ‘২’ অনুচ্ছেদে নিশ্চয়তা দেওয়া আছে। তাই এসব গণহত্যাকারীর দ্রুত বিচার নিশ্চিত এবং সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের একমাত্র বিকল্পই হচ্ছে গণহত্যা ট্রাইব্যুনাল গঠন করা। তাছাড়াও হয়ত অন্য আরো অনেক বিকল্প আছে তবে সেগুলোও বরাবরের মতই দীর্ঘমেয়াদি আইনি অন্ধকারে হারিয়ে যাবে বলে দৃঢ় আশঙ্কা রয়েছে।
(২) বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৭ ‘৩’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য কোনো সশস্ত্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং সহায়ক বাহিনীর সদস্য, ও অন্য কোনো ব্যক্তি, ব্যক্তি সমষ্টি বা সংগঠন কিংবা যুদ্ধবন্দীকে আটক, ফৌজদারিতে সোপর্দ কিংবা দণ্ডদান করিবার বিধান সংবলিত কোনো আইন অথবা আইনের বিধান সেই সংবিধানের কোনো বিধানের সহিত অসামঞ্জস্য বা তাহার পরিপন্থী, এই কারণে তা বাতিল বা বেআইনি বলিয়া গণ্য হইবে না কিংবা কখনো বাতিল বা বেআইনি হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না। যার ফলে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনকে আমরা সংশোধন করতে দেখেছি। এমনকি আবদুল কাদের মোল্লার রায় ঘোষণার পরও ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে ১৯৭১ সালের সংঘটিত অপরাধকে রেকট্রোস্পেকটিভ এফেক্ট বা ভূতাপেক্ষা কার্যকারিতা দেওয়া হয়। পরে এই আইন সংশোধন করে সংশোধিত বিধানের কার্যকারিতা ২০০৯ সাল থেকে বলবৎ করা হয়। আর এসবই করা হয়েছে সংবিধানের বর্ণিত ৪৭ ‘৩’ অনুচ্ছেদ বলে।

যদিও আমাদের সংবিধানের ৩৫ ‘১’ অনুচ্ছেদে স্পষ্টত বলা হয়েছে অপরাধ সংঘটনকালে বলবৎ আইনে দণ্ড ছাড়া কাউকে ভিন্ন কোনো দণ্ড দেওয়া যাবে না। কিন্তু গণহত্যা বা যুদ্ধাপরাধের কারণে সংবিধানের ৪৭ক ‘২’ অনুচ্ছেদ মোতাবেক এসব অপরাধীর সংবিধানের আওতায় কোনো প্রতিকার পাওয়া এমনকি মৌলিক অধিকারপ্রাপ্তি পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তা হলে প্রশ্ন জাগে ঠিক একইভাবে পিলখানায় সংঘটিত সশস্ত্র প্রতিরক্ষা অথবা সহায়ক বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপারে অর্থাৎ সহায়ক বাহিনী হিসেবে বিডিআরের সদস্যদের করা সেনাকর্মকর্তাদের গণহত্যার অপরাধটিও বিদ্যমান আইনটির সংশোধন করে পেছনের দিকে কার্যকর অথবা বলবৎ করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা যাবে না কেন?

(৩) পিলখানার সেনাহত্যা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ছিল না। তা সম্পূর্ণ ভাবে পরিকল্পিত এবং দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শুধু সেনাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে সেই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিডিআর সদর দফতরে সকাল ৯টায় যখন দরবার বসেছিল তার আগেই পরিকল্পনামাফিক পিলখানার ভেতরে একদল বিডিআর সৈনিক ঢুকে পড়েন। তাদের একজন বিডিআর মহাপরিচালকের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করেন। তারপরই সব সেনাসদস্যকে নিরস্ত্র অবস্থায় হত্যা করা হয়। পুরো পিলখানায় এক ভীতিকর বীভৎস নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। আক্রমণকারীরা পরিকল্পনামাফিক অস্ত্রগুদাম খুলে সদর দফতরের চারটি প্রবেশ গেটে মুহুর্মুহু গুলি ছুড়তে থাকেন। অথচ পরিকল্পিতভাবেই সেদিন নিরস্ত্র সেনা অফিসারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আক্রমণকে বিদ্রোহের নাম দেওয়া হয়েছিল।আর তা স্বল্প সময়ের মধ্যেই সদর দফতরের অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়ে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সুবাদে সেদিন স্পষ্টত দেখা যায় লাল কাপড় মাথায় বাঁধা হত্যাকারীরা কিভাবে দৌড়াদৌড়ি করেছিল। সংবাদমাধ্যমে এমনও খবর বেরিয়েছে যে সে ঘটনার সাথে ইউনিফর্ম পরিহিত নয় এমন কিছু মানুষও যোগ দিয়েছিল। বাইরে থেকে গাড়ি প্রবেশের কথাও বলা হয়েছে। রক্তাক্ত বিদ্রোহের নাম দিয়ে এভাবে গণহত্যা করা হয়েছিল ৫৭ সেনাকর্মকর্তাসহ দেশের ৭৪ জন সেনা বুদ্ধি জীবিকে। সেদিন পিলখানা মুহূর্তেই পরিণত হয়েছিল এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। আবিষ্কৃত হয়েছিল গণকবরের। এত লাশ আর ধ্বংসযজ্ঞ দেখে সমগ্র জাতি শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। সমাজের সর্বস্তর থেকে দোষীদের বিচারের দাবি ওঠে। বিদ্রোহের বিচারের সেসব মামলায় অভিযুক্ত বিডিআর সদস্যদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
আর এর পরই শেষ হয়ে যায় ১৯৭২ সালের বিডিআর আইন। নতুন আইনে বর্তমানে শৃঙ্খলাবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি আইনে বিচার করা হবে বাহিনীর সদস্যদের। আর আইন সংশোধন করে বিদ্রোহের সর্বোচ্চ সাজা করা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু সবই করা হয়েছে ভবিষ্যতে অনুরূপ কোনো অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য। আর ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দফতরে যা ঘটে গেছে তার জন্য করা হয়নি আইনের কোন সংশোধন ।
(৪) বিডিআর ট্র্যাজেডিকে কেন্দ্র করে বিডিআরকে করা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বিডিআর নামে পরিচিত ছিল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ২০০৯ সালের বিদ্রোহ ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর বিডিআর আইন পরিবর্তনের দাবি ওঠে। সংসদে তা নিয়ে বিল ওঠার পর কণ্ঠভোটে তা পাসও হয়। এর আগে পরিবর্তিত হয়েছে বাহিনীর পোশাক। নাম এবং পোশাক পরিবর্তনের পাশাপাশি বিদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এ আইনে। ১১২ ধারায় বলা হয়েছে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে এক বা একাধিক বর্ডার গার্ড আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে এবং তিন সদস্যবিশিষ্ট ট্রাইব্যুনালে একজন সভাপতি ও দুইজন সদস্য থাকবেন। মহাপরিচালকের অনুপস্থিতিতে ন্যূনতম উপমহাপরিচালক পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালের সভাপতি হবেন এবং পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তা সদস্য হবেন। তা ছাড়াও বাহিনীর কার্যাবলি ক্ষমতা এবং দায়িত্ব আরো বিস্তৃতৃ ও সুস্পষ্ট করা হয়েছে। সুযোগ রাখা হয়েছে জুনিয়র কর্মকর্তাদের পদোন্নতির। বাকস্বাধীনতা সংগঠন প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বিধান আগে ছিল না । বর্তমান আইনে তা রাখা হয়েছে। কিন্তু ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দফতরে সংঘটিত নৃশংসতম গণহত্যার জন্য সংবিধানের ৪৭(৩) অনুচ্ছেদের আওতায় বিদ্যমান পেছনের ঘটনাকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। ফলে আইন-কানুনসহ সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা হয়েছে ঠিকই তবে এসবই করা হয়েছে শুধু ভবিষ্যতের কোনো অপরাধের জন্য। পিলখানার হতভাগা নিহত সেনাদের ভাগ্যে এসব আইনের কোনো সুফল জুটে নাই এবং জুটবেও বলে মনে না কখনো ।
(৫) শুধু বাংলাদেশেই না বরং সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসে একসাথে এত সেনাকর্মকর্তার হত্যার কোনো নজির নেই। পরিকল্পনামাফিক পিলখানার সেই হত্যাযজ্ঞকে মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সারা দেশের ৫৭টি ইউনিটে। কোনোরকম পূর্বপরিকল্পনা বা ষড়যন্ত্র ছাড়াই কী করে বিডিআরের সাধারণ সৈনিকেরা আচমকা তাদের সাধারণ কিছু পেশাগত দাবি দাওয়ার কারণে এইভাবে বেছে বেছে সেনাসদস্য এবং তাদের পরিবারের লোকজনকে নিমর্মভাবে হত্যা করতে যাবে? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে? কারা এর পরিকল্পনাকারী কারা সে ষড়যন্ত্রকারী আর কারাই বা উসকানি বা মদদদাতা এত দিনেও কেন আমরা তাদেরকে খুঁজে বের করলাম না? তাদের বিরুদ্ধে কি কোনো তদন্ত করা হয়েছে এত দিনেও? আইনের অপ্রতুল শাস্তি দিয়ে আরও ৪০ হাজার পৃষ্ঠার নথি তৈরি করে কি আমরা সেই গণহত্যার সুবিচার করতে পেরেছি? স্বয়ং আদালত তার রায়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন “এখানে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ছিল চরমভাবে দৃশ্যমান। রায়ে আদালতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ছিল গোয়েন্দা ব্যর্থতা। সে রায়ের পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হেয়প্রতিপন্ন করতে এবং সামরিক বাহিনীতে যোগদান নিরুৎসাহিত করতে এমনটি করা হয়েছে। তা ছাড়া মামলার তদন্ত এবং আসামিদের জবানবন্দী জেরায় প্রকাশ সেই বিদ্রোহ ও গণহত্যার মূল হোতারা পলাতক। এরা পরিকল্পনামাফিক দেশত্যাগ করেছেন। এদের হদিস পযন্ত কেউ জানে না।
(৬) বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালত রায় ঘোষণার পর নিহত সেনা পরিবারের স্বজনেরা নতুন করে তদন্তের দাবি করাতে এটা স্পষ্ট যে সংক্ষুব্ধ পরিবার ন্যায়বিচার পায়নি। নিহত লে কর্নেল লুৎফর রহমানের মেডিক্যালে পড়ুয়া মেয়ে ফাবলিহা বুশরার আক্ষেপ “বাবা অফিসে গেলেন আর ফিরে এলেন না”। মর্গে গিয়ে আমরা তার মৃতদেহ খুঁজে পেলাম। বিচার হলো কিন্তু জানতে পারলাম না কারা কেন তাকে খুন করেছে। আমার মতো সবার বাবাকে কিভাবে মারা হয়েছে আমরা তা জানতে চাই।“ নিহত কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রীর আকুতি ‘’শহীদ সেনাকর্মকর্তাদের পরিবারের ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে। তারাও খুঁজে বেড়াচ্ছে কেন তাদের বাবাকে হত্যা করা হলো। সন্তানেরা হত্যাকারীদের সম্পর্কে জানতে চায়।’’ নিহত সেনা পরিবারের দাবি ২৫শে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি ঘোষণার। দিনটিকে শহীদ সেনাদিবস ঘোষণা করার। পাঠ্যপুস্তকে এই ঘটনা যুক্ত করার। একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবিও উঠেছে। নিহত সেনা অফিসারদের মরণোত্তর বীরত্বের পদক দেওয়ার জন্যও তারা সরকারকে অনুরোধ জানায়। কিন্তু সব দাবি ছাপিয়ে সবার যেন একটাই চাওয়া। তা হলো এই ঘটনার পেছনের কুশীলব কারা তা উদঘাটন করা। এই জানতে চাওয়াটা শুধু শহীদ পরিবারের সন্তানদের একার নয়। দেশবাসীও জানতে চায় প্রকৃত অপরাধী কারা? সেই গণহত্যার পেছনের রাঘব বোয়ালদের উন্মোচিত মুখোশগুলোকে দেখতে চায় দেশের মানুষ।


তথ্যসূত্রঃ নেওয়া হয়েছে একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ এর একটি লেখা থেকে ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

২০০৯ এ বিডিআর বিদ্রোহ পুর্বপরিকল্পিত ছিল, তবে হত্যাকান্ড মোটেই পরিকল্পিত ছিল না বলেই মনে হয়।
সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড হলে বাকি বন্দি ১০০ জন সেনা কর্মকর্তাকে বাঁচিয়ে রাখার কোন কারনই ছিলনা।
সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড হলে আনাড়িদের মত লাশ লুকানোর চেষ্টা করে সময় নষ্ট করত না। বা নিগোসিয়েশন করে আরো একদিন সময় নষ্ট করে আনাড়ির মত ধরা পরত না।
খুনিদের নেতা সহিদ,সেলিম, হাফিজ সহ সকল খুনিই ধরা পরেছে। অভিযুক্ত একজন সহ মাত্র ১৯ জন বিডিআর সদস্য পলাতক বা নিখোজ। ওপেন আদালতে শুনানি হয়েছে, অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। বাহিরের বা অন্য কারো প্ররচনা থাকলে এতদিনে তা প্রকাশ হতই।। ফাঁসির আসামি মৃত্যুর আগে কখনোই কথা লুকিয়ে মিথ্যে বলে নিজের জীবন বিপন্ন করবে না। সেনা তদন্ত সহ ৩ স্তরের তদন্ত হয়েছে, ১ম ফেজ বিচার শেষ হয়ে রায় হয়েছে। ১৫২ জনের ফাঁসির আদেশ হলেও বেকোসুর খালাস পেয়েছেন ২৭১ জন। বিচারপর্ব শেষ হলে সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই।

এ নিয়ে কয়েক বছর আগে লেখা ব্লগে আমার ৩টি পর্ব লেখা পড়ুন।

কি ঘটেছিল সেদিন দরবার হলে.?

বিডিআর বিদ্রোহ। উদ্ধার পর্ব, যে কারনে সেনা অভিযান সম্ভব হয়নি।

জেনারেল সাকিলের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, কিছু সত্য বেরিয়ে আসা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই শেয়ার করার জন্য । সময় করে অবশ্যয়ই পড়ে নেব ।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: দেশবাসীও জানতে চায়
প্রকৃত অপরাধী কারা? সেই গণহত্যার
পেছনের রাঘব বোয়ালদের
উন্মোচিত মুখোশগুলোকে দেখতে
চায় দেশের মানুষ।

অপেক্ষায় আছি...

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১০

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ মিজানুর রহমান মিরান ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.