নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপন্যাসঃ রোমিজ মিয়ার জীবণ গল্প (তৃত্বীয় খন্ড )

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩১



হাসপাতালের গেটে ঢুকেই রোমিজ মিয়া ছেলেটিকে জরুরী বিভাগের রাখলেন । ডাক্তার ছেলটিকে ধরেই রোমিজমিয়াকে সরি বললেন ।
রোমিজ মিয়ার ডাক্তার সাহেবের এই ইংরেজী শব্দটা বুঝতে বাকি রইল না ।রোমিজমিয়া ছেলেটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বড় বেশি সময় খরচ করে ফেলেছে ।
রোমিজমিয়াকে হাসপাতালের প্রথম শ্রেনীর
একজন ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন ছেলেটির
সাথে তার কিছের সম্পর্ক ?
রোমিজমিয়া ডাক্তারকে সব ঘটনা খুলে বললে,ডাক্তার সাহেব ছেলেটি সার্টের পকেট থেকে তার পরিচয় পত্র নিয়ে ওটা থেকে
তার ঠিকানায় যোগাযোগ করতে থাকেন ।
রোমিজ মিয়া হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে
হাঁটতে থাকেন আর মনের কাছে ছেলেটির মৃত্যু সম্পর্কে না জানা প্রশ্নগুলো তুলে ধরেন ।
‘ক’দিনপর এক সকালে রোমিজমিয়া দোকান খুলছে হঠাৎ পিঁছন থেকে দৌঁড়ে এসে তার পাশে দোকানের দুই সমব্যাবসাহী রোমিজমিয়াকে দোকান না খোলার জন্য পরামর্শ দেন ।রোমিজভাই আজ দোকান খুইলেন না ।রোমিজমিয়া তাদের প্রশ্ন করেন কেন আজ দোকান খুলবো না ? আজ কি সরকারি ছুটির দিন,কলেজ কি আজ বন্ধ ?
না রোমিজ ভাই শুনেছি আজ কলেজের মাঠে
নাকি কিছের মিটিং আছে হয়ত পরিস্থিতি ব্যসামালও হতে পারে। রোমিজমিয়া জিজ্ঞেস করলো আজ আবার কিছের মিটিং ? সামনে কি কোন নির্বাচন আছে ? আরে না রোমিজভাই আপনে দেখি কোন কিছু মনে রাখেন না । কেন রোমিজভাই মনে নাই ওইযে পারুল নামের ছাত্রী মরে গেল যে ।
রোমিজমিয়ার মনে পড়লো পারুলের কথা ।
পারুল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দিত্বীয় বর্ষ পড়ুয়া একজন ভালো ছাত্রী।পারুলও রোমিজমিয়ার প্রতিদিনের নিয়মিত একজন মেয়ে কাস্টমার ছিল ।শুনেছিলাম মেয়েটি মাঝে মধ্যে অনলাইনে কিসব ফেসবুক ব্লগফ্লগে লেখাজোকা করতো । তবে যতদূর জানি মেয়েটি সত্যবাদী ছিল । আর এই সত্য লেখার জন্যই মেয়েটিকে হঠাৎ এক ঝড়তুফানের সকালে প্রথমে শারীরিক নির্যাতন অবশেষে অকাল প্রাণঘাটি ।
রোমমিজমিয়া দোকান না খুলে রাস্তার ফুটপাট ধরে বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করলেন । খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে রোমিজমিয়ার ভাবনায় বার বার ফুঁটে ওঠে ওইসব অনলাইনে একট্রিভিসন থাকা মানুষগুলোর নিস্পাপ মুখগুলো ।রোমিজ মিয়ার চোখের সামনে ভেসে আছে সাগর রুনির নিস্পাপ মুখ দুটো তাদের আদরের ধন ছোট্র শিশুটির কথা ।আচ্ছা অনলাইনে ওসব ব্লগফ্লগ আর ফেসবুকে থাকা মানুষগুলোকি সত্য প্রকাশ করতে যেয়ে বড় কোন অপরাধ করে ফেলছে যে কারনে সে অপরাধের জন্য তাদের অকাল জীবন দিতে হচ্ছে ।
রোমিজমিয়া ভেবে দেখলেন এই সব অনলাইন ফনলাইনে ফেসবুক আর ব্লগ নামক লেখার স্থানগুলোর আসল পরিচয় ওরা নিস্পাপ ও সত্যবাদী মানুষের জীবন কেড়ে নেয়া এক ভয়ানক যান্ত্রীক কারিগড়ির মেলা । ওখানে নিস্পাপ মানুষগুলোকে সত্যের পথ দেখাতে নিয়ে কেড়ে নিচ্ছে অকাল তাদের জীবন ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: চলুক।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৩

আমি মিন্টু বলেছেন: চলববে ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.