নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাসঃ রোমিজ মিয়ার জীবণ গল্প (প্রথম খন্ড )
এইতো সেদিনের কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি নির্বাচন নিয়ে দুই গ্রুপ ছাত্র ছাত্রী সংঘষে কয়েকজন ছাত্র ততখনায় স্পোর্টডেড আর কয়েক জনের অবস্থা আশংকা জনক ।বিশ্ববিদ্যালয়েরও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । তবে এ বিষয় নিয়ে থানা কোন মামলা হয়নি । কারন মামলা করবে কে ? দুই পক্ষই বেশ প্রভাবশালী তাছাড়াও তাদের দুই গ্রুপের মাথার সাথে বাংলাদেশ নামের এই রাষ্ট্রের বড় বড় ক্ষমতাবান দাপটও আলা রাগোব বোয়ালদের সম্পর্ক ।
আর ওই সব রাগোব বোয়ালদের সব মুখ
এক দড়িতেই গোপন গিট্রু দেয়া ।
আসলে মানুষের বহু গোপন রূপ আছে । আরে এইতো সেদিন প্রত্রিকায় দেখলাম একজন রিপোটার মাইকেল জ্যাকসনকে
নিয়ে একটি রিপোট লিখেছেন উনি নাকি
মৃত্যুর আগে গানের পাশাপাশি কিছু একটা লেখালেখিও করতেন । রোমিজমিয়া ভেবে দেখলেন আসলে কিছু মানুষের জীবনে অপ্রাপ্তি কিছু পাওয়া হয়ত মৃত্যুর পরে প্রাপ্তি হয়ে আসে তাকে উৎসর্গ করতে । আর মৃত্যুর পরে কিছু মানুষের গোপন কথাগুলো বেরিয়ে আসে তার চমকের জন্যই ।আর আমরাও মানুষ জীবিত কোন মানুষকে গুরুত্ব না দিলেও তার মৃত্যুর পরে ঠিকি তার গুরুত্ব বুঝি । হয়ত মাইকেল বেঁচে থাকলে আজ আর তার লেখা উপন্যাস ছাপানোর জন্য নিউ ইয়র্কে প্রকাশকদের মধ্যে এত হুড়হুড়ি হতো না ।আহারে মাইকেল ব্যচারা লেখে গেলি পড়ে যেতে পারলি না ।দেখেও যেতে পারলি না তোর লেখা উপন্যাস ছাপানো নিয়ে হুড়হুড়ি ।
দিন দুই তিন পরে সঁন্ধা নেমে এসেছে আজ দিনেও তেমন বেচা কেনা হয়নি আর বিশ্ববিদ্যালয়ও কেমন জানি জন শূন্যতা মনে হচ্ছে প্রতিদিনের মতো আজ তেমন বেশি জনবহুল মানুষ নাই । সন্ধে ৭টা ২০মিনিট রমিজমিয়া দোকান বন্ধ করে দিলেন । বাসায় চলে যাবেন রমিজমিয়া হঠাৎ পাশে গাছের আড়াল থেকে একটি চিৎকার রমিজমিয়া দৌড়ে গেলেন । রোমিজমিয়া দেখতে পেলেন ওখানে একটি ছেলের শরীর বেয়ে রক্ত পড়ছে । ছেলেটি পানি পানি করছে । ছেলেটির বয়স ২২ কি ২৪ হবে ছেলেটির গায়ের সাদা জামাটা রক্তে লাল হয়ে গেছে । এতটুকো বুঝতে রমিজমিয়ার বাকি নেই নিশ্চয় কোন মানুষ নামের নড়পিশাচের এ কাজ ।
কে তুমি ভাই আর তোমার এ অবস্থা কে করল ? ছেলেটি ঠিক মতো কথা বলতে পারছে না । রমিজমিয়া ছেলেটিকে কুলে নিয়ে দ্রুত একটা সিএনজি ডেকে এনে উঠে বসলেন আর গাড়ির ড্রাইভার কে বললেন ঢাকা মেডিকেল যেতে । ছেলেটি সত্যের প্রতিবাদ করেছিলো বলে ওরা ওকে এ আঘাতগুলো করছে । প্রথমে হকি দিয়ে পিটিয়ে ছেলেটির হাত পায়ের হারগুলোকে এক করেছে পরে যাতে ছেলেটি কারো বিরুদ্ধে বলতে না পারে সে জন্য তার পেটে ছুঁরি দিয়ে কয়েকটি আঘাত করে ঘাটকেরা মনে করেছে ছেলেটি মরে গেছে তাই ঘাতকেরা ছেলেটিকে অচেতন অবস্থায় গাছের আড়ালে ফেলে রেখে গেছে । রাখে আল্লায় মারে কে ? যেমন সাজ্জাদ নামে এক ব্যাক্তি ৪০০ বছর সময় লাগিয়ে কয়েক হাজার লোক খাটিয়ে একটি বেহেস্ত তৈরি করেছিলেন । তার ইচ্ছে ছিল মৃত্যুর আগে একবার পৃথিবীর ওপরে তার তৈরি বেহেস্তটির ভিতরে প্রবেশ করে ঘুরে দেখবেন । কিন্তু যখন সাজ্জাদ ওই বেহেস্তের দড়জায় পা রাখলেন । তখনই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা অনুযায়ী তার মৃত্যু ঘটে । তার আশা আর ফুরালো না । তেমন ছেলেটিও এতগুলো আঘাত সয়ে রক্তে গা ভাসিয়ে বেঁচে আছে ।
হাসপাতালের গেটে ঢুকেই রোমিজ মিয়া ছেলেটিকে জরুরী বিভাগের রাখলেন । ডাক্তার ছেলটিকে ধরেই রোমিজমিয়াকে সরি বললেন ।
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৫
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৫৩
দইজ্জার তুআন বলেছেন: ভালো লাগা++++++++++++++++